• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যে কারণে বারের সামনে নারীদের চুলোচুলি
রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে সম্প্রতি কয়েকজন নারীর চুলোচুলি ও মারামারির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীদের মদপানের লাইসেন্স ছিল না। তারা অবৈধভাবে অতিরিক্ত মদপান করে মাতাল হয়ে মারামারিতে জড়ান। তাদের কাছে মদ বিক্রি করায় সেলেব্রিটা বারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন। গ্রেপ্তার তিন নারী হলেন, শারমিন আক্তার মিম (২৪), ফাহিমা ইসলাম তুরিন (২৬) ও নুসরাত আফরিন। মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নগরে বাস করতে গেলে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। যেকোন নারী-পুরুষ লাইসেন্স থাকলেই মদ পান করতে পারে। তবে পয়লা বৈশাখের রাতে গুলশান এলাকায় যারা মদ পান করেছেন, তাদের কারো লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্সহীনদের কাছে বার কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত পরিমাণে মদ বিক্রি করেছে। যা পান করে তারা মাতাল, বেসামাল হয়ে গেছেন। তিনি বলেন, বার কর্তৃপক্ষের ওই বেসামাল নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা উচিত ছিল। কিন্তু তা তারা করেনি। ওই নারীরা রাস্তায় গিয়ে প্রকাশ্যে মারামারি করেছেন। যা গুলশানের বাসিন্দারা দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলেন। ভাইরাল হলো দেশজুড়ে। ডিবি প্রধান বলেন, আমি মনে করি এই ভিডিও দেশের মানুষের মধ্যে শহরের মানুষ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা হবে। এসব নারীরা কারো না কারো সন্তান। তাদের অভিভাবকদের উচিত মেয়েরা কোথায় যায়, কী করে সেদিকে খেয়াল রাখা। আজকে এই নারীরা বারে গিয়ে মদ পান করে এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন। যে মেয়েকে তারা মেরেছেন সেই মেয়েটিও মাতাল ছিলেন। হারুন অর রশীদ, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে বারগুলো লাইসেন্স ছাড়া মদ বিক্রি করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেব। অন্যদিকে, মারধরের শিকার ভুক্তভোগী রিতা আক্তার সুস্মি বলেন, আমি ও আমার এক বন্ধু মিলে খাবার খেতে ওই রেস্তোরাঁয় যাই। খাওয়ার এক পর্যায়ে টয়লেটে যাওয়ার জন্য গিয়ে দেখি চারজন মেয়ে একসঙ্গে টয়লেটে প্রবেশ করেছে। বিষয়টি রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে বলি। তারা মেয়েদের বের করে দেয়। পরবর্তী সময়ে আমি রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার সময় তারা আমার ওপর হামলা করে। তিনি বলেন, আমাকে চড়-থাপ্পড় দিতে পারত। কিন্তু রাস্তার মধ্যে আমার কাপড় খুলে ফেলে। আমাকে মারধর করে। আমি তাদের সঠিক বিচার চাই। কারণ রাস্তায় একজন মেয়ে হয়ে আরেকজন মেয়ের কাপড় খুলে ফেলতে পারে না।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৯

টিকটক ট্রলে দুর্বিষহ যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি নারীদের জীবন
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় একটি যোগাযোগমাধ্যম টিকটক। বিশেষ করে রক্ষণশীল পরিবারের নারীরা এটি ব্যবহার করে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলে থাকেন। তাদের বেশিরভাগ মতামতই নারীবাদকেন্দ্রিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশি নারীদের স্বাধীন মত প্রকাশের ঠিক এই ব্যাপারটিই পছন্দ নয় হাসান সাঈদ নামে ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশি এক তরুণের। বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নারীদের অনলাইনে বুলিং করায় মত্ত সে। তার ভয়াবহ বুলিংয়ের শিকার হয়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে প্রবাসী বহু নারীর জীবন।  যুক্তরাজ্যে এমন বেশ কয়েকজন নারীর সন্ধান পেয়েছে বিবিসি। হাসানের ট্রলের শিকার ওই নারীদের অনেকে সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, তাদের মানসিক অবস্থা এতটাই বিপর্যস্ত যে মাঝেমধ্যেই আত্মহত্যার চিন্তা নাড়া দিয়ে উঠছে মাথায়।   মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। তাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের পুলিশ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী ওই নারীরা। সুযোগে ক্রমেই আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে প্যারিসের উপকণ্ঠে বসবাসরত বাংলাদেশি ওই তরুণ। এমনকি অনেক নারীকে ধর্ষণ ও হত্যারও হুমকি দিচ্ছে সে।   