• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আমদানির চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুর
রমজান সামনে রেখে অস্থির হয়ে উঠেছে খেজুরের বাজার। সরকার ১০ শতাংশ শুল্কও ছাড় দেওয়ার পরও নানান অজুহাতে আমদানি মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি।  জানা গেছে, দেশে প্রতিবছর খেজুরের চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার টন। এর মধ্যে অর্ধেক চাহিদা থাকে শুধু রমজানে। রোজা সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গত পাঁচ মাসে প্রায় ৩২ হাজার টন শুকনা ও ভেজা খেজুর আমদানি হয়েছে। এসব খেজুরের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই আমদানি করেছে ২৫টি প্রতিষ্ঠান। ফলে দেশে খেজুরের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে মাত্র দুই ডজন ব্যবসায়ী। তাদের হাতেই জিম্মি ভোক্তারা। বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবার প্রতি কেজি খেজুরের গড় দাম পড়ছে প্রায় ৮০০ টাকা। কিন্তু কাস্টমসে প্রদর্শিত আমদানিমূল্য, শুল্ক এবং পরিবহন খরচ যোগ করলে প্রতি কেজি খেজুরের গড় মূল্য দাঁড়ায় সর্বোচ্চ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। বাজারে সৌদি আরবের ‘আজওয়া’ খেজুর ৫ কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২০০ টাকায়। গত বছর দাম ছিল ২ হাজার ৬০০ টাকা। মেজদুল (আম্বর) খেজুরের ৫ কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৮০০ টাকায়। গতবার দাম ছিল সাড়ে ৩ হাজার টাকা। একইভাবে মেজদুল (সাধারণ) মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬ হাজার টাকায়। গতবার দর ছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকা। মরিয়ম খেজুরের ৫ কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার টাকায়। গতবার ছিল আড়াই হাজার টাকা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ডলার রেট বেশি। এ ছাড়া আমদানিও এবার অনেক কম। এজন্য বাজার কিছুটা অস্থির। তিনি বলেন, খুচরা বাজারে কেউ কেউ দ্বিগুণ দামে খেজুর বিক্রি করলেও পাইকারিতে এটা করার সুযোগ নেই। অন্যদিকে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেছেন, এবারও পর্যাপ্ত খেজুর আমদানি হয়েছে। সরকার ১০ শতাংশ শুল্কও ছাড় দিয়েছে। তবে মনিটরিংয়ে দুর্বলতা রয়ে গেছে। এর ফলে খেজুরের বাজার ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, খেজুরের দাম কেন লাগামছাড়া, তা খতিয়ে দেখা উচিত। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে দেশের ১৬ কোটি মানুষ কষ্ট পাক, এটা আমরা চাই না।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৪১

এক বছরে বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা দ্বিগুণ বেড়েছে বাংলাদেশিদের
এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশিদের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার ও কূটনৈতিক মিশনের জন্য বিশ্বের প্রযুক্তি পরিষেবা বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবাল। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ভিসা আবেদনের পরিমাণ ২০২২ সালের তুলনায় ১৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ২০১৯ সালের প্রাক-মহামারি সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে সর্বশেষ বছরে ভিসা আবেদনের এই পরিমাণ বেড়েছে আড়াই গুণের কাছাকাছি (২৩৩ শতাংশ)। ভিএফএস গ্লোবালের বাংলাদেশ প্রধান শান্তনু ভট্টাচার্য বলেন, ২০২২ সালে আমরা বাংলাদেশ এবং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া থেকে অনন্য চাহিদা লক্ষ্য করেছি, যার ফলে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থিতিশীল ভিসা আবেদনের পাশাপাশি একটি দুর্দান্ত ভ্রমণ মৌসুম তৈরি হয়েছিল। নির্বিঘ্ন, নিরাপদ, প্রযুক্তিগত ও নির্ভরযোগ্য সমাধানের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী