• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশকে টার্গেট করে বিদেশি গণমাধ্যমের নকল ইউটিউব চ্যানেল  
বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে কিছু ইউটিউব চ্যানেল তাদের নিজস্ব উপায়ে তৈরি খবর প্রচার করে আসছে। বিদেশি এবং বাংলাদেশি বেশ কিছু গণমাধ্যমের নকল ইউটিউব চ্যানেল এগুলো। সেখানে ভুয়া খবর বানিয়ে নিজেদের ভিউ বাড়িয়ে আয় করে এসব চ্যানেল। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইট লিমিটেডের (ডিআরএল) তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ ডিসমিসল্যাব এমন ৫৮টি ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে বের করেছে। মুলত বাংলাদেশকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর এবং অসত্য তথ্য প্রচার করে আয় করা হয় বলে জানায় ডিসমিসল্যাব।  প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদন বলছে, সাত দিন আগে ‘বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলা’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেখা গেছে জনপ্রিয় উপস্থাপক হিউ এডওয়ার্ডস বাংলায় সংবাদ পাঠ করছেন। মুলত তার ছবি ব্যবহার করে অন্য একজনের কণ্ঠ বসিয়ে সংবাদ তৈরি করা হয়েছে। এই চ্যানেল বিবিসির লোগোর আদলে তৈরি।  ডিসমিসল্যাব এমন ৫৮টি ইউটিউব চ্যানেলের খোঁজ পেয়েছে যেগুলো বিদেশি ও বাংলাদেশি সুপরিচিত সংবাদমাধ্যমের কার্যত নকল। চ্যানেলগুলো বাংলাদেশের দর্শকদের লক্ষ্য করে খবর প্রচার করে। কেউ সুপরিচিত সংবাদমাধ্যমের নামের আদলে নিজেদের নাম দিয়েছে, কেউ লোগো নকল করেছে, কেউ কেউ সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের সুপরিচিত উপস্থাপকের ছবি ব্যবহার করে ভিডিও ছাড়ছে। ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদন বলছে, নকল ইউটিউব চ্যানেলগুলোর মূল কাজ হচ্ছে নিজেদের ভিউ বাড়ানো এবং আয় করা। তবে তারা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায়। ভিডিও প্রচারের ক্ষেত্রে তারা বেছে নেয় সংবেদনশীল বিষয়গুলো। যেমন বিবিসি-নিউজ বিডি নামের একটি চ্যানেলে গত ৩ জানুয়ারি খবর (ভিডিওর থাম্বনেইলে) দেওয়া হয় যে, ‘নির্বাচনে সেনাবাহিনীর থাবা, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল ঘোষণা’। যদিও খবরটি ভুয়া।  ডিসমিসল্যাব বলছে, যেহেতু তারা সুপরিচিত সংবাদমাধ্যমের নকল, সেহেতু পাঠক বিভ্রান্ত হয়। আবার এসব চ্যানেলে প্রচারিত ভুয়া ও চটকদার খবরের কারণে সুপরিচিত সংবাদমাধ্যমগুলো দর্শক থেকে বঞ্চিত হয়। গবেষকেরা সংবাদসংশ্লিষ্ট কিছু শব্দ দিয়ে ইউটিউবে খোঁজ (সার্চ) করে দেখেছেন, যেসব প্রতিবেদন সামনে আসে, তার অর্ধেকই এসব নকল চ্যানেলের। ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী পরিচালক তালাত মামুনের মতামত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, সংবেদনশীল সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের লোগো ব্যবহার করে ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এটা খুবই উদ্বেগজনক।  তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের গড় গণমাধ্যম-জ্ঞান (মিডিয়া লিটারেসি) ততটা বেশি নয়। আমরা যা দেখি, যাকে দেখি, তা যাচাই করি না। এরপর এমন হতে পারে যে মানুষ একপর্যায়ে বিশ্বাস করতে শুরু করে অপতথ্যগুলো সত্য। ডিসমিসল্যাব জানাচ্ছে, যে ৫৮টি চ্যানেল তারা খুঁজে পেয়েছে, তার মধ্যে ৩৭টিই বিবিসিকে নকল করেছে। নকলের শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিএনএন ও এবিসি, যুক্তরাজ্যভিত্তিক রয়টার্স, কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা এবং বাংলাদেশের সময় টেলিভিশন, একাত্তর টেলিভিশন, যমুনা টেলিভিশনের মতো সংবাদমাধ্যমগুলো। যেমন একটি চ্যানেলের নাম আল-জাজিরা বাংলা। ডিসমিসল্যাব বলছে, এই নামে আল-জাজিরার কোনো চ্যানেল নেই। এটি আসলে আল-জাজিরার লোগো নকল করে তৈরি করা চ্যানেল। বিবিসিকে নকল করা ১২টি চ্যানেলের ১৬৮টি ভিডিও বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, একটিরও শিরোনামের (থাম্বনেইল) সঙ্গে