• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের তালবারিয়া গ্রামের মো. সোহেল রানার ছেলে মো. আবু সাঈদ। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট, পুলিশের বড় কর্মকর্তা, এনএসআই কর্মকর্তা, অভিজাত হোটেলের ম্যানেজারসহ বিভিন্ন পরিচয় রয়েছে অষ্টম শ্রেণি পাস এই যুবকের। এসব পরিচয়ে ৩০ বছর বয়সেই ১৪টি বিয়ে করেছেন তিনি। জানা গেছে, বাবার স্টুডিওর দোকান থেকে ফটোশপে দক্ষ সাঈদের প্রতারণার প্রধান অস্ত্র টিকটক, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। যে নারী প্রতিষ্ঠিত, অর্থ-সম্পদ আছে সেই নারীদের টার্গেট করে সাঈদ টিকটক ও ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। সম্পর্কের পর বিয়ে করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে পালিয়ে যান তিনি। শুধু বিয়েই নয়, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এসব কারণে একাধিক মামলার আসামি হয়ে পলাতক রয়েছেন তিনি। ছোট থেকেই ধূর্ত আবু সাঈদ ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি গুরুদাসপুরের একটি ক্লিনিকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় আটক হয়ে গত ৪ বছর এলাকা ছাড়া। তবে ফেসবুক ও টিকটকে কখনও পাইলটের পোশাকে, কখনও পুলিশের পোশাকে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। পরিবারের সঙ্গে গত চার বছরে দেখা করতে আসেননি তিনি। তবে বিভিন্ন সময়ে দূর-দূরান্ত থেকে আবু সাঈদের স্ত্রী পরিচয়ে অনেক নারী তার সন্ধানে আসেন। ২০১০ সালে জামালপুরের মাউশি এলাকার বৃষ্টি বেগম নামে একজনকে বিয়ে করেন আবু সাঈদ। তাদের দুই ছেলে রয়েছে। ২০১২ সালে রাজশাহীতে বিয়ে করেন। ওই বছরেই পাবনার চাটমোহর এলাকায় একজনকে বিয়ে করেন। ২০২১ সালে মানিকগঞ্জ জেলার এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে ঢাকার একজনকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট টাঙ্গাইল সদর উপজেলা খাদিজা আক্তার সাদিয়াকে বিয়ে করেন।  ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর নাটোরের লালপুর উপজেলার এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালে আবারও টাঙ্গাইল মধুপুরের এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরায় এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২৩ সালেই আবার ঢাকার সাভারের এক নারীকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিয়ে করেন তিনি। ২০২৪ সালে ১৩তম স্ত্রী বরিশালে বিয়ে করেন। ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ে করে ১৪তম স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরে সংসার করছেন আবু সাঈদ। এ বিষয়ে পঞ্চম স্ত্রী দাবি করা খাদিজা আক্তার সাবিনা জানান, বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কমার্শিয়াল পাইলট পরিচয়ে প্রায় আড়াই বছর আগে টিকটকে আবু সাঈদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তখন তিনি জানিয়েছিলেন তার বাবা-মা কেউ নেই, এতিমখানায় বড় হয়েছেন। এরপর প্রেমের পর ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে আমাদের বিয়ে হয়। টাঙ্গাইল সদরে আমার একটি বিউটি পার্লার ও একটি এনজিও পরিচালনা করি। বিয়ের পর আবু সাঈদ আমার দুই বোন ও এক ভাতিজিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩০ লাখ টাকা চান, আমরা তাকে সেই টাকা দিই। কয়েক দিন পর আমার কাছ থেকে আরও ১০ লাখ টাকা নেন তিনি। কিছুদিন পরে তিনজনকেই নিয়োগপত্র দেন এবং বলেন তিন মাস পর চাকরিতে যোগদান করতে হবে। তিনি বলেন, একপর্যায়ে সাঈদের আসল ঠিকানা এবং তার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারি। তবে সাঈদ বুঝতে পেরেছিল আমি সব জেনে গেছি। এমনকি চাকরির জন্য যে নিয়োগপত্র দিয়েছিল সেগুলোও ভুয়া ছিল। এ কারণে আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সাঈদ। তারপর থেকে তাকে খোঁজার চেষ্টা করেও পাইনি। এসব ঘটনায় টাঙ্গাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে সাঈদের নামে মামলা করেছি। সাঈদের সন্ধান করতে গিয়ে তার আরও চার স্ত্রীর খোঁজ পাই। তাদের সবার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। সবার কাছ থেকেই বিয়ের পর বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।  সাঈদের চতুর্থ স্ত্রী দাবি করা এক নারী বলেন, আমি কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে চাকরি করি। তিন বছর আগে আমাদের টিকটকে পরিচয়  হয়। এনএসআই কর্মকর্তার পরিচয়ে সে আমার সঙ্গে কথা বলতো। এরপর প্রেম ও বিয়ে হয় আমাদের। বিয়ের পর চাকরি করে জমানো প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সে। তখন থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ। আজ পর্যন্তও তার সন্ধান পাইনি। একই কথা জানিয়েছেন সাঈদের আরও পাঁচ স্ত্রী। সাঈদের প্রতিবেশী মাসুদ রানা বলেন, সাঈদ ফটোশপে নিজের ছবি এডিট করে পাইলট, পুলিশ, সেনাবাহিনী, ডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তার পরিচয় দেয়। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পোশাক পরে ছবি তুলে তা ফেসবুক ও টিকটকে পোস্ট করত। এতে সুন্দরী মেয়েরা অল্প সময়ে তার প্রেমের ফাঁদে পড়ে যায়। সাঈদের বাবা সোহেল রানা বলেন, সাঈদের জন্য কোথাও মুখ দেখাতে পারি না। লজ্জা হয়, মাঝে মাঝে মরে যেতেও মন চাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েরা তার সন্ধানে আসে এবং ছেলের বউ হিসাবে পরিচয় দেয়। কিন্তু সাঈদের সঙ্গে গত চার বছরে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। পাশের গ্রামে সাঈদকে বিয়ে দিয়েছিলাম। সেই ঘরে ২টি সন্তান রয়েছে। ওই মেয়েটা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় করেছে। কিন্তু সাঈদ না আসায় বউমা এখন বাবার বাড়িতে চলে গেছে। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৬ ঘণ্টা আগে

ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল প্রতিবন্ধী নারীর
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার খ্যানপাড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মমতা বেগম (৪৫) নামে এক প্রতিবন্ধী নারী নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মমতা বেগম (৪৫) পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের রহমানপুর ধবলসুতী গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে রেললাইনের ধারে গাছের পাতা কুড়াতে যায় বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী মমতা বেগম। এ সময় বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা কমিউটার ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। এ বিষয় বুড়িমারী রেলস্টেশনের মাস্টার নুর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি লালমনিরহাট জিআরপি থানাকে অবগত করেছি।
৪ ঘণ্টা আগে

রাজধানীতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
রাজধানীর মিরপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছয়তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯) নামের এক ট্রান্সজেন্ডার নারী আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ খবর নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সি সাব্বির হোসেন। সোমবার রাত আটটার দিকে মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি ছাত্রী হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে। মুন্সি সাব্বির হোসেন বলেন, ওই ছাত্রী হোস্টেলের ছয়তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান (রূপসজ্জাকারী) হিসেবে কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। ওই শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, সেটার তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি বিভিন্ন কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। জানা গেছে, মিরপুরের বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন রাদিয়া তেহরিন উৎস। তিনি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার সাইফুল ইসলামের সন্তান। গত সেপ্টেম্বরে গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অডিশন রাউন্ডে ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে। মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলিং করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪২

বগুড়ায় হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে তাপদাহে হিট স্ট্রোকে মঞ্জুরী বেগম (৫৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নের জানুপাগ্রামের আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী। সোমবার (২২ এপ্রিল) ১১টার দিকে শজিমেক হাসপাতালের দন্ত বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। চোপীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান গণমাধ্যমকে জানান, জানুপাড়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী ও ৬ সন্তানের জননী মুঞ্জুরী বেগম দাঁতের চিকিৎসা করাতে সোমবার সকালে শজিমেক হাসপাতালে যান। চিকিৎসা নিতে সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মুঞ্জুরী বেগম। চোপীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রচণ্ড গরম সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে থাকা চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৪

নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে ভাড়া বাসার তালাবদ্ধ ঘর থেকে আজিদা বেগমের (৪০) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি স্বামীসহ ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছেন।  রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের বাবুল খানের ভাড়া বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আজিদা বেগম নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার হাইলাটি গ্রামের রুমালী হোসেনের মেয়ে। সে উপজেলার জৈনা বাজারে স্থানীয় দুলাল কুমার ঘোষের পাবনা হোটেলের রান্নার কাজ করতেন। জৈনা বাজারের পাবনা হোটেলের মালিক দুলাল কুমার ঘোষ বলেন, প্রায় ৬ মাস যাবৎ আজিদা বেগম আমার হোটেলে কাজ করতেন। তিনি রান্না ও থালা-বাসন ধোয়ার কাজে সহযোগিতা করতেন। কখনো তার স্বামীকে দেখিনি। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, প্রায় ৯ মাস পূর্বে আজিদা বেগম তার স্বামীকে নিয়ে নগরহাওলা গ্রামের বাবুল খানের টিনশেড রুমের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। তার স্বামী স্থায়ীভাবে বসবাস না করলেও নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন। স্ত্রীর পরিচয় পাওয়া গেলেও স্বামীর পরিচয় কেউ জানাতে পারেনি। তার স্বামীর ব্যাপারে জানতে চাইলে সে বাড়ির মালিককে বলতো সে মাওনা চৌরাস্তায় কাজ করতেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে ঘর তালাবদ্ধ থাকায় কেউ খোঁজখবর নেয়নি। দুর্গন্ধ ও মশা-মাছি ছড়িয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে মেঝেতে ওই নারীর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের পাশে বঁটি ও দা পড়েছিল। তিনি আরও বলেন, শুক্রবার কোনো একসময় বঁটি দিয়ে ওই নারীর স্বামী তাকে গলা কেটে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। স্বামীর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে তার স্বামীই গলা কেটে হত্যা করে পালিয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৭