গ্রাহক পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি আমরা। এ সময় আবেদনকারীদের সতর্ক করে দিয়ে শান্তনু ভট্টাচার্য বলেন, ভিএফএস গ্লোবালের নাম ব্যবহার করা ভুয়া ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ার পেইজ থেকে যারা অর্থের বিনিময়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বিক্রি করে, তাদের কাছ থেকে সাবধান হতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, অ্যাপয়েন্টমেন্টগুলো ভিএফএস গ্লোবালের ওয়েবসাইটে বিনা খরচে প্রদান করা হয় এবং আগে আবেদন করার ভিত্তিতে সেবা প্রদান করা হয়। একটি দায়িত্বশীল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা এই সমস্যাটি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে থাকবো এবং আমরা আবেদনকারীদের অনুরোধ জানাচ্ছি যেন  তারা তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা আগে থেকেই করেন। বেশিরভাগ দেশ ভ্রমণ তারিখের ৯০ দিন আগ পর্যন্ত ভিসার আবেদন গ্রহণ করে উল্লেখ করে শান্তনু ভট্টাচার্য বলেন, সংশোধিত শেনজেন ভিসা কোড অনুসারে, ভ্রমণ তারিখের ছয় মাস আগপর্যন্ত শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। বিশেষ করে এই বছর উচ্চ চাহিদা এবং সীমিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লট থাকায়, আমরা আবেদনকারীদের তাদের ভিসার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদন করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। কানাডার ভিসা যুক্ত করার জন্য পাসপোর্ট জমা দিতে দীর্ঘ অপেক্ষার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, চাহিদা ও যোগানের সম্পর্কের কারণে এটা হচ্ছে। দূতাবাস থেকে আমাদেরকে যে পরিমাণ অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিতে বলে, আমরা সেটাই দিচ্ছি। ভিএফএস গ্লোবাল বলছে, মহামারির পর থেকে ভ্রমণকারীদের মাঝে আরেকটি উল্লেখযোগ্য আচরণ লক্ষ্য করা গেছে, যা হলো ব্যাপক পরিমাণে ব্যক্তিগত পরিষেবা গ্রহণ। ভিএফএস গ্লোবাল ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ভিসা আবেদন কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১৬টি ক্লায়েন্ট সরকারকে সেবা দিয়ে আসছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৫

গ্যাসের মিটারে দ্বিগুণ ভাড়ার ব্যাখ্যা দিলো তিতাস
চলতি বছরের শুরুতেই গ্যাসের প্রিপেইড মিটার ভাড়া দ্বিগুণ করা হয়েছে, যা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। মিটার ভাড়া এক লাফে ১০০ থেকে ২০০ করার কারণ ব্যাখ্যা করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিবৃতিতে তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকে মিটার ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস বলেছে, প্রতিটি প্রিপেইড মিটারের আয়ুষ্কাল ১০ বছর বিবেচনা করে এর মূল্য, স্থাপন, ওয়েব সিস্টেম, মিটার ও সার্ভার রক্ষণাবেক্ষণ খচরসহ প্রতিটি মিটারের মূল্য কমবেশি ২৫ হাজার টাকায় দাঁড়ায়। তিতাস গ্যাস কম্পানি ঋণ নিয়ে এসব মিটারের ব্যবস্থা করেছে।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মিটারের পুরো দাম একসঙ্গে না নিয়ে গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে মাসিক ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে এই খাত সমন্বয় করা হচ্ছে। সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক পেট্রোবাংলার আওতাধীন সকল গ্যাস বিতরণ কম্পানির আবাসিক প্রিপেইড মিটারের মাসিক ভাড়া ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। তিতাস আরও দাবি করেছে, গ্রাহকদের সুবিধার্থে সরকার আবাসিক গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটার মাত্র ১৮ টাকা পূর্ব থেকেই নির্ধারণ করেছে। অথচ ২০২৩ সালে দেশে উৎপাদিত গ্যাস ও আমদানীকৃত এলএনজি মিশ্রিত মূল্য গড়ে প্রতি ঘনমিটারে ১৮ টাকার চেয়ে অনেক বেশি। অর্থাৎ আবাসিক খাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের বিপরীতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তাই আবাসিক খাতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি অবান্তর। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতাও চেয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৪২