ভেতরের কোনও মিল নেই। ডিসমিসল্যাবের পক্ষ থেকে বিবিসির কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জবাবে বিবিসির প্রেস অফিস থেকে বলা হয়, অতীতে তাদের আইন শাখা থেকে ভুয়া ইউটিউব চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ‘অ্যাকাউন্টে’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই প্রবণতা বন্ধ হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুয়া সংবাদ বা ফেক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হবেন এর পাঠক নিজেরা। সুতরাং যেকোনো সংবাদ দেখে বিশ্বাস করার আগে বা পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করার আগে সেটির উৎস ভালো করে যাচাই করে নেয়া উচিত।    
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৩

নকল করতে গিয়ে ধরা, চিরকুট লিখে আত্মহত্যা
যশোরের মনিরামপুরে চিরকুট লিখে দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।  শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বাগডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সাবিহা সকালে কলেজে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নেয়। শিক্ষার্থী সাবিহা খাতুন উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের আবদুল জলিলের মেয়ে। সে গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমার কিছু মনে থাকে না বলে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আগে অল্প একটু কাগজে তথ্য লিখে নিয়ে যাই পড়তে পড়তে। পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় তা ফেলে দিতে মনে ছিল না। তারপর পরীক্ষার মধ্যে কলেজের সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক তা দেখে ফেলে। আমি তার কাছে ভুল স্বীকার করলাম। অনেকবার বললাম খাতাটা দেন। তিনি আমার খাতা নিয়ে দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখল, তবুও খাতাটা দিল না। তাসলিমা ম্যাডাম এবং ইসমাইল স্যার আমাকে তাড়িয়ে দিল। এত করে বললাম ওটা আমার ফেলে দিতে মনে নেই তাও তারা আমাকে পরীক্ষার সুযোগ দিল না। তাই আমি অবশেষে লজ্জায় মুখ দেখাতে না পেরে দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাক সবাই। আমার ভুলত্রুটি থাকলে সবাই মাফ করে দিও। আমার কাছে ফারহানা ২৫ টাকা পাবে এবং সুবর্ণা ৫ টাকা পাবে, এটা তোমরা দিয়ে দিও।’ এ ব্যাপারে গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম বলেন, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবিহা খাতুনের আত্মহত্যার বিষয়টি দুঃখজনক। পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থী সাবিহার কাছে নকল পাওয়া যায়। যে কারণে কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদ্বয় তার কাছ থেকে খাতা নিয়ে নেন। এ ব্যাপারে শিক্ষক ও কমিটিকে নিয়ে জরুরি সভা করা হয়েছে। মনিরামপুর থানার ওসি এ বি এম মেহেদী মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৮

নকল পণ্য সরবরাহের অভিযোগ, ২ জনের কারাদণ্ড
দিনাজপুরের বিরামপুরে নকল জুস, চকলেট ও পাউডার জুস সরবরাহ করার সময় দুই ব্যবসায়ীকে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  বৃহস্পতিবার (২৮ র্মাচ) দুপুরে পৌরশহরের ঢাকামোড় নাবিল কাউন্টার এর সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে লিটন ইসলাম (২৬) ও একই এলাকার সুরেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে গৌতম কুমার (২৫)। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ঢাকা হতে নকল বোতলজাত জুস চকলেট ও পাউডার জুস বিক্রি করে আসছিল। এমন সংবাদ পেয়ে পৌরশহরের ঢাকা মোড়ে নাবিল কাউন্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে দুই’জনকে আটক করা হয়। জব্দকৃত পণ্য চার হাজার ১শ ৫০টি বোতলজাত নকল জুস, দুই কার্টুন পাউডার জুস ও দুই কার্টুন চকলেট ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও নকল পণ্য সরবরাহের সময় দুই’জনকে ১ মাস করে ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৪

