• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেইলি রোডে আগুনে নারায়ণগঞ্জের শান্তর মৃত্যু
সংসারের সচ্ছলতার জন্য রেস্টুরেন্টে কাজ নিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভূঁইগড় পশ্চিম পাড়া এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী আমজাদ হোসেন ও লিপি আক্তারের বড় ছেলে শান্ত হোসেন। নিজে কলেজ জীবন পার করতে না পারলেও ছোট ভাই ও বোনকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্ন ছিল তার। তার সব স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এ ঘটনায় নিহত শান্ত হোসেনের বাড়িতে স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আকাশ বাতাস।  নিহত শান্তর মা লিপি আক্তার বলেন, পবিত্র শবই বরাতের রাতে শেষ দেখা হয়েছিল আমার সঙ্গে। বলেছিলো, রমজান মাসে লম্বা ছুটিতে বাড়িতে আসবে। তবে রোজা শুরু হওয়ার আগেই বাড়িতে ফিরেছে শান্তর মরদেহ।  মা লিপি আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সব সময় ছেলে তার অডিও কলে কথা বলতো। শেষ বিদায়ের কিছুক্ষণ আগে ভিডিও কল দিয়ে খবর নেয় ছোট ভাই-বোনের লেখাপড়ার। জানতে চায় প্রবাসী বাবা কল দিয়েছেন কিনা। চাচী, খালা ও এলাকাবাসী জানান, বাবা প্রবাসে বেশি আয় করতে না পারায় সংসারে সচ্ছলতা আনতে বেইলি রোডের ওয়াফেল বার অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে সহকারী সেফ পদে কাজ করতো শান্ত হোসেন। দুভাই এক বোনের মধ্যে শান্ত পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান। ছোট ভাই প্রান্ত হোসেন  এইচএসসি পরীক্ষার্থী আর ছোট বোন আমেনা আক্তার তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশুনা করে।  স্থানীয়রা জানান, ভালো ছেলে ছিল শান্ত। আর ছোট চাচী বিলাপ করে কাঁদছে আর বলছে, সবার বিপদে এগিয়ে যেত সে। তাকে ছোট মা বলে ডাকতো। শুক্রবার সকালে শান্তর মরদেহ বাড়িতে এলে স্বজনদের আহাজারীতে ভারী হয়ে উঠে চারপাশের পরিবেশ। জুমআ’র নামাজের পর জানাজা শেষে ভূঁইগড় কবরস্থানে দাফন করা হয় শান্তকে।
০১ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৩

নারায়ণগঞ্জের ফ্ল্যাটে দগ্ধ টুম্পাও আর নেই
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে একটি ভবনের ফ্ল্যাটে দগ্ধ হওয়া র‌্যাব সদস্যের পর তার সঙ্গী টুম্পা রানী দাসও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার ভোরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪০ বছর বয়সী টুম্পার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা। টুম্পা নিতাইগঞ্জের ভবানীগঞ্জ এলাকায় ওই তিনতলা ভবনের একটি ফ্ল্যাটে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। ওসি বলেন, টুম্পার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। উল্লেখ্য, ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে র‌্যাব-১১ এর সদস্য অভিজিৎ সিংয়ের (২৮) মৃত্যু হয় বার্ন ইনস্টিটিউটে। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এর আগের রাতে ভবানীগঞ্জের ওই ফ্ল্যাটে দগ্ধ হন অভিজিৎ ও টুম্পা। তবে কীভাবে তারা দগ্ধ হলেন বা আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হল, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি পুলিশ বা র‌্যাব।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৪

যে কারণে নারায়ণগঞ্জের ডিসি-এসপির ওপর ক্ষিপ্ত শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জের ডিসি-এসপির বিষয়ে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্ন তুলবেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ইসদাইর ওসমানী স্টেডিয়ামে মাদক, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ভূমিদস্যুতার বিরুদ্ধে এক জনসভায় এ কথা জানান তিনি। শামীম ওসমান বলেন, আজকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন আমি জেলা প্রশাসককে বলেছি কিনা। আমি তাকে একবার বলিনি বার বার বলেছি। নারায়ণগঞ্জ, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিবসহ আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। একজন সংসদ সদস্যের অবস্থান কোথায় তা হয়তো নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনের অনেকে বুঝতে পারেন না।  তিনি বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে নারায়ণগঞ্জে যারা আছেন আমার নাম শামীম ওসমান। আমি কারো দয়ায় চলিনা কিন্তু। আমি রাজপথে সৃষ্টি হওয়ার মানুষ রাজপথেই শেষ হবো। যে প্রশ্ন আজকে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনের কেউ এ অনুষ্ঠানে আসতে দেননি কিংবা আসেননি। সেই প্রশ্ন যদি আমি এখানে করি তাহলে মনে করবেন নারায়ণগঞ্জে করেছি। আমার সম্পর্কে আপনাদের ধারণা কম। আমি এই প্রশ্ন জাতীয় সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জিজ্ঞাসা করবো। যারা জনগণের সেবক হিসেবে জনগণের চাকরি করেন তারা অনুপস্থিত কেন, আমি সেই প্রশ্ন করবো।  আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান বলেন, আমি মাথা নোয়াবার মানুষ নই। সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের সার্ভেয়ারকে ৪২ লাখ টাকাসহ দুদক গ্রেপ্তার করা প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, টাকা ধরা পড়ে যাত্রাবাড়িতে আর কেইস দেখান ফতুল্লায়। আমি সব কিছুই জানি।  তিনি বলেন, এটা আমাদের নারায়ণগঞ্জ। আমি জানতে চাইবো, জনপ্রশাসন মন্ত্রীর কাছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। আমি জানতে চাইবো প্রধানমন্ত্রীর কাছে। দাওয়াত দেওয়ার পরও কেন আসেনি। আপনারা এটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করবেন না। এ সরকারের প্রধান হলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনিও যেমন পৃথিবীর কোনো শক্তির কাছে মাথা নত করেন না, আমরাও তার কর্মী। আমরাও কারও কাছে মাথা নত করি না। আগে একহাজার লোকের কমিটি করেন। নব্বই হাজার লোক হবে। পাঁচজন করে যদি হয় তবে লোক হবে সাড়ে চার লাখ। সাড়ে চার লাখ-পাঁচ লাখ লোক রাত ১২টার সময়ও নামানোর ক্ষমতা শামীম ওসমান রাখে ইনশাআল্লাহ। নামানোর পরে যদি আমরা বলি, জনগণ যদি বলে আমরা কাউকে এখানে চাই না তাহলেই কিন্তু কারও এখানে থাকার ক্ষমতা নাই।  শামীম ওসমান বলেন, আগের মেজাজ থাকলে এখনই বলে দিতাম। বয়স এখন ৬২ হয়েছে, সেই বয়সটা ২৬ করে দিয়েন না কিন্তু। সাবধান করে দিলাম। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবনসহ অনেকে। উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে মাদক, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাংসহ প্রধান সামাজিক সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার আলেম ওলামা, শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরাসহ সব পেশাজীবী মানুষ। শুধু উপস্থিত ছিলেন না নারায়ণগঞ্জের ডিসি ও এসপি।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়