• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পুংলি নদীর পাড় কেটে বিক্রির মহোৎসব
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার মহেলা এলাকার পুংলি নদীর পাড় কেটে অবৈধভাবে দিনরাত বিক্রি করছে স্থানীয় শাহআলম নামে এক ব্যক্তি। অবৈধভাবে বালু কেটে বিক্রি করায় একদিকে যেমন শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে, অন্যদিকে হুমকিতে রয়েছে রেলসেতু। এছাড়াও ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয় প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার। মাঝেমধ্যে প্রশাসন লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ এ বালু বিক্রি। সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজম্ব থেকে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহেলা গ্রামের পুংলি নদীতে ৬ টি ভেকু মেশিন বসিয়ে এক শতাধিক ড্রাম ট্রাক দিয়ে দিনরাত বালু বিক্রি করা হচ্ছে।  প্রথমঘাটে এলেঙ্গা পৌরসভার নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নুর আলমের নেতৃত্বে রয়েছে সাবেক বিএনপি নেতা শাহালম, কাদের,জলিল, একাব্বর,মনির, আফজাল মোল্লা, মাজেদুল ও আফজাল প্রামানিক। দ্বিতীয় ঘাটে মামুনের নেতৃত্বে রয়েছে, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল বারেক, মো.জহুরুল ও শরীফ। তৃতীয় ঘাটে ব্যাংকার মহসিনের নেতৃত্বে রয়েছে শহিদউজ্জামান, আয়নাল, তোফাজ্জল হোসেন।  স্থানীয়রা জানায় দিনরাত ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধ ও ওই এলাকার একমাত্র যাতায়াতের রাস্তাটির চরম বেহাল দশা হয়েছে। সামনেই বর্ষা মৌসুম। এলাকাবাসীর ধারণা এভাবে দিনরাত বালুভর্তি ড্রাম ট্রাক চলাচল করলে এই বর্ষা মৌসুমেই ভেঙে পড়তে পারে রেল সেতু ও সড়ক সেতু। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, মো. শাহআলম ওয়ার্ড বিএনপির নেতা। দল ক্ষমতায় না থাকলেও তার প্রভাব একটুও কমেনি। দাপটের সহিত চলাফেরা তার। এছাড়াও রয়েছে তার বিশাল বাহিনী। সে সবসময় বাহিনী নিয়ে চলাফেরা করে। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। প্রতিবাদ করলে তার ওপর হামলা চালায়। ইতোপূর্বে তার বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে এলাকার অনেকেই। তারা আরও জানায়, প্রশাসনের সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে শাহআলমের। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই পুংলি নদী থেকে কোটি কোটি টাকার বালু বিক্রি করছে। মাঝেমধ্যে প্রশাসন দায় এড়ানোর জন্য আসে। আসার আগে খবর দেয়,গাড়ী বন্ধ করে রাখে, এমন সময় প্রশাসন এসে বালু ঘার্ট ঘুরে চলে যায়। প্রশাসন যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে আবার শুরু হয় অবৈধ বালু কাটা। দিনরাত বালু ভর্তি ট্রাক রেল সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করায় ইতোপূর্বেও রেল সেতুটি ধসে পড়েছিলো। পড়ে টনক নড়ে প্রশাসনের। রেল সেতু কর্তৃপক্ষ সেতুর নিচে পিলার ঘেরে রাখে, যাতে করে সেতুর নিচ দিয়ে কোনো যান চলাচল করতে না পারে। সম্প্রতি ওই বালু ব্যবসায়ীরা ওই পিলার তুলে ট্রাক চলাচলের রাস্তা বানিয়েছে। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মো. শাহআলম মুঠোফোনে বলেন, তিনি নদী থেকে বালু মাটি কাটে না। তিনি তার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তির বালু মাটি কেটে বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাৎ হুসেইন বলেন, উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) এসিল্যান্ডকে বলে দিয়েছি, তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:০০

ভারতে প্রথম নদীর নিচে মেট্রোরেল
ভারতের কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গবাসীর দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হলো। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই গঙ্গার নিচ দিয়ে চলল মেট্রোরেল।  বুধবার (৬ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ রুটের উদ্বোধন করেন।  জানা গেছে, এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন থেকে গঙ্গার নিচের মেট্রোরেল রুটের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি। দক্ষিণ কলকাতার তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত অংশেরও উদ্বোধন করেছেন তিনি। উদ্বোধনের পরেই গঙ্গার নিচে মেট্রো সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এরপরই দলীয় নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতের উদ্দেশ্যে রওনা হন মোদি। গঙ্গার নিচের মেট্রো রুটের উদ্বোধনে মাধ্যমে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড রুট ছাড়াও, নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত অরেঞ্জ লাইন মেট্রো রুট, এবং জোকা-তারাতলা পার্পল লাইনে মেট্রো পরিষেবা চালু হলো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।   
০৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

‘চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনার সৌন্দর্য আরও বাড়ানো হবে’
বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন, চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনাকে কোনো ধরনের পরিবর্তন না করে প্রাকৃতিকভাবে থাকা স্থানটিকে আরও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হবে। এখানে যেসব গাছ আছে সেগুলো থাকবে এবং আরও নতুন করে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য গাছ লাগানো হবে। এ ছাড়াও সবুজায়ন করার লক্ষ্যে এখানকার ভূমিতে ঘাস লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে এখানে হাঁটার জন্য ফুটপাত তৈরি এবং ক্যাফেটেরিয়া থাকবে। যাতে করে আগত দর্শনার্থীদের বিভিন্নভাবে সেবা প্রদান করা যায়।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর রেলস্টেশনের অবকাঠামসহ তিন নদীর মোহনার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তিন নদীর মোহনায় যে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা। এটাকে নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে ফিরে আনা। অর্থাৎ চাঁদপুরবাসী যেন সেখানে অবসর সময় কাটানো এবং বিনোদন উপভোগ করতে পারে।  মহাব্যবস্থাপক বলেন, রেলওয়ের অবকাঠামগত উন্নয়ন কাজগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে নিয়মিত কাজ। তারই অংশ হিসেবে চাঁদপুরে আসা। এখানে আমাদের বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান আছে সেগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। আর এখানে যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলোকে পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে পরিকল্পনাও করা হবে। চাঁদপুর-কক্সবাজার ট্রেন চালু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের যে পরিকল্পনা অর্থাৎ যাত্রীদের চাহিদার আলোকে ট্রেনের সময় সূচি র্নিধারণ করি। এটি আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে ভবিষ্যতে এই রুট বর্ধিত করতে পারি। তবে দীর্ঘদিন যেহেতু চাঁদপুর-চট্টগ্রাম যাত্রী চলাচল করছে, সেখানে হুট করে চাঁদপুর থেকে কক্সবাজার ট্রেন চালু করলে চট্টগ্রামের যাত্রীদের আসন কিভাবে দেওয়া হবে। এছাড়া একটি নতুন রুট চালু করার জন্য নতুন ইঞ্জিন ও লোকমাস্টারের প্রয়োজন আছে। এটির সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত আছে। তিনি আরও বলেন, কবে থেকে চাঁদপুর-কক্সবাজার ট্রেন চালু হবে এটা এখনই বলতে পারছি না। তবে আমাদের কক্সবাজার স্টেশনের কাজ এখন শেষ পর্যায়। সেখানে কিছু ব্রিজ ও অবকাঠামগত কাজ চলমান। সবকিছু শেষ হওয়ার পর আমরা আশাবাদি অচিরেই চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ট্রেন চালু হতে পারে। চাঁদপুর-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আরও আধুনিক করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ট্রেনটিতে এখন যাত্রীদের কোনো ধরণের সমস্যা হচ্ছে না। এটি আধুনিক করা হবে, তবে সময় লাগবে। কারণ পদ্মা সেতু নির্মাণের পরে লঞ্চে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তা আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি। তবে আমরা সব সময় যাত্রীর চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। রেলওয়ের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে আসলে রেল লাইনের পাশে থাকা শহরের বাণিজ্যিক এলাকাগুলোর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে ফেলা হয়। কর্মকর্তারা চলেগেলে আবারও বসানো হয়। এসব বিষয়ে কি ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মহাব্যবস্থাপক বলেন, চট্টগ্রাম থেকে রেল লাইনে চাঁদপুরের দুরুত্ব ১৬০ কিলোমিটার। সেখান থেকে এসে এসব অবৈধ স্থাপনা আমরা নিয়মিত তদারকি কিংবা উচ্ছেদ করতে পারব না। এখানকার স্থানীয় প্রশাসন এবং সচেতন নাগরিকরা এগিয়ে না আসলে আমাদের একার পক্ষে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তারপরেও আমাদের পরিকল্পনা আছে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রেলওয়ের সম্পত্তি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনা। কোনভাবেই অবৈধ দখলদারদের সুযোগ দেয়া হবে না। বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম, প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী, বিভাগীয় প্রকৌশলী (১) মো. হানিফ, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তারেক মো. ইমরান, সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ ও পূর্ত) লাকসাম মো. লিয়াকত আলী মজুমদার, রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের চীফ ইনচার্জ মো. সালামত উল্লাহ, চাঁদপুর স্টেশন মাষ্টার (ভারপ্রাপ্ত) সোয়াইবুর শিকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মহাব্যবস্থাপকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা তিন নদীর মোহনাসহ স্টেশনের উন্নয়ন কাজ ও অবৈধ স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করেন।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৫

