• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন আরও ৫০ বিচারক
প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য বিচারিক আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এই অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়।  প্রশিক্ষণের জন্য সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগীয় এ কর্মকর্তারা আগামী ৬ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবেন। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের প্রেক্ষিতে আগামী ৬ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি, ভূপাল ও একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচারককে অনুমতি দেওয়া হলো। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই। ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে  একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে। ওই চুক্তির পর একই বছরের ২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিসিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভূপালে তাদের জাতীয় জুডিসিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১৫শ থেকে ১৬শ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।’ এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে এরইমধ্যে অনেক বিচারক এই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৩

‘এই চরিত্রের জন্য মেকআপ নিতে এবং তুলতে ৫ ঘণ্টা সময় লাগত’
গেল ঈদে মুক্তি পেয়েছে ঢালিউডের ১১টি সিনেমা। এর মধ্যে অন্যতম হিমেল আশরাফ নির্মিত সিনেমা ‘রাজকুমার’। এতে শাকিব খানের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।  তবে এই সিনেমায় মাহির চরিত্রটি করার বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। এমনকি সেসময়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও এটা নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই। তবে ছবিটি মুক্তির আগেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এরপর থেকেই পর্দায় মায়ের চরিত্রে মাহিকে দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন দর্শকরা।   সিনেমাটি মুক্তির পর মাহির চরিত্রটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে। অনেকেই বৃদ্ধ মায়ের চরিত্রে অভিনেত্রীর অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। তবে মেকআপ নিয়ে মন্তব্য করেছেন সিনেমাপ্রেমীদের একাংশ।  সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন মাহি। চিত্রনায়িকা বলেন, ফেসবুকে অনেকেই আমাকে নিয়ে রিভিউ দিয়েছেন, অনেকেই তো দেখছি প্রশংসা করছেন। দু-একজন মেকআপের ব্যাপারে কথা বলেছেন। কিন্তু শুটিংয়ের সময় মেকআপ নিয়ে আমার কাছে সমস্যা মনে হয়নি। তাছাড়া এই চরিত্রের জন্য আমার মেকআপ নিতে আড়াই ঘণ্টা লাগত, তুলতেও আড়াই ঘণ্টা। উপযুক্তভাবেই মেকআপ করা হয়েছিল। জানা গেছে, মাহিকে নিয়ে শুটিং হয় রাঙ্গামাটির সাজেকের লোকেশনে। শাকিবের ৬৫ বছরের মায়ের চরিত্রে মাহিকে তৈরি করতে ভারত থেকে মেকআপশিল্পীকে আনা হয়েছিল। চরিত্রটি নিয়ে মাহি বলেন, আমি গতানুগতিক চরিত্র থেকে একটু বের হয়ে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই। বলিউডে দীপিকা যদি মায়ের চরিত্র করতে পারে, তাহলে আমি করলে সমস্যা কোথায়?  আমার কাছে মনে হয়, হিমেল আশরাফ নির্মাতা হিসেবে নিজেকে যথেষ্ট প্রমাণ করেছেন। তিনি আমাকে যখন চিন্তা করেছেন, আমার বিশ্বাস তিনি আমাকে ওইভাবেই উপস্থাপন করবেন। তাই কাজটি করেছি। এছাড়া সিনেমার প্রযোজক আরশাদ আদনান আমাকে কাজটি করার জন্য বলেছেন, তাই করেছি। বৃদ্ধ মায়ের চরিত্রটি করতে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে জানিয়ে মাহি বলেন, সিনেমায় সন্তানের সঙ্গে বৃদ্ধ মায়ের কথোপকথনের জায়গাটা খুবই আবেগময়। চরিত্রটি করার সময় আমার সন্তান ফারিশকেই কল্পনায় রেখেছি। ফলে সহজেই পর্দায় চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি।    
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৫