যুক্তরাজ্যের ইয়র্কশায়ারে বসবাস করেন সুলতানা (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, নারীবিদ্বেষ ও বাজে সম্পর্কের বিষয়ে টিকটকে আওয়াজ তোলেন তিনি।  ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের শিকার হন তিনি। মূলত ট্রলের শিকার হওয়া তার এক বন্ধুর পক্ষে কথা বলার পর তিনিও হাসানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। হাসানের ট্রল এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে সামাজিকভাবে হেয় হয়ে মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েন সুলতানা। নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছিল, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। আমি কান্না করেছি। খেতে পারিনি, ঘুমাতে পারিনি। মনে হচ্ছিল, এখানে আর থাকতে চাই না।’ তিনি বলতে থাকেন, ‘আমি কাজে ছিলাম। এ সময় আমার কয়েকজন টিকটক ফলোয়ার আমাকে খুদে বার্তা পাঠান। তারা জিজ্ঞাসা করছিলেন, আমি হাসানের সেই ভিডিওগুলো দেখেছি কি না। সেই ভিডিও ও পোস্টগুলোতে লোকজন কমেন্ট করছিল। আমাকে নিয়ে তারা হাসাহাসি করছিল। এ ধরনের নিপীড়ন দুই বছর ধরে চলে। এটা এমন এক অভিজ্ঞতা, যা তিনি কখনো ভুলতে পারব না।’ সুলতানা বলেন, ‘আমার মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। সুস্থ হতে থেরাপি নিয়েছি। ট্রলের ঘটনাগুলো আমার অসুস্থতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি তা আমাকে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিস-অর্ডারের দিকে ঠেলে দিয়েছে।’ ভুক্তভোগীরা বলেন, নারীদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ পছন্দ করেন না রক্ষণশীল অনেক পুরুষ। নারীদের যেকোনোভাবে থামিয়ে দিতে চান তারা। এ জন্য অনলাইন বুলিংকে বেছে নেয় তারা। হাসান সাঈদ নামে প্যারিস প্রবাসী ওই যুবক ওই দলভুক্ত একজন।  হাসান মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তার শিকারদের ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপর সেগুলো গ্রিন স্ক্রিনে নিয়ে ট্রল ভিডিও তৈরি করেন। পরবর্তীতে টিকটক লাইভে এসে ভুক্তভোগী নারীদের চেহারা ও অন্যান্য বিষয়ে মজা করেন। নারীদের ধর্ষণ ও হত্যার হুমকিও দেন তিনি। হাসানের আরেক শিকার মাসুমা নামে যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের এক নারী। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি তিনি টিকটিকে রান্নার ভিডিও বানান এবং অনলাইনে একটি দোকান চালান। একদিন এমন একটি লাইভ চলার সময় হাসান সেখানে উপস্থিত হন এবং তাকে তার অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানাতে বলেন। মাসুমা তাতে রাজি না হলে হাসান তাকে ‘ফাঁসিতে ঝোলানোর’ হুমকি দেন। এরপর মাসুমা একটি ভিডিও শেয়ার করে অন্যদের এ যুবকের বিষয়ে জানান এবং তার একাউন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার আহ্বান জানান। তাতে হাসান আরো রেগে যান এবং তাকে নিয়ে আজেবাজে ভিডিও বানানো শুরু করেন। একটি ভিডিওতে মাসুমাকে দেখিয়ে বলেন যে তিনি একজন যৌনকর্মী। মাসুমার অনুসারীরা রিপোর্ট করলে টিকটিক থেকে তার ওই ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়। তবে ওই ঘটনা জীবনের বড় এক ক্ষতি করে গেছে বলে মনে করেন এ তরুণী। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু নারীরাই নয়, হাসানের অনলাইন বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন পুরুষরাও। এসব ট্রলের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা বিভিন্নভাবে প্রতিকার পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এমনই একজন কামরুল ইসলাম। হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসব বুলিং বন্ধ করার আহ্বান জানান এ ভুক্তভোগী। এতে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে কামরুলের পুরো পরিবার নিয়ে ট্রল শুরু করেন হাসান। এসব ভিডিও সরাতে পরে কামরুল টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তারা তাকে সাফ জানিয়ে দেন, এসব তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করেনি। তাই ভিডিওগুলো সরানো হবে না। কামরুল এরপর পুলিশের কাছেও অভিযোগ করেন। এতেও ট্রল না থামায় তিনি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্যারিসে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে যোগাযোগ করেন। দূতাবাস ফরাসি আইনজীবী ম্যাথিউ ক্রোইজেতের সঙ্গে কামরুলের যোগাযোগ করিয়ে দেয়। কামরুলের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে প্যারিসের সরকারি কৌঁসুলির দপ্তরে অভিযোগ করেন এ আইনজীবী। কিন্তু এ মামলার কোনো রায় এখনো হয়নি। মামলার হালনাগাদ তথ্য জানতে প্যারিসের কেন্দ্রীয় পুলিশ স্টেশন ও আদালতে যোগাযোগ করে বিবিসি। কিন্তু এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কোনো প্রতিউত্তর পাওয়া যায়নি।