• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চাঁদপুরে লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ যাত্রীদের 
চাঁদপুরের মাঝিরচরে ভোলা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন অনেক যাত্রী।  শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে চাঁদপুর নীলকমল চরের কাছাকাছি এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধারে কর্ণফুলী-১৪ লঞ্চ ছুটে যায়। লঞ্চ ম্যানেজার মো. জসিম জানান, লঞ্চটি সকাল সাড়ে ৮টায় ৫শত যাত্রী নিয়ে ভোলার ইলিশাঘাট ছাড়ে। চাঁদপুর নীলকমল চরের কাছাকাছি লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীদের অনেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরে চরে যাত্রীদের নামানো হয়। জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও যাত্রী উদ্ধারে লঞ্চ স্টাফদের পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ কাজ শুরু করে। ওই রুটের অপর দুটি লঞ্চ এমভি সম্পদ ও এম়ভি কর্ণফুলী-১৪ যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করে। কোন প্রাণহানি ঘটেনি। তবে তাড়াহুড়োতে নামতে গিয়ে কিছু যাত্রী আহত হন।
৫৭ মিনিট আগে

সোমেশ্বরী নদীতে নিখোঁজ তরুণের মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বেড়াতে এসে সোমেশ্বরী নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ আবির হাসানের (২০) মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা।  রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই তরুণ নিখোঁজ হন। দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম শফিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  নিখোঁজ আবির গাজীপুরের কেওড়াবাজার এলাকার ফেরদৌস মিয়ার ছেলে।  স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর থেকে শনিবার দুর্গাপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন আবির। পরে রোববার দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বরইকান্দি নামক স্থানের সোমেশ্বরী নদীতে গোসলে নেমে তিনি নিখোঁজ হন।  পরে স্থানীয়রা দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম শফিকের তত্ত্বাবধানে ময়মনসিংহ থেকে আসা ডুবুরি দল উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০ ফুট দূরে বালুর নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।  এ বিষয়ে দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাদের একটি টিম। তারপর ময়মনসিংহের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। তারা আসলে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধারে সক্ষম হয়েছি।’
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৮

দাদির সঙ্গে নদীতে নেমে স্রোতে ভেসে গেল স্কুলছাত্র
ঝালকাঠির নলছিটিতে দাদির সঙ্গে গঙ্গাস্নানে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্র স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় পৌর এলাকার কলবাড়ী সংলগ্ন সুগন্দা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।  স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নলছিটি পৌর এলাকার ব্যবসায়ী শিমুল চক্রবর্তীর একমাত্র ছেলে আদর চক্রবর্তী (১০) তার দাদির সঙ্গে গঙ্গাস্নানের জন্য নদীর তীরে আসে। এ সময় তার দাদি স্নানে ব্যস্ত থাকায় পা পিছলে আদর নদীতে পড়ে যায়। দাদি তাকে ধরার চেষ্টা করলেও রাখতে পারেননি নদীর স্রোত তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।  পুলিশ আরও জানায়, নদীর এই অংশের গভীরতা বেশি। তবে তীর থেকে সেটা বোঝার উপায় নেই দেখলে মনে হবে ঢালু চর। তাই এখানে স্রোতের তীব্রতা অনেক বেশি; যার কারণেই ছেলেটি স্রোতের টানে পানির নিচে চলে গেছে।  খবর পেয়ে বরিশাল সদর থেকে একটি ডুবুরি দল সকাল সাড়ে এগারোটায় নলছিটি এসে পৌছেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা তল্লাশি চালাচ্ছেন। নিখোঁজ আদর চক্রবর্তী স্থানীয় বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করে বলে জানা গেছে।  নলছিটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী জানান, আমাদের পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে। এ ছাড়া নলছিটি ফায়ার সার্ভিস ও বরিশাল সদর থেকে আগত ডুবুরি দল উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৩

নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু 
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ঈদে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে যমুনা নদীতে ডুবে মিনহাজ (৯) ও মিনাল (৭) নামে ২ ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল সাপধরী ইউনিয়নের চরশিশুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত ২ সহোদর মিনহাজ ও মিনাল ওই উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের জারুতলা এলাকার আজহার আলীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার উপজেলা বেলগাছা ইউনিয়নের জারুল তলা এলাকা থেকে মা চায়না আক্তার ২ ছেলে ও স্বামী আজহার আলীকে সঙ্গে নিয়ে চরশিশুয়া গ্রামে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। রোববার দুপুরে বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনার শাখা নদীর পানিতে স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে মিনহাজ ও মিনাল মাছ ধরতে যান। সাঁতার না জানায় মাছ ধরার কোনো এক সময় নিখোঁজ হয়ে যান ২ সহোদর ভাই। পরে এলাকাবাসী অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন। সাপধরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম মণ্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মা-বাবার সঙ্গে ঈদের পরের দিন নানার বাড়িতে এসেছিল ২ ভাই।  ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার জানান, সহোদর ২ ভাইয়ের পানিতে ডুবে মৃত্যুর একটি সংবাদ পেয়েছি। তারা মা-বাবার সঙ্গে শনিবার নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল।  তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতদের বাবার বাড়ি যমুনার পূর্বপাড় জারুলতলা এলাকায়। যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে সেটি দুর্গম চরাঞ্চল। 
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫১

