• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গোসলের পর নতুন করে অজু করতে হবে কি?
ইসলামের পরিভাষায়, গোসল হল সমস্ত দেহ ধৌত করার মাধ্যমে পূর্ণ পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা। কতিপয় ধর্মীয় উপাসনা এবং আচার-অনুষ্ঠান পালনের পূর্বশর্ত হচ্ছে গোসল। শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে, ঈদের নামাজের পূর্বে, এহরামের পূর্বে, হজের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময়, অজ্ঞান হওয়ার পর সচেতন হলে অথবা আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পূর্বে গোসল করা মস্তাহাব। আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের বলেছেন, ‘তোমরা যদি অপবিত্র অবস্থায় থাকো, তবে নিজেদের শরীর (গোসলের মাধ্যমে) ভালোভাবে পবিত্র করে নাও।’ (সুরা মায়েদা: ৬) গোসল করার পর নামাজের জন্য কি নতুন করে অজু করতে হবে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল মুহাম্মাদ (সা.) গোসলের পরে নতুন করে অজু করতেন না। (তিরমিজি: ১০৭) এ থেকে বোঝা যায়, গোসলের পর অযু করতে হবে না। কারণ, গোসলের মাধ্যমে অজু হয়ে যায়। গোসলের পর অজু ভঙ্গের কারণ পাওয়া না গেলে নতুন করে অজু করতে হবে না। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-কে গোসলের পর অজু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, গোসল অপেক্ষা কোনো অজু ব্যাপকতর? (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৭৪৮) মূলত গোসল করার পর অজু করার কোনো বিধান ইসলামে নেই। ফরজ গোসল হলে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া ফরজ এবং পরিপূর্ণ অজু করে নেওয়া সুন্নত, যা গোসলেরই অংশ। আর গোসল ফরজ না হলে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া সুন্নত এবং পরিপূর্ণ অজু করা মোস্তাহাব। তাই যথাযথভাবে গোসল করার পর নতুন করে আবার অজু করা ঠিক নয়। (সহিহ বুখারি: ২৪৮; উমদাতুল ক্বারি: ০৩/৮৬; বাহরুর রায়েক: ০১/৯৪; আদ্দুররুল মুহতার: ০১/৩২৩)।
১৬ ঘণ্টা আগে

‘ধর্ম মানেই পূজা করতে হবে বা নামাজ পড়তে হবে, এমনটা আমি মানি না’
রেডিও, টেলিভিশনে সিনেমায় যার উপস্থিতি প্রাণ দেয় দর্শককে। যেমন উপাস্থাপনায় তেমন অভিনয়েও। বলছি টলিউডের জনপ্রিয় মুখ মীর আফসার আলির কথা। এই মানুষটির অনুরাগীর সংখ্যাও কম নয়। নেটিজেনদের কাছেও আলোচিত ব্যক্তিত্ব। তবে তাদের অনেকের মতে মীরকে মুসলমান বলে মনে হয় না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেছেন মীর। ধর্ম মানেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে মীর বলেন, ধর্ম মানেই মন্দিরে গিয়েই পূজা করতে হবে বা মসজিদে গিয়েই নমাজ পড়তে হবে, এমনটা আমি মানি না। আমি প্রকৃতির মাঝে গিয়েও মানসিকভাবে অন্য জায়গায় পৌঁছে যেতে পারি। মসজিদে গিয়ে ইমাম সাহেবের পেছনে বসে যখন নমাজ পড়ি, সেই সময় মুখে কোরআন থেকে কী বলছি, তার চেয়ে বেশি জরুরি মনে হয় এত ভাইয়েরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, সময় বার করে ‘সেজদা’ করছেন— এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া। এটা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। এটাই আমার অধ্যাত্মবাদ। অনেকে আমায় বলেন যে, আমাকে নাকি ‘মুসলমান-মুসলমান’ মনে হয় না। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে রকম ভাবে আমি নমাজ পড়ি না। নিয়মিত মসজিদে যাই না। আমার মনে আছে একটা ঘটনা। আমাদের বাড়িতে ডোকরার দুর্গাপ্রতিমা আছে, সেটা কোনও কারণে ভিডিওর মাধ্যমে অনুরাগীদের নজরে আসে। ব্যস! ট্রলিং শুরু। মুসলমানের বাড়িতে দুর্গাপ্রতিমা কেন থাকবে? মানুষ সব ক্ষেত্রেই কথা বলবে। এড়িয়ে যাওয়ার মধ্যেই শান্তি। এ সব দেখা এখন ছেড়ে দিয়েছি।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৩

জয় এখন নামাজ পড়া শুরু করেছে : অপু বিশ্বাস