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৩

নারীদের ত্রিশ পরবর্তী পুষ্টি ভাবনা 
আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারী সাধারণত নিজের জন্য ভাবার সময় পান না। পরিবারের সবার যত্ন নিলেও নিজের প্রতি যত্নটা আর নেওয়া হয় না তাদের। আর এ অযন্তের জন্য নানা রকম স্বাস্থ্যসমস্যা শুরু হয়ে যায় ত্রিশের পর থেকে। যেমন হাড়ক্ষয়, বলিরেখা পড়ে যাওয়া, শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা, হরমোনের সমস্যাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের জটিলতা। তাই এ সময় খাদ্যগ্রহণে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। পাশাপাশি পরিবর্তন আনতে হবে জীবনযাপন পদ্ধতিতেও। এ সময়ে কোন খাবারগুলোতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে জেনে নিন। আয়রন: অনেক নারীই এই বয়সে বেশ ক্লান্ত বোধ করেন। এর অনেক কারণও আছে। তবে এমনটা হলে সবার আগে খাবারের দিকে খেয়াল করবেন। আপনি যদি ভীষণ ক্লান্তি বোধ করেন, তবে খাবারের তালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করতে হবে। বয়স ত্রিশ পার হলে নারীদের প্রচুর আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হবে। ক্যালসিয়াম: হাড় ভালো রাখার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তার কথা কম-বেশি শুনে থাকবেন। তবে কেবল শক্তিশালী হাড়ের জন্যই নয়, ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয় আমাদের শরীরের সামগ্রিক শক্তির জন্য, পেশীর শিথিলতার জন্য এবং স্নায়ুর কার্যকারিতার জন্যও। তাই নারীকে ত্রিশের পরে প্রচুর ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে নিয়মিত। ভিটামিন ডি: নারীর হরমোনের ভারসাম্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো ভিটামিন ডি। সেইসঙ্গে এটি মন ভালো রাখতে সাহায্যও করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি শরীরে পৌঁছলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এ কারণে নারীকে ত্রিশের পরে বেশি করে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে। সেইসঙ্গে রোদ থেকেও এই ভিটামিন গ্রহণ করতে হবে। ফোলেট: নারীর সুস্থতার জন্য ফোলেট যুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটি তাকে সুস্থতার পথে একধাপ এগিয়ে নেয়। বিশেষ করে যারা নতুন মা হয়েছেন তাদের জন্য ফোলেট এমন একটি ভিটামিন যা অবশ্যই খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। তাই ত্রিশ পার হলে নারীকে এদিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। ওমেগা ৩: সুস্থতার জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য, মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একজন নারী যখন বয়স ত্রিশ বছর পার করবেন তখন অবশ্যই ওমেগা ৩ জাতীয় খাবার রাখতে হবে খাবারের তালিকায়।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৫

নারী দিবসে শুধু নারীদের দিয়ে বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রথমবারের মতো নারী কর্মীদের দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স’৷ ফ্লাইট পরিচালনার সকল বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন বিমান-এর নারী কর্মীরা৷ শুক্রবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-দাম্মাম রুটে নারী ক্রুদের দিয়ে ফ্লাইট বিজি-৩৪৯ পরিচালনা করে৷ ফ্লাইটের ক্রুদের ব্রিফিং, চেক-ইন কাউন্টার, ফ্লাইট কভারেজ, কেবিন ক্রু ও ককপিট ক্রুর দায়িত্বে ছিলেন তারা৷ ফ্লাইটের পাইলট ছিলেন বিমান-এর জ্যেষ্ঠ নারী পাইলট ক্যাপ্টেন আলিয়া মান্নান ও ফার্স্ট অফিসার ফারিহা তাবাসসুম৷ দক্ষতা আর পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য সংস্থাটির নারী কর্মীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স৷ এ মুহূর্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চাকরি করছেন ১৫ জন নারী পাইলট, যা পুরুষ ও নারী পাইলটদের আন্তর্জাতিক গড়ের (৬%) দ্বিগুণের বেশি বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইসেন্স৷ ৩৪৫ জন নারী কেবিন ক্রুসহ, গ্রাউন্ড স্টাফ, নারী প্রকৌশলী, নারী প্রকৌশল ইন্সটাক্টর কাজ করছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন শাখায়৷