ইফতারে বানিয়ে নিতে পারেন টকদইয়ের কাস্টার্ড
সারাদিনের তীব্র গরমে রোজা রাখার পর ইফতারে মেনুতে সবাই চায় স্বাস্থ্য সম্মত খাবার। তাই ইফতারে ঠান্ডা ঠান্ডা ডেজার্ট হলেতো কথাই নেই। আর ডেজার্টের মেন্যুতে দই মানিয়ে যায় খুব সহজেই। সেই দই দিয়ে যদি কাস্টার্ড বানিয়ে নেওয়া যায় তবে কিন্তু মন্দ হয় না। কারও কাছে মিষ্টি দই পছন্দ, আবার অনেকের কাছেই টকদই বেশি পছন্দের। টকদই ব্যবহার করে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় খুবই আকর্ষণীয় মজাদার একটি আইটেম টকদই কাস্টাড। খুব সহজেই চট করেই বানিয়ে নেওয়া যায় এটি। কিন্তু খেতে ভীষণ মজা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে তৈরি করতে পারেন এই কাস্টার্ড।  যা যা লাগবে:  টকদই- ২ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক- ১ কাপ, ছোট করে কাটা কয়েক রকমের ফল (যেমনঃ আপেল, কমলা, আম, বেদানা, আঙ্গুর, কলা ইত্যাদি), ভ্যানিলা অথবা ম্যাংগো ফ্লেবারের আইসক্রিম- ১ কাপ বানাবেন যেভাবে:  প্রথমে একটি পরিষ্কার পাতলা সুতির কাপড়ে টকদই নিয়ে তা থেকে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এবার বাটিতে টকদই নিয়ে তাতে কনডেন্সড মিল্ক এবং আইসক্রিম দিয়ে মিশিয়ে নিন। ভালো মত মেশানো হলে তাতে পছন্দ মতো টুকরো করে কেটে রাখা ফলগুলো দিয়ে আবারো ভালো ভাবে মিক্স করে নিন। এবার যেভাবে কাস্টার্ড বানানোর সময় ফ্রুট দেওয়া হয়, সেভাবেও লেয়ার করে সাজিয়ে নিন। এরপর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা ফ্রিজে সেট করার জন্যে রেখে দিন। ঠান্ডা হয়ে এলে উপরে বেদানা কিংবা পছন্দমতো ফল কুঁচি করে ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন এটি। চাইলে বাদামকুচি ও সিরাপও দিতে পারেন। সাজানোটা নির্ভর করছে আপনার পছন্দের উপর। ব্যস, টকদই কাস্টার্ড রেডি হয়ে গেলো! ইফতারে কিছুক্ষণ আগে ফ্রিজ থেকে বের করে পরিবেশন করুন ঠান্ডা ঠান্ডা প্রাণ জুড়ানো মজাদার কাস্টার্ড।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৮

‘স্কাউটিংকে এগিয়ে নিতে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে’ 
স্কাউটিংকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ৮ এপ্রিল দেশব্যাপী স্কাউটস দিবস উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষে স্কাউটস সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দিবসটির এবারের থিম ‘স্মার্ট স্কাউটিং, স্মার্ট সিটিজেন’ যা সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্কাউটস প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রম হিসেবে স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও আদর্শ নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রশংসনীয় কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ১৯৭২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ স্কাউটসকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করেন। তার অনুপ্রেরণা এবং উদ্যোগের ফলে ১৯৭৪ সালের ১ জুন ১০৫তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্কাউটস বিশ্ব স্কাউট সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ স্কাউটস’র বিস্তৃতি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জনে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার স্কাউটিংয়ের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশে স্কাউটিং সম্প্রসারণ ও স্কাউট শতাব্দী ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা ৪৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সিলেট অঞ্চল ও মৌলভীবাজার জেলা স্কাউট ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ এবং ৪৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘আঞ্চলিক স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, লালমাই উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছি। ‘রোভার স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বাহাদুরপুর’ এর উন্নয়নে ইতোমধ্যে ৪৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি। চট্টগ্রামে রোভার স্কাউটদের জন্য একটি অ্যাডভেঞ্চার ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণের জন্য ১৮৮ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৫৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ (৪র্থ পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুটি করে স্কাউট দল গঠন এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীরা যেন স্কাউট প্রশিক্ষণ পায় তার জন্য আমি নির্দেশনা প্রদান করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিশু-কিশোর, যুবকদের প্রযুক্তি জ্ঞাননির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। আমি আশা করি, বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রত্যেক সদস্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা জ্ঞানভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সূত্র : বাসস
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২০

