• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
নওগাঁর পোরশা সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আল আমিন (৩২) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত চৌকির (বিওপি) অদূরে মিলমারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৬ ব্যাটালিয়নের (নওগাঁ) অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান । নিহত আল আমিন উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের নিতপুর কলোনীপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় আল আমিন আরও কয়েকজনের সঙ্গে নীতপুর সীমান্ত এলাকার ২৩২ নম্বর পিলারের পাশ দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। গরু নিয়ে নিতপুর সীমান্তের মিলমারি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের মালদহ জেলার বিএসএফ ১৫৯ ব্যাটালিয়নের আগ্রাবাদ ক্যাম্পের জওয়ানরা তাদের ধাওয়া করেন।  এ সময় অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও আল আমিন গুলিবিদ্ধ হন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে বিএসএফের সদস্যরা আল আমিনের মরদেহ নিয়ে যায়। নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, ‘আল আমিন ভারত থেকে গরু আনা-নেওয়ার কাজ করতেন। টাকার বিনিময়ে রাখাল হিসেবে ভারত থেকে গরু নিয়ে আসতেন। গতকাল রাতে আল আমিন আরও ১০ থেকে ১২ জনের সঙ্গে গরু আনতে নিতপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে যান। ভোরে গরু নিয়ে ফেরার পথে বিএসএফ সদস্যরা তাদের তাড়া করেন। অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আল আমিন পারেননি। বিএসএফের গুলিতে ঘটনাস্থলেই আল আমিন মারা যান।’ বিজিবি ১৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ভারতের প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে মিলমারি এলাকায় একজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান জানিয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩২

ছেলের লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল বাবার
নওগাঁর বদলগাছীতে ছেলের লাঠির আঘাতে আহত বাবা নূর ইসলামের (৫২) মৃত্যু হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তরা মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার উপজেলার মথুরাপুর ইউপির জালালপুর গ্রামে ছেলে নাসিম (২০) তার বাবার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। নিহত নূর ইসলাম ওই গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে আর অভিযুক্ত নাসিম নিহতের ছেলে। জানা যায়, ২০ মার্চ সকাল থেকে বাবা ছেলের সাংসারিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়, চলে বিকেল পর্যন্ত। বিকেল ৫টার দিকে হঠাৎ করে ছেলে নাসিম তার বাবার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে নূর ইসলাম আহত হলে গ্রামবাসী প্রথমে তাকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে নূর ইসলাম মারা যান। অভিযুক্ত নাসিম পালাতক আছেন। ঘটনাস্থল থানা পুলিশ পরিদর্শন করেছে। বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, নিহত নূর ইসলামের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৪

নওগাঁ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
নওগাঁয় জেলা কারাগারে সামিরুল সরদার (২২) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) ভোরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সামিরুল সরদার নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার তেমুখ সাপুরাপাড়া গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে।  নওগাঁ কারাগারের জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় করা মাদক মামলায় কারাগারে আসেন সামিরুল সরদার। এরপর আজ ভোরে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করলে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জেল সুপার আরও বলেন, হাজতির মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালেই রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।  
১৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৪২

