• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘নারীবাদ’ সমাজ ও পারিবারিক বন্ধন নষ্ট করছে : নোরা ফাতেহি
মাত্র পাঁচ হাজার রুপি নিয়ে ভারত এসেছিলেন নোরা। বলিউডে জায়গা পেতে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। এক ফ্ল্যাটে নয়জনের সঙ্গে বাস করতে হয়েছে। অর্থের অভাবে করতে হয়েছে ক্ষুধার কষ্ট। বলছি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নোরা ফাতেহির কথা। খুব অল্প সময়েই নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন এই তিনি। তবে অভিনয়ের চেয়ে নাচেই বেশ পারদর্শী নোরা। শুধু তাই নয়, বলিউডে তিনি ‘বেলি ডান্স কুইন’ হিসেবে পরিচিত।  এদিকে প্রতিষ্ঠিত নারীদের অনেকেই নারীবাদের আদর্শে বিশ্বাসী। সবসময় ভাবেন পুরুষরা নারীদের পদে পদে প্রতিবন্ধকতকা তৈরি করে। তবে সাবলম্বী নারী হয়েও এই ধারণা পোষণ করেন না নোরা। তিনি মনে করেন নারীবাদ সমাজকে ধ্বংস করে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই ধারণায় আমার দরকার নেই। নারীবাদ শব্দটা আসলে একটা সি…। এটা একটা ঢেউয়ের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আমি বিশ্বাস করি না। আসলে আমি মনে করি, নারীবাদ আসলে আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।  এরপর বলেন, পাশ্চাত্য-প্রাচ্যের সামাজিক ধ্যান-ধারণার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এখানে নারীবাদের নামে বলা হচ্ছে, পুরুষরা আসলে মেয়েদের স্বাধীনতায় বাধা, পুরুষরা খারাপ, বিয়ে কোরো না, সন্তানের জন্ম দিও না, এগুলো সব পুরনো ধ্যান-ধারণা, এইসব…। এগুলো আখেরে সমাজের ক্ষতিই করছে, পারিবারিক বন্ধন নষ্ট করছে। এই অভিনেত্রী  আরও বলেন, পুরুষরা খাবার সরবরাহকারী, উপার্জনকারী এবং মহিলা লালনপালনকারী, এতে খারাপ কী আছে! আমার তো খারাপ মনে হয় না! নারীবাদকে যেভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। আমি মনে করি, নারীরা লালন-পালনকারী, হ্যাঁ তবে তাদেরও কাজ করা উচিত এবং তাদেরও নিজস্ব জীবন থাকা উচিত এবং স্বাধীন হওয়া উচিত। তবে সেটাকে নারীবাদের নামে যেভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে নোরা অভিনীত ‘মাদগাঁও এক্সপ্রেস’। এটি পরিচালনা করেছেন কুণাল খেমু। ছবিটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিব্যেন্দু, প্রতীক গান্ধী এবং অবিনাশ তিওয়ারি।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৬

স্বামী গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় সৎ মেয়েকে হত্যা
স্বামী গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় মেয়ে জোনাকিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন সৎ মা নার্গিস বেগম। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে লাশ উদ্ধারের ১০ ঘন্টা পর হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি। এসব তথ্য জানান যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম। তিনি জানান, এ ঘটনায় নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নার্গিস পুলিশকে জানান, এ পর্যন্ত তিনবার তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করেছেন স্বামী। সেই ক্ষোভে তিনি সৎ মেয়ে জোনাকিকে কৌশলে বাড়িতে এনে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। জোনাকি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পোড়াবাড়ি গ্রামের শাহীন তরফদারের মেয়ে। সে তার নানির কাছে থাকত। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে পুকুর থেকে জোনাকির (৯) লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মুখ, হাত, পা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় তার সৎ মাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন জোনাকির সৎ মা নার্গিস বেগম। হত্যার দায় স্বীকারের পর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নার্গিস বেগমকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেয়। এ সময় জোনাকির কাপড় ও জুতা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নার্গিস জানান, তার স্বামী গর্ভে আসা তিনটি সন্তান নষ্ট করেছে। এ কারণে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। জোনাকি বেড়াতে আসার পর তিনি ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তাকে হত্যা করেন। হত্যার পর লাশ দরজার পাশে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। বাড়ির সবাই জোনাকিকে খুঁজে না পেয়ে থানায় জিডি করতে গেলে লাশ নিয়ে পুকুরে ফেলে আসেন। যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, জোনাকি সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ হয়। ঘটনার দিন রাতেই যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় ডিজি করে শিশুটির পরিবার। মঙ্গলবার বাসার পিছনের ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঈদের আগে বেড়াতে এসে সৎ মায়ের হাতে খুন হয় শিশু জোনাকি।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১০

