• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ধান খেয়েছে হাঁস, মারামারিতে নিহত ১
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় হাঁসের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নোয়াব আলী (৫৮) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের তেরহাল গ্রামের জুবুর খুল হাওরে এ ঘটনা ঘটে।  নোয়াব আলী একই গ্রামের মৃত জায়ফর আলীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় হাঁসের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে নোয়াব আলী ও তাজুল ইসলামের মধ্যে মারামারি হয়। এতে দুজনই আহত হন। পরে নোয়াব আলী নোয়াখালী বাজারে পল্লী চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে যান। আজ সকালে মারা যান তিনি। শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
২২ ঘণ্টা আগে

ধান শুকানোর জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের ৩ ঘণ্টা সংঘর্ষ, আহত ৫০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে গ্রামবাসীদের দুটি পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক লোক।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে ৯টা পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের সোনাউল্লাহ গোষ্ঠীর মান্নান মিয়ার সঙ্গে বুইল্লার বাড়ির রাশিদ মিয়ার মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে ওই দুই গোষ্ঠীর লোকজন পরমানন্দপুর চান্দালের মাঠে মুখোমুখী সংঘর্ষে জড়ায়। পরে সোনাউল্লাহর পক্ষে যোগ দেয় খাঁবাড়ি, কৈবতবাড়ির লোকজন। অপরদিকে বুইল্লার বাড়ির সঙ্গে যোগ দেয় বুদ্ধির গোষ্ঠী, বড়বাড়ি ও উজিবাড়ির লোকজন।  পুরো গ্রামই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের নেতৃত্ব দেন সানাউল্লাহ গোষ্ঠীর কাঞ্চন মিয়া এবং বুইল্লার দলের পক্ষে জিয়াউল আমিন। ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহতরা হলেন– ওসমান মিয়া (৫৫), কাঞ্চন মিয়া (১৬), টাক্কাবালি (১৬), জিয়াউর রহমান (১৬) ও মন মিয়াকে (৩০) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের সরাইল, ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সকাল ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন বলেন, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১১

হাওরের পাকা ধান নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক, শ্রমিক সংকট
সুনামগঞ্জের হাওরে হাওরে পাকা ও আধপাকা ধান ঢেউ তুলছে। সুন্দর এই দৃশ্য মনে দোলা দিলেও জলাবদ্ধতা আর পাহাড়ি ঢলের শঙ্কা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে হাওরের কৃষকদের। মঙ্গলবার রাতে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টিতে দিরাই উপজেলার কালিয়াকুটা হাওরের পূর্ব অংশে প্রায় ২০০ হেক্টর বোরো জমির ফসল  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কাইমা, মধুপুর, বেগমপুর, আনোয়ারপুর, গচিয়া ও খেজাউড়া গ্রামের সহস্রাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জলাবদ্ধতা আর শিলাবৃষ্টির শঙ্কার মধ্যে আগেভাগেই জেলার বিভিন্ন হাওরে ধান কাটছেন কৃষক। তবে হাওরের বেশির ভাগ জমির ফসল কাঁচা অবস্থায় থাকায় বিপাকে তারা। অন্যদিকে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ি ঢল, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির কারণে হাওরে পর্যাপ্ত ধানকাটা শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বিগত সময়ে বাইরের জেলা থেকে অস্থায়ীভাবে বিপুলসংখ্যক খেতমজুর এলেও এবার তার বিপরীত। কম্বাইন হার্ভেস্টর ও ধানকাটার আধুনিক মেশিন প্রচলনে সনাতন পদ্ধতিতে ধান কাটায় মুনাফা কম পাওয়া শ্রমিকদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। ফলে ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে হাওরের পাকা ধান দ্রুত কাটতে ভর্তুকিমূল্যে জেলার ১২ উপজেলার সাড়ে ৮০০ কম্বাইন হার্ভেস্টর মেশিন কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তবে হার্ভেস্টর মেশিন হাওরের উঁচু এলাকার ধান কাটতে সহায়ক হলেও তুলনামূলক নিচু উর্বর জমির ধান কাটতে না-পারায় বিপাকে কৃষক। তাই সনাতন পদ্ধতিতে ধান কাটতে শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে কৃষকদের। পর্যাপ্ত শ্রমিক না পাওয়ায় হাওরের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। শান্তিগঞ্জ উপজেলায় খাই হাওরের কৃষক সিজাউল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর সিলেটের কানাইঘাট এলাকা থেকে ধানকাটা শ্রমিক আসেন। এবারও ১০ জন শ্রমিক আসার কথা ছিল। গতকাল ফোন দিয়ে তারা আসবে না বলে জানিয়েছেন। এখন হাওরের ধান কাটা নিয়ে চিন্তায় আছি। কীভাবে এত ধান কাটব। সদর উপজেলার কৃষক রহমত মিয়া বলেন, হার্ভেস্টর মেশিন পানিতে বা নরম জমিতে ধান কাটতে পারে না। তাই নিচু এলাকায় জমির ধান কাটার জন্য শ্রমিকের ওপর নির্ভর করতে হয়। এখন আগের মতো শ্রমিক পাওয়া যায় না। আকাশের অবস্থাও ভালো না। কবে কী হয়, বলা যায় না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০ হাজার শ্রমিক সুনামগঞ্জে ধান কাটতে এসেছেন। জেলায় ২ লাখ শ্রমিক রয়েছে। তাছাড়া অস্থায়ী ভিত্তিতে আরও ৩০ হাজার অনিয়মিত শ্রমিক ধান কাটার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। একই তথ্য জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, এবার হাওরে শ্রমিক সংকট দেখা দেবে না। বুধবার পর্যন্ত জেলায় ৪০ হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা হয়েছে। প্রতিদিন ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান কাটা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে খাস জমিতে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কামাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে সরাইলের শাহজাদাপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  কামাল উদ্দিন শাহজাদাপুর গ্রামের মৃত সাদাত আলীর ছেলে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার ওসি মো. এমরানুল ইসলাম। ওসি এমরানুল বলেন, শাহজাদাপুর গ্রামের একটি খাস কৃষি জমি নিয়ে অনেক দিন ধরেই স্থানীয় জুয়েল মেম্বার ও রিপন মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছিল। সেই সূত্র ধরে শুক্রবার দুপুরে জুয়েল মেম্বার ও তার লোকজন বিরোধপূর্ণ কৃষি জমির ধান কেটে নেয়। এরপর পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে সেই ধানগুলো তাদের কাছ থেকে জব্দ করে অপর পক্ষকে ফেরত দেয়।  ওসি আরও বলেন, এরই জের ধরে দুপক্ষ আজ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে কামাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। দুপক্ষের ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। সরাইল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল হাসান জানান, শাহজাদাপুর গ্রামটি সরাইল উপজেলা সদর থেকে অনেক প্রত্যন্ত। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৮

