• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাজধানীতে তীব্র যানজট, চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী
তিনদিন ছুটির পর রাজধানীতে সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল থেকে চাপ বেড়েছে সড়কে। পাড়া-মহল্লার গলি থেকে শুরু করে ভিআইপি সড়কেও যানজট দেখা যায়। যানজট থেকে বাদ যায়নি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও। মূল সড়কে নামার মুখে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকতে দেখা যায় গাড়িগুলোকে। কোথাও কোথাও যেন ঘুরছিল না গাড়ির চাকা। এতে যানজটে নাকাল নগরবাসী।  রমজানের কারণে পুলিশের নজর বিশেষ করে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা যেন অফিস থেকে বাসায় ফিরে প্রিয়জনের সঙ্গে ইফতার করতে পারেন সে লক্ষ্য ট্র্যাফিক পুলিশের পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগও কাজ করছে সড়কে। গত কয়েকদিন সকালে সড়কের অবস্থা স্বস্তিদায়ক থাকলেও আজকের চিত্র একেবারেই ভিন্ন।  সোমবার (১৮ মার্চ) সরেজমিনে রাজধানীর মোহম্মদপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মিরপুর-১০, আগারগাঁও, কাওরানবাজার, সোনারগাঁও, সাতরাস্তা, মহাখালী, বনানী, কাকলী, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, গুলশান-১, গুলশান-২, লিংকরোড, প্রগতি সরণিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় যানজটের ভয়াবহ চিত্র। আগারগাঁও মোড়ে গুলশানগামী একজন মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, রমজান মাসে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা করা হয়েছে। বিকেলে তাই সময় থাকতে বাসায় পৌঁছানো যাচ্ছে। সকালেও ক’দিন স্বস্তিতে অফিসে এলাম। আজ চিত্র উল্টো। আগারগাঁও থেকে মহাখালী ফ্লাইওভারে উঠতেই ৩৫ মিনিট। এরপর কাকলী, বনানী, গুলশান-২ পেরিয়ে অফিসে ঢুকতে দেড় ঘণ্টা। এক বাস যাত্রী বলেন, মিরপুর-১০ থেকে বাসে উঠেছি। আগারগাঁও ক্রসিং থেকে বিজয় সরনি পার হতেই ৪০ মিনিট। গাড়ির চাকা ঘুরেছে তবে খুবই মন্থর গতিতে। একটা পর্যায়ে বাসের নিকট গন্তব্যের অনেক যাত্রীকে হেঁটে রওয়ানা করতেও দেখি। আমাকে অগত্যা বসে থাকতে হচ্ছে মতিঝিল যাবো বলে। তিনি বলেন, রোজা রেখে কতক্ষণ হাঁটতে পারবো জানি না। তবে সড়কের যে অবস্থা সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে হাঁটা ছাড়া কোনো উপায়ও দেখছি না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের শেরে বাংলা নগর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. তারেক সেকান্দার বলেন, ভয়াবহ অবস্থা। অফিস টাইম ও স্কুল টাইম একই সময় হয়ে গেছে। যে পরিমাণ যানবাহন সড়কে সকাল আটটা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে নামছে তা সামাল দেয়া কঠিন। শুধু শেরে বাংলা নগর এলাকায় নয় এব জায়গাতেই। তবে রাস্তা এখন সচল। ট্র্যাফিক গুলশানের (ট্রাফিক-মহাখালী জোন) সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুল ইসলাম রনি জানান, মহাখালীতেও একই অবস্থা। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বাস বিভিন্ন জেলার গন্তব্যে ছাড়ার চাপ বেড়েছে। তাছাড়া ভিআইপি মুভমেন্টের কারণে যানজট বেড়েছে। ট্রাফিক-গুলশানের উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল মোমেন বলেন, রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ। কিছুই করার নাই। গাড়ির পেছনে গাড়ি। এক ইঞ্চি জায়গাও তো খালি রাখার উপায় নাই। সামনের গাড়ি এগুতে না পারলে পেছনের গাড়ির তো সামনে যাবার উপায় নাই। আমাদের ট্রাফিকের সব সদস্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য। যানজট বা গাড়ির চাপ কমাতে। তবে আজকে একাধিক স্থানে ভিভিআইপি মুভমেন্ট আছে। তার উপর তিনদিন পর মানুষ ঘর থেকে বেশি বের হয়েছে। তাই গাড়ির সংখ্যাও বেশি।  
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৭

চট্টগ্রামে বন্ধ গ্যাস সরবরাহ, চরম দুর্ভোগে নগরবাসী
চট্টগ্রামে আজ সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে গ্যাস সরবরাহ। আগে থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রচার না করেই গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষ এ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। আকস্মিক এ গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় চট্টগ্রামে পুরোপুরি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) মহাব্যবস্থাপক আমিনুর রহমান।  তিনি বলেন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়। আমদানি করা এলএনজি রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহের জন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনাল আছে। এর মধ্যে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটি গত ১ নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। এটি গতকাল বৃহস্পতিবার চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চালু করা যায়নি। এ ছাড়া পেছনের গতি বা ব্যাক প্রেসার না থাকার কারণে সামিট এলএনজি টার্মিনালটিও গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না। এ কারণে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আজ সারা দিন গ্যাস না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, সামিটের টার্মিনালটি খালি করা হচ্ছিল। এটিও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যাওয়ার কথা আছে। সব মিলিয়ে কখন পরিস্থিতি ভালো হবে বলা যাচ্ছে না। তবে পেট্রোবাংলা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনালের কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম এলাকায় সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় শীতের কারণে গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করছে। দ্রুত মেরামতের লক্ষ্যে কাজ চলছে। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা এবং কম্পানিগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। দেশীয় গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।  গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা। এদিকে গ্যাস না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেক গ্রাহককে। বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা সালমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিন মাস ধরে গ্যাসের তীব্র সংকটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই। সরেজমিনে দেখা যায়, গ্যাস বন্ধ থাকায় অনেকেই রেস্তোরাঁয় খাবারের জন্য লাইন দিয়েছেন। কিন্তু বহু রেস্তোরাঁয় রান্নাও হয়নি। অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক চুলা ও লাকড়ি জ্বালিয়ে রান্নার কাজ সারতে হচ্ছে গ্রাহকদের। হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নগরের ফিলিং স্টেশনগুলোতেও গ্যাস মিলছে না। এ কারণে সড়কে কমে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচল। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এ নিয়ে ভোগান্তি ছিল তুলনামূলক কম। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে কেজিডিসিএলের গ্রাহক সংযোগ ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে গৃহস্থালি সংযোগ ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি, বাকিগুলো শিল্প-বাণিজ্যসহ অন্য খাতে। এসব খাতে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে পাওয়া যায় ২৮০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ১ নভেম্বর থেকে কমবেশি ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কম পাওয়া যাচ্ছিল। এ কারণে সব ধরনের গ্রাহকই বিপাকে পড়েছেন।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৮

ময়মনসিংহ-৪ / শপথ নিলেন শান্ত, উচ্ছ্বসিত নগরবাসী
একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) হেভিওয়েট পার্থীর এই আসনে নতুন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রয়াত ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমানের ছেলে মোহিত উর রহমান শান্ত। এর মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহ সদরে ক্ষমতার রাজনীতিতে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মনে করছেন ময়মনসিংহ নগরীর ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. কামরুজ্জামানসহ উচ্ছ্বসিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।   তাদের ভাষ্য- প্রায় এক যুগ পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পেয়েছেন ময়মনসিংহ সদরের বাসিন্দারা। এর আগে এই আসনে রওশন এরশাদ সংসদ সদস্য থাকলেও ক্ষমতার পুরোটা সময়জুড়েও তাকে কাছে পাওয়া যায়নি।   অসুস্থতা ও জাতীয় রাজনীতিতে রওশন এরশাদ বর্তমান সরকারের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এই আসনের বাসিন্দারা ছিল বঞ্চিত। ফলে ময়মনসিংহ নগরীর এই আসনের ক্ষমতার শক্তিমান উৎস ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের জনপ্রিয় মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু।   তাকে কেন্দ্র করেই এই নগরীর রাজনীতি থেকে শুরু করে ক্ষমতার সবকিছুর নিয়ন্ত্রণের প্রভাব ছিল দৃশ্যমান। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মোহিত উর রহমান শান্ত সংসদ সদস্য হওয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্য পেয়েছে বলে একমত পোষণ করেছেন নগরীর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী রুহুল আমীনসহ আরও অনেকেই। এ বিষয়ে মোহিত উর রহমান শান্ত সাংবাদিকদের বলেন, নৌকার বিজয় মানে আওয়ামী লীগের আদর্শিক নেতাকর্মীদের বিজয়। এই বিজয়ে উৎফুল্ল এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও। এই আসনেই আমার বাবা অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের বর্ণাঢ্য দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন কাটিয়েছেন। এই অঞ্চলের মানুষের সুখে-দুঃখের প্রতিটি মুহূর্তে পাশে থাকতেন তিনি। আর এ কারণেই সদরের মানুষের বুকে বড় হয়েছি আমি। বাবাকে দেখে যেহেতু বড় হয়েছি, চেষ্টা করব জনগণের ভালোবাসায় বাবার কাছাকাছি যাওয়ার। তাদের সঙ্গে জন্মের পর থেকে আমার নাড়ির সম্পর্ক। তাদের অকুণ্ঠ ভালোবাসায় এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদে আজ আমি সংসদ সদস্য। এই এলাকার মানুষগুলো আমাকে যেভাবে আগলে রেখেছেন, আমিও তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব। বিগত সময়ে এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন যারা- ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ সদর আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের এ কে এম মোশাররফ হোসেন আকন্দ, ১৯৭৯ সালে বিএনপির এ কে এম ফজলুল হক, ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির বেগম মমতা ওয়াহাব। ১৯৯১ সালে বিএনপির এ কে এম ফজলুল হক, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে এ কে এম ফজলুল হক, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির বেগম রওশন এরশাদ, ২০০১ সালে বিএনপির দেলোয়ার হোসেন খান দুলু এবং ২০০৮ ও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ মনোনীত অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।    
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়