শাকিব-অপু দম্পতির একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়। শাকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সন্তান জয়কে নিয়েই নিজের জীবন সাজিয়েছেন অপু বিশ্বাস। তার ভালো-মন্দগুলোকে নিজের চেয়ে বড় করে দেখেন তিনি। এদিকে জয়ও বড় হচ্ছে। শিখছে সামাজিক ও ধর্মীয় আচার। এরই মধ্যে নামাজ পড়া শুরু করেছে সে।  ঈদ উৎসব সম্পর্কে বলতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ঈদে আমার পরিকল্পনায় ফার্স্ট প্রায়োরিটি আমার সন্তান জয়। জয় এখন নামাজ পড়া শুরু করেছে। মাঝেমধ্যে তার দাদা নামাজে নেয়ার জন্য টানাটানি করে। সে ভীষণ  কমফোর্টেবল তার বাবা এবং ফুফার সঙ্গে নামাজে যেতে। তিনি বলেন, ঈদে আমার কাছ থেকে তার প্রত্যাশা বরাবরের মতো চিকেন বিরিয়ানি। ঈদের দিন ওর জন্য আমি এই মেন্যুটি বাসায় করি। জয় ঈদে অনেক গিফট পেয়েছে। কিন্তু সে চাচ্ছিল বই। বেশ কিছু বইয়ের নাম আমাকে বলেছে। সেগুলো আমি কিনে দেব। জয় তার বাবা শাকিব খানকে গিফট দিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, জয়ও তার বাবাকে ঈদে গিফট করেছে। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমি আসলে বাবা-ছেলের বিষয়গুলো সবাইকে দেখাতে পছন্দ করি না। কারণ এটা একান্তই ব্যক্তিগত। কিন্তু অনেক সময় কিছু পরিস্থিতির কারণে দেখাতে হয়। 
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৪

১০০ বছর পর খুলল মসজিদ, ঈদের নামাজ পড়লেন মুসলিমরা
অটোম্যান শাসনামলে তৈরি গ্রিসের থেসালিনিকির ঐতিহাসিক ইয়েনি যামি মসজিদ ১০০ বছর পর নামাজের জন্য খুলে দিয়েছে গ্রিস সরকার। আর মসজিদটি খুলেই ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসলিমরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে এপি নিউজ, দি ইকোনোমিকস টাইমস, ওয়াসিংটনপোস্ট, ইরান প্রেস। জানা গেছে, মুসলিমরা ১০০ বছর আগে গ্রিসে যুদ্ধে হেরে যাওয়ায় অনেক মসজিদ বন্ধ করে দেয় অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ঐতিহাসিক ইয়েনি যামি মসজিদ। দেশটিতে গত শতক থেকেই বহাল থাকলেও সম্প্রতি মত পাল্টায় দেশটির কর্তৃপক্ষ। ফলে বুধবার (১০ এপ্রিল)  খুলে দেওয়া হয় মসজিদটি। পরে মুসলিমরা এখানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এদিন ৭০ হাজার মুসল্লি  নামাজে অংশ অংশ নিয়েছেন। এক শতাব্দি পূর্বে ইহুদি থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল ডনমেহ সম্প্রদায়ের মানুষ। আর তাদের জন্য অটোম্যান শাসকরা এ মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৯০২ সালে তৈরি মসজিদটির স্থাপত্যে দেখা মেলে ইসলামিক কারুকার্যের। ইতালিয়ান স্থপতি ভিতালিনো পোসেলির হাত ধরেই গড়ে ওঠে মসজিদটি। ১৯২৩ সালে গ্রিস এবং তুরস্কের মধ্যে দুই দেশের সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বিনিময় হয়। ফলে ইয়েনি যামি মসজিদটিতে নামাজ আদায় বন্ধ হয়ে যায়। পরে এটি কখনো ব্যবহার হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র, কখনো জাদুঘর হিসাবে। আবারও মসজিদটি খুলে দেওয়ায় দেশটির মুসলিমরা ফিরে পেয়েছেন হারানো ঐতিহ্য। এ প্রসঙ্গে এআই গ্রিসো নামের এক গ্রিস নাগরিক বলেন, আমাদের দেশে ৯৮ শতাংশ খ্রিস্টান এবং ২ শতাংশ মুসলিম বসবাস করেন। এবারের ঈদে প্রায় এক শতাব্দী আগের বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রাচীন মসজিদ খুলে দেওয়ায় প্রমাণ করে গ্রিসে মুসলিম আর সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এ সময় এক মুসল্লি বলেন, গ্রিস সরকার জানিয়েছিল, একশো বছর পর মসজিদটির দরজা খুলে দেওয়া হবে। তাই নামাজ পড়তে এসেছিলাম। প্রায় ৬৩ বছর যাবৎ এখানে আছি, এতদিন এটাকে জাদুঘর হিসেবে চিনলেও, জানতাম না এটা একটা মসজিদ।  প্রসঙ্গত, অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ইউরোপের দেশটিতে ২০২০ সাল পর্যন্তও মুসলিমদের জন্য কোনো মসজিদ ছিল না। ভোটানিকোসে প্রথম সরকারিভাবে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয় ২০২০ সালে। যেটি পুরোপুরি চালু রয়েছে। এ ছাড়া এথেন্সের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশিসহ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মুসলিম কমিউনিটিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য মসজিদ রয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৭

টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে উপহার পেল ৬৯ কিশোর