মিটার ভাড়া দ্বিগুণ করা নিয়ে তিতাসের বিজ্ঞপ্তি
কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার ভাড়া ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা নির্ধারণ করায় গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) গ্রাহকদের উদ্দেশে তিতাসের জনসংযোগ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, প্রতিটি প্রিপেইড মিটারের লাইফ ১০ বছর বিবেচনা করে এর মূল্য, ইনস্টলেশন, ওয়েব সিস্টেম, মিটার ও সার্ভার মেইন্টেন্যান্স চার্জ ইত্যাদি যাবতীয় ব্যয়বাবদ প্রতিটি মিটারের মূল্য দাঁড়ায় কম-বেশি ২৫ হাজার টাকা। তিতাস গ্যাস কোম্পানি ঋণ গ্রহণ করে এ সমস্ত মিটারের ব্যবস্থা করেছে। ‘মিটারের সমুদয় মূল্য একসঙ্গে না নিয়ে গ্রাহকগণের সুবিধার্থে মাসিক ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে উক্ত খাত সমন্বয় করা হচ্ছে। সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক পেট্রোবাংলার আওতাধীন সকল গ্যাস বিতরণ কোম্পানির আবাসিক প্রিপেইড মিটারের মাসিক ভাড়া ২০২৪ সালের জানুয়ারি হতে ২০০ টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রাহকদের সুবিধার্থে সরকার আবাসিক গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটার মাত্র ১৮ টাকা পূর্ব থেকেই নির্ধারণ করেছে। অথচ ২০২৩ সালে দেশে উৎপাদিত গ্যাস ও আমদানিকৃত এলএনজির মিশ্রিত মূল্য গড়ে প্রতি ঘনমিটারে ১৮ টাকার চেয়ে অনেক বেশি। অর্থাৎ, আবাসিক খাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের বিপরীতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তাই আবাসিক খাতে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি অবান্তর।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৫

ঘোষণা ছাড়াই গ্যাসের মিটার ভাড়া দ্বিগুণ করলো তিতাস!
কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হুট করে গ্যাসের প্রিপেইড মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার অভিযোগ উঠেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন গ্রাহকরা। গ্রাহকদের অভিযোগ, চলতি জানুয়ারি মাসে হুট করেই গ্যাসের প্রিপেইড মিটারের ভাড়া হিসেবে ১০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা কেটে নিচ্ছে তিতাস। দোকানে কার্ড রিচার্জ করতে গেলে বিষয়টি তাদের নজরে আসে। এম রহমান নামে এক গ্রাহক বলেন, গ্যাস বিল দিতে গিয়ে দেখি মিটার ভাড়া বাবদ ২০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। আগে যা ছিল ১০০ টাকা। আমাদের কিছু না জানিয়ে মিটার ভাড়া দ্বিগুণ করা হলো। এমনিতেই সব কিছুর দাম বেশি। এগুলো দেখার কি কেউ নেই? এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি অর্ডার দেখেছি। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’  অন্যদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব। তথ্যমতে, ২০১৭ সালে বাসাবাড়িতে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। সে সময় প্রিপেইড মিটার ভাড়া ছিল ৬০ টাকা। ২০২২ সালের জুলাই মাসে ভাড়া ৬০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়। বর্তমানে গ্রাহকদের কাছে তিতাসের তিন লাখ ২৮ হাজার ৬০০টি প্রিপেইড মিটার রয়েছে। জানুয়ারির আগে প্রতি মাসে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা মিটার ভাড়া চার্জ হিসেবে আদায় করা হতো। আইন অনুযায়ী তিতাস গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউশন চার্জ ও ভোক্তাপর্যায়ে মূল্যহার পরিবর্তনের প্রস্তাবের বিষয়ে আগ্রহী পক্ষগণকে গণশুনানি প্রদানপূর্বক বিস্তারিত