নকল ধরতে বুয়েটের বিশেষ যন্ত্র 
পরীক্ষায় নকল ধরতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) একটি বিশেষ যন্ত্র বানিয়েছে। এ যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুরক্ষা’। আগামী ২৯ মার্চের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এই যন্ত্র পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচটি জেলায় ব্যবহার করা হবে। এই যন্ত্র উদ্ভাবনের জন্য বুয়েটের আইআইটিসিকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে শতভাগ সফলতা আসবে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। বুয়েটের অধ্যাপক এস এম লুৎফুল কবির বলেন, নতুন এই যন্ত্র সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছাকাছি নিলে সংকেত (সিগন্যাল) দেবে। যার মাধ্যমে দোষী পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা যাবে। বর্তমানে চাকরির পরীক্ষার হলে বসে এক শ্রেণির অসাধু চাকরি প্রার্থী কানে দেওয়া ছোট একটি ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতি করে আসছে।  তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ বিষয়ে এখনই শতভাগ সফলতা আসেনি। প্রাথমিক সফলতা এসেছে। এবার পাঁচটি জেলায় নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষামূলকভাবে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (পার্বত্য জেলা বাদে) ২১ জেলায় ৪১৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৬ হাজার ২০২টি আসনের বিপরীতে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।
২১ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৫

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল নকল ধরবে ‘সুরক্ষা’ ডিভাইস
পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের জালিয়াতি ধরতে ‘সুরক্ষা’ নামে একটি অভিনব যন্ত্র বানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আগামী ২৯ মার্চ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৫টি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হবে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, কোনো পরীক্ষার্থীর কানে জালিয়াতির ডিভাইস থাকলে বুয়েট উদ্ভাবিত যন্ত্রে একটি লাইট জ্বলে উঠবে এবং শব্দ সংকেত বেজে উঠবে। আগামী ২৯ মার্চ তৃতীয় ধাপের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা থেকেই নকল ধরতে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হবে। ২৫টি যন্ত্র দিয়ে ৫টি টিম করে পরীক্ষা কেন্দ্রে এই যন্ত্রের পাইলটিং করা হবে। এর জন্য পরীক্ষার্থী বেশি এমন ৫টি জেলা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ এই জেলাগুলোতে আমরা পাইলটিং করব। সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার প্রতিরোধে যন্ত্র উদ্ভাবনের জন্য বুয়েটের আইআইটিসি-কে ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। যন্ত্রটি তৈরিতে প্রাথমিকভাবে ৮ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হবে। পরে বেশি উৎপাদন করা হলে দাম ৫ হাজার ৫০০ টাকা পড়বে। তিনি জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে লিখিত পরীক্ষা ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ৬ হাজার ২০১টি পদের বিপরীতে মোট ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৫

নকল ট্যাং প্রস্তুতকালে হাতেনাতে আটক কারখানা মালিক 
রোজা ঘিরে বড় ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নকল ভোগ্যপণ্য তৈরির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন অসাধু চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমনই একটি চক্রের সন্ধান পেয়ে রাজধানীর পূর্ব বাড্ডায় একটি কারখানায় অভিযান চালায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। আবিদ ফুড অ্যান্ড কেমিক্যালস নামে কারখানাটিতে কাপড়ের রং আর চিনি মিশিয়ে নকল ট্যাং তৈরি হচ্ছিল ওই সময়। শুধু ট্যাংই নয়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চানাচুর, মটরভাজা, ডিটারজেন্ট