• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
মাত্র এক হাজার ডলারের বিনিময়ে নারীকে হত্যায় নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগের মাধ্যমে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনো ব্যক্তির এ পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ডটি কার্যকর করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের হত্যা মামলার দোষী সাব্যস্ত আসামি কেনেথ ইউজিন স্মিথকে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। নাইট্রোজেন গ্যাসের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর আটকাতে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এবং নিম্ন আপিল আদালতে আপিল করেন কেনেথ স্মিথের আইনজীবীরা, কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। খারিজের পর কেনেথের আইনজীবীরা বলেছিলেন,  নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি নিষ্ঠুরতা এবং অস্বাভাবিক শাস্তির সমান। মাস্কের মাধ্যমে তাকে যখন নাইট্রোজেন গ্যাস শুষে নিতে বলা হবে, স্মিথ নিজের বমির গন্ধেই দমবন্ধ হয়ে মারা যাবে। এদিকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পদ্ধতিটি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠনও দণ্ড কার্যকর স্থগিত করার দাবি জানায়। তবে দেশটির শীর্ষ আদালত মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়ে বৃহস্পতিবার কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে স্মিথ এবং তার সঙ্গী মাত্র এক হাজার ডলারের বিনিময়ে এক নারীকে হত্যা করেন। ১৯৮৯ সালে তাদের দুজনকে এ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২২

নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে
যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে কেনেথ স্মিথ নামে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। স্মিথ তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করলে বুধবার তা খারিজ করে দেওয়া হয়। ১৯৮৮ সালে এলিজাবেথ সেনেট নামে এক নারীকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন স্মিথ। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু করে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৬টার (মোট ৩০ ঘণ্টা) মধ্যে এ দণ্ড কার্যকরের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আলাবামার গভর্নর কে আইভি। এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রথম ঘটনা। এর আগে ২০২২ সালে প্রাণঘাতী ইনজেকশন প্রয়োগ করে প্রথম দফায় কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তখন দণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। আলাবামার রিপাবলিকান গভর্নর আইভি আলাবামা অঙ্গরাজ্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া নতুন করে পর্যালোচনার ঘোষণা দেন। এর কয়েক মাস পর পর্যালোচনা শেষ হয়। নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য বৃহস্পতিবার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ২০২৩ সালের মে মাসে দ্বিতীয় দফায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রচেষ্টা চালানোর এ সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন স্মিথ। তার আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, অঙ্গরাজ্যের স্থানীয় আদালতে স্মিথ বলেছিলেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় এ প্রচেষ্টা মার্কিন সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীকে লঙ্ঘন করবে। ওই সংশোধনীতে নিষ্ঠুর ও অস্বাভাবিক শাস্তি প্রদানের বিরুদ্ধে বলা আছে। তাছাড়া ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে প্রথম দফায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর মারাত্মক রকমের শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক যন্ত্রণায় ভুগতে হয়েছে বলেও দাবি স্মিথের। প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে এলিজাবেথ সেনেট নামের এক নারীকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন স্মিথ। ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ স্মিথকে ইনজেকশন প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমতি দেন। ৯ জন বিচারপতিবিশিষ্ট আদালতের ৩ জন বিচারপতি এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ভিন্নমত জানিয়েছিলেন। এলিজাবেথ সেনেটকে খুন করার জন্য কেনেথ স্মিথ এবং তার এক সহযোগীকে ভাড়া করেছিলেন ওই নারীর স্বামী চার্লস সেনেট। আইনজীবীরা বলেছেন, স্ত্রীর বিমার টাকা পেতে এ ষড়যন্ত্র করেছিলেন চার্লস। পরে তিনি আত্মহত্যা করেন। এ হত্যার ঘটনায় স্মিথের সহযোগীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১০ সালে এ দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।  
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়