• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ভারতের লোকসভা নির্বাচন ১৯ এপ্রিল, ৭ ধাপে হবে ভোটগ্রহণ
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে দেশটির ৫৪৩ আসনের নির্বাচন। সাত ধাপে ভোটগ্রহণ চলবে ১ জুন পর্যন্ত। আর ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ৪ জুন।  শনিবার (১৬ মার্চ) ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার এ তফসিল ঘোষণা করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সিকিম, উড়িষ্যা, অরুণাচল প্রদেশ এবং অন্ধ্র প্রদেশ- এই চারটি রাজ্যে একযোগে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তালিকাতে রাখা হয়নি জম্মু-কাশ্মীরের নাম। ২০১৮ সাল থেকে রাষ্ট্রপতির শাসনাধীন আছে প্রদেশটি।  এছাড়া বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুসহ একাধিক রাজ্যের ২৬টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে এ সময়ের মধ্যে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর প্রচারের বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। রাজনৈতিক দলগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা উচিত জানিয়ে রাজিব কুমার বলেছেন, ভুয়া খবর প্রচার আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ (৩)(বি) ধারা প্রতিটি রাজ্যের নোডাল অফিসারদের বেআইনি বিষয়বস্তু অপসারণের ক্ষমতা দিয়েছে। এছাড়া জাতিগত বিদ্বেষ এবং ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করার ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, প্রচার-প্রচারণা হতে হবে ইস্যুভিত্তিক। কোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়া যাবে না, ধর্মীয় কোনও কিছু উদ্ধৃত করা যাবে না। কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না।  এছাড়া সংবাদমাধ্যমে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রদানের ক্ষেত্রেও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজিব কুমার। কোনটি বিজ্ঞাপন আর কোনটি খবর সেটি স্পষ্ট করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এসব বিষয় নজরদারিতে রাখার জন্য ২১০০ সদস্যের একটি পরামর্শক দল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। যারা নিয়ম ভঙ্গ করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। যেসব ভোটারের বয়স ৮৫ বছরের উপরে এবং যারা শারীরিকভাবে অক্ষম তারা চাইলে বাড়িতে থেকে ভোট দিতে পারবেন। বর্তমানে ভারতে ৮৫ বছরের উপরে ৮২ লাখ ভোটার রয়েছেন।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৭

চার ধাপে হবে উপজেলা ভোট, শুরু ৪ মে
সারাদেশে চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আগামী ৪ মে প্রথম ধাপের ভোটের মধ্য দিয়ে তা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন কমিশন ভবনে ২৭তম কমিশন সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান। জাহাংগীর আলম জানান, মাধ্যমিক পরীক্ষা, পবিত্র রমজান মাস ও বর্ষাকাল— এ তিনটি বিষয় নিয়ে ভাবছে ইসি। বর্তমানে নির্বাচন উপযোগী উপজেলার সংখ্যা ৪৫২টি। চার ধাপে হবে ভোটগ্রহণ। এরমধ্যে প্রথম ধাপে ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ তথা শেষ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন বৈঠক হয়। চলতি বছর ইসিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ আরও কিছু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন করতে হবে। সারাদেশে উপজেলা পরিষদ ৪৯৫টি রয়েছে। সাধারণত সব উপজেলায় একসঙ্গে নির্বাচন করা হয় না। একাধিক ধাপে সম্পন্ন করতে হয় এ নির্বাচন। এবারও ধাপে ধাপে এই নির্বাচন সম্পন্ন করার চিন্তা করছে ইসি।  বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ পূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়। বর্তমানে দেশে ৪৫২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপযোগী হয়ে রয়েছে। জুনের মধ্যে এসব উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এ ছাড়া আগামী মার্চের মধ্যে প্রায় সবগুলো উপজেলা নির্বাচনের উপযোগী হবে।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৬