ও হারপিকসহ বিভিন্ন পণ্যের ভেজাল সংস্করণ তৈরির মহাযজ্ঞ নজরে পড়ে অভিযানিক দলের। সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয় কারখানাটির মালিক আনোয়ার হোসেনকে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পূর্ব বাড্ডা আলিফনগর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে বিএসটিআই। অভিযানের নেতৃত্ব দেন পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটির উপপরিচালক রেজাউল হক। অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গোপন সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে আবিদ ফুড অ্যান্ড কেমিক্যালসের কথা জানতে পারি। এরপর আজ অভিযানে এসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল ট্যাং, চানাচুর, ডিটারজেন্ট, মটর ভাজাসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করতে দেখি। আমাদের কর্মকর্তারা বাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছে, এখানে উৎপাদিত কোনো পণ্যই ব্যবহার উপযোগী নয়। এখানে ভয়াবহ আরেকটি বিষয় পেয়েছি তা হলো তারা একইসঙ্গে সফট ড্রিংকস, চানাচুর তৈরির পাশাপাশি একজায়গায় ডিটারজেন্ট-হারপিকও তৈরি করছিল, যা ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। রেজাউল হক বলেন, রোজার মাসে রোজাদারদের অন্যতম একটি পানীয় হলো শরবত, যা বিভিন্ন রকমের ট্যাং দিয়ে তৈরি করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের মালিকও রোজার মাসকে কেন্দ্র করে বড় প্রস্তুতি নিয়ে রাতদিন ট্যাং তৈরি করছিল। এই প্রতিষ্ঠানের ট্যাং যদি কেউ রোজা রেখে খায়, তাহলে তাদের পেটের পীড়া থেকে শুরু করে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। ট্যাংয়ে তারা যে রংটি ব্যবহার করছে, সেই রংয়ের কোথাও ফুডগ্রেড উল্লেখ ছিল না। তারা কাপড়ের রং ব্যবহার করছিল বলে আমাদের ধারণা। বিএসটিআই উপপরিচালক আরও বলেন, আমরা সোমবারই আমাদের একটি টিমকে গোপনে পাঠিয়েছি, তারা এসে প্রতিষ্ঠানটি শনাক্ত করে যায়। তারা অনেক আগে দুই-তিনটি পণ্য তৈরির অনুমোদন নিয়েছিল, যার মেয়াদও ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। 
১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৭

স্ত্রীকে নকল সরবরাহ, স্বামীর ২ বছরের কারাদণ্ড
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এসএসসি পরীক্ষায় স্ত্রীকে নকল সরবরাহের দায়ে স্বামীকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।    দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম (২৩) কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিনয়নগর গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে। সোমবার (১১ মার্চ) সোনাইমুড়ী পৌরসভার সোনাইমুড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।  ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সোনাইমুড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মিয়া। দণ্ডিত সাইফুল ইসলাম কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিনয়গড় গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোনাইমুড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মিয়া সোমবার (১১ মার্চ) সকালে সোনাইমুড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান। এ সময় জানালা দিয়ে স্ত্রীকে এমসিকিউ বলে দেওয়ার সময় হাতেনাতে সাইফুল ইসলামকে আটক করেন তিনি। তারপর তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনে পূর্বের পরীক্ষার উত্তরপত্রও পান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মিয়া তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাইফুল ইসলামকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাইমুড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মিয়া। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মিয়া বলেন, দণ্ডিত সাইফুল স্মার্টফোনে থাকা উত্তরপত্র থেকে তার স্ত্রীকে জানালা দিয়ে বলে দিচ্ছিলেন। আমি তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলি। তার মোবাইলে পূর্বের সকল বিষয়ের উত্তরপত্র পাওয়া গেছে। তাই তাকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের মাধ্যমে তাকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৭