টানা ৪০ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৬৯ কিশোরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনকে পুরস্কার হিসেবে বাইসাইকেল ও ৬৬ জনকে স্কুল ব্যাগ প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে উপজেলার বহুরিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী।  শিশু-কিশোরদের মোবাইলের কুফল, অতিরিক্ত আসক্ততা থেকে নামাজে আগ্রহী ও মসজিদমুখী করতেই এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমাম ও খতিব। মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের রমজান মাসের ১০ দিন পূর্বে এই নামাজ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে ১০ এপ্রিল শেষ হয়। যেখানে বহুরিয়া গ্রামের ৬৯ জন কিশোর অংশ নেন। টানা ৪০ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে এসে আদায় করতে সক্ষম হয় ২৯ জন কিশোর। বাকি ৩০ জন কিশোর একাধারে ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়তে সক্ষম হয়নি। এজন্য তাদেরকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে একটি করে স্কুল ব্যাগ প্রদান করা হয়। এদের প্রত্যেকের বয়স ৮ থেকে ১৬ বছর। তারা প্রতিদিন নামাজ শেষে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন। পুরস্কার বিতরণকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বহুরিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি ইয়ামিন বিন মাজিদ, বহুরিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুস ছামাদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক খান আব্দুল আলিম বাদশা, বহুরিয়া ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল সামাদ সিকদার, বহুরিয়া ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া, বহুরিয়া আদর্শ নূরানী ও হাফেজিয়া মাদরাসার সভাপতি মল্লিক লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সিকদার, অর্থ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, বহুরিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কয়েদ আলী সিকদার, সাধারণ সম্পাদক মো. আউলাদ হোসেনসহ এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নূরুল আলম বলেন, সব ধর্মের মূল্যবোধই সৃষ্টির কল্যাণে নিবেদিত। তাই যে আয়োজনের মাধ্যমে ওই কিশোরদের ভালো কাজের দিকে উৎসাহিত করা হয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৭

ঈদের নামাজ শেষে সাকিবকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান
সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের পরিবার এখন বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরেই বসবাস করছে। সাকিবের স্ত্রী ও তিন সন্তান আমেরিকাতেই থিতু হয়েছেন।  যে কারণে সাকিবও নিয়মিত সেখানে যাতায়াত করেন। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্ট সিরিজ শেষে ওমরাহ করতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এরপর নিউইয়র্কে পাড়ি জমান তিনি। সম্প্রতি নিউইয়র্কের কাছে লং আইল্যান্ডে একটি বাড়িও কিনেছেন সাকিব। বুধবার (১০ এপ্রিল) সেখানে ঈদ উদযাপন করেছে মুসলিম সম্প্রদায়। সেখানকার জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত হয়। সেখানে সবার সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন সাকিব। তবে এদিন তাকে অস্বস্তিতে সময় কাটাতে দেখা গেছে। কিছুটা নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন তিনি। প্রথমে কালো জ্যাকেট ও মাস্কে ক্যামেরা থেকে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন সাকিব। তবে কোনভাবেই বিষয়টি সম্ভব না হওয়ায় মাথা নিচু করে থাকার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময়ে নিউইয়র্কে ঈদের নামাজে তাকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন সেখানে উপস্থিত সমর্থকরা। এর আগে, বিপিএলের ঢাকা পর্বের পর সিলেট পর্বেও তাকে গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের মুখ থেকে ভুয়া-ভুয়া স্লোগান শুনতে হয়েছে। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও নিজেকে সামলে নেন তিনি। কোন প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন তিনি। বিব্রত হওয়ার পরও বেশ শান্তই ছিলেন সাকিব। নামাজ শেষে দ্রুতই এলাকা ছেড়ে চলে যান সাকিব। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে প্রত্যক্ষদর্শীকে বলতে শোনা যায়, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে (JMC) ঈদের নামাজ এবং সংবাদ সংগ্রহ করতে যাই। খুতবা শুরু হওয়ার আগে যথারীতি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের শেষে হঠাৎ করে একজনকে বলতে শুনা যায়, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এখানে আছেন, নামাজ পড়বেন। ঠিক তখনই পিছন থেকে অনেকেই ভুয়া ভুয়া বলে উঠেন। আমি তখন ঈদের দিন হিসেবে পজিটিভলি সেই দৃশ্য রেকর্ড করিনি। হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম একজন (ভাই) সেলফি তুলার জন্য সাকিবের কাছে এসে সেলফি তুলেন। একপর্যায়ে সাকিব ওই লোকের ওপর খেপে যান, তখন আমি দেখে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কুইক ক্যামেরা ওপেন করে দৃশটি ভিডিও শুট করলাম।  