রমজানে প্রশান্তির আরেক নাম নওগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডারের টক দই
মিষ্টির জন্য প্রসিদ্ধ এক নাম নওগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডার। তবে, রমজান মাসে তাদের মিষ্টি নয়, কাড়াকাড়ি পড়ে যায় টক দই নিয়ে। খাটি গরুর দুধ জ্বাল করে তৈরি করা হয় এই টক দই। স্বাদে-মানে অনন্য হওয়ায় নওগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডারের টক দই এখন আলাদা জায়গা করে নিয়েছে শহরবাসীর মনে।  রমজান এলেই ইফতার ও সেহেরীতে বাড়তি প্রশান্তির জন্য এ দই কিনতে রীতিমতো লাইন ধরেন ক্রেতারা।  প্রায় দশ বছর ধরে এই দই বিক্রি করে আসছে নওগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডার। শহরের চুড়িপট্টি ও ব্রীজের মোড় এলাকায় দুটি দোকানে বিক্রি হয় এই দই। দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ হাঁড়ি দই বিক্রি হয়ে থাকে। আগের বেলা সংগ্রহ করা না থাকলে পরের বেলায় ক্রেতাদের খালি হাতে ফিরতে হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমনিতে মিষ্টান্ন জাতীয় পণ্যের জন্য বিখ্যাত নওগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডার। দেশে বিদেশে এই দোকানের মিষ্টির চাহিদা ব্যাপক। তবে রমযান মাস এলে ব্যস্ততা বেড়ে যায় টক দই কারিগরদের। গোয়ালা থেকে খাটি গরুর দুধ সংগ্রহ করে পুরো একদিন লেগে যায় বিশেষ এ টক দই তৈরি করতে। দইয়ের উপকরন ননি আগে থেকেই সংগ্রহ করা থাকে। ভালো করে দুধ জ্বাল করে তা দই এর পাতিলে তুলে উপড়ে ননি দেওয়া হয়। এরপর গ্যাসের চুলার অল্প আগুনে ধীরে ধীরে কয়েক ঘন্টা জ্বাল করে একদিন রেখে দেওয়া হয়। এরপর তৈরি হয় টক দই। নওগাঁ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ম্যানেজার ফিরোজ হোসেন জানান, দশ বছর আগেও এখানকার ক্রেতাদের মাঝে টক দই সম্পর্কে ধারণা ছিলো না। নওগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডারই প্রথম শুরু করে টক দই বানানো। ধীরে ধীরে ক্রেতাদের চাহিদা বাড়তে থাকে। বিশেষ করে রমজান মাসে এই দইয়ের বাড়তি চাহিদা থাকে। তিনি জানান, শুধুমাত্র রমজান মাসে এ টক দইয়ের জন্য আলাদা জনবল নিয়োগ দিতে হয় তাদেরকে। ইফতার ও সেহেরীতে এই দই মানুষ অনেক পছন্দ করে। প্রতি এক পাতিল দই বিক্রি হয় ১৫০ টাকা দরে। পাতিল সহ ১ কেজি ১০০ গ্রাম ওজন থাকে দইয়ের। মিষ্টান্ন ভাণ্ডারটিতে কথা হয় কয়েকজন ক্রেতারা সঙ্গেও। তারা জানান, শুধুমাত্র নওগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডারের টক দই কেনার জন্য আগে থেকে বুকিং দিতে হয় এই রমজান মাসে। পরিবারের সবারই অনেক পছন্দ এই দই। বিশেষ করে রোজার মাস এলে এর চাহিদা থাকে প্রচুর। ভাত সঙ্গে মেখে, ঘোল বানিয়ে বিভিন্নভাবে খাওয়া হয় এই টক দই। গরমের দিনে এই দই শরীর ও মন দুটোই ঠান্ডা রাখে বলে জানান তারা।    
১৬ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৭

নওগাঁ কারাগারে হাজতির মৃত্যু
নওগাঁয় কারা হেফাজতে বাদশাহ প্রামাণিক (৫০) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে অচেতন অবস্থায় ওই হাজতিকে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই হাজতীকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে রাত ৮টার দিকে তীব্র বুক ব্যথায় জেলা কারাগারের ভেতরেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। বাদশাহ প্রামাণিক নওগাঁ সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের মৃত খবির উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে মাদক মামলায় কারাগারে ছিলেন তিনি। নওগাঁর জেলা কারাগারের সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, রাতেও বাদশাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। সবার সঙ্গে  গল্পে মগ্ন থাকা অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করলে তাৎক্ষণিক তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরমধ্যে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে রাতেই বাদশাহকে জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর জরুরী বিভাগে অচেতন অবস্থায় বাদশার ইসিজি করলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তিনি আরও বলেন, এদিয়ে তিনবার মাদক মামলায় কারাগারে এসেছেন বাদশাহ। হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি। তাকে জরুরী চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে আন্তরিকতার কমতি ছিল না। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই হাজতীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৬

কুয়াশার চাদরে ঢাকা নওগাঁ 
নির্বাচন দিনের প্রথম সকালে কুয়াশার চাদরে ঢাকা আছে নওগাঁ। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ঘন কুয়াশা।  রোববার (৭ জানুয়ারি) বদলগাছি আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুসারে জেলায় আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।  এদিকে, ঠান্ডা হিমেল বাতাস থাকায় সকলেই শীতে কষ্ট পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সময়মত কাজে না যেতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ দিনমজুররা। ফসলের বীজ এবং বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করেছেন চাষীরা। নওগাঁ বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বলেন, শনিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে করা হয়েছিল। রোববার তা বেড়ে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে উন্নিত হয়েছে। তবে হিমবাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশা থাকায় শীত জেঁকে বসেছে। দিনে সূর্যের দেখা মিললেও এর তাপমাত্রা কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বৃষ্টির পানি ঝরছে। আগামী কয়েকদিন জেলায় তাপমাত্রা উঠা নামা করতে পারে।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়