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র  / সক্ষমতার নতুন ধাপে বাংলাদেশ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। দেশের সক্ষমতার নতুন স্মারক হয়ে দাঁড়ানো মেগাস্ট্রাকচারটি এখন প্রস্তুত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। চলতি বছরের শেষ নাগাদ চালু হতে যাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। আর ২০২৫ সালের মধ্যেই চালু হবে বাকি ইউনিট অর্থাৎ, পুরো কেন্দ্র। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে প্রকল্পটি বুঝিয়ে দিতে পূর্ণ নিশ্চয়তা দিচ্ছে নির্মাতা দেশ রাশিয়াও। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বল্পতম সময়ে জটিল এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গেল বছর সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ শুরু হয় পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম নিয়ে আসার প্রক্রিয়া। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু সংস্থা রোসাটমের তত্ত্বাবধানে ৭টি ধাপে ১৬৮টি ইউরেনিয়ানের অ্যাসেম্বলি পৌঁছে গেছে রূপপুরের প্রকল্প এলাকায়।  এখন চলছে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, আর জ্বালানি লোডিংয়ের প্রস্তুতি। এ প্রসঙ্গে রোসাটমের ডিজি অ্যালেক্সি লিখাচেভ বলেন, বিড়ম্বনার অনেক ধাপ পেরিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্পটি এখন সফলতার দ্বারপ্রান্তে। প্রকল্প এলাকায় পারমাণবিক জ্বালানি পৌঁছানোর অর্থই হলো, বড় আকারে স্টার্ট-আপ কর্মসূচির জন্য এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতির সময় হয়ে গেছে। কমিশনিংয়ের আগে সুক্ষ্ম যন্ত্রপাতিগুলোর উপর অন্তত দেড় হাজার পরীক্ষা চালানো হবে। গেলো কয়েক বছর অনেক চাপের মধ্য দিয়ে পার হলেও, সব চ্যালেঞ্জই এখন পর্যন্ত সফলভাবে উতরানো গেছে। সামনেও চ্যালেঞ্জ থাকবে। কিন্তু কোনও চ্যালেঞ্জের মুখেই প্রকল্প এলাকা ছেড়ে যাবে না রাশিয়ান একজন কর্মীও। কোনো অবস্থাতেই এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পেছনে ফিরে আসার আর সুযোগ নেই।   এদিকে, টানা চতুর্থবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বললেন, কাজ চলছে সূচি মাফিক। ২০২৫ সালেই পরমাণু বিদ্যুৎ পাবে দেশ। মন্ত্রী বলেন, ‘এই ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা বেশ কঠিন কাজ। এটা এখন আর গাল-গল্প নয়; এটা সত্যি। এখন আমরা পরমাণু বিদ্যুতের যুগে প্রবেশ করেছি। ফুয়েল চলে আসা মানে এটা আমরা অর্জন করেছি। ২০২৪ সালেই প্রথম ইউনিট চালু হবে। আর ২০২৫ সালের মধ্যেই চালু হবে পুরো কেন্দ্র।’   পরমাণু বিশেষজ্ঞদের মতে, এতো অল্প সময়ের মধ্যে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে নতুন রেকর্ড করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে সক্ষমতার নতুন ধাপে পা রাখছে দেশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগর শিক্ষক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের মতে, যেভাবে কাজ চলছে, তা যদি সঠিকভাবে চলতে থাকে তাহলে ৭-৮ বছরের মধ্যে আমরা বিদ্যুতের কমার্শিয়াল অপারেশনে চলে যেতে পারব। আর এটা হবে একটা নবাগত দেশের জন্য মাইলফলক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ এতো হাইটেক প্রযুক্তি চালানোর সক্ষমতা অর্জন করবে- এটা কিন্তু বিশ্বমণ্ডলে আলোচনা হবে। অনেক দেশ আমাদের অনুসরণ করার চেষ্টা করবে।’ রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মাণাধীন এ প্রকল্পটিতে ভিভিইআর প্রযুক্তির তৃতীয় প্রজন্মের রিঅ্যাক্টর বা পরমাণু চুল্লি ব্যবহৃত হচ্ছে, যার প্রত্যেকটির উৎপাদন সক্ষমতা ১২শ মেগাওয়াট করে।  
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়