• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
টি-শার্টে অশ্লীল বাক্য, জুতা পায়ে নাচানাচি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সংবর্ত-৩৬ ব্যাচের আয়োজনে ‘ব্যাচ ডে’ পালিত হয়েছে। যেখানে ব্যাচটির শিক্ষার্থীরা টি-শার্টে বিভিন্ন অশ্লীল বাক্য লিখে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মৃত্যঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে জুতা পায়ে নাচানাচি করে। এ বিষয়ে ফেসবুকে নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।  বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এতে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সরজমিনে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা একে অপরের সাদা টি-শার্টে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বাক্য লিখে উদযাপন করছে। কেউ কেউ শিক্ষকদের নিয়েও বিভিন্ন অশ্লীল বাক্য লিখেছে নিজেদের টি-শার্টে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে জুতা পায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের ওপর নাচানাচি করতে দেখা যায়।  এ ব্যাচ ডে’ অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান বলেন, যেটা হয়েছে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। আমরা নতুন হওয়ায় অনেক কিছু বুঝে উঠতে পারিনি।  টি-শার্টে অশ্লীল বাক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, কে বা কারা করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।  বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাচ ডে নামক যে অপসংস্কৃতি দেশে চালু আছে যেখানে টি-শার্টে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বাক্য লেখা। শিক্ষার্থীরা এক সঙ্গে আনন্দ করবে তাই বলে তারা কুরুচিপূর্ণ আচরণ করবে এটা মানানসই নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে একজন শিক্ষার্থীর কাছে এমন আচরণ প্রত্যাশা করা যায় না।  তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের আদর্শের জায়গা। তার প্রতিকৃতিতে জুতা পায়ে নাচানাচি করা অবশ্যই জাতির জন্য অসম্মানজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিষয়টি নজরে রাখা উচিত।  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, আচরণবিধির বিষয়ে দিকনির্দেশনা সাপেক্ষে তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। আমরা বিষয়গুলো দেখেছি এবং আগামী শনিবার প্রক্টর অফিসে তাদেরকে ডেকেছি। সার্বিক বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখব। এ নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এটার আয়োজক কারা বা কেন করেছে তা আমি জানি না। তবে যদি এমন কুরুচিপূর্ণ বাক্য কেউ ব্যবহার করে তাহলে অবশ্যই সেটি একটি নিন্দনীয় কাজ। আমি বিষয়টা খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়