• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মুন্সীগঞ্জে হত্যাকাণ্ড ঘটানো মার্কিন নাগরিক নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার
বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে হত্যাকাণ্ড ঘটানো যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক গেনেট রোজারিওকে (৫২) নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় অভিযুক্ত নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসের ওই বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ফৌজদারি শাখার প্রধান ও মুখ্য উপসহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিকোল এম আর্জেন্টিয়েরি এক বিবৃতিতে বলেছেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিককে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে,  গেনেট রোজারিও ২০২১ সালের ১১ জুন বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় মাইকেল রোজারিও নামে অপর এক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিককে হত্যা করেন। তার বিরুদ্ধে বিদেশে একজন মার্কিন নাগরিককে হত্যা ও সশস্ত্র সহিংসতার সময় আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখা, বহন ও ব্যবহারের বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।  মুখ্য উপসহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিকোল এম আর্জেন্টিয়েরি বলেন, বিদেশে এক জন আমেরিকান নাগরিক অপর এক আমেরিকান নাগরিককে হত্যা করলে তাকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হয়।  উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১১ জুন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের খ্রিস্টানপল্লী কেয়াইন ইউনিয়নের শুলপুর গ্রামে মাইকেল রোজারিও (৭২) নামে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীকে গুলি করে হত্যা করেন তার ভাতিজা গেনেট রোজারিও। ওই রাতেই স্থানীয় পুলিশ গেনেট রোজারিওকে বন্দুক ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেন। পরে গেনেট রোজারিও আদালত থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৫

নিউইয়র্কে বসেই স্বামী হারানোর খবর পেলেন খালিদের স্ত্রী
নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার স্ত্রী শামীমা জামান সন্তানসহ নিউইয়র্কে আছেন। সেখানে বসেই জেনেছেন জীবনসঙ্গী হারানোর কথা। সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসায় বুকে ব্যথা অনুভব করার পরপর জ্ঞান হারালে খালিদকে কমফোর্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার প্রথম নামাজে জানাজা রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ নেওয়া হবে খালিদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে। সেখানে জানাজা শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার তাকে দাফন করা হবে। আশির দশকের প্রথম দিকে জনপ্রিয় ব্যান্ড চাইমের মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন খালিদ। ব্যান্ডটির হয়ে বেশ কিছু অ্যালবামে গেয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে নব্বই দশকে সলো ক্যারিয়ারেও সফলতা পান। ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণে ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’, ‘নাতি খাতি বেলা গেল’, ‘কীর্তনখোলা নদী’, ‘ঘুমাও’– এর মতো বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ। প্রিন্স মাহমুদ, জুয়েল-বাবুর সুরে তার গানগুলো শ্রোতাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে আগেই। তবে ২০১০ পরবর্তী সময়গুলোতে গানে অনিয়মিত ছিলেন খালিদ। দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান নিউইয়র্কে। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে শোবিজ অঙ্গনে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৩

নিউইয়র্কে দুই কিশোর গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত ১, আহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সাবওয়ে স্টেশনে কিশোরদের দুটি গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন একজন। একই ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আহতদের মধ্যে কিশোর-কিশোরীসহ বয়স্ক মানুষও আছেন।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।  কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সিএনএনের ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসের একটি ট্রেন প্ল্যাটফর্মে কিশোরদের দুটি দলের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে গোলাগুলি শুরু হয়। ঘটনাটি সন্ধ্যা সময় ঘটেছে এবং সেসময় বিভিন্ন অফিসের কর্মী ও শিক্ষার্থীরা এটি ব্যবহার করে যাতায়াত করে থাকেন। পুলিশ জানিয়েছে, গোলাগুলির ঘটনায় ৩৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আর আহতদের মধ্যে একজন ১৪ বছর বয়সী মেয়ে, একজন ১৫ বছর বয়সী ছেলে এবং একজন ৭১ বছর বয়সী ব্যক্তিও রয়েছেন।  পুলিশ বলছে, তারা অন্তত একজন বন্দুকধারীর সন্ধান করছে। যদিও গোলাগুলির এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি তারা। এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ ট্রানজিট প্রধান মাইকেল কেম্পার বলেছেন, ‘এটি এলোমেলো কোনও গোলাগুলির ঘটনা ছিল না। আমরা বিশ্বাস করি, ট্রেনে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জের ধরে এই গোলাগুলি হয়েছে।’ উল্লেখ্য, অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতার ঘটনা খুবই সাধারণ। যদিও নিউইয়র্ক সিটিসহ অন্যান্য প্রধান শহর তুলনামূলক নিরাপদ এবং শহরের সাবওয়েগুলোতে গুলির ঘটনাও বেশ বিরল।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়