ভল্ট ভেঙেও রুমার ব্যাংকের টাকা নিতে পারেনি সন্ত্রাসীরা
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে লুট করেছে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র, মোবাইল, ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তবে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় ডাকাতির সময় মূল ভল্ট ভাঙতে পারেনি সন্ত্রাসীরা। তারা, অন্য ভল্ট ভেঙেছিল। ফলে ব্যাংকের টাকা নিতে পারেনি তারা। বুধবার (৩ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন ডাকাতির ঘটনার ক্রাইমসিনের তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ। তিনি জানান, ব্যাংকের অন্য ভল্ট ভেঙেছিল সন্ত্রাসীরা। তবে মূল ভল্ট ভাঙতে না পারায় ব্যাংকের টাকা সুরক্ষিত আছে। সিআইডির চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ইউনিটের দুটি দল রুমায় গিয়ে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। পরে ব্যাংকের ভল্ট খুলে সব টাকা গুণে দেখা হয়। দেখা যায়, মঙ্গলবার রাখা ১ কোটি ৫৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকার পুরোটা রয়েছে।  দুটি চাবি একসঙ্গে দিয়ে ভল্ট খুলতে হয়। কোনো কারণে অস্ত্রধারীরা হয়তো ভল্ট খুলতে পারেনি বলেও জানান এ কর্মকর্তা। বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের সন্ধান এখনও মেলেনি। হামলাকারীরা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্য, আনসার সদস্যের অস্ত্র ও গুলিও লুট করেছে। এদিকে বুধবার দুপুর ১টার দিকে রুমার পর এবার থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাজার ঘেরাও করে সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এরপর বাজারে বেশ কয়েকজনের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে তারা।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৯

পেঁয়াজ আমদানিতে আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়েছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আমাদের এ পেঁয়াজ আনার মধ্যে অনেক ঝুঁকি ছিল। ফাইনালি আমরা যখন ভারতের অনুমতি পেলাম তখনও অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। কারণ, দেশে পেঁয়াজের দাম কমে যায় কি না। আবার রোজা শেষ হওয়ার আগে আসবে কি না। তারপরও আমারা এ ঝুঁকি নিয়েছি। আমি মনে করি ঝুঁকিটা সাধারণ মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ভারত সরকার আবুধাবিতে ১২০০ ডলারে এই পেঁয়াজ বিক্রি করছে। আমরা সেখানে ৮০০ ডলারে নিয়ে এসেছি। আমরা অনেক নেগোশিয়েট করেছি। কারণ, তারা যে দাম ধরিয়ে দিয়েছিল সেই দামে আমরা ভর্তুকি দিয়ে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়তে পারব না। আমাদের সিনিয়র বাণিজ্য সচিব অনেক পরিশ্রম করেছেন। সঙ্গে ছিলেন টিসিবির টিম।  পেঁয়াজের মান নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই পেঁয়াজ অন্তত ১৫ দিন সংরক্ষণ করে বাজারে বিক্রি করা যায়। আমরা এই পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা নির্ধারণ করেছি। এখন আমাদের একটা অভিজ্ঞতা হলো। বাকি পেঁয়াজগুলো আনতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি কত সময়ে আমরা পেঁয়াজগুলো ভারত থেকে আনতে পারব। তিনি আরও বলেন, এখন ১৬৫০ টন পেঁয়াজ এসেছে। বাকি পেঁয়াজগুলো ধীরে ধীরে চলে আসবে। আমরা চাই না আমাদের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। ভারতের বাইরে আমাদের পেঁয়াজের জায়গা হচ্ছে মিশর ও তুর্কি। সেখান থেকে জাহাজে পেঁয়াজে আনতে হয় এবং এটা আনতে অনেক সময় লাগে। ভারতে নির্বাচন চলছে। তাদের ওখানে কৃষক আন্দোলন চলছে। এরপরও কিন্তু তারা তাদের কমিটমেন্ট রেখেছে। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে তারা তাদের কথা রেখেছে। তাদের ট্রেন আমাদের সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত এসে পেঁয়াজ দিয়ে গেছে। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা অধিদপ্তর মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান প্রমুখ।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৮