৫০ কেজির বাগাড়ের সঙ্গে নদীর তলদেশ থেকে উঠে এল মরদেহ
নদীর গভীর থেকে মাছ শিকার করেন দেলোয়ার আহমদ (৩৮)। অন্তত কয়েক লাখ টাকার মাছ শিকার করেছেন তিনি। এক পর্যায়ের মাছ শিকার নেশায় পরিণত হয় দেলোয়ারের। গতকাল বৃহস্পতিবারও (১ ফেব্রুয়ারি) একইভাবে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীতে নেমেছিলেন তিনি। এবারও ৫০ কেজি ওজনের বাগাড় ধরেছেন তিনি, কিন্তু নিজে পানির ওপর উঠতে পারেননি। সহযোগীরা যখন সংকেত পেয়ে দেলোয়ারকে পানির ওপর টেনে তোলেন, তখন সেখানে ছিল তার নিথর দেহ। সঙ্গে বাঁধা ছিল বাগাড়টিও। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর কুরিয়ারবন্দ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত দেলোয়ার তিন বছর ও ছয় মাসের দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তিনি জকিগঞ্জের বারঠাকুরী ইউপির আমলশীদ গ্রামের মো. ইসলাম উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেলোয়ারসহ তিনজন জেলে মাছ শিকার করতে বৃহস্পতিবার বিকেলে কুশিয়ারা নদীতে যান। অক্সিজেন সিলিন্ডার ও রশি নিয়ে দেলোয়ার পানিতে নামেন। এ সময় তার সহযোগীরা নদীতে নৌকার মধ্যে অবস্থান করেন। সংকেত পেয়ে রশি টেনে আনলে দেলোয়ারের মরদেহ দেখতে পান। এ সময় তার শরীরের সঙ্গে ৫০ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় ছিল। পরে তাকে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ছোট বোন আমিনা বেগম বলেন, দেলোয়ারের সঙ্গীয় অন্য শিকারীরা বাড়িতে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থলে এসে ভাইয়ের নিথর দেহ নৌকায় রাখা দেখতে পাই। জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ বলেন, এভাবে মাছ ধরার বিষয়টি প্রথম শুনলাম। ৫০ কেজি ওজনের বাগাড়টি বেশ শক্তিশালী। মাছটি ধরার পর ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে কোনোভাবে অক্সিজেনের মাস্ক মুখ থেকে খুলে থাকতে পারে। এতেই পানির গভীরে শ্বাসরোধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাছটি তার শরীরের সঙ্গে বাঁধা থাকায় তিনি আর ডাঙায় উঠতে পারছিলেন না। ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের আবেদনের ভিত্তিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৪

বাইগার নদীর তীরে স্মৃতিকাতর বঙ্গবন্ধুকন্যা
টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে বর্তমানে গোপালগঞ্জ সফরে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বাইগার নদীর তীরে গিয়ে অনেকটা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন তিনি। কয়েকটি ছবিও তুলেছেন রেকর্ড পঞ্চমবারের সরকারপ্রধান। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে নবনিযুক্ত মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১২টার দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এ সময় তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় তাঁকে।  এরপর নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।  পরে পবিত্র ফাতেহাপাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ’৭৫- এর ১৫ আগস্ট নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা। এদিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নবগঠিত মন্ত্রিসভার প্রথম অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে অনানুষ্ঠানিক এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী৷ এরপর টুঙ্গিপাড়ার আশপাশে কিছু সময় হাঁটেন তিনি৷ একপর্যায়ে তিনি পৌঁছে যান বাইগার নদীর তীরে৷  বাইগার হলো মধুমতির অনেকগুলো শাখা নদীর মধ্যে একটি৷ যেখানে শৈশব-কৈশোর কেটেছে শেখ হাসিনার৷ বাইগারের তীরে গিয়ে কিছুটা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী৷ আজ টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার (১৪ জানুয়ারি) তার অপর নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় যাওয়ার কথা রয়েছে। এদিন বিকেল ৩টায় কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন তিনি।  সেখানে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দুপুরের খাবারও খাবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। পরে সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তিনি। 
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়