০৯ মার্চ ২০২৪, ১১:০৩

‘বঙ্গবন্ধু কন্যা নারীদের অগ্রযাত্রার পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন’
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে। নারীর ক্ষমতায়নের মূল শক্তি তারা নিজেরাই। শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে সাপাহার উপজেলা অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।  নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রিপরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আটজন নারী রয়েছেন। বর্তমানে নয় জন নারী সচিব দায়িত্ব পালন করছেন। সংসদে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছেনও একজন নারী।  আমাদের দেশে নারীর সংখ্যা অর্ধেক নয় বরং অর্ধেকেরও বেশি। ভোটার তালিকা দেখলে সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। নারীরা তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে নারীর অগ্রযাত্রার পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু কিছু অশুভ শক্তি নারীদের পিছিয়ে দিতে চায়। অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শামিল হতে নারীদের প্রতি আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।  সাপাহারের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সাপাহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহজাহান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস সরকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আমেনা বেগম। এ সময় নিয়ামতপুর ও পোরশা উপজেলা প্রশাসন কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালির উদ্বোধন করেন। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শেষ হয়। এর আগে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সাপাহার উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত ভবন ও অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন করেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ২০:০৯

নারী দিবসে নারীদের প্রতি যে প্রত্যাশার কথা জানালেন জায়েদ খান
একজন নারী তার পরিপূর্ণ অধিকার আদায়ের দাবিতে দীর্ঘকাল ধরে যে আন্দোলন চালিয়ে আসছে, তারই সম্মানস্বরূপ প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ৮ মার্চ নারী দিবস পালন করা হয়। এক শতাব্দী ধরে দিনটি পালিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। শুরুতে পশ্চিমা দেশগুলোতে হলেও আজকাল বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশে নারীরাও এ দিন উদযাপন করে থাকেন বেশ আয়োজন করে। নারী দিবস নিয়ে একজন পুরুষের ভাবনা কী? এমন প্রশ্নে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, নারীরা মায়ের জাতি, বোনের জাতি। নারী থাকে যত্নে, ভালোবাসায়। নারী থাকে বিশ্বাসে। প্রতি বছর এই দিনে শিক্ষিত ও সচেতন নারী সমাজ বেশ আয়োজন করে নারী দিবস পালন করে থাকে। দেওয়া হয় বিভিন্ন রকম সচেতনতামূলক বার্তা। সেই বার্তা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খেটে খাওয়া নারীর কাছে পৌঁছাতে প্রয়োজন প্রচার। এ নায়ক বলেন, খেটে খাওয়া নারীর কাছে সচেতনতামূলক বার্তা ভালোই পৌঁছায়। তবে আরেকটু প্রচারের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে হবে। এখন তো প্রচারের যুগ। হাতের মুঠোয় পৃথিবী। সবার হাতে স্মার্ট ফোন। বিশ্বায়নের যুগে নারী দিবসের শ্লোগান, প্রতিপাদ্য বিষয় হাতে হাতে ছড়িয় দিতে হবে।’  সময়ের সঙ্গে দৃশ্যপট বদলেছে। ঘরে-বাইরে পুরুষের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন নারীরা। তবে সামাজিকমাধ্যমে বেড়ে নারীর প্রতি জিঘাংসা, কটাক্ষ। বিষয়টি নারীর এই অগ্রগতিকে কী দুর্গম করে তুলছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, এটা হীনমন্যতা, সামাজিক অবক্ষয়। কিছু মানুষ আছে যারা নারীর চলার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কিছু কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষেরা নারীদের এগিয়ে যাওয়া ভালোভাবে দেখে না। তাদের দ্বারাই নারীরা আক্রান্ত হয়।’ জায়েদের মতে দেশ-বিদেশে অগণিত নারী ভক্ত তার। তাদের উদ্দেশে এ নায়কের বার্তা, নারীরা আমাকে বরাবরের মতোই ভালোবাসুক। তাদের প্রতি আমারও শ্রদ্ধা ভালোবাসা। যেহেতু আমি সিঙ্গেল ওই জায়গা থেকে আমার প্রতি তাদের ভালবাসা যেন এরকমই থাকে। আমার ছবি দিয়ে কেউ বালিশে কাভার লাগিয়ে ঘুমাক, কেউ ছবি নিয়ে ঘুমাক। নারীদের প্রতি নারী দিবসে এটাই প্রত্যশা আমার।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৯

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য অনুকরণীয় : রাষ্ট্রপতি
বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব, সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও যথার্থ নীতি বাস্তবায়নের ফলে অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন খাতে অভাবনীয় সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্যও আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।  রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে নারীর সার্বিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে এবং নারী-পুরুষের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে বলিষ্ঠ অবস্থান তৈরি করেছেন।  রাষ্ট্রপতি বলেন, নারীর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকেও নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য-‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ যথার্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে আরও বলেন, বাংলাদেশে নারীদের সমঅধিকার, সমসুযোগ ও সুষ্ঠু বিকাশের লক্ষ্যে সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনার নীতি, কর্মকৌশল হিসাবে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করেছে। পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১০, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা বিধিমালা ২০১৩, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮, ডিএনএ আইন ২০১৪ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে যা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে মাইলফলক হয়ে থাকবে।  
০৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৬

নারী দিবসে শুধু নারীদের দিয়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালাবে বিমান
৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবসে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। ফ্লাইটটির পাইলট থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড স্টাফ সবাই থাকবেন নারী।   এভিয়েশন খাতে নারীদের আরও বেশি আগ্রহী করে তোলা এবং বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের নারীরা যে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই বার্তা পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাদ্দেক আহমেদ। তিনি বলেন, বিমানের নারী পাইলটরা সবসময় তাদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এ দেশের নারীরাও এভিয়েশন খাতে সফল, এ বিষয়টি আমরা তুলে ধরতে চাই। আকাশছোঁয়ার স্বপ্ন দেখলে সেটি যে সফল হতে পারে, এর মাধ্যমে সারাদেশের নারীদের কাছে সেই বার্তাও যাবে। বিমানের এমডি ও সিইও শফিউল আজিম জানান, সরকার নারীদের ক্ষমতায়নে বিশেষভাবে গুরত্ব দিচ্ছে। বিমান প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই পুরুষ কর্মীদের পাশাপাশি নারীরাও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। বিমান নারীদের সুষ্ঠু ও সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে। আগামী ৮ মার্চ ঢাকা-দাম্মাম রুটের বিজি-৩৪৯ ফ্লাইটটি পরিচালিত হবে নারীদের দিয়ে। ফ্লাইটটির ক্রুদের ব্রিফিংও করবেন বিমানের নারী ফ্লাইট ব্রিফিং কর্মকর্তা। এদিন দুপুর আড়াইটায় ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দাম্মামের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ফ্লাইটটি পরিচালনা করার কথা রয়েছে ক্যাপ্টেন আলেয়া ও ক্যাপ্টেন শূমায়লার। বিমানের নারীদের অংশগ্রহণ রয়েছে প্রায় প্রতিটি বিভাগে। 
০৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৪

নারীদের রমজান প্রস্তুতি
রোজা ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভ। রমজানের পূর্বাভাস নিয়ে হাজির হওয়া শাবান মাস ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে সমাপ্তির দিকে। ক্ষমার মহান বারতা নিয়ে সমহিমায় হাজির হচ্ছে পবিত্র রমজান। মুমিনের হৃদয়মাত্রই প্রহর গুনছে রমজানের একফালি চাঁদের জন্য। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়, তেমনি সব পাপ ছেড়ে দিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে নিজের জীবনকে নতুন করে সাজানোর সুযোগও এনে দেয় রমজান। হিজরি বছরের সবচেয়ে পবিত্রতম মাস রমজান। এ মাসে মুসলমানরা ফরজ ইবাদত রোজা পালন করেন। রোজা ফরজ হয় দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে। এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের লোকেদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকি (আল্লাহভীরু) হতে পারো।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)। প্রতিটি মুসলমানের উচিত নিজেদের আল্লাহর কাছে নিবেদন করতে রমজানের আগেই যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা। এখানে রমজান উপলক্ষে নারীদের বিশেষ কয়েকটি প্রস্তুতির কথা তুলে ধরা হলো.... প্রতিবছরই প্রাকৃতিক কারণে প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের কিছু রোজা কাজা করতে হয়। সেগুলো আদায় না করে থাকলে শাবান মাসে দ্রুত আদায় করে নেওয়া উচিত। রমজানের দিনগুলোর জন্য আগে থেকেই কাজের তালিকা তৈরি করে নেওয়া উচিত। রমজানে নারীদের সাধারণত বাসায় সাহ্‌রি-ইফতার তৈরি করতে হয়, পাশাপাশি ঘরের অন্যান্য কাজও সম্পাদন করতে হয়, তাই আগে থেকে পরিকল্পনা না করলে ইবাদতের সময় বের করা কঠিন হয়ে যাবে। বিশেষ করে নামাজ আদায় কোরআন তিলাওয়াত, হাদিস অধ্যয়ন, ইসলামি জ্ঞানার্জনের জন্য বিশেষ রুটিন রাখা উচিত। রমজানে দানের অনেক ফজিলত রয়েছে। বাড়ির পুরুষ কর্তার ওপর নির্ভর না করে সামর্থ্য থাকলে নারীরাও দান-সদকা করতে পারেন। এর জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি থাকা চাই। নারীরা স্বভাবগতভাবে একটু বেশি কথা বলেন এবং পরনিন্দাও বেশি করেন। রমজানে এসব পরিহার করা উচিত। রোজার পবিত্রতা নষ্ট হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। রমজান ও রোজা বিষয়ে নারীদের অনেক জরুরি মাসায়েল রয়েছে, সেগুলো এখন থেকে জানা এবং রমজানে যথাযথভাবে মানার সংকল্প করতে হবে। বিশেষ করে ঋতুমতী, গর্ভবতী ও স্তন্যদায়িনীদের সম্পর্কিত মাসায়েলগুলো জানতে হবে। 
০২ মার্চ ২০২৪, ০২:১৯

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নারীদের আত্মকর্মস্থানের কোনো বিকল্প নেই’
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘হার পাওয়ার প্রকল্প প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় নারীদের ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি।  পলক বলেন, নারীরা স্মার্ট বাংলাদেশ জয়ের সারথি। নারীদের কর্মস্থান ও প্রযুক্তিনির্ভর করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুব দ্রুত সমায়ের মধ্যে ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরায় শেখ কামাল আইটি সেন্টার গড়ে তোলা হবে। সেখান থেকে প্রতিবছর দুই হাজার ছেলে-মেয়ে প্রযুক্তি সর্বোত্তম সুবিধা নিয়ে নিজেদের আত্মকর্মশীল করতে পারবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত প্রধানমন্ত্রীর নারী পুরুষ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন সুসংহতকরণে গৃহীত বহুমুখী কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল বিশ্বের রোল মডেল।   তিনি আরও বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে সংগ্রামী ও সম্ভাবনাময় নারীদের সহযোগিতা, দিকনির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পটি হয়ে উঠতে পারে একটি অনবদ্য মাইলফলক। অনুষ্ঠানে উক্ত প্রকল্পের সাতক্ষীরায় হার পাওয়ার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত কলারোয়া, তালা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নারী আইটি সেবাদাতা ক্যাটাগরির মোট ২৪০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে ল্যাপটপ দেওয়া হয়।   
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়