অধিনায়কত্ব নিতে পিসিবিকে যেসব শর্ত দিলেন বাবর
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর আজমকে নেতৃত্বের ভার দিতে চায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এই লক্ষ্যে যেনো উঠেপড়ে লেগেছে বোর্ড কর্মকর্তারা। অপর দিকে অধিনায়কত্ব নিতে পিসিবিকে দুটি শর্ত দিয়েছেন বাবর। বাবরকে নেতৃত্ব ফেরাতে শুক্রবার (২৯ মার্চ) মধ্য-রাতে জরুরী বৈঠকে বসে পিসিবি। এসময় বাবরের সঙ্গে আলোচনা করতে কাকুলে যাওয়ার নির্দেশ দেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। কারণ, কাকুলে সেনাবাহিনীর অধীনে ফিটনেস ট্রেনিং করছেন বাবর-রিজওয়ানরা। ভারত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পর সমালোচনার মুখে অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন বাবর আজম। দ্বিতীয় দফায় দলের নেতৃত্ব নেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও এবার দুটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন বাবর। শর্ত দুটি পূরণ হলেই কেবল অধিনায়কত্ব নিবেন বাবর আজম। প্রথমত, দলের জন্য কোচ নিয়োগ করতে হবে শীঘ্রই। কোচ নিয়োগ করা চূড়ান্ত করতে না পারলেও শুরু করতে হবে আলোচনা। দ্বিতীয়ত, অধিনায়ক বানাতে হলে বাবরকে তিন ফরম্যাটের দায়িত্বই দিতে হবে। পিসিবি বাবরের এমন শর্ত মেনে নিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির ক্রিকেট ভিত্তিক গণমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান। এ ছাড়া জানা গেছে সব ঠিক থাকলে আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবরকে নেতৃত্ব তুলে দিবে পিসিবি। অপরদিকে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি চেয়েছিলেন, বাবরকে আপাতত ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করতে। আর টেস্ট অধিনায়ক কাকে বানানো যায়, সেটা আরও ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  
৩০ মার্চ ২০২৪, ২১:৪১

আঙুরে বাংলাদেশের বর্ধিত শুল্ক তুলে নিতে আবেদন ভারতীয় চাষিদের
ভারত প্রতি মৌসুমে প্রায় ২.৬২ লাখ মেট্রিক টন আঙুর রপ্তানি করে, যার মধ্যে শতকরা ২৮ ভাগ রপ্তানি হয় বাংলাদেশে। ভারত থেকে আঙুর আমদানির উপর ধার্যকৃত শুল্ক কেজি প্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৪ টাকা করেছে বাংলাদেশ। এ শুল্কহার কমানোর ব্যাপারে ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি বলে অভিযোগ আঙুর চাষিদের। এনিয়ে ভারতীয় চাষিরা কেন্দ্রের ওপর অসন্তোষও প্রকাশ করেছে।  তারা বলছেন, এতে রপ্তানির বাজার যেমন সংকুচিত হয়েছে অন্যদিকে দেশীয়বাজারে যোগান বেড়ে গিয়ে কমেছে দাম। ফলে বিপাকে পড়েছে ভারতের হাজার হাজার আঙুর চাষি। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারকে বর্ধিত শুল্ক হার প্রত্যাহারের আকুল আবেদন জানিয়েছে ভারতের চাষিরা।  ভারতের আঙুর চাষিদের সংগঠন মহারাষ্ট্র রাজ্য দ্রক্ষা বাগায়াতদার সংঘ (এমআরডিবিএস) সূত্রে জানা গেছে, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কারণে আঙুর চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কারণ তারা এখন প্রতি কেজি আঙুর বিক্রি করে ২০-২৫ রুপি কম পাচ্ছে। ভারত প্রতি মৌসুমে প্রায় ২.৬২ লাখ মেট্রিক টন আঙুর রপ্তানি করে, যার মধ্যে শতকরা ২৮ ভাগ রপ্তানি হয় বাংলাদেশে। দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলাই সবচেয়ে বেশি ৮০ শতাংশ আঙুর রপ্তানি করে থাকে।  আঙুর চাষি সমিতি দাবি করেছে যে, আমদানি শুল্ক বাড়ানোর পর নাসিক থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি প্রায় ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সাধারণত প্রতি মৌসুমে বাংলাদেশ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আঙুর এ নাসিক থেকে আমদানি করে।    ভারতের আঙুর চাষিরা বলেন, বাংলাদেশ ভারতীয় আঙুরের অন্যতম আমদানিকারক। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের তরফে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ফলে দেশ থেকে আঙুর রপ্তানিতে প্রভাব ফেলেছে। তাছাড়া, এই কারণে স্থানীয় বাজারে আঙুরের দামও কমে গেছে। ডিসেম্বরে আঙুর মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা দাবি করে আসছি যে আঙুরের উপর থেকে আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা শুরু করা হোক। কিন্তু তা হয়নি। ভারতের চাষিদের অভিযোগ দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিদেশ মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার আবেদন জানানো সত্ত্বেও এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কথা বলে সেই শুল্কহার কমানোর ব্যাপারে ভারত সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এনিয়ে কেন্দ্রের উপর অসন্তোষও প্রকাশ করেছে আঙুর চাষিরা। ওই অভিযোগ অস্বীকার করে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং দিন্ডোরির বিজেপি সাংসদ ভারতী পাওয়ার জানান, কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বাংলাদেশ সরকারকে এ ব্যাপারে চিঠি লিখেছিলেন, সেখানে আঙুরের আমদানি শুল্ক কমানোর জন্য তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে হবে।      
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৫

পরিবারের খোঁজ নিতে কারাবন্দি নীরবের বাসায় রিজভী
পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নিতে কারাবন্দি যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের বাসায় গেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নীরবের গুলশানের নিকেতনের বাসায় যান তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মামলা ও জামিনের সর্বশেষ অবস্থার খোঁজ নেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন রুহুল কবির রিজভী। এ সময় রিজভীর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এবং সহশ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:১১

গাজায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ১৮
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ নিতে গিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিডেল ইস্ট মনিটর। প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর গাজায় ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য বিমান থেকে ত্রাণের বস্তা ফেলা হচ্ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি বস্তা বেইত লাহিয়া সাগরে পড়ে যায়। এসব ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে সমুদ্রে ডুবে ১২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমান থেকে সমুদ্রে ফেলা ত্রাণ সংগ্রহের জন্য সৈকতে অনেকে দৌড়াচ্ছেন। এ ছাড়া কিছু মানুষকে সমুদ্র থেকে মরদেহ তুলে বালুতে রাখতেও দেখা গেছে। এদিকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা ‘অত্যধিক বেশি’ বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।  ওয়াশিংটনে গত মঙ্গলবার গ্যালান্টের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে বক্তৃতাকালে অস্টিন বলেন, গাজায় পৌঁছানো মানবিক সহায়তার পরিমাণও ‘খুব কম’। পেন্টাগনপ্রধান আরও বলেন, ‘গাজা মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। এবং দুর্ভিক্ষ এড়ানোর জন্য আমাদের অবিলম্বে সহায়তা বৃদ্ধির প্রয়োজন এবং সমুদ্রপথে অস্থায়ী মানবিক করিডোর খোলার জন্য আমাদের কর্মকাণ্ড এই কাজকে সাহায্য করবে। কিন্তু মূল বিষয় হলো- স্থলপথে সাহায্য বিতরণ আরও প্রসারিত করা।’ প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান এই হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। পানি, খাবার ও নিরাপদ স্থানের অভাবে উপত্যকাটির বাসিন্দারা মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১২:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়