আরও বলতে শোনা যায়, পাশাপাশি আরও অনেক সাংবাদিক ছিলেন, তখন একপর্যায়ে তিনি (সাকিব) দোয়া না করেই মাঠ ত্যাগ করেন। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম, সাকিব (ভাই) কি হয়েছে, দোয়া করেই চলে যাচ্ছিলেন কেন একটু যদি বলতেন। তিনি কিছু না বলাতে আবার আমি জিজ্ঞেস করলাম (ভাই); কিছু একটু বলেন কেন এই ঘটনাটি ঘটেছে? আসলে যারা তার প্রিয় তারকার পাশে দাড়িয়ে একটা ছবি তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং অনেকেই লাইনে দাড়িয়ে থাকেন। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেন না যে আমি আজকে সেলিব্রিটি হয়েছি সেইসব ভক্তদের কারণে। একবারও ভাবেন না যে আমি সাকিব হয়েছি; তাদের কারণে যারা কি না; আমার নাম ধরে চিৎকার দিয়ে উল্লাস করে। তারপরেও আমি সাকিবের প্রতি পজিটিভ যদি তিনি তার রিয়েকশন বা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াকে ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারেন।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৮

গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়
দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঈদের নামাজ পড়তে আসেন লাখ লাখ মানুষ। ঈদের জামাতকে ঘিরে এখানে সৌহার্দ্যের পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন ৬ লাখ মুসল্লি। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায়  লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা শামসুল আলম কাশেমী। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ দিকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিরা। জানা যায়, বৃহৎ এ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন। নামাজে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম ও প্রধান বিচারপতি (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল আলম দুলাল, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বস্তরের জনগণ। নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠের সমন্বয়ক, পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। এর আয়তন প্রায় ২২ একর। এবার দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তিনি বলেন, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে এ মাঠের সুন্দর মিনারটি নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সুন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে। ঈদের নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল  আলম দুলাল, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমে, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দু’টি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উল্লেখ্য, আগে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরেও ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫০

আজ ঈদ
মুসলমানদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি ঈদুল ফিতর। সারাদেশে আজ পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। মুসলমানদের ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের বন্যা। ৩০ দিনের সংযম আর সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো পবিত্র রমজান মাস। ভালবাসা, সাম্য-সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে এলো খুশির ঈদ।  আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) উদযাপিত হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবাই শামিল হবেন ঈদগাহ ময়দানে। আদায় করবেন দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ। দোয়া ও মোনাজাত শেষে কোলাকুলি করবেন সবাই। ভুলে যাবেন সব ভেদাভেদ। আজ ঈদ। ঘরে ঘরে আজ বইছে আনন্দের জোয়ার। রাজধানীতে কোথায় কখন ঈদের জামাত বরাবরের মতো এবারও রাজধানীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে, সকাল সাড়ে ৮টায়। এ ছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের পাঁচটি জামাত হবে পর্যায়ক্রমে। জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ৩৫ হাজার নারী-পুরুষ একসঙ্গে ঈদুল ফিতরের সালাত আদায় করবেন। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য ইতোমধ্যে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ক্বারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায় ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক। দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম এ জামাতে ইমাম থাকবেন। মুকাব্বির থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূর উদ্দীন তৃতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন। এ জামাতে মুকাব্বিরের দায়িত্বে থাকবেন মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী। সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী এবং মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. জসিম উদ্দিন। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ইমাম থাকবেন মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান এ জামাতে ইমামতি করবেন। তার সঙ্গে মুকাব্বির হবেন মসজিদের খাদের মো. রুহুল আমিন। এ পাঁচটি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। রাজধানীর অন্যান্য ঈদ জামাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় জমঈয়তে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআয় সকাল ৮টা ও সকাল ৯টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদ ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল লন মসজিদ এবং ঢাবির আবাসিক এলাকার বায়তুন নূর জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদ জামাত হবে। সকাল সোয়া ৭টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে খেলার মাঠের পরিবর্তে নামাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে প্রথম জামাত বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত বকসি বাজার বায়তুস সালাম মসজিদে সকাল ৮ টায় এবং আজাদ আবাসিক এলাকা মসজিদে সকাল ৮টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কাজীপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তিনটি জামাত যথাক্রমে সকাল ৭টা, ৮টা ও ৮টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে, দারুস সালাম মীর বাড়ি আদি (মাদবর বাড়ি) জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সকাল ৮টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে, পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার মিয়া সাহেবের ময়দান খানকা শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৭টায়, লক্ষ্মীবাজার নূরানি জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট ও সকাল সাড়ে ৮টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে, খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া পল্লীমা সংসদ প্রাঙ্গণে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সায়েদাবাদ চিশতিয়া দরবার শরফয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, সিলেটের কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা, সাড়ে ৮টা ও সাড়ে ৯টায় মোট তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর পল্লবীর ২ নম্বর ওয়ার্ডে হারুন মোল্লাহ ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কামরাঙ্গীরচর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। কামরাঙ্গীরচর হাফেজ্জী হুজুর মসজিদ মাদরাসায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের একটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫০

ডকে ঈদের নামাজ পড়লেন জিম্মি নাবিকরা