কুড়িগ্রামে নদীতে গোসল করতে নেমে কিশোরের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের রাজারহাটের তিস্তা নদীতে গোসল করতে নেমে এক কিশোর মারা গেছেন। তার নাম সোহাগ (১২)। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে রাজারহাটের বুড়িরহাট ক্রসবাঁধ থেকে সোহাগের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সোহাগ ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাব গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, সোহাগ তার ভাই, খালাতো বোন ও কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে তিস্তায় গোসল করতে নামে। গোসলের একপর্যায়ে অন্যরা তীরে চলে আসতে পারলেও সোহাগকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তাকে খুঁজে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ২ ঘণ্টা পর নদী থেকে সোহাগের মরদেহ উদ্ধার করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাজারহাট থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, তিস্তা নদী থেকে সোহাগের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৪

টাঙ্গাইলে নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নদীর পানিতে ডুবে অজ্ঞাত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।  শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে কালিহাতী উপজেলার আকুয়া গ্রামে পৌলি নদীতে ডুবে তার মৃত্যু হয়।  স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পৌলি নদীতে গোসল করার সময় নিহত যুবক নদীতে ডুবে যায়। পরে নদীর আশে পাশে থাকা স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আনার আগেই মৃত্যু হয়। তবে এখনও ওই যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়রা মরদেহটি উদ্ধার করে রেখে দিয়েছে। হয়তোবা আশপাশের কারোর আত্মীয়স্বজন হবে। তবে এখনও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৪

ধাওয়া খেয়ে পায়রা নদীতে হরিণের ঝাঁপ, অতঃপর...
বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলীতে স্থানীয় মানুষের ধাওয়া খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে পায়রা নদীতে একটি হরিণ ঝাঁপ দিয়েছে বলে জানা গেছে। পরে হরিণটি তীরে যাওয়ার চেষ্টা করলে জেলেদের জালে আটক পড়ে। সেসময় জেলেরা হরিণটিকে তীরে নিয়ে আসলে স্থানীয় বন বিভাগের বিট অফিসের লোকজন গিয়ে হরিণটিকে উদ্ধার করেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে বাবুগঞ্জ তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো. সাইফুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।  মো. সাইফুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পায়রা নদে ওই হরিণ জেলেদের জালে আটক পড়েছিল। পরে বন বিভাগের সদস্যরা হরিণটিকে উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বাবুগঞ্জ বিট এলাকার বনে কোনো হরিণ নেই। চোরাকাবারিদের ধাওয়া খেয়ে পাথরঘাটার হরিণঘাটা বন থেকে হরিণটি বিষখালী নদীতে আসতে পারে। অথবা শিকারিদের কাছ থেকে ছুটে আসতে পারে হরিণটি। হরিণের বর্তমান অবস্থার কথা জানতে চাইলে বাবুগঞ্জ বিট কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, উদ্ধার করা হরিণটি তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হবে। হরিণটি সুস্থ আছে। তিনি আরও বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় জেলেরা হরিণটিকে উদ্ধার করে তীরে এনে স্থানীয় বাবুগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে জানান। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাবুগঞ্জ বিট কার্যালয়ের কর্মীরা হরিণটিকে নিয়ে যান। সেখানে হরিণটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৮