পরীক্ষার্থীদের হাতে নকল তুলে দিচ্ছেন শিক্ষকরা
পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার্থীদের হাতে নকল তুলে দিচ্ছেন শিক্ষকরা। আবার কোনো শিক্ষককে দেখা যাচ্ছে ব্ল্যাকবোর্ডে উত্তর লিখে দিচ্ছেন। এমনটা দৃশ্য দেখা গেলো লক্ষ্মীপুরের বশিকপুর ডি.এস.ইউ. কামিল মাদরাসা (লক্ষ্মী-০২) পরীক্ষা কেন্দ্রে। দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ের একটি শ্রেণিকক্ষের সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষকরা নিজ পকেট থেকে পরীক্ষার্থীদের হাতে নকল তুলে দিচ্ছেন। একজন শিক্ষক দরজায় দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছেন, আরেকজন পরীক্ষা কক্ষে শিক্ষার্থীদের বলে দিচ্ছেন।  আবার কোনো কোনো কক্ষে দেখা মেলে শিক্ষকরা নিজেই ব্ল্যাক বোর্ডে উত্তর লিখে দিচ্ছেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারির সাধারণ গণিত পরীক্ষা ও ৩ মার্চ ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষা নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাবার পরেও শিক্ষকরা দরজা আটকে পরীক্ষা নিয়েছে বলে অভিযোগও উঠেছে। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড নীতিমালা অনুযায়ী দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র কমিটিতে ৫ জন সদস্যের কথা থাকলে বশিকপুর ডি.এস.ইউ. কামিল মাদরাসার কেন্দ্রসচিব হামিদুল ইসলাম নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করে উক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশ নেওয়া বিভিন্ন মাদরাসার সুপার/অধ্যক্ষসহ ১০ জনকে নিয়ে কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি নিজেরা তাদের মনগড়া সিদ্ধান্তনুযায়ী মাদরাসা বোর্ডের নীতিমালাকে উপেক্ষা করে পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল সরবরাহসহ অনিয়মে সহযোগিতা করছেন, বলে অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বশিকপুর ডি.এস.ইউ. কামিল মাদরাসা (লক্ষ্মী-০২) কেন্দ্রে ১০টি মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। ৮টি কক্ষে পরীক্ষা হলেও সিসিটিভির ক্যামেরা রয়েছে ৩টি কক্ষে। অপর ৫টি কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই, তবে সে কক্ষগুলোতেও একইভাবে অসুদপায় অবলম্বন করে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রিয়াংকা দত্ত। তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হবে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪১

টাঙ্গাইলে নকলের দায়ে ৮ দাখিল পরীক্ষার্থী বহিষ্কার
পরীক্ষা কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বন করায় টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ৮ দাখিল পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা চলাকালে গোপীনপুর ফাজিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কিশোর কুমার দাসের নজরে আসে বিষয়টি।  এরপরে তিনি ওই ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের আদেশ দেন। বহিষ্কৃত ওই শিক্ষার্থী উপজেলার শহর গোপীনপুর ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।  সহকারী কমিশনার (ভূমি) কিশোর কুমার দাস মুঠোফোনে জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বন করার সময় সন্দেহ হলে শিক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করে নকল পাওয়ার অপরাধে তাদের বহিষ্কার করা হয়।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান বলেন, পরীক্ষা চলার সময় পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী দায়িত্ব অবহেলা করলে আর তার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে বাকি পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়