• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
যেভাবে অগ্নিকাণ্ডে নিজেকে ধোঁয়া থেকে রক্ষা করবেন
আগুন এ যেন এক ভয়াবহ আতঙ্কের নাম। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। যেকোনো অগ্নিকাণ্ডে আগুনে পুড়ে যতটা মৃত্যু হয়, তার চেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ধোঁয়ার কারণে শ্বাস বন্ধ হয়ে। আগুন লাগার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের অবহেলা জনিত কারণে ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। তবে বেশিরভাগ অগ্নিকাণ্ড ঘটছে বৈদ্যুতিক ত্রুটি কিংবা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে। তাই অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে এখন সবার আগে যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো আমাদের সচেতনতা।  চলুন জেনে নিই আগুন লাগলে নিজেকে ধোঁয়া থেকে রক্ষা করবেন কীভাবে- কোথাও আগুন লাগলে প্রথমেই সেখান থেকে নিরাপদ দূরত্বে যেতে চেষ্টা করুন। আগুন লাগা ভবনে ইমারজেন্সি ডোর থাকলে সেটা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করুন। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামুন। ভুলেও লিফট ব্যবহার করবেন না। আতঙ্কিত হওয়া চলবে না :  আগুন লাগলে ভয় না পেয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। কারণ ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে গেলে হার্টবিট বেড়ে যায়। যা থেকে হার্টফেল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অন্য দিকে জোরে জোরে শ্বাস নেয়ার ফলে আগুন থেকে বর্জিত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড আমাদের নিশ্বাসে অতিরিক্ত মাত্রায় মিশে যায়। যা থেকে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ধোঁয়া থেকে দূরে যেতে হবে :  আগুনের ধোঁয়ার ভেতরে আটকা পড়লে মুখ না ঢেকে বের হতে যাবেন না। আবার হেঁটেও বের হবেন না। ধোঁয়ার ভেতর থেকে নিচু হয়ে বা হামাগুড়ি দিয়ে কিংবা গড়াতে গড়াতে বের হতে হবে। তা না হলে ধোঁয়ার বিষাক্ত গ্যাস চোখে-মুখে গিয়ে বিপদ বাড়াতে পারে। আগুনের ধোঁয়া থেকে নির্গত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড গ্যাস বিষাক্ত তাই যতটা সম্ভব ধোঁয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। এটি চোখে মুখে গেলে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। ভেজা কাপড়ে মুখ ঢাকতে হবে : আগুনে আটকা পড়লে শুধু নাক দিয়ে নিশ্বাস নিন। মুখ দিয়ে শ্বাস নেবেন না। এ সময় কাপড় বা তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন। প্রয়োজনে তোয়ালে দাঁত ও ঠোঁট দিয়ে চেপে রাখুন। এটি আপনাকে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে সাহায্য করবে। জানালা খুলে দিন :  ধোঁয়া দেখা গেলে জানালা ভেঙ্গে দেবেন না। যদি দেখেন জানালার দিকে আগুন বা ধোঁয়া নেই তাহলে তা খুলে তাজা বাতাস নেয়ার চেষ্টা করুন শ্বাস নেওয়ার জন্য। কাপড়ে আগুন লেগে গেলে করণীয়: এমন পরিস্থিতিতে সঙ্গে সঙ্গে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। এবার মেঝেতে সারা শরীর গড়াগড়ি করতে থাকুন যতক্ষণ না আগুন নিভে যায়। এরকম করলে আগুন দ্রুত নিভে যাবে। গড়াগড়ি খাওয়ার সময় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নেবেন যেন আগুনের আভা মুখে এসে না লাগে। আগুন লাগলে লাফালাফি করবেন না। এতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। রুমের দরজা বন্ধ রাখতে হবে :  আগুনের ধোঁয়া রুমে সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না সেজন্য রুমের দরজা বন্ধ করে দিন। দরজার নিচে ও উপরে কাপড় ভিজিয়ে তা দিয়ে দরজার ফাঁকা অংশ বন্ধ করে দিন।   হামাগুড়ি দিতে হবে :  বের হওয়ার কোনো পথ পেলে হামাগুড়ি দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করুন। এতে মেঝের সতেজ বাতাস আপনাকে শ্বাস নিতে সাহায্য করবে। দরজা খোলার আগে হাত দিয়ে তা ধরে দেখুন। গরম লাগলে খুলবেন না। বুঝবেন দরজার ওপাশে আগুন আছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫০

টেকনাফ সীমান্তে ভারী গোলাগুলি, মিয়ানমারে উড়ছে কালো ধোঁয়া  
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদীর ওপার মিয়ানমার থেকে ভারী গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। শনিবার (২ মার্চ) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত টেকনাফের হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সীমান্তে মিয়ানমারে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া যায়। এতে আতঙ্কের মধ্যে আছেন সীমান্ত এলাকার হাজারো মানুষ। টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, সকাল থেকে থেমে থেমে ভারী মর্টারশেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এছাড়া নাফ নদীর ওপারে সকাল থেকে আগুনের কালো ধোঁয়াও দেখা যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রাম গুলোতে চলছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘর্ষ। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদীতে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা টহল বৃদ্ধি করেছে।     হ্নীলা সীমান্তের বাসিন্দা মো. ইলিয়াছ বলেন, সকাল থেকে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এখন আবার নতুন করে সেখানে আগুন দেখা যাচ্ছে। এতে আমরা সীমান্তের লোকজন ভয়ের মধ্যে আছি। হ্নীলা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি তারেক মাহমুদ রনি বলেন, সকালে বিকট শব্দ শুনে ভয়ে ছিলাম। এ রকম শব্দ খুব কম শোনা যায়। যেন মনে হচ্ছে বাড়ির পাশে এসে বোমা পড়েছে। মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে আমাদের ওপর খুব বাজেভাবে প্রভাব পড়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে সীমান্তে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। ওপারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও পুলিশের টহল বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্তে বসবাসরতদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে এখনও মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। সম্প্রতি নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে চারশ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবির কোস্ট গার্ড সদস্যরা। এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড চট্টগ্রাম পূর্বজোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, ওপারের চলমান যুদ্ধের পরিস্থিতিতে নাফনদী দিয়ে সীমান্তে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা থেকে আমরা (কোস্ট গার্ড) নাফনদীতে টহল জোরদার রেখেছি। নতুন করে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়