• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ কম
আর একদিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। কিন্তু পদ্মা সেতুতে ট্রেন ও অসংখ্য পরিবহন চলছে বলে ঢাকার অধিকাংশ মানুষ সেপথেই যাত্