আউশের উৎপাদন বাড়াতে এবার ৬৪ কোটি টাকার প্রণোদনা
ধানের উৎপাদন করতে কৃষকদের উৎসাহ দিতে আবার পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। এবার আউশের আবাদ ও উৎপাদনে প্রণোদনা দেবে সরকার। প্রণোদনার অঙ্কটি নেহাত কম নয়, ৬৪ কোটি ১৫ লাখ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ৯ লাখ ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন। উচ্চফলনশীল আউশ ধানের উৎপাদন বাড়াতে এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। অধিক ফলনশীল ব্রিধান ৪৮, ব্রিধান ৮২, ব্রিধান ৮৫, ব্রিধান ৯৮, ব্রিধান ১৯ ও ব্রিধান ২১ এর বীজ দেওয়া হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে।  
১২ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯

অবৈধভাবে ধান মজুত করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
জয়পুরহাটে অবৈধভাবে ধান মজুত করার অপরাধে লোকমান আলী নামে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার শুক্তাহার এলাকায় র‌্যাবের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।   তিনি জানান, র‌্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাদ্য দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে একটি  গোডাউনে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোডাউনে প্রায় সাড়ে ৩শ’  মেট্রিকটন ধান মজুদ অবস্থায় পাওয়া গেছে। ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ না থাকায় এবং অবৈধভাবে ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে গোডাউনে ধান মজুদ রাখার দায়ে ব্যবসায়ী লোকমান আলীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে গোডাউনে মজুদকৃত ধান খোলাবাজারে বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়। এ সময় জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. শেখ সাদিক ও সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৯

অবৈধভাবে ধান মজুত, দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা 
নওগাঁয় লাইসেন্সের শর্ত ভেঙে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে ধান মজুত করার অপরাধে দুই চালকল মিল মালিককে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি একটি গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টার পর্যন্ত সদর উপজেলার হাঁপানিয়া এলাকায় এ অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ কুমার বসু। অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ কুমার বসু জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাঁপানিয়া এলাকায় অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান দুইটি চালকল মিলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অন্তর চালকল মিলের গুদামে অবৈধভাবে ১৮৩ টন ধান মজুত পাওয়া যায়।  পরে তাকে ১ লাখ টকা জরিমানা করা হয় ও গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়। এছাড়াও পাশ্ববর্তী ফারুক চালকল মিলের গুদামে ৮২ টন ধানের অবৈধ মজুত পাওয়া যায়। পরে তাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং আগামী ১০ দিনের মধ্যে মজুতকৃত এসব ধান বাজারে সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, কোনো ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ধান-চাল মজুত করলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। অভিযানে জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাজের হাসান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থ্যার (এনএসআই) সদস্য, খাদ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:১৩

ধান চালের অবৈধ মজুত বিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ধান চালের অবৈধ মজুত বিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার। রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্বিতীয় মেয়াদে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে প্রথম কার্য দিবসে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে ধান উৎপাদন ভালো হয়েছে। আমাদের খাদ্য মজুতও ভালো। বাজারে প্রচুর সরবরাহ আছে। তবে মিলাররা প্রতিযোগিতা করে ধান কেনায় প্রতিনিয়ত চালের দাম বাড়ছে। এ অশুভ প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে খাদ্য মন্ত্রণালয় দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। তিনি আরও বলেন, মজুত বিরোধী আইন ইতোমধ্যে পাস হয়েছে। দ্রুত বিধি প্রণয়ন করে তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে। সাধন মজুমদার বলেন, আমাদের দেশে খাদ্যের অভাব নেই। নিত্যপন্যের দাম কমিয়ে আনা সরকারেরর নির্বাচনী ইশতেহারে রয়েছে। এটা বাস্তবায়নে খাদ্য মন্ত্রণালয় নতুন কর্ম কৌশল প্রনয়ণ করবে। তিনি বলেন, কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে কর্মকর্তাদের নতুন উদ্দ্যোম নিয়ে নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এ সময় তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সাধন মজুমদার। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইয়ুম এবং এফপিএমইউ এর মহাপরিচালক শহিদুল আলম বক্তৃতা করেন।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়