• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
টিকিট ছাড়া পার্কে ৫ শিশু, কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখলেন ইউএনও
শরীয়তপুরে জেলা প্রশাসন পরিচালিত একটি পার্কে টিকিট ছাড়া প্রবেশ করায় ৫ শিশুকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিনের নির্দেশে দুজন গ্রাম–পুলিশ ও আনসার সদস্যদের প্রহরায় শিশুদের তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর পার্ক থেকে তাদের আটক করেন গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। পরে তাদের ওই শাস্তি দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর পার্কটি ঈদের দিন চালু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পার্কের দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন ইউএনও মো. মাইনউদ্দিন। সীমানা প্রাচীর দিয়ে পার্কটির চারপাশ আটকে একটি প্রবেশদ্বার রাখা হয়েছে। পার্কের ভেতরে শিশুদের খেলার জন্য বসানো হয়েছে ১৫-১৬টি বিভিন্ন রাইড। এ ছাড়া পার্কে প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। সোমবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার হাতিরকান্দি, তুলাসার ও স্বর্ণঘোষ এলাকার ১০ থেকে ১৩ বছর বয়সী কয়েকজন শিশু পার্কের আশপাশে খেলাধুলা করছিল। এ সময় তারা নিরাপত্তা প্রহরীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমানা প্রাচীর টপকে পার্কে প্রবেশ করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে গ্রাম–পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের মধ্যে ৫ জনকে আটক করেন। অভিযোগ উঠেছে, পরে সেখানে উপস্থিত হয়ে ইউএনও মো. মাইনউদ্দিন ওই শিশুদের মধ্যে চারজনকে কানে হাত দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন। ওই ঘটনার সময় পার্কে উপস্থিত অনেক দর্শনার্থী মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলেন ও ভিডিও ধারণ করেন।  পার্কে দায়িত্বে থাকা প্রহরী জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী বলেন, দেয়াল টপকে কিছু ছেলে পার্কে প্রবেশ করে। পরে তাদের ধরে শাস্তি দেওয়ার জন্য পানিতে দাঁড় করে রাখা হয়। তবে কানে ধরার বিষয়টি আমি জানি না। ভুক্তভোগী এক শিশু বলে, আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না। আমার সাথে থাকা অনেকে ভেতরে ঢুকছে, তাই আমিও ওদের সাথে ঢুকছি। পরে আনসাররা মিলে আমাকে সন্ধ্যা থেকে ৯টা পর্যন্ত আটকে রাখছে। ইউএনও এসে আমাকে কান ধরে রাখতে বলছে আর পার্ক বন্ধ হওয়া পর্যন্ত আটকে রাখতে বলছে। ভুক্তভোগী আরেক শিশু বলে, আমরা বুঝতে পারলে ঢুকতাম না। আমাদের অনেকক্ষণ দাঁড় করাইয়া রাখায় পা ব্যথা হয়ে গিয়েছিল। ওনারা অনেক রাগারাগি করছে। আমরা আর কখনো পার্কে যাব না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েকজন দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকলে গ্রাম–পুলিশ ও দায়িত্বরত যারা ছিলেন তারা ওদেরকে ধরে আটকে রাখেন। আমি গিয়ে কাউন্সিলিং করে ছেড়ে দিই। ওরা দুয়েকজন হয়তো ভয়ে কানে হাত দিয়েছিল।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৪

বিমানের সিটে জড়িয়ে ধরে শুয়ে যুগল, ছবি ভাইরাল
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। সেখানে দেখা গেছে, বিমানের সিটে যুগলের দুই জোড়া খালি পা। সিটে উঠে একে অপরের উপর শুয়ে রয়েছেন তারা। নিউ ইয়র্কের একটি বিমানে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলেছে এমনই কাণ্ড। বিমানের অন্য যাত্রীরা সেই দৃশ্য দেখে হতবাক। কিছু যাত্রী মোবাইল ফোনে ছবি তুলে সেগুলি পোস্ট করতেই ভাইরাল হয়ে যায় সেগুলি। ছবি পোস্ট করে বেবিআইবিমাজয়েন্ট নামের এক ইউজার লিখেছেন, ‘বিমানে অপরিচিত লাভবার্ডস। ৩০ হাজার ফুট উচ্চতাতেও একে অপরকে জড়িয়ে শুয়ে। প্রায় ৪ ঘণ্টার বিমানে এমন দৃশ্য দেখব ভাবতে পারিনি’। মুহূর্তের মধ্যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বিমানের কর্মীরা কেন এমন কাণ্ড দেখেও বাধা দিলেন না। বিমানসেবিকারা কোথায় ছিলেন? অনেকেই তীব্র প্রতিবাদ করেছেন এমন ঘটনার। কেন অন্য যাত্রীদের এমন দৃশ্য দেখে যাতায়াত করতে হবে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৮

