• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘আগুন-সন্ত্রাসীদের শাস্তি হলেই দেশে নাশকতা কমবে’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, যারা ইতোপূর্বে আগুন দিয়ে পুলিশসহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, যারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, হরতাল অবরোধের নামে বাসে-ট্রেনে, ট্রাকে আগুন দিয়েছে সেই সব প্রকৃত সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে পারলেই দেশে আগামীতে এ ধরনের ঘটনা কমে আসবে।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে একাদশ ও অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ এবং বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।    তিনি বলেন, কে মুক্তি পাবে আর কে পাবে না সেটা একমাত্র আদালতের ওপর নির্ভর করে। তবে আমরা প্রত্যাশা করি অপরাধ না করে কেউ যেন সাজা না পায়, আবার কেউ যেন অপরাধ করে পার না পায়।  এ সময় হানিফ আরও বলেন, নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে ঢেলে সাজানোসহ কোথাও কোনো বিরোধ থাকলে তা সমাধানের কর্মসূচি চলছে। আর বিএনপি ২০১২ সাল থেকে বিএনপি বছরে দুইবার করে সরকার পতনের কর্মসূচি দিয়ে আসছে। এসব নিয়ে সরকার আর জনগণ এখন আর কিছু ভাবে না। নতুন করে বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে তার দলের লোকজনই এখন হাসে।  কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শিশির কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। পরে কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৩

বস্তিতে আগুন নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা, তদন্তে জানা যাবে : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, কারওয়ান বাজার বস্তিতে লাগা আগুন নাশকতা নাকি শর্ট সার্কিট থেকে দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া নিখোঁজ ব্যক্তিদের শনাক্তে প্রয়োজনে ডিএনএ টেষ্ট করা হবে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এখনো অগ্নিকাণ্ডের সুস্পষ্ট কারণ নির্ধারণ করা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস হয়তো এ বিষয়ে তদন্ত করে তাদের রিপোর্ট দিতে পারে। তারা তদন্ত করবে। এটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা সে বিষয়টি তদন্ত করে বোঝা যাবে।’ তিনি বলেন, ‘বস্তিটির মালিকানা পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির মালিকের। তিনি এখানে কিছু বস্তির মতো ঘর করে ভাড়া দিতেন। এখান থেকে বের হওয়ার মতো তেমন কোনো রাস্তা নেই। বের হয়েই দেখা যায় রেললাইন। এখানে কোনো সড়কের সঙ্গেও সংযোগ নেই। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় সমস্যা।’ এর আগে, শুক্রবার দিনগত রাত ২টা ২৩ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ৩টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট কাজ করে। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অফিসের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন। বিএফডিসি গেট সংলগ্ন এই বস্তিতে লাগা আগুনে পুড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের দুজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৮

নাশকতা এড়াতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে রেল
নিরাপদ হিসেবে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাহন ট্রেন। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে হরতাল-অবরোধে নিরাপদ এই বাহন ঘিরেই ঘটে গেছে একের পর এক নাশকতা। বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগে জীবন্ত দগ্ধ হয়েছেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। এ ধরনের নাশকতা এড়াতে রেলকে তাই এবার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে রেলওয়ে পুলিশ। প্রথম পর্যায়ে আন্তনগর ট্রেন, এবং পরবর্তী  সময়ে বাকি ট্রেনগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। রেলওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি ট্রেনের সামনে-পেছনে এবং গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে থাকছে সিসি ক্যামেরা। প্রথমে যাত্রীদের কাছে যেসব ট্রেনের চাহিদা বেশি সেসব আন্তনগর ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। সে অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটই প্রাধান্য পাচ্ছে প্রাথমিক অবস্থায়।  রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, গত ১৬ নভেম্বর রাতে টাঙ্গাইল স্টেশনে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের কোচে আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় ট্রেনটির দুটি কোচ পুড়ে যায়। দুদিন যেতে না যেতেই ১৯ নভেম্বর আরেকটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে জামালপুরের সরিষাবাড়ী স্টেশনে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে। এ ঘটনায় ট্রেনটির দুটি কোচ পুরোপুরি পুড়ে যায়; ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও একটি কোচ। ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে সিলেট রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি কোচে আগুন ধরিয়ে দেয় দূর্বৃত্তরা।  এরপর ১৩ ডিসেম্বর রেলওয়ের ভাওয়াল গাজীপুর এবং রাজেন্দ্রপুর সেকশনে ২০ ফুট রেললাইন কেটে ফেলা হয়। কেটে ফেলা ওই রেললাইনে দুর্ঘটনায় পড়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনের ইঞ্জিন এবং ছয়টি কোচ লাইন থেকে ছিটকে পড়লে প্রাণ যায় এক যাত্রীর। আহত হন অনেকে। ১৯ ডিসেম্বর ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় আবারও নাশকতার শিকার হয় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস।সেদিন দূর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে জীবন্ত দগ্ধ হয় মা ও শিশু সন্তানসহ চার জন। আহত হয় আরও ৮ জন। সর্বশেষ ৫ জানুয়ারি রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। এ আগুনে দগ্ধ হয়ে চার যাত্রীর মৃত্যু হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুদিন আগে এই ঘটনা নাড়া দেয় দেশবাসীসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে। নড়েচড়ে বসেছে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, হরতাল-অবরোধে সরকারি বাহন ট্রেনকে ঘিরে নাশকতার ঘটনা ঘটছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের জানমালেরও ক্ষতি হচ্ছে। নাশকতা এড়াতে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলছে। প্রথমে কয়েকটি ট্রেনে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ট্রেন এর আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকলে নাশকতার পাশাপাশি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপও রোধ করা যাবে। কেউ নাশকতা কিংবা পাথর নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটালে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সহজ হবে। প্রথম পর্যায়ে সিসিটিভি মনিটরিং করা হবে রেলওয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১০ জানুয়ারি থেকে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিতা, মহানগর প্রভাতী ও সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে ১২টি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলোকেও  ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, হাওর এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলোতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, শুধু ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে তা নয়, পাশাপাশি যেসব স্টেশনে আগে থেকে সিসি ক্যামেরা নেই সেখানেও লাগানো হচ্ছে। বিশেষ করে, ঢাকার রেলওয়ে স্টেশনগুলো পুরোপুরি সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে। যেকোনও নাশকতা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে এটি। কেউ নাশকতা করার চেষ্টা করলে তাকে চিহ্নিত করা সহজ হবে।   
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৩

