• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বোমা ফাটালেন সুজন, হাথুরুর সঙ্গে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
কয়েক দিন ধরে গণমাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে একটি খবর। বাংলাদেশে আর ফিরছেন না হাথুরু! এমন খবরে গুঞ্জনের ডালপালা মেলা শুরু হয়েছে। সব মহলে এখন এ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শ্রীলঙ্কা ছাড়া বড় কোনো দলের হেড কোচের দায়িত্বে তিনি কখনোই ছিলেন না। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ও ফ্র্যাঞ্চাইজি দল সিডনি থান্ডার্ডসের সহকারীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোচ। ক্রিকেট বিশ্বে এর বাইরে তার নেই কোচিং অভিজ্ঞতা। এমন একজন কোচ বিসিবির পছন্দের তালিকায় কিভাবে শীর্ষে থাকেন, তা নিয়ে নানান মহলে বিভিন্ন সময় উঠেছে নানান প্রশ্ন। নিজের ক্রিকেট কোচিংয়ের দক্ষতা দেখিয়ে যত না আলোচনায় ছিলেন চণ্ডিকা, তার চেয়ে বেশিবার তিনি সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন মাঠের বাইরের নানান ঘটনায়। দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশে তার আগমনের খবরে উঠেছিল বিভিন্ন প্রশ্ন। কেন বিতর্কিত এই হাথুরুকে বিশাল অঙ্কের ডলার দিয়ে আবারও ডেকে আনা হচ্ছে বাংলাদেশে! সেই সময়টাতে বিসিবির ছিল নানান যুক্তি। তবে সেসব যুক্তির বাস্তবতা নিয়ে আছে নানান প্রশ্ন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ভরাডুবি আর মাঠের বাইরে হাথুরুর নানান কর্মকাণ্ড বিতর্কের পালে নতুন হাওয়া দিচ্ছিল।  বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে হাথুরুকে নিয়ে কি উল্লেখ আছে, সেটি বিসিবি স্পষ্ট করে না জানালেও গুঞ্জন আছে কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার আর দূরত্ব দিনে দিনে বাড়িয়েছেন হাথুরু।  সেসব গুঞ্জনের সত্যতা এতদিন না পাওয়া গেলেও এবার সে বিতর্কে নতুন করে আগুন জ্বালালেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজন। গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি আর বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমাধান না! জাতীয় দলের কোনো বিষয়ে তার আগ্রহ নেই। এমনকি বিশ্বকাপে তিনি যে রোল প্লে করেছেন, সেটা তার সঙ্গে যায় না। বিশ্বকাপে তিনি সম্মান পাননি বলেও মন্তব্য করেছেন।  এসবের পেছনে তার অভিযোগের আঙ্গুল হাথুরুর দিকে। গণমাধ্যমে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে সুজন স্পষ্ট বলেছেন, ‘কোচিং স্টাফরা কে কি বলেছে, তা সবাই জানে। একজন মানুষের সঙ্গে সবার সম্পর্ক খারাপ হতে পারে না’। সুজনের এমন মন্তব্যে স্পষ্ট বোঝা যায়, দলে একনায়কতন্ত্র চালিয়েছেন হাথুরু। ইচ্ছে মত দলকে নিজের মতো পরিচালনা করেছেন এই কোচ। যা কি না দলের জন্য বয়ে এনেছে দুর্যোগ! চট্টগ্রামে লঙ্কানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগেই অস্ট্রেলিয়া চলে গেছেন হাথুরু। বিসিবির পক্ষ থেকে পারিবারিক কারণ উল্লেখ করা হলেও নেপথ্যে ভিন্ন গুঞ্জন। বিসিবির সঙ্গে দূরত্ব আর কোচের খবরদারি নিয়ন্ত্রণে বোর্ডের নানান পদক্ষেপ ভালোভাবে নেয়নি হাথুরুসিংহে। দলের সঙ্গে তার সম্পর্ক কতোটা খারাপ, তা খালেদ মাহমুদ সুজনের সেই সাক্ষাৎকার দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে কি বাংলাদেশে শেষ হতে চলেছে হাথুরুর দ্বিতীয় অধ্যায়!  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২১

অবশেষে দ্বন্দ্ব ভুলে যে কারণে এক হলেন নওয়াজউদ্দিন-আলিয়া
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। ব্যক্তিগত জীবনে ভালোবেসে আলিয়া সিদ্দিকীকে বিয়ে করেন তিনি। এই দম্পতির এক কন্যা ও এক পুত্রসন্তান রয়েছে। গেল বছর স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে মামলা করেন আলিয়া। সব মিলিয়ে চরম পর্যায় পৌঁছে যায় তাদের দাম্পত্য কলহ। যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অবশেষে সকল দ্বন্দ্ব ভুলে ফের এক হলেন নওয়াজউদ্দিন-আলিয়া।     জানা গেছে, কাদা-ছোড়াছুড়ির অবসান ঘটিয়ে ফের একসঙ্গে সংসার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলিয়া-নওয়াজউদ্দিন। দিন কয়েক আগেই ছিল এই দম্পতির বিবাহবার্ষিকী। বিশেষ দিনটি একসঙ্গে উদযাপন করেছেন তারা। ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান আলিয়া। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কারণে আমার জীবনে পরিবর্তন এসেছে। খারাপ জিনিসগুলো সবার সঙ্গে ভাগ করে নিই আমরা। তাহলে ভালোটাও ভাগ করে নেওয়া উচিত।  নওয়াজের সঙ্গে কলহের কারণ ব্যাখ্যা করে আলিয়া বলেন, তৃতীয় ব্যক্তির কারণে আমরা দাম্পত্য জীবনে কলহের মুখোমুখি হয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমরা ভুল বুঝতে পেরেছি।    অভিনেতার স্ত্রী আরও বলেন, সন্তানদের কারণে আমরা আত্মসমর্পন করেছি। তাই এখন আর আলাদা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই আমাদের। কারণ, বাচ্চারা বড় হচ্ছে।  নওয়াজ শোরার (কন্যা) খুব ঘনিষ্ঠ। যা ঘটেছে সেটার প্রভাব শোরার ওপরে পড়েছে। সে এসব সহ্য করতে পারেনি। সুতরাং আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর  ঝগড়া করব না বরং শান্তিপূর্ণভাবে একসঙ্গে বসবাস করব।  প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নওয়াজউদ্দিন-আলিয়া। আলিয়ার আসল নাম অঞ্জনা পাণ্ডে। অভিনেতাকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম রাখেন আলিয়া। তবে ২০১৭ সালে  সম্পর্কে চিড় ধরার পর থেকেই আলাদা থাকতে শুরু করেন তারা। ২০২০ সালের মে মাসে নওয়াজউদ্দিনের নামে ডিভোর্সের মামলা করেন আলিয়া। পরবর্তীতে সেই মামলা প্রত্যাহার করে একসঙ্গে সংসার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু ২০২২ সালের শেষের দিকে ফের তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। অবশেষে তিক্ততা ভুলে আবারও নতুন করে সংসার শুরু করেছেন তারা।  সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস     
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫১

ইবিতে জুনিয়দের পেটালেন সিনিয়ররা, আহত ৩
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন।  রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন মাহমুদুল হাসান উৎস, রিয়াজ উদ্দিন ও বাদশা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ভুক্তভোগীরা অভিযোগপত্রে বলেন, রোববার দুপুরে বিভাগের পরীক্ষা শেষে ক্যাম্পাসের আমতলার ঝাল চত্বরে অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অতর্কিত আক্রমণ করে কাঠের বাটাম, ইট, লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। এতে উৎস কপাল ও পিঠে জখমসহ চোখে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এসময় অন্য দুজনও আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। ভুক্তভোগী ও তার সহপাঠীরা জানান, ২২ নভেম্বর বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে ক্যাম্পাসের লেকে চড়ুইভাতির আয়োজন করা হয়। ওই সময় ভুক্তভোগী উৎস ভুলক্রমে অনুষ্ঠানে খাবার পরিবেশনের জন্য আনা একটি ওয়ানটাইম প্লেট ভেঙে ফেলেন। পরে এটা নিয়ে অভিযুক্ত নাঈম ও মারুফসহ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অন্যরা উৎসসহ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সবাইকে গালমন্দ ও অপমান করেন। তখন উৎসসহ তার সহপাঠীরা প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মাহমুদ হাসান উৎস বলেন, সামান্য পাঁচ টাকার একটি প্লাস্টিক প্লেট। ওইটা ভুলক্রমে ভেঙে যাওয়ার পর আমি অনেকবার সরি বলার পরও তারা আমাদের ব্যাচের সবাইকে আমাদের জুনিয়রদের সামনে অপমান করতে থাকে। এটা নিয়ে তখন আমাদের সঙ্গে তাদের হালকা বাকবিতণ্ডা হয়। এ সামান্য বিষয়টাকে তারা এত বড় ইস্যুতে পরিণত করেছে। বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম নাইম বলেন, ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম না। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অপর অভিযুক্ত মাসুদ রানা বলেন, আমি ওখানে মারামারি করতে যাইনি। মারামারি হচ্ছে দেখে থামাতে গিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক সিরাজুল ইসলাম বলেন, চোখে আঘাতের ফলে ভেতরে কিছুটা রক্তক্ষরণ হয়েছে। ব্যথার ওষুধ, চোখের ড্রপসসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দিয়েছি। এক সপ্তাহ পর তাকে আবার দেখা করতে বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ঘটনাটি নিয়ে বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা এক দিন সময় চেয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল বিভাগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়