২৫ দিন ধরে ধর্ষণ : চার আসামি ফের রিমান্ডে
রাজধানীতে একটি বাসায় শেকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় চার আসামিকে ফের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত আসামিদের প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিরা হলেন সান, হিমেল, রকি ও সালমা ওরফে ঝুমুর। এর আগে, ৩ দিনের রিমান্ড শেষে এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। একইসঙ্গে আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য, মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শেকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় এক তরুণীকে। পরে ওই তরুণীর চিৎকারে এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।  এরপর ভুক্তভোগী তরুণী ৩১ মার্চ রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৩

৯০ বছর ধরে সংরক্ষিত বইয়ের মানব চামড়ার মলাট সরিয়ে নিলো হার্ভার্ড
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত ছিল মানব চামড়ায় বাঁধানো একটি বই। ৯০ বছর ধরে বইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংরক্ষণে থাকলেও তার মলাট যে মানুষের চামড়ায় তৈরি, তা নিশ্চিত হওয়া যায় ২০১৪ সালে। তারপরও এক দশক এ অবস্থাতেই বইটি নিজেদের সংরক্ষণে রাখলেও এবার সেই মলাট সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ‘ডেস্টিনিজ অব দ্য সোল’ নামে বইটি থেকে মানব চামড়ায় তৈরি মলাটটি অপসারণ করা হয়েছে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।  হার্ভার্ড জানিয়েছে, চামড়াটি অপসারণ করা হয়েছে এবং ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তার শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা হবে। জানা গেছে, ১৮৮০ সালে লেখা হয় এই বইটি। ‘দেস দেসতিনেস দে লামে’ শিরোনামে আত্মা ও মৃত্যুপরবর্তী জীবন নিয়ে লেখা এই  বইটির লেখক আর্সেন হোসায়ের। পরে বইটি নিজের চিকিৎসক বন্ধু ডা. লুডোভিচ বোল্যান্ডকে দেন লেখক। বইপ্রেমী ওই চিকিৎসক পরবর্তীতে এক অপরিচিত মানসিক বিকারগ্রস্ত নারীর চামড়া দিয়ে বাঁধাই করেন বইটি। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছিল ওই নারীর। ১৯৩৪ সাল থেকে বইটি স্থান পায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হাফটন লাইব্রেরিতে। এরপর একটা পর্যায়ে বইটির মলাট নিয়ে সন্দেহ হওয়ার পর ব্যাপক অনুসন্ধান চালান বিজ্ঞানী ও পর্যবেক্ষকরা। অবশেষে ২০১৪ সালে এসে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সক্ষম হন গবেষকরা। বইটির মলাটে মানুষেরই চামড়া ব্যবহার করা হয়েছে বলে শতভাগ নিশ্চিত হন তারা। এরপর এক দশক ধরে বইটি মানব চামড়ার মলাটেই সংরক্ষিত থাকলেও দুদিন আগে সেই মলাট সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ। অনেক বিবেচনা ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। অজ্ঞাত ওই নারীর এই দেহাবশেষের সম্মানজনক সৎকারের পাশাপাশি এখন ওই নারীর জীবন নিয়েও গবেষণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাফটন লাইব্রেরি। অবশ্য কেন মানুষের চামড়া দিয়ে বই বাঁধাইয়ের মতো ‘উদ্ভট’ কাজটি করেছিলেন ওই ব্যাখ্যাও বইয়ের ভেতর একটি চিরকুটে দিয়ে গিয়েছিলেন ডা. বোল্যান্ড। চিরকুটে ওই চিকিৎসক লিখেছিলেন, “মানব আত্মা নিয়ে লেখা একটি বই অবশ্যই মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধাই হওয়ার দাবি রাখে।”  আজকাল মানুষের চামড়া দিয়ে বই মলাট করাকে উদ্ভট বা ঘৃণ্য কাজ হিসেবে গণ্য করা হলেও এক সময় অবশ্য এর প্রচলন ছিল। বোল্যান্ড লিখেছিলেন, ষোড়শ শতাব্দি থেকে ‘এনথ্রোপোডার্মিক’ শব্দটি বেশ প্রচলিত, যার অর্থ হচ্ছে মানুষের চামড়া দিয়ে বইয়ের মলাট করা। ওই শতকে এর প্রচলন ছিল। তখন কেউ অপরাধ করলে তার চামড়ায় তা লিখে দেওয়া হতো। অনেক সময় কেউ কেউ মরে যাওয়ার পর তার চামড়া দিয়ে বইয়ের মলাট বানিয়ে তাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের অনুরোধও করে যেতেন। একই নোটে তার সংগ্রহে থাকা আরেকটি বই ‘সাভিয়েরিন পাইনাস’ও মানুষের চামড়ায় বাঁধাই করা বলে নিজের লেখা চিরকুটে উল্লেখ করে যান বোল্যান্ড। বইটি বর্তমানে লন্ডনের ‘ওয়েলকাম’ লাইব্রেরিতে আছে বলে জানা গেছে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৭