‘সরকারি দল নাশকতা ঘটিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে দোষ চাপাচ্ছে’’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট বর্জন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারি দল নিজেরাই পরিকল্পিত নাশকতা ঘটিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্য দোষ চাপাচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ বোঝে— এগুলো কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন। শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, ইতোমধ্যে তামাশার ভোটের একদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোববারের ভোটের ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল মারা ছবি দিয়ে পোস্ট করছে আওয়ামী লীগের লোকজন। গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের ভোটের ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল মারা পেপার বইয়ের ছবি প্রমাণ করে কী ধরনের নির্বাচনী তামাশা মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। রিজভী বলেন, গত শনিবার রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের নৃশংসতম বর্বরোচিত ন্যক্কারজনক ঘটনার পরই আমি বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছি। প্রকৃত দোষীদের আটক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে সাত সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে মহানগর ডিবি পুলিশ প্রধান এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় নাকি বিএনপি নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে ডিবি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা এ ঘটনায় বিএনপিকে দুষছেন। কী হাস্যকর বয়ান। ক্রসফায়ারের নিত্যদিন একই কাল্পনিক গল্পের মতো তাদের প্রতিটি ঘটনায় গল্প তৈরি থাকে। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ছয়জনকে তুলে নিয়ে গেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এখন তাদের নৃশংস নির্যাতন করে দোষ চাপাচ্ছে বিএনপির ওপর। প্রতিটি নাশকতার ঘটনার পর বিএনপির ওপর দোষ চাপানো আওয়ামী লীগ ও তাদের দলীয় পুলিশ প্রশাসনের মজ্জাগত হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাতে বিএনপিসহ বিরোধীদের ওপর দায় চাপিয়ে বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহিংস হিসেবে দেখাতে পারে। যেমনটা তারা ১৯৯৬, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে করেছে, বিভিন্ন সময় যেমন করেছে। প্রায় প্রতিটি আগুন সন্ত্রাসের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রশক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। কোনোটা প্রকাশ হচ্ছে কোনোটা ঢাকা দিচ্ছে পুলিশ। রিজভী আরও বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দিয়ে নারী শিশুসহ চারজন সাধারণ নিরীহ মানুষকে নৃশংসতমভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নাই। এ বর্বরতার ঘটনায় জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছি। এ ক্ষমতা লিপ্সু সরকারের কোনো তদন্তের ওপর দেশের জনগণের ন্যূনতম আস্থা-বিশ্বাস নেই। কারণ, তাদের তদন্তের টার্গেট থাকে বিএনপিকে দোষী বানানো। অনেক মিথ্যা ঘটনা তারা সৃষ্টি করে তার দায়-দায়িত্ব বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনোটাই আখেরে ধোপে টেকেনি। গত ৪৮ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের গ্রেপ্তার, মামলা, আসামি এবং আহতদের তালিকা তুলে ধরে রিজভী জানান, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৫৫ জন নেতাকর্মীকে, আহত হয়েছে ৬০ জন এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৬টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৩৫৫ জন নেতাকর্মীকে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৭

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন / প্রধানমন্ত্রীর শোক, নাশকতা কি না খতিয়ে দেখার নির্দেশ
রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সরওয়ার-ই-আলম সরকার। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কি না- তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নিহতদের আত্মার মাগফিরাত করেছেন  তিনি এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। ট্রেনে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে কয়জন আহত হয়েছেন তা জানা যায়নি। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১১টার পর এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড ম্যানটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কনেল মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, দীর্ঘ এক ঘণ্টা ১০ মিনিটে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ্য হই। আটটি ইউনিট কাজ করেছে। চারটি লাশ আমরা উদ্ধার করেছি।  এর আগে রাত ৯টা ৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। রাত ১০টা ২২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান বলেন, ট্রেনটি চলন্ত অবস্থায় ছিল। ট্রেনের চারটি বগি পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে আটটি ইউনিট। প্রসঙ্গত. গত ১৯ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে এক নারী ও তার শিশু সন্তানসহ চারজন দগ্ধ হয়ে মারা যান। এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবরের পর ট্রেনে আগুনের ঘটনায় মোট আটজনের মৃত্যু হলো।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়