• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
স্বাধীনতা দিবসে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে মঙ্গলবার সূর্যোদয়ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৫টা ৫৬ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ। বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবে। পাশাপাশি দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৭ মার্চ বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ও বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।    
২৬ মার্চ ২০২৪, ০০:৩৭

রমজানে কর্মসূচি দিয়ে ধর্মীয় মূল্যবোধের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে বিএনপি : কাদের
‘রমজান মাসে কর্মসূচি চলমান রাখার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি জনগণের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘রমজান মাস সংযমের মাস। এ মাসেও বিএনপির নেতারা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি চলমান রাখার কথা বলছে। রমজান মাসে কর্মসূচি চলমান রাখার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপি জনগণের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি এরপর বলেন, ‘তাদের এই কর্মসূচি রমজানের মধ্যেও জনভোগান্তি সৃষ্টি করবে। অর্থাৎ তারা দেশের জনগণকে কোনোভাবেই স্বস্তিতে থাকতে দিতে চায় না। আমরা আগেই বলেছি, রমজানে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে তাদের তথাকথিত সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংসের পাঁয়তারা করে আসছে বিএনপি। কিন্তু তাদের ডাকে জনগণ কখনোই সাড়া দেয়নি। বরং তারা জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ফলে বিএনপি তথাকথিত আন্দোলনের মাধ্যমে গণসম্পৃক্ততার কোনো স্বরূপ তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি সর্বদাই গণবিরোধী অবস্থানে থেকে রাজনীতি করে আসছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পরোক্ষভাবে বন্দিত্বের কথা বলছে; তারা নাকি স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে না। অথচ, তারা নিয়মিতভাবে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে, চড়া গলায় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভুলের চোরাবালিতে আটকে পড়েছে, ভুল রাজনীতির ফ্রেমে বন্দি হয়ে আছে। তারা খুনি-দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী তারেক রহমানের নেতৃত্বের দাসত্বে বন্দি হয়ে আছে। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় বা বিবেক জাগ্রত না হলে তারা এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাবে না। বন্দি অবস্থায় থাকতে থাকতে ভ্রমের কারণে তারা তাদের বন্দিত্বের দায়ভার সরকারের উপরে চাপানোর অপচেষ্টা করছে।    
১২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৩

চলছে ধর্মীয় বয়ান, ইজতেমায় যৌতুকবিহীন গণবিয়ে আজ
টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিন আজ। শনিবার ভোরে ফজরের নামাজের পর চলছে ধর্মীয় বয়ান। বয়ান করছেন ভারতের মাওলানা সাঈদ বিন সাদ। বাংলা তরজমা করছেন মুফতি ওসামা ইসলাম। আসরের নামাজের পর অনুষ্ঠিত হবে যৌতুক বিহীন গণবিয়ে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ফজরের পর বয়ান শুরু করেছেন ভারতের মাওলানা সাঈদ বিন সাদ। বাংলা তরজমা করছেন মুফতি ওসামা ইসলাম। আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে শুরু হবে আখেরি মোনাজাত। আর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সাদপন্থিদের তাবলিগ জামাতের এবারের বিশ্ব ইজতেমা। ইজতেমার আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, ইজতেমা ময়দানের ৮৯টি খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি। ফজরের নামাজের পর পিনপতন নীরবতায় ধর্মীয় বয়ান শুনছেন তারা। তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বিরা আরবি, উর্দু ও হিন্দিতে বয়ান করলেও তাৎক্ষণিকভাবে এগুলো বাংলা, ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়া যারা তাবলিগের দাওয়াতি কাজে বের হবেন, খিত্তা অনুযায়ী তাদের তালিকাভুক্ত করা হবে। বয়ানের পর এগুলো থেকে নেওয়া শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি খিত্তায় দলবেঁধে নিজস্ব আমিরের (দলনেতা) নেতৃত্বে হবে আলোচনা। সকাল সাড়ে ১০টায় তালিমে হালকা মোয়াল্লেমদের নিয়ে কথা বলবেন মাওলানা আব্দুল আজিম। ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই মূল বয়ান মঞ্চের পাশে অনুষ্ঠিত হবে গণবিয়ে। শরিয়া আইন অনুযায়ী কনের অনুপস্থিতিতে তার অভিভাবক, বর ও আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতে এ বিয়ে হবে। ইতিমধ্যে পাত্র এবং তাদের স্বজনরা আসতে শুরু করেছেন। ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বলেন, ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে জোহরের নামাজের পরে বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা শরিফ, বাংলা তরজমায় মাওলানা মাহমুদুল্লাহ, আসরের পরে বয়ান করবেন পাকিস্তানের মাওলানা ওসমান, বাংলা তরজমায় মাওলানা আজিম উদ্দিন। মাগরিবের পরে বয়ান করবেন ভারতের মুফতি ইয়াকুব, বাংলা তরজমায় মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। রোববার ফজরের পরে বয়ান করবেন ভারতের মুফতি মাকসুদ, বাংলা তরজমায় মাওলানা আব্দুল্লাহ। বয়ানের পরেই হেদায়াতি বয়ান ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। মজলিশে শুরার সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৫

পবিত্র শবেমেরাজ পালিত
সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র মেরাজের রজনী পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ দোয়া, মোনাজাতসহ ইসলামী আলোচনা অনুষ্ঠান। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে মেরাজের পবিত্র রাত পালন করেছেন। আল্লাহর নৈকট্য লাভে এ রাতে নফল নামাজ, কোরআন তেলায়াত, তাসবিহ তাহলিল ও জিকির আসকার করেন মুসল্লিরা। পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন উপলক্ষ্যে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘শবেমেরাজ’ অর্থ ঊর্ধ্ব গমনের রাত। ২৬ রজব দিনগত রাতে ঊর্ধ্বাকাশে ভ্রমণ করে মহানবি হজরত মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহ তা’য়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন। তাই রাতটি মুসলমানদের কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত সফরকে ‘ইসরা’ এবং মসজিদুল আকসা থেকে সাত আসমান পেরিয়ে আরশে আজিম সফরকে ‘মিরাজ’ বলা হয়। মহানবি (সা.) নবুওয়াতের দশম বছর ৬২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ রজব দিবাগত রাতে আল্লাহর সান্নিধ্যে মিরাজ গমন করেন। পবিত্র কোরআনের সুরা বনি ইসরাইল ও সুরা নজমের আয়াতে, তাফসিরে এবং সব হাদিস গ্রন্থে মিরাজের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। ৬২০ খ্রিস্টাব্দ হজরত মুহাম্মদের (সা.)-এর জন্য দুঃখ ও শোকের বছর ছিল। এ সময় তিনি তার কঠিন সময়ের দুজন প্রিয় ব্যক্তি স্ত্রী খাদিজা (রা.) এবং চাচা আবু তালেবকে হারিয়েছেন। তা ছাড়া ইসলামের দাওয়াত নিয়ে তায়েফ গেলে সেখান থেকেও আশাহত হয়ে ফেরেন। এরপর মহান আল্লাহ ইসরা ও মেরাজের মাধ্যমে প্রিয় রাসুলকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেন। এই রাতে প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দিদার লাভ করেন এবং আল্লাহর কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে দুনিয়ায় ফিরে আসেন।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়