বান্দরবানে নদীতে ফুল ভাসিয়ে বিজু উৎসব শুরু 
বান্দরবানের চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বিজু ও বিষু উৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে তরুণ তরুণীরা এ উৎসব শুরু হয়। বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে বছরের শেষ দুদিন ও বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন চাকমারা ফুল বিজু, মূল বিজু ও গজ্যাপজ্যা বিজু পালন করে থাকে।  সবার ঘরে হরেক রকমের সবজির মিশ্রণে পাজন রান্না হবে। নতুন কাপড় পরে দলবেঁধে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়াবে সবাই। এছাড়া সাধ্য অনুসারে বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করে বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন এমনকি কারও সঙ্গে অতীতের বৈরিতা থাকলে এদিন একে অপরকে ক্ষমার মাধ্যমে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ করেন। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন চাকমারা বলে গজ্যাপজ্যা দিন, এদিনও মূল বিজুর আমেজ থাকে, মুরব্বি ও বয়স্কদের নিজ বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে উন্নত খাবার পরিবেশন করে আশীর্বাদ নেওয়া হয়। বিহারের ভিক্ষু সংঘকে উন্নত মানের খাদ্য ভোজন দান করা হয়, বাড়িতে বিকেলে পারিবারিক মঙ্গলের জন্য ধর্মীয় গুরুদের আমন্ত্রণ করে মঙ্গল সূত্রপাঠ শোনা হয়। তরুণ-তরুণীরা বয়স্কদেরকে গোসল করিয়ে আশীর্বাদ নেন। সম্প্রদায়ের তরুণীরা বলেন-সকলে যেন সুখে শান্তিতে থাকে এজন্য আমরা নদীতে ফুল ভাসাই। এদিনটা আমাদের জন্য খুবই খুশির দিন।   সুন্তে চাকমা ও বিপাশা চাকমা জানান, আমরা তিনদিন ব্যাপী বিজু উৎসব পালন করবো। প্রতিদিন নানা উৎসব পালন করা হবে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও হরেক রকমের সবজি দিয়ে রান্না করে হবে পাচন। তঞ্চঙ্গ্যা ও চাকমা সম্প্রদায়ের তরুণ তরুণীরা একে অপরের বাড়িতে গিয়ে পাচন খাবেন। আগামী তিন দিন চলবে এই অনুষ্ঠান।  
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৫

আসছে ঈদ, নদীতে মাছ না থাকায় হতাশ জেলেরা 
ইলিশের ভরা মৌসুমেও হাসি নেই বরগুনার পাথরঘাটার জেলেদের মুখে। একদিকে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলীয় নদী বিষখালী-বলেশ্বর নদীতে নেই ইলিশ। আরেক দিকে ডাঙায় এনজিওর ঋণের চাপ। এ নিয়ে ঈদের আনন্দ সবার হৃদয়ে কড়া নাড়লেও জেলেদের রাজ্যের বিষাদ। নদ-নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় ঋণের জালে বন্দি হয়ে আছে ঈদের আনন্দ। শিশুদের গায়ে নতুন জামা উঠবে কিনা তা নিয়েই দুশ্চিন্তা। এ দিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ব্যয় বেড়েছে জেলেদের। এ কারণে ঋণের জালে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন তারা। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলায় মোট জেলে রয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার। এর মধ্যে সরকারি নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ১৬ হাজার ৮২০ জন। মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে প্রতি মাসে প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলের মধ্যে ১৬ হাজার ২২৮ জনের পরিবারকে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।  এ বিষয়ে কথা হয় জেলে মনির, ইলিয়াস, বেল্লাল হোসেন, ছরোয়ারের সঙ্গে। তারা বলেন, এক দিকে আবরোধ অন্যদিকে সাগরে নিম্নচাপ। এ দুয়ে মিলে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। অবরোধে মাছ ধরতে পারি না আবার নিম্নচাপের মধ্যে সাগরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ শিকারে গিয়েও খালি হাতে ফিরে আসতে হয়। এর মধ্যে কিভাবে আমরা ছেলে মেয়েদের নিয়ে ঈদ করবো ভেবে পাচ্ছি না। আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে ইলিশ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি মাছ ধরা ছাড়া অন্য কোনো কাজ জানি না। তাই অন্য কাজ করতে চাইলে কেউ কাজ দিচ্ছে না। অশিক্ষিত হওয়ায় পেশার পরিবর্তন করতে পারছি না। আমাদের জালেতো ইলিশ ছাড়া অন্য কোনো প্রকার মাছ ধরা পরে না। আমরা এখন দাদনের জন্য ট্রলার মালিকের কাছে গেলেও তারাও তাড়িয়ে দেন। এ বছরের ঈদ জেলেদের জন্য নয়।  বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, জৈষ্ঠ্যের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় ইলিশের মৌসুম। কিন্তু এ বছর সেই শুরু থেকেই সাগর থেকে জেলেরা ইলিশ শূন্য হাতে ফিরে আসছেন। এবার ঈদকে সামনে রেখে ১০ থেকে ১২ দিন আগেই সাগরে পাঠানো হয়েছে ট্রলার। ইতোমধ্যে যে ট্রলার এসেছে তার মধ্যে দু-একটি ট্রলারে কিছু মাছ পেলেও অধিকাংশ ট্রলার বাজার সদয়ের খরচই উঠাতে পারবে না।  এ প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপুর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, জেলেদের জন্য কোনো চাল বরাদ্দ নেই। ঈদ উপলক্ষে কিন্তু তাদের জেলে কার্ড থেকে ঈদের আগে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়