• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ময়মনসিংহে দৌড়ে ছিনতাইকারী ধরলেন ডিবির ওসি
ময়মনসিংহে ঈদ মার্কেটে এক যুবকের গলায় ছুরি ধরে ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় সজীব (৩০) নামের একজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে ওসি (ডিবি) ফারুক হোসেন। এ সময় এক রেস্টুরেন্ট কর্মচারীকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেছে ছিনতাইকারীরা।   রোববার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে নগরীর সেহড়া চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারী সজীব সেহড়া চামড়ার গুদাম এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদকসেবন, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে।  জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন এ তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঈদ মার্কেটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাতে নগরীতে টহল চলছিল। এ সময় নগরীর গার্লস ক‍্যাডেট কলেজের সামনের সড়কে হঠাৎ দুই ছিনতাইকারী এক যুবকের গলায় ছুরি ধরে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ধস্তাধস্তি করছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে ছিনতাইকারীরা। এ সময় তাদের ধাওয়া করে ধোপাখলা মোড় এলাকা থেকে সজীব নামের এক ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়। তবে এ ঘটনায় জড়িত সানি নামে অপর ছিনতাইকারী পালিয়েছে, তাকেও গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। এ দিকে ছিনতাই চেষ্টার শিকার এক রেস্টুরেন্টের কর্মচারী রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তাকে আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   এর আগে রাত ১০টার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারী সেহড়া এলাকার টুয়েলভ শো-রুমে ঈদ সালামি বাবদ চাঁদা দাবি করে। এ সময় সে শো-রুমের একটি গ্লাস ভাঙচুর করে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের ম‍্যানেজার শরীফ রাকিব।    ডিবির ওসি মো. ফারুক হোসেন আরও বলেন, ঈদ মার্কেটকে সামনে রেখে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহম্মেদ ভূঞার নির্দেশে চলতি রমজানের প্রথম দশদিন পৃথক পৃথক অভিযানে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৮ জন চিহ্নিত অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতির চেষ্টা ও মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।   প্রসঙ্গত, বিগত দুটি ঈদে ছিনতাইকারীদের হাতে পৃথক পৃথক ঘটনায় বেশ কয়েকটি হত‍্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই বিষয়টি মাথায় রেখে এবার ঈদ মার্কেটে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ। এতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।    
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১২

ট্রাম্পের সঙ্গে নিজের পার্থক্য তুলে ধরলেন বাইডেন
সংসদে বাৎসরিক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রথম কার্যকালে নিজের সাফল্য তুলে ধরে বিরোধী পক্ষ ও তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী ট্রাম্পের জোরালো সমালোচনা করলেন৷ ভোটারদের মন জয় করতে কিছু ঘোষণাও করলেন তিনি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই বছরে দুই রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে৷ অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের মতো ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যথেষ্ট সাফল্যের দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও জনমত সমীক্ষায় তিনি ভালো ফল করতে পারছেন না৷ বয়সের কারণে তিনি আরো চার বছর ক্ষমতায় থাকার উপযুক্ত কিনা, সেই বিতর্ক তার পুনর্নির্বাচনের উপর কালো ছায়া ফেলছে৷ অন্যদিকে মামলা-মোকদ্দমা ও বিতর্কের ধাক্কা সামলে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের মনোনয়নের পথে এগিয়ে চলেছেন৷ এমনই প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্টের স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণে নিজেকে শক্তিশালী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন বাইডেন৷ ভোটারদের মন জয় করতে একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা করলেন তিনি৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য লড়াই করছেন, তার আরো প্রমাণ হিসেবে বাইডেন ধনী ও বড় কোম্পানির উপর করের হার বাড়ানোর ঘোষণা করলেন৷ সেই সঙ্গে আমেরিকার স্বল্প আয়ের মানুষের করের বোঝা কমাতে চলেছেন তিনি৷ তবে সংসদে বর্তমানে অচলাবস্থার কারণে সেই সব প্রস্তাব আদৌ অনুমোদন পাবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷ ইতিবাচক পদক্ষেপের পাশাপাশি বাইডেন তার ভাষণে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের জোরালো সমালোচনা করেন৷ তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট লিংকন ও গৃহযুদ্ধের সময়ের পর আমেরিকায় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র এমন হুমকির মুখে পড়েনি৷ সরাসরি ট্রাম্পের নাম মুখে না এনেও মোট ১৩ বার তিনি আমার পূর্বসূরি হিসেবে তার উল্লেখ করে রাশিয়ার কাছে নতি স্বীকার করার অভিযোগও করেন৷ সামরিক জোট ন্যাটো সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বাইডেন৷ ট্রাম্পের জোরালো প্রভাবের কারণে রিপাবলিকান দলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও কটু মন্তব্য করেন বাইডেন৷ বিশেষ করে মেক্সিকো সীমান্তে অনুপ্রবেশ কমাতে তার প্রশাসনের প্রস্তাবে বাধা দিয়ে তারা দেশের ক্ষতি করে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন৷ সেই বিল পাশ হলে সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরো জোরালো করা সম্ভব বলে বাইডেন দাবি করেন৷ সংঘাতের বদলে সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্তের সমস্যা সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ ডেমোক্র্যাট দলের সব সমর্থকদের মন জয় করতেও বাইডেন তার ভাষণে কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা করেন৷ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের অবিচল সমর্থনের কারণে তাদের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা কিছুটা দূর করতে বাইডেন গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর তৈরি করে সেখানে আরো ত্রাণ সাহায্য বণ্টনের অঙ্গীকার করেন৷ তবে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে সেই নির্দেশ দিলেও গাজায় মার্কিন সৈন্য প্রবেশ করবে না বলে বাইডেন আশ্বাস দিয়েছেন৷ তিনি গাজায় অবিলম্বে অস্ত্র বিরতির ডাক দেন৷
০৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৫

দেশে কওমি মাদরাসা থাকা নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরলেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদেরও যাতে কর্মসংস্থান হয় সেটাও আমরা চাই। এ জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন কওমি মাদরাসা নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তার এ বক্তব্যকে বিকৃত করে একটি রাজনৈতিক দল প্রচার করছে বলে দাবি করেন তিনি। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি জেলা থেকে একটি আলোচনা এসেছিল, অনিবন্ধিত, নাম-পরিচয়হীন নুরানি মাদরাসার নামে কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। সেগুলো নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কী? সেই প্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম, যেসব নুরানি মাদরাসা গড়ে উঠছে, সেগুলোর যথাযথ নিবন্ধন আছে কি না, সেগুলোতে কীভাবে শিক্ষাক্রম পরিচালিত হচ্ছে? অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যাতে সাংঘর্ষিক না হয়, সে বিষয়ে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কীভাবে তা ইউনিফরমিটির মধ্যে আনা যায়। বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, নুরানি বা কওমি মাদরাসার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে—এই ধরনের মন্তব্য (কওমি মাদরাসা বন্ধ) আমি করিনি। এই আলোচনা সৃষ্টি করে এক পক্ষ গুজব রটাচ্ছে। গুজব রটিয়ে কওমি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টির নোংরা অপচেষ্টা করছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তারা আগে আরও অনেক ধরনের মানহানিকর এবং আপত্তিকর কথা বলছে।  তিনি বলেন, বারবার বলছি, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে, অবশ্যই থাকবে। কারণ আমরা আইন দিয়ে কওমি মাদরাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স স্বীকৃতি দিয়েছেন। কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু সেখানকার শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ন্যূনতম লিটারিসির কথা বলছি, তারা যাতে কর্মসংস্থান পায়, সে সমস্ত বিষয় নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করতে চাচ্ছি, আগামীতেও কাজ করব। তাদের বারবার আমন্ত্রণও জানিয়েছি। এখানে মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার মতো কথা কেউ কখনো বলেননি। তিনি আরও বলেন, একটি পরিকল্পনার মধ্যে থেকে, নিবন্ধনের মধ্যে থেকে, কী পড়ানো হচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে, আমার শিক্ষার্থী, আমাদের এই প্রজন্মকে কী পড়াচ্ছি, সেটা জাতীয় শিক্ষাক্রম হোক, কওমি মাদরাসা হোক বা ইংরেজি মাধ্যমে হোক, সেটির ওপর রাষ্ট্রের নজর তো অবশ্যই থাকতে হবে। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কিছু যদি পড়ানো হয়, সেটা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে হোক; আমরা দেখেছি, অনেক পাবলিশিং হাউজের নাম করে উসকানি দেওয়ার জন্য বই ছাপানো হয়েছে এবং পড়ানো হচ্ছে, সেগুলো আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে।  
০৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়