পর্যালোচনা করে আদেশ দিয়ে থাকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। তবে মিটার ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে কিছুই জানে না সংস্থাটি। এ বিষয়ে বিইআরসি’র সদস্য ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, তিতাস মিটার ভাড়া বাড়িয়েছে কিনা এর সত্যতা আমাদের জানা নেই। আমাদের সঙ্গে তিতাসের কোনো ফাংশনাল সম্পর্ক নেই। বিইআরসি শুধু একটি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, গ্যাসের বিলের মধ্যেই মিটার চার্জ সমন্বয় করে নেওয়ার কথা। কিন্তু তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আলাদাভাবে মিটার চার্জ নিচ্ছে। এটা নেওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। বিল বাড়ানোর কোনো এখতিয়ারও তিতাসের নেই।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৪

রমজানের দুই মাস আগেই বেড়ে দ্বিগুণ খেজুরের দাম
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। রমজান মাসজুড়ে সিয়াম সাধনার পর ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য আনন্দের উপলক্ষ্য নিয়ে আসে এই উৎসব। আর সিয়াম সাধনায় মুসলমানদের প্রতিদিনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ খেজুর। দেশে রমজান মাসে তাই খেজুরের চাহিদা বেড়ে যায় অন্য মাসের চেয়ে অন্তত ১২ গুণ। চাহিদার সঙ্গে বাড়ে দামও। অথচ বছরের ব্যবধানে এবার এই পণ্যটির দাম এখনই বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। যদিও রমজান আসতে আরও দুই মাস বাকি।  বাজারের সবচেয়ে কম দামি খেজুর হিসেবে পরিচিত জিহাদি ও দাবাস। বর্তমানে প্রতি কেজি এই জাতের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকায়। বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। শুধু জিহাদি বা দাবাস নয়, সব খেজুরের দামই বেড়েছে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৪০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বরই খেজুর ৪০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে খেজুরের দাম। যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। রোজার আগেই আকাশচুম্বী এ দাম ভোগাবে পুরো রমজানজুড়েই। এদিকে অস্বাভাবিক এই  দাম বৃদ্ধির জন্য খেজুর আমদানিকারকদের কারসাজিকে দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। এতে কমে গেছে বেচাবিক্রি। তবে, এই অভিযোগ মানতে নারাজ আমদানিকারকরা। তারা বলছেন, ফলমূলকে বিলাসি পণ্যে অন্তর্ভুক্ত করায় দেশে এরকম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে খেজুরের দাম। উচ্চশুল্কের কারণে আমদানি হচ্ছে চাহিদার তুলনায় নামমাত্র। এতে রমজানে পণ্যটির ভয়াবহ সংকট তৈরির আশঙ্কা আমদানিকারকদের। এ অবস্থায় বাজার ঠিক রাখতে শুল্ক কমানোর সঙ্গে এলসি জটিলতা দূর করার তাগিদ তাদের। আমদানিকারকরা বলছেন, বিলাসপণ্য বলে এতে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হয়। এরসঙ্গে আছে আরডি, এআইটি ও এটি'র বোঝা। এ অবস্থায় এলসি জটিলতা, শুল্ক বাধা দূর করা না হলে, আসন্ন রমজানে খেজুরের ভয়াবহ সংকট তৈরির আশঙ্কা আছে। দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১ লাখ টন। এর মধ্যে শুধু রমজানেই দরকার হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন। এ বছর এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার টনের এলসি খুলতে পেরেছেন ব্যবসায়ীরা; আর আমদানি হয়েছে ১৫ হাজার টন। পথে আছে ১০ হাজার টন। বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতি কেজি খেজুর আমদানি করতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ২৭৫ থেকে ২৮০ টাকা।  শুল্ক কমাতে ব্যবসায়ীদের কয়েক দফা  দাবির প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করে গত নভেম্বরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি এনবিআর। 
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়