ডাকাত ধরে কাঁধে করে নিয়ে এলেন এএসআই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে কাঁধে করে তুলে এনে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামরুল ইসলাম ভাইরাল হয়েছেন। শুক্রবার (২২ মার্চ) নাসিরনগরর উপজেলার হরিপুরে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার ওই এসআইয়ের ছবি ভাইরাল হয়। জানা গেছে, গ্রেপ্তার জীবন ওই এলাকার হুসন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা আছে। সম্প্রতি তিনি মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি শুরু করেন। তাকে অনেক দিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে শুক্রবার ইফতারের আগ মুহূর্তে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে নাসিরনগর থানা পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার করতে ছদ্দবেশে এসআই রূপন নাথ, এএসআই কামরুল ইসলাম ও তিন পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হরিপুরে যান।  সেখানে গিয়ে তারা দেখেন ডাকাত জীবন সঙ্গীদের নিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে হাতকড়া নিয়েই পালিয়ে যায় জীবন। পুলিশ ছুটে গিয়ে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে। তার ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এএসআই মো. কামরুল ইসলাম তাকে কাঁধে তুলে নেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে থানায় আনা হয়। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডাকাত জীবন খুবই ধূর্ত। তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তাকে বাধ্য হয়ে কাঁধে তুলে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় তার কামড়ে রানা নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪২

১৫ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ-বিছিন্ন হাওরের তিন উপজেলা
কিশোরগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র ও করিমগঞ্জ পলিটেকনিকেল কলেজের সামনে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের তার ছিঁড়ে হাওরাঞ্চলের তিন উপজেলা অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনে ১৫ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎহীন। ২৩টি ইউনিয়নের প্রায় ৭৪ হাজার গ্রাহক পুরো রাত অন্ধকারে। কিশোরগঞ্জ পবিস সূত্র জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত, কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে তিন উপজেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে কিশোরগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র ও করিমগঞ্জ উপজেলা পলিটেকনিক কলেজের আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গাছ-পালা পড়ে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ছিঁড়ে যায়। এতে, অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। টানা প্রায় ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিছিন্নে তিন উপজেলার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কল-কারখানা, হাসপাতাল ও অটোরিকশা চার্জসহ বিদ্যুৎ চালিত কাজ করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) কর্মীরা সকাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বলে জানান, মিঠামইন পবিস জোনাল অফিস। মিঠামইন জোনাল অফিসের অধীনে অষ্টগ্রামে প্রায় ২৯ হাজার, মিঠামইনে ২৫ হাজার ও ইটনা আংশিকে ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। অষ্টগ্রাম উপজেলার পূর্ব অষ্টগ্রামের সানিয়া আক্তার (২১) বলেন, রোজার দিনে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকা খুবই কষ্টের। ঝড়ে শহরাঞ্চলে তো এতো সময় বিদ্যুৎহীন থাকে না। এই সমস্যার কি কোন সমাধান নেই? মিঠামইন পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী কামাল হোসেন বলেন, কিশোরগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের সরবরাহ লাইনে ঝড়ের আঘাতে গাছ-পালা পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা কর্মীরা কাজ করছে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হবে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:২১