‘যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের চেয়েও বেশি খাবার নষ্ট করে বাংলাদেশিরা’
বাংলাদেশে গড়ে একজন ব্যক্তি বছরে ৮২ কেজি খাবার অপচয় করছেন। বাংলাদেশিদের খাবার অপচয়ের এই হার ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চেয়েও বেশি। জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচি ইউনেপের ‘ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে ২০২২ সালে বাসাবাড়ি, খাদ্য সেবা ও খুচরা পর্যায়ে মোট খাদ্যের প্রায় ১৯ শতাংশ অর্থাৎ একশ কোটি টনের বেশি খাবার অপচয় হয়েছে; যার প্রায় ৬০ শতাংশই অপচয় হয়েছে বাসাবাড়িতে হয়েছে। এ ছাড়া গড়ে একজন মানুষ বছরে ৭৯ কেজি খাবার অপচয় করেছেন। জাতিসংঘের হিসেবে বাসাবাড়িতে এক ব্যক্তি বছরে গড়ে বাংলাদেশে  ৮২ কেজি, ভারতে ৫৫ কেজি, যুক্তরাজ্যে ৭৬ কেজি, যুক্তরাষ্ট্রে ৭৩ কেজি ও রাশিয়ায় ৩৩ কেজি খাবার অপচয় করেছেন। সবচেয়ে বেশি খাবার অপচয় হয়েছে মালদ্বীপে ২০৭ কেজি। আর সবচেয়ে কম ১৮ কেজি হয়েছে মঙ্গোলিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের চেয়েও বাংলাদেশে কেন বেশি খাদ্য অপচয় হচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য অপচয়বিষয়ক গবেষক অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশে একেবারে উচ্চ আয়ের পরিবারগুলোতে বেশি খাদ্য নষ্ট বা অপচয় হয়। আমরা ‘এস্টিমেশন অব ওভারঅল ফুড লসেস অ্যান্ড ওয়েস্ট এট অল লেভেলস অব দ্য ফুড চেইন’ শীর্ষক এক গবেষণায় দেখেছি, উচ্চ আয়ের বাসাগুলোতে সপ্তাহে একজন মানুষ দুই কেজির বেশি খাবার অপচয় করে থাকেন। এ ছাড়া নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এ ক্যাটাগরির রেস্তোরাঁগুলোতেও সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত খাদ্য অপচয় হয়ে থাকে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্ডার দেওয়া এবং সব খাবার একটু চেখে দেখার প্রবণতাই রেস্তোরাঁগুলোতে খাবার অপচয়ের বড় কারণ বলে ওই গবেষণায় বলা হয়েছে। গবেষকরা মনে করেন, রেস্তোরাঁ বা কমিউনিটি সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেশি নজরদারি বা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকায় খাদ্য অপচয় প্রতিরোধে উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়ে ভালো করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, খাবার অপচয় প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো ছাড়া আমাদের তেমন কিছু করার নেই। আমরা ভোক্তা পর্যায়ে কেউ নষ্ট বা মানহীন খাবার দিলে ব্যবস্থা নিতে পারি। কিন্তু কেউ খাবার নষ্ট বা অপচয় করলে আমাদের কিছু করার নেই।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৮

বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয় : জাতিসংঘ
বিশ্বজুড়ে ২০২২ সালে প্রতিদিন ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হয়েছে। বেশির ভাগ খাবার অপচয় হয়েছে বাসাবাড়িতে। বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খাবার অপচয়ের এ ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে। জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখ কোটি ডলার মূল্যের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন। বাড়িঘরগুলোতে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষাবিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশনস এনভায়র্নমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, খাদ্যের এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, , ফেলে দেওয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচগুণ বেশি। প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর এএফপিকে বলেন,‘আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এ ছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্য প্রকৃত আরও অনেক, অনেক বেশি। এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি।  সূত্র : সিএনএন
২৮ মার্চ ২০২৪, ২০:০২