জাহাজের ডকে একসঙ্গে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় নামাজ আদায়ের পর একসঙ্গে ছবিও তুলেছেন তারা। এক জিম্মি নাবিকের পরিবার জানিয়েছে, নামাজের পরে তারা কোলাকুলি করেন এবং পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তারা পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। জানা গেছে, জিম্মি জাহাজটি এখন সোমালীয় জলসীমায় অবস্থান করছে। বুধবার সোমালিয়াসহ ওই অঞ্চলটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এদিন নামাজ আদায়ের জন্য এদিন নাবিকদের জাহাজের ডকে আসার সুযোগ দেয় দস্যুরা। একই সঙ্গে নাবিকদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও করে জলদস্যুরা। কবীর গ্রুপের মুক্তিপণ আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়েছে জলদস্যুরা। তারা গত ২৭ মার্চ থেকে নাবিকদের কেবিনে থাকতে দিচ্ছে, পাশাপাশি জাহাজে কাজ করার সুযোগও দিচ্ছে। সবশেষ বুধবার ঈদের দিন জাহাজের ডকে তাদের একসঙ্গে নামাজ আদায়ের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি ভালো খাবারের ব্যবস্থাও করে সৌমালি দস্যুরা। এদিকে বুধবার সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। প্রথমত যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত তাদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রচুর চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল সেটি এই মুহূর্তে নেই। আমরা আশা করছি তাদেরকে শিগগির মুক্ত করতে পারবো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ দুটোই উদ্ধার করার ক্ষেত্রেই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই তাদেরকে মুক্ত করতে পারবো। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে হাইজ্যাক করে সোমালীয় দস্যুরা। এরপর জলদস্যুরা জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো যোগাযোগ করে ২০ মার্চ। এর আগে ১৬ মার্চ রাত ৮টায় ওই জাহাজের এক নাবিকের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলাপ হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, জলদস্যুরা এখন নিয়মিত পরিবার ও মালিকপক্ষের সঙ্গে জিম্মি নাবিকদের আলাপ করতে দিচ্ছে। এর আগে ২০১০ সালে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ এমভি জাহান মণি ২৬ নাবিকসহ সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়ে। সেবার প্রায় চার মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই এমভি জাহান মণির জিম্মি নাবিকদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ ইদ্রিসও। তিনি বলেন, তাদের ক্ষেত্রে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার পর হেলিকপ্টার থেকে দুটি পানিরোধী কার্টনে মুক্তিপণের অর্থ সাগরে ফেলা হয়েছিল। দস্যুরা নৌযান নিয়ে গিয়ে প্যাকেট দুটি জাহাজে তুলে আনে। দাবিকৃত অর্থ বুঝে পেয়ে পরদিনই ভোরে জাহাজটি থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজ আবার চলতে শুরু করে দেশের পথে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৪

জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন রাষ্ট্রপতি
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ঈদগাহে সর্বস্তরের মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, রাষ্ট্রপতি তার পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সকাল সাড়ে ৮টায় মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের প্রধান ঈদের নামাজে অংশ নেবেন। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করা সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতি সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাবেন প্রধান বিচারপতি, ধর্মমন্ত্রী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। নামাজ শেষে রাষ্ট্রপ্রধান ঈদগাহে মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এদিকে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাতে ৩৫ হাজার মুসল্লির অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। মেয়র তাপস বলেন, জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এই জামাতে নারীদের নামাজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। গত দুই বছরের মতো ঢাকাবাসীকে আমরা আমন্ত্রণ জানাতে চাই, পরিবার-পরিজন নিয়ে এই জামাতে অংশগ্রহণ করার জন্য এবং ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, এখানে ৩৫ হাজার মুসল্লির জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি কোনো ধরনের বৃষ্টিপাত হবে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমরা সে ধরনের তথ্য পেয়েছি। কালবৈশাখী ঝড় অথবা প্রবল বৃষ্টিপাত হলেও এখানে যেন সুষ্ঠুভাবে জামাত অনুষ্ঠিত করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। পুরোটা অংশ আমরা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। যেন পানি পড়তে না পারে এবং কোনো দুর্ভোগ না হয়।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়