যার হাত ধরে নীল ছবির জগতে নাম লিখিয়েছিলেন সানি লিওন
বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওন। বলিউডে পা রাখার আগে একটা সময় পর্ন দুনিয়ার রানি ছিলেন তিনি। তবে এখন তিনি সেই নীল ছবির জগতে থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এবার জানা গেলে পর্ন জগতে তার আসারে গল্প। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।  পর্নোগ্রাফিতে পা রাখার আগে সানি লিওন একটি বেকারিতে কাজ করতেন। পরবর্তীতে যুক্ত হয়েছিলেন একটি ট্যাক্স অ্যান্ড রিটায়ারমেন্ট ফার্মেও। নার্স হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন সানি। রোগীর শুশ্রূষা করার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু ভাগ্য তাকে নিয়ে যায় অন্য পথে।  সানি পেন্টহাউজ়় ম্যাগাজ়িনের অংশ হয়ে ওঠেন হঠাৎ করেই। পেন্টহাউজ়ের মালিক ছিলেন বব গুচিওন তার হাত ধরেই সাহসী হয়ে উঠেছিলেন করণজিৎ অর্থাৎ সানি লিওন। ২০০৩ সালে ‘পেন্টহাউজ় পেট অফ দ্যা ইয়ার’ হয়েছিলেন। ২০০৫ সালে ভিভিড এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে তিন বছরের কনট্র্যাক্ট সই করেন সানি। সেই প্রথম পর্নোগ্রাফি জগতে প্রথম পা রাখা।  সানির তার প্রথম পর্নোগ্রাফি ছবির নাম ‘সানি’। ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় সেটি। পরের ব্লু ফিল্মটির নাম ‘ভার্চুয়াল ভিভিড গার্ল সানি লিওনি’। প্রথমে শর্ত দিয়েছিলেন কেবল লেসবিয়ান ছবিতেই অন্তরঙ্গতা দেখাবেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তৎকালীন হবু স্বামী ম্যাট এরিকসনের সঙ্গে পর্নোগ্রাফি ছবি শুট করেন।  আজকাল নীল ছবি থেকে অনেক দূরে সানি। ব্যস্ত বলিউডে। শুরুটা হয়েছিল ‘জিসম-২’ ছবির মাধ্যমে। তারপর থেকেই নিয়মিত কাজ করছেন বি-টাউনে। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৬

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পা ধরে কাঁদলেন নিবন্ধনধারীরা
পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পেতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ১-১৫তম (অনূর্ধ্ব ৩৫) নিবন্ধন সনদধারী ফোরাম। এ সময় তাদের সঙ্গে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম কথা বলতে আসেন। তাকে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মানববন্ধনকারীরা। তাদের অনেকে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পা ধরেও কাঁদেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘যাদের সনদের মেয়াদ তিন বছর অতিক্রম হয়ে গেছে আমরা আবেদনের সুযোগ দিতে পারি না। এমন কোন আইন নেই। তবে সরকার চাইলে বিষয়টি সমাধান করতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। আমাকে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আপনাদের বিষয়টি আমি অনুধাবন করেছি। তবে আমার হাতে কিছু করার নেই। আদালত যদি আদেশ দেন অথবা রাজনৈতিকভাবে যদি এটার সমাধান করা যায়, তাহলে আবেদনের সুযোগ দিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’ এদিন মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি চলার এক পর্যায়ে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের প্রবেশ পথে বসে পড়েন এবং সেখানে অবস্থান নেন ১-১৫তম নিবন্ধনের সনদধারীরা।  
১৯ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৮

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি : ৭ দিন ধরে তালাবদ্ধ মানবসম্পদ বিভাগ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও হেনস্তার ঘটনায় শিক্ষার্থী আন্দোলনে সাত দিন ধরে তালাবদ্ধ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এ কারণে বিভাগটিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৬টি ব্যাচের ২৮৪ জন শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বিনষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ।  বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেওয়া ও থিসিস পেপার আটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠে মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ’র বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।  এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রেজারার ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে ৫ মার্চ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই কমিটি গঠনের একদিন পর ৬ মার্চ আন্দোলনকারিরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তারা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেটসহ ভাঙচুর করে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে দাবি মেনে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকেও তদন্তের আওতায় নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।     এরপরও আন্দোলন অব্যাহত রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে অশালীন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারিরা দুই শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা তৈরি করে জুতার মালা পড়ায়।  এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বাইরে নানা আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে শিক্ষকদের ‘সম্মান হত্যা’ হয়েছে বলে দাবি করেন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১০ মার্চ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে তালাবদ্ধ বিভাগের সামনে মানববন্ধন করেন ১১ শিক্ষক।  এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১২ মার্চ) মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষকরা উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর সঙ্গে দেখা করে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হল- যৌন হয়রানির ঘটনায় তদন্তপূর্বক বিচার, কর্মপরিবেশ সৃষ্টি ও ভাঙচুর ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।   এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের বক্তব্য জানা যায়নি।  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ন কবীর বলেন, যৌন হয়রানির ঘটনায় অধিকতর তদন্ত কমিটিসহ দুইটি কমিটি অভিযোগের তদন্ত করছেন। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। এ লক্ষ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্য বৈঠক করেছেন। আশা করছি দ্রুত সময়ে ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে উঠেবে। এ বিষয়ে ট্রেজারার ও তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. আতাউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে আছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ০৮:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়