নারীর পথচলায় নানা বাধা প্রতিরোধের আহ্বান সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আমরা বাঙালি, এটা আমাদের মীমাংসিত বিষয়। তবে কেন আমাদের টিপ নিয়ে, আমাদের পোশাক নিয়ে আপত্তি তোলা হবে। কর্মজীবী নারীদের পথচলায় নানাভাবে বাঁধা তৈরির বিষয়টি উল্লেখ করে নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য এই প্রবণতা ও মানসিকতাকে প্রতিরোধের আহ্বান জানান তিনি। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি। দীপু মনি বলেন, নিজের অধিকার আদায়ের জন্যই এই প্রতিরোধ জরুরি। কারণ আজকে আপনার টিপ আর শাড়ির প্রতি আঘাত আসছে, কালকে আপনাকে ঘরবন্দী করে দেবে, পড়াশোনা বন্ধ করে দেবে। আপনার দক্ষতা ও কাজের স্পৃহা সব বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার শ্বাস নেওয়াও বন্ধ করে দেবে এরা। কাজেই এ ধরনের মনোভাবকে প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি বলেন, পিতৃতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করতে চাওয়ায় অতীতে ‘খনা’কেও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তার জিভ কেটে নেওয়া হয়েছিল। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা অতীত থেকেই চলে আসছে। নারীদের পথচলা আগে থেকেই কঠিন। মন্ত্রী বলেন, প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী বিবি খাদিজা একজন নারী। ইসলামের জন্য প্রথম যিনি প্রাণ দিয়েছিলেন, তিনিও একজন নারী। ইসলামে নারীরা ব্যবসা করেছেন, যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু ১৪০০ বছর পরে এসে, ধর্মের ভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। ধর্মের মূল নীতি এটা হতে পারে না। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ও হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচোজ পিগনানি, হেলভেটাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর বেন ব্লুমেনথাল প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট বিভাগীয় অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি নিগার সুলতানা কেয়া।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৮

ট্রেনের ইঞ্জিনে ঝুলছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ
দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশন এলাকা থেকে ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনে ঝুলন্ত অবস্থায় অজ্ঞাত (৪৫) এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় হিলি স্টেশনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী নীলসাগর ট্রেনের সঙ্গে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের ক্রসিংয়ের সময় পঞ্চগড় ট্রেনের ইঞ্জিনে ঝুলন্ত অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে রেলওয়ে পুলিশে খবর দেন।  হিলি রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড় এক্সপ্রেসে আসা মরদেহের দুই পা থেঁতলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তবে তার কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪২

পল্টনে ছয়তলা ভবন থেকে লাফিয়ে নারীর আত্মহত্যা
রাজধানীর পুরানা পল্টনে একটি ৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে মঞ্জুরী আফরোজ (৫৫) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) পুরানা পল্টনের ৫৯/৩ নম্বরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই বাড়ির মৃত সেলিম উল্লাহের মেয়ে। ডিএমপির পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুফিয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঞ্জুরী আফরোজের মানসিক সমস্যা ছিল। সকালে সবার অগোচরে ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দেন তিনি। এতে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসআই মো. সুফিয়ান জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৫

ভাষানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ এক নারীর মৃত্যু
রাজধানীর মিরপুরে একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম মেহেরুন্নেসা (৬৫)। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালের দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল ভোরে মিরপুরের ভাষানটেক থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী-শিশুসহ ছয় জনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে মেহরুন্নেসা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মারা যান। তার শরীরের ৪৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি। এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে মিরপুরের ভাষানটেক ১৩ নম্বর কালবার্ট রোড এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন সূর্য বানু (৩০), লিজা (১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৯) ও মো. লিটন (৫২)। এরমধ্যে সূর্য বানু ৮২ শতাংশ, লামিয়া ৫৫ শতাংশ, মো. লিটন ৬৭ শতাংশ, লিজার ৩০ শতাংশ এবং সুজনের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। জানা গেছে, পরিবার নিয়ে ওই বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকেন ফার্নিচার ব্যবসায়ী লিটন মিয়া। শুক্রবার ভোরে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ হয়। এতে নারী-শিশুসহ ওই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়। পরে তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৮

পিকআপভ্যান উল্টে নারীর মৃত্যু
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পিকআপভ্যান উল্টে এক নারী গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। রোববার (৭ এপ্রিল) মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গোলচত্বরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে লালমনিরহাট যাওয়ার পথে রোববার রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপভ্যান উল্টে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বরে গার্মেন্টস শ্রমিক রেহানা খাতুনের মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হন নারী, শিশুসহ আরও অন্তত ১৫ জন ঘরমুখো মানুষ। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তবে কোথাও যানজট নেই। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে যে যেভাবে পারছে বাড়ি ফিরছে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়