রক্তদানে কি রোজা নষ্ট হয়? 
সিয়াম সাধনার এই মাসে সংযম পালনে ভুলবশত কিছু বাড়াবাড়ির শিকার হই আমরা। বিভিন্ন বিধান পালনের ক্ষেত্রে কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না, বা করা গেলেও তার সীমা কতটুকু তা অনেকেই জানি না। ফলে বহু মানুষ অযথা কষ্ট ভোগ করে।  আমাদের সমাজে রোজা নিয়ে বহুল চর্চিত এরকম একটি প্রশ্ন হচ্ছে, রোজা রেখে কাউকে রক্তদান করলে রোজা নষ্ট হবে কি না। শরীয়ত নির্ধারিত রাস্তাগুলো দিয়ে কোনো কিছু মস্তিষ্ক ও উদরে প্রবেশ করলেই শুধু রোজা ভাঙ্গবে। রক্তদানের কারণে যেহেতু কোনও বস্তু দেহের ভেতরে ঢোকে না, তাই তাতে রোজা নষ্ট হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাই শরীয়ত মোতাবেক শরীর থেকে রক্ত বের হয়ে যাওয়া রোজা ভঙ্গের কারণ নয়।  অতএব, দুর্ঘটনা বশত: রক্ত বের হওয়া, অন্যকে রক্ত দেওয়া রোজা ভঙ্গের কারণ নয়। অবশ্য মুখ ভরে বমি হওয়া কিংবা অল্প অল্প বমি মুখ ভরে হওয়ার সমান সাব্যস্ত হওয়া রোজা ভঙ্গের কারণ। রক্ত বমির ক্ষেত্রেও একই মাসআলা। আবার রোজা রেখে নিজে রক্ত নিলে যেহেতু এ রক্ত শরীরের উল্লেখযোগ্য চার নালির কোনো নালি দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে না, বরং শরীরের অন্যান্য ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে প্রবেশ করে; সুতরাং রোজাবস্থায় নিজে রক্ত গ্রহণ করলেও রোজা নষ্ট হবে না। তবে, রক্তদানে শরীর দুর্বল হয়ে রোজা ভঙ্গের আশঙ্কা থাকলে, তা মাকরূহ বলে বিবেচিত। হযরত সাবিত আল বানানী থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, ‘হযরত আনাস বিন মালেক (রা)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে, রোজাদারের জন্যে সিঙ্গা লাগিয়ে শরীর থেকে রক্ত বের করাকে আপনি কি অপছন্দ করেন? জবাবে তিনি বলেন, না আমি অপছন্দ করি না। তবে দুর্বল হয়ে পড়ার ভয় থাকলে ভিন্ন কথা।’ (সহীহ আল বোখারী ১:২৬০)  নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে রোজা রেখে সিঙ্গা লাগিয়েছেন। তা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।  সিঙ্গার মাধ্যমে শরীরের বিষাক্ত রক্ত বের করা হয়। তাই রোজা রেখে নিজের টেস্ট বা পরীক্ষার জন্য কিংবা কোনো রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজনে রক্ত দিলে রোজার কোন ক্ষতি হবে না। তবে রক্ত দিতে গিয়ে দুর্বল হয়ে রোজা ভেঙ্গে ফেলার আশঙ্কা থাকলে, সে অবস্থায় রক্ত দেওয়া মাকরুহ হবে। (সহীহ আল বোখারী, হাদিস নং-১৯৩৮, মুসলিম শরিফ, হাদিস নং-১১০৬, আবু দাউদ শরিফ, হাদিস নং-২৩৭২)    
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১৯

'ড. ইউনূসকে হয়রানিতে নষ্ট হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক'
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি করে তার বিরুদ্ধে সব হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের আইন বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ডিক ডারবিন। একইসঙ্গে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক হয়রানি বন্ধ না হলে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে বৈঠক ক‌রে এ অভিমত জানান ডিক ডারবিন। বৈঠকে 'ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানি' বন্ধের আহ্বান জানান এ সিনেটর।  বাংলাদে‌শি দূতের সঙ্গে বৈঠ‌কের এক‌টি ছ‌বি নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে সিনেটর ডারবিন লিখেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে মূল্য দেয় যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা দেওয়ায় আমি বাংলাদেশের প্রশংসা করি। কিন্তু ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা অবসানের ব্যর্থতা দুদেশের অংশীদারত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।  এদিকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সোমবার (১১ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখাতে এসব মামলায় আইনের অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১০:১৬

বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় পরীক্ষাগারে ভ্রুণ নষ্ট হলে মামলা করা যাবে! 
বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) পদ্ধতিতে শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে হাসপাতালের পরীক্ষাগারে মানবভ্রুণ নষ্ট হলে মামলা করা যাবে এখন থেকে। কারণ, হিমায়িত মানবভ্রূণকেও বিবেচনা করা হবে শিশু হিসেবে। সম্প্রতি এমনই এক রুল জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছেন, দুর্ঘটনাক্রমে হিমায়িত মানবভ্রূণ নষ্ট বা ধ্বংসের জন্য ব্যক্তিকে আইনগতভাবে দায়ী করা যাবে। খবর বিবিসির।  সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রজনন চিকিৎসা নিয়ে তর্কবিতর্কের নতুন একটি ক্ষেত্রের সূত্রপাত ঘটিয়েছে আলাবামার সুপ্রিম কোর্টের এই রুল। আদালতের এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে আইভিএফ সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বার্মিংহাম হাসপাতালের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় অক্ষরাজ্যটির বৃহত্তম হাসপাতাল এটি। ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা গেছে। রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে।  চিকিৎসা বিশেষজ্ঞসহ প্রজনন অধিকার গোষ্ঠীগুলো সতর্ক করে বলছে,  আলাবামা অঙ্গরাজ্য ও তার বাইরে বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে আদালতের এই রুল। আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, তারা কৃত্রিম গর্ভধারণ পদ্ধতি আইভিএফ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখবে। তবে, তারা নারীদের ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু পুনরুদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাবে।  রক্ষণশীল গোষ্ঠীগুলো অবশ্য আদালতের এই রুলকে স্বাগত জানিয়েছে। ক্ষুদ্রতম ভ্রূণও আইনি সুরক্ষা পাওয়ার দাবি রাখে বলে অভিমত তাদের।   
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৩

প্রমাণ মুছতে সিসি ক্যামেরা নষ্ট করে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৯
রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মজিদ বেয়ারা এলাকার একটি আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ির নিচতলার জানালার গ্রিল কেটে পাঁচ থেকে ছয়জন ডাকাত ডুকে পড়ে ভেতরে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় বাড়ির মালিক, তার স্ত্রী এবং দুই শিশু সন্তানকে। ডাকাতি করে নেওয়া হয় নগদ টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী। প্রমাণ মুছতে আগেই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, গত ৯ অক্টোবর রাত ৩টা ৪৮ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয় ডাকাতরা। প্রথমেই তারা ওই বাসায় থাকা প্রতিটি কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। বাসার লোকজনকে একে একে অস্ত্রের মুখে করে জিম্মি। নারীদের আটকে রাখা হয় আলাদা কক্ষে। রাত সাড়ে ৪টার মধ্যেই ডাকাত দলটি লুট করে নেয় বাড়িতে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৯ সদস্যকে গত শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)  গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রটি ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল জানিয়ে পুলিশ বলেছে, ডুপ্লেক্স বাড়ি টার্গেট করে ডাকাতির আগে তারা বেশ কয়েক দিন রেকি করেছে।  ঢাকার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ডাকাতরা কেউ ফেরিওয়ালা সেজে, কেউ বাড়িগুলো সুন্দর বলে পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেন। এই ফাঁকেই তারা খুঁজে নিতেন, কীভাবে কোন পথে বাসায় প্রবেশের সুযোগ আছে।   তিনি বলেন, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে অনেকেই বাগানবাড়ি টাইপের অট্টালিকা তৈরি করছেন। মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে তারা অবস্থান করেন। আবার অনেকেই স্থায়ীভাবে সেখানে অবস্থান করেন। কিন্তু আমরা দেখেছি যে অনেকেই অনেক টাকা খরচ করে বাড়িগুলো বানিয়েছেন। কিন্তু সেখানে নিরাপত্তার বিষয়টি যেমন সিটি ক্যামেরা বা পাহারাদার রাখার মতো অনেক বিষয়ে তাদের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে।  তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা আছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২২

রণবীর ও আলিয়ার পার্টি নষ্ট করে দিলেন শাহরুখ (ভিডিও)
বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের সঙ্গে কাপুরদের সখ্যতা বেশ। দিওয়ালি হোক বা হোলি, যেকোনো অনুষ্ঠানে কিংবা হাইপ্রোফাইল পার্টিতে একসঙ্গে সুখী পরিবারের মতো ধরা দেন তারকারা। কিন্তু এবার দেখা গেল ভিন্ন দৃশ্য! রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের বাড়ির পার্টি তছনছ করে দিলেন কিং খান। শাহরুখের এমন কর্মকাণ্ড আসলে একটি বিজ্ঞাপনী কৌশল। যেখানে রণবীর-আলিয়াকেও দেখা গেছে একফ্রেমে। তবে অভিনেতারা ফিল্মি পরিচয়েই ধরা দিলেন। রণবীরকে যেখানে ‘রকস্টার’র ভূমিকায় দেখা গেছে, আলিয়া ভাটকে দেখা গেছে গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ির চরিত্রে। আর শাহরুখ খান? তিনি ধরা দিলেন বছর খানেক আগের গ্যাংস্টার ‘রইস’ অবতারে। তিন বলিউড তারকাকে একফ্রেমে দেখে অনুরাগীরা দারুণ উচ্ছ্বসিত। এবং তার থেকেও বেশি চর্চায় বিজ্ঞাপনের কনটেন্ট। বিজ্ঞাপনে শাহরুখকে দেখা গেল, রণবীর-আলিয়ার বাড়ির ছাদ ভেঙে প্রবেশ করতে। আর সেটা দেখেই হতভম্ব ‘গাঙ্গুবাই’ এবং ‘রকস্টার’। নিজের চরিত্রের স্টাইলেই সংলাপ আওড়াতে দেখা গেল তাদের। আর সেই বিজ্ঞাপন দেখেই ‘রকস্টার’, ‘গাঙ্গুবাই’ আর ‘রইস’ শাহরুখকে এক সিনেমায় দেখার আর্জি অনুরাগীদের।     View this post on Instagram A post shared by RUNGTA STEEL TMT BAR (@rungtasteel)
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৮

নারীর পেছনে দৌড়ে সময় নষ্ট করার দরকার নেই : জায়েদ
চিত্রনায়ক জায়েদ খান। কাজের চেয়ে নানান কাণ্ডেই খবরের শিরোনামে থাকেন এই অভিনেতা। এবার নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে তরুণদের বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন জায়েদ।     সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জীবনের নানান দিক নিয়ে কথা বলেন জায়েদ। এসময় তরুণ প্রজন্মকে অভিনেতা বলেন,  নারীর পেছনে দৌড়ে সময় নষ্ট করার কোনো দরকার নেই। জায়েদ বলেন, তরুণ প্রজন্মকে আমি বলব— আগে নিজেকে গড়তে হবে। নেশা করে, ঘুমিয়ে কিংবা ফেসবুকের সময় দিয়ে জীবনের লক্ষ্যে কখনোই পৌঁছাতে পারবে না। পাশাপাশি বাবা-মাকে ভালোবাসতে হবে। পারিবারিক হতে হবে। জীবনে প্রচুর কষ্ট করতে হবে। ইয়াং বয়সে তুমি যতো কষ্ট করবে, সামনের বয়সটা তুমি ততো আরামে কাটাতে পারবে।     টাকা ও নারীর বিষয়ে অভিনেতা বলেন, আগে টাকার পেছনে না ছুটে কাজের পেছনে ছুটতে হবে, তাহলে টাকা তোমার পেছনে ছুটবে। অনেক মেয়ে মানুষের পেছনে দৌড়ে সময় নষ্ট করার কোনো দরকার নেই। তুমি নিজে প্রতিষ্ঠিত হও, নিজের পায়ে দাঁড়াও। নারীই তোমাকে খুঁজে নেবে তোমার পজিশন অনুযায়ী। কারণ দিনশেষে নারী যোগ্য ও সম্মানিত লোককে খুঁজে নেয়, যে তাদের সম্মান করতে পারে।   শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে চিত্রনায়ক বলেন, শিক্ষা অর্জন করতে হবে। সৎ থাকতে হবে। আমি এতো কথা বলতে পারি কারণ আমি সৎ ও ট্রান্সপারেন্ট। সততা, স্বচ্ছতা ও কঠোর পরিশ্রম— এই তিনের সমন্বয় যখন হবে, তোমার মধ্যে যখন কাজের গতি তৈরি হবে, তখন তোমাকে আর কেউ আটকে রাখতে পারবে না। ট্রেনের মতো শুধু ছুটবে। সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের সংগ্রামের কথাও জানান জায়েদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা শটের জন্য ভোর পাঁচটায় উঠে বসে থাকতাম। অনেক কষ্ট করেছি লাইফে। ২০০৬ সালে আমার ক্যারিয়ার শুরু। তার আগে অনেক স্ট্রাগল। না খেয়ে থাকা, হাঁটা, গেটে দাঁড়িয়ে থাকা, নায়িকাকে গাড়িতে নিয়ে প্রডিউসার চলে যতো। আর আমি গাড়িতে ধাক্কা খেতে খেতে চলে আসতাম। আমাকে নিয়ে লোকে ট্রল করুক আর হাসুক আর যাই করুক।  তবে একদিনে জায়েদের এই পপুলারিটি আসেনি। তার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে আমাকে।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়