• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ব্রিজের নিচে পড়ে ছিল কিশোরের মরদেহ
জয়পুরহাট ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী ব্রিজের নিচ থেকে আরাফাত হোসেন জনি (১৫) নামের এক কিশোরের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ওই এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত জনি ক্ষেতলাল উপজেলার দাসড়া ফকিরপাড়া গ্রামের আলী আকবরের ছেলে। স্থানীয়দের বরাতে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, সোমবার দুপুরে বটতলী ব্রিজের নিচে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়ে কিশোর জনির মৃত‍্যু হয়েছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন‍্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত‍্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫০

কেক কাটার পর চলন্ত ট্রেনের নিচে মা-মেয়ের ঝাঁপ
যশোরের চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের পুলতাডাঙ্গা রেললাইন থেকে ট্রেনে কাটা মা এবং মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- মা লাকি বেগম (৩৫) এবং মেয়ে মিম খাতুন (১২)।  তারা খুলনার বাসিন্দা হলেও যশোরের বড় হৈবতপুর গ্রামে ভাড়া থাকতেন। এলাকাবাসী জানান, প্রথম স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর ফের বিয়ে করেছিলেন লাকি বেগম। কিছুদিন আগে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও ডিভোর্স হয়ে যায় তার। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন রাখাল জানান, তারা মাঠে গরু চরাচ্ছিলেন। এ সময় দেখতে পান, রেললাইনে বসে লাকি বেগম ও তার মেয়ে কেক কেটে খাচ্ছেন। কিন্তু ট্রেন আসার মুহূর্তে লাকি বেগম তার মেয়েকে হাত ধরে টেনে রেললাইনের ওপর ওঠানোর চেষ্টা করছিলেন। একপর্যায়ে ট্রেন কাছে এলে মা-মেয়ে একসঙ্গে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন যশোর ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিকেল ৩টার দিকে জানতে পারি এই পুলতাডাঙা রেললাইনে মা-মেয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে আমরা ভ্যানিটি ব্যাগ, মোবাইল পাই। মোবাইলের মাধ্যমে আমরা পরিচয় শনাক্ত করি। তিনি আরও বলেন, কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। এ ব্যাপারে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:২৪

ট্রেনের নিচে পড়েও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল কিশোরী 
নরসিংদীতে ট্রেনের নিচে পড়ে গেলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে এক কিশোরী। ট্রেন আসতে দেখে ওই কিশোরী রেললাইনে শুয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ট্রেনটি তার ওপর দিয়েই চলে যায়। ট্রেন চলে যাওয়ার পর সে অক্ষত অবস্থায় উঠে বসে।  শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন ও আরশীনগর রেলক্রসিংয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে ঘিরে ধরার পরও আনুমানিক ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী তার নিজের নাম জানায়নি। শুধু জানায়, সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের টাওয়াদী গ্রামের গাবগাছতলা এলাকার হালিম মিয়ার মেয়ে সে।   ওই কিশোরীর শরীরের কয়েক জায়গায় ছিলে যায়। তাকে উদ্ধার করা লোকজন এমনটি করার কারণ জানতে চাইলে, শুধু বাবার নাম এবং ঠিকানা জানানোর পর সে চুপ হয়ে যায়। পরে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন তারা। নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার জানান, ট্রেনের নিচে শুয়ে পড়ে বেঁচে যাওয়া কিশোরী মেয়েটিকে সাড়ে ৫টার দিকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার হাত-পায়ের কয়েক জায়গা ছিলে গিয়েছিল।  নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নাজিউর রহমান বলেন, নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করার জন্যই শুয়ে পড়েছিল ওই কিশোরী। তবে ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে গেছে। রেলপুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৮

কসবায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন কলেজছাত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম মেঘলা আক্তার নিলুফা (১৯)। সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ইমামবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেঘলা আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর এলাকার মো. মুসলিম মিয়ার মেয়ে। তিনি কসবার গোপীনাথপুর শাহ আলম ডিগ্রি কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার। তিনি বলেন, একটি মালবাহী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে নীলুফা আত্মহত্যা করেছেন। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:১০

ভারতে প্রথম নদীর নিচে মেট্রোরেল
ভারতের কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গবাসীর দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হলো। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই গঙ্গার নিচ দিয়ে চলল মেট্রোরেল।  বুধবার (৬ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ রুটের উদ্বোধন করেন।  জানা গেছে, এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন থেকে গঙ্গার নিচের মেট্রোরেল রুটের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি। দক্ষিণ কলকাতার তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত অংশেরও উদ্বোধন করেছেন তিনি। উদ্বোধনের পরেই গঙ্গার নিচে মেট্রো সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এরপরই দলীয় নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতের উদ্দেশ্যে রওনা হন মোদি। গঙ্গার নিচের মেট্রো রুটের উদ্বোধনে মাধ্যমে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড রুট ছাড়াও, নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত অরেঞ্জ লাইন মেট্রো রুট, এবং জোকা-তারাতলা পার্পল লাইনে মেট্রো পরিষেবা চালু হলো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।   
০৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

সমুদ্রের নিচে মিলল বুর্জ খলিফার তিনগুণ উঁচু পর্বত
সমুদ্রের নিচে অন্তত চারটি নতুন পর্বত খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যেগুলোর উচ্চতা পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভবন হিসাবে বিখ্যাত দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার তিনগুণ। রোববার (৩ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শ্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের (মার্কিন সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান) গবেষকরা গুয়াতেমালার উপকূলে সমুদ্রের বেড ম্যাপ করার সময় চারটি পর্বত আবিষ্কার করেন। যেগুলোর গুলোর উচ্চতা প্রায় ১ হাজার ৫৯১ মিটার থেকে প্রায় ২ হাজার ৬৮১ মিটার পর্যন্ত। যা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফার উচ্চতার তিনগুণ বেশি। চারটি পর্বতের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু পর্বতটির উচ্চতা ২ দশমিক ৫ কিলোমিটারেরও বেশি বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের একজন জন ফুলমার বলেছেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে স্যাটেলাইট অলটাইমেট্রি ডেটাতে মাধ্যাকর্ষণ অসঙ্গতিগুলো ব্যবহার করে আমরা একটি সুবিধাজনক ম্যাপিং রুট পরিকল্পনা করতে সক্ষম হয়েছি। শ্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত সমুদ্রতলের ১৫ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকা জরিপ করেছেন। এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে গুয়াতেমালা উপকূলে ১৬০০ মিটার উঁচু আরও একটি পর্বত খুঁজে পেয়েছিলেন তারা। এ ছাড়া ওই অঞ্চলগুলোতে মোট ২৯টি পাহাড়, পর্বত এবং গভীর খাদ শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২২:৩৬

কিস্তির টাকা না পেয়ে ঘরে তালা, খোলা আকাশের নিচে পরিবার
এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় পরিবহন ও পোশাক শ্রমিক দম্পতির ঘরে তালা দিয়েছে এনজিও কর্তৃপক্ষ। ওই দম্পতি বিকেল থেকে ঘরে ঢুকতে না পেরে তিন সন্তান নিয়ে ঘরের দরজার সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া (ফকির বাড়ি জামে মসজিদ) এলাকায়।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্থানীয় আম্বালা ফাউন্ডেশন ওই দম্পতির ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।     পরিবহন শ্রমিক আলাউদ্দিন (৩৪) বাসের সুপারভাইজার এবং তার স্ত্রী ঋণ গ্রহীতা শামীমা আক্তার (২৮) স্থানীয় পোশাক কারখানার শ্রমিক। শামীমা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের দেওয়ানিবাড়ি গ্রামের আলা উদ্দিনের স্ত্রী এবং তার শ্বশুরের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ শাশুড়িকে দেখে বাসায় ফিরে তাদের ঘরের দরজায় তালা দেওয়া দেখতে পান। পরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন চলতি মাসের ঋণ দিতে না দেওয়ায় এনজিও কর্মীরা তার ঘরে তালা দিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় যুগ আগে শামীমার শ্বশুর আবুল বাশার শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরের বাড়িতে থেকে শামীমা পাশের গিলাবেড়াইদ এলাকার ভিনটেজ ডেনিম লিমিটেড পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। সম্প্রতি ওই কারখানা থেকে তার চাকরি চলে যায়। তার স্বামী আলাউদ্দিন এনা পরিবহন সুপারভাইজার। তাদের আমি এখন আমার ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে শাহরিয়া আফরিন (১৫), ছেলে মিনহাজ (১৩) মাদরাসায় লেখাপড়া করছে, আরেক মেয়ে আলভি (৬) রয়েছে। শামীম আক্তার জানান, গত বছরের মাঝামাঝি সময় আম্বালা ফাউন্ডেশনের শ্রীপুর শাখা থেকে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ওই ঋণের বিপরীতে তাকে প্রতি মাসে সাড়ে ৯ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। নিয়মিত ঋণের টাকা পরিশোধ করে আসছিলেন। এ বছরের জানুয়ারিতে পোশাক কারখানা থেকে তার চাকরি চলে গলে সে ফেব্রুয়ারি মাসের ঋণ পরিশোধ করতে পারে নাই। পরিবারের অপর সদস্য হয়ে, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ শাশুড়ির চিকিৎসা চালিয়ে তার স্বামীর একার পক্ষে ঋণ পরিশোধ করা সম্বভ হয়নি।   তিনি বলেন, এক লাখ টাকার বিপরীতে তারা (আম্বালা ফাউন্ডেশন) আমাকে ৩২ হাজার টাকা মূল্যের একটি সেলাই মেশিন ধরিয়ে দেয়। সেলাই মেশিন নিতে না চাইলে তারা ঋণ দেওয়া হবে না বলে জানায়। ঋণ ও যাবতীয় খরচসহ সঞ্চয় বাদে আমাকে এক লাখ টাকা না দিয়ে ৫৮ হাজার টাকা দেয়। প্রতি মাসে যথা নিয়মে কিস্তি পরিশোধ করে আসছি। ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তি বকেয়া থাকায় এনজিও অফিসের লোকজন আমার ঘরে তালা দিয়ে গেছে। হঠাৎ করে চাকরি চলে যাওয়ায় সময়মতো ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তি পরিশোধ করতে পারিনি। তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানায় কিস্তির টাকা জমা না দেয়ায় এনজিও কর্মীরা ঘরে তালা দিয়েছে। শামীমার স্বামী আলাউদ্দিন বলেন, নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসছি। মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। আম্বালা ফাউন্ডেশন  শ্রীপুর শাখার মাঠকর্মী কবির হোসেন বলেন, আমাদের লোনটা নিতে গেলে এক লাখ টাকায় ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় দিতে হয়। এর মধ্যে এক হাজার টাকা বীমা, আনুষঙ্গিক ২৬৫ টাকা খরচ আছে। ঘরে তালা লাগানোর বিষয়ে বলেন, ঋণ গ্রহীতা বাসায় থাকেন না। ফোন দিলে রিসিভ করে না। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তাদের বাসায় গিয়ে না পেয়ে জামিনদারের উপস্থিতিতে ঘরে তালা দিয়েছি। আম্বালা ফাউন্ডেশনের শ্রীপুর শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আশিকুল ইসলাম বলেন, ঋণের কিস্তি শামীমা আক্তারকে সঠিক সময়ে পরিশোধ করছিল না। কিস্তি দেওয়ার সময় প্রতি মাসেই পাঁচ’শ এক হাজার টাকা কম দিতো। কিস্তির টাকা আনার জন্য মাঠ কর্মী বাসায় গিয়ে ঘরের দরজা খোলা থাকলেও শামীমাকে বাসায় পায়নি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও না আসলে ঋণের জামিনদারকে ডেকে এনে তার উপস্থিতিতে ঘরে তালা দিয়েছি। আম্বালা ফাউন্ডেশনের এরিয়া ম্যানেজার টিটু চক্রবর্তীর বলেন, কিস্তি দেওয়ার কথা বলে কর্মকর্তাদের বসিয়ে রেখে বাড়ি থেকে চলে যায় ঋণ গ্রহীতা। ঋণ গ্রহীতার ঘরে তালা লাগানোর কোনো নিয়ম নেই। এটা পরিস্থিতির কারণে হয়েছে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, কিস্তি না দেওয়ায় ঋণ গ্রহীতার ঘরে তালা দেওয়ার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখা হবে।
০১ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪১

শিশু কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ : পরিচয় মিলেছে নারীর 
ময়মনসিংহে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত নারী ও শিশুর পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নগরীর বাদেকল্পা এলাকার রাজমিস্ত্রী মো. মুস্তাকিনের স্ত্রী তানিয়া আক্তার (২২) এবং তার ২ বছর বয়সী মেয়ে রাইসা আক্তার।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন এ তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, নিহতের স্বজনরা এ পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব‍্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।  এ বিষয়ে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী একটি লোকাল ট্রেন কলেজ রোড রেলক্রসিং এলাকায় আসতেই তানিয়া ও তার ২ বছর বয়সী মেয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।  এর আগে দুপুর পৌনে ১টার দিকে নগরীর কলেজ রোড রেলক্রসিং এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।  এ দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, কালো বোরকা পড়া ওই নারী শিশুকে কোলে নিয়ে রেললাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। ট্রেন কাছাকাছি আসতেই ওই নারী রেললাইনে শুয়ে পড়েন। এতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় দুজনের দেহ।  এ ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পর পরিচয় মিললে সন্ধ্যায় নিহতের স্বজনরা ভিড় করেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায়। এ সময় স্ত্রী তানিয়া ও দুই বছরের মেয়ে রায়সাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বামী মোস্তাকিন।  নিহত তানিয়ার স্বামী মোস্তাকিন দাবি করেন, নিহত তানিয়া দীর্ঘদিন যাবত মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগেও কয়েকবার সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। গতকাল সকালে আমি কাজে বের হয়ে যাই। এর কিছুক্ষণ পর এ খবর পাই।   মোস্তাকিনের ভাই আল আমিন বলেন, সকালে ডাক্তার দেখাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় তানিয়া। ওই ঘটনার পর সন্ধ্যায় খবর পেয়ে রেলওয়ে থানায় এসে মরদেহ শনাক্ত করি আমরা।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১২

কোলের শিশুকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা
ময়মনসিংহে কোলের শিশুকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক মা। এ ঘটনায় একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সর্বমহলে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে নগরীর কলেজ রোড রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।     তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত মা ও শিশুর পরিচয় জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী একটি লোকাল ট্রেন কলেজরোড রেলক্রসিং এলাকায় আসতেই এক অজ্ঞাত নারী (৩০) ও তার কোলে থাকা এক ছেলে শিশু (২) ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতদের নাম ও পরিচয় শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩০

শামিয়ানার নিচে এসএসসি পরীক্ষা!
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার কলাবাধা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে শামিয়ানার নিচে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন কলাবাধা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব মো. মুনায়েম। তিনি বলেন, কলাবাধা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কলাবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেন্যুতে পরীক্ষা দিচ্ছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসন সংকট থাকায় শামিয়ানা করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি একটি আবেদন দিতে বলেছেন। আমরা আজকেই আবেদন করব। যদিও মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, আমাদেরকে না জানিয়ে শামিয়ানা টানিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানার পর ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের পাশে একটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে রয়েছে, সেখানে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলেছি। এদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একই বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। আর শামিয়ানার বিষয়টি আমি জানি না। উল্লেখ্য, কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে চারটি বিদ্যালয়ের ৭০৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। এর মধ্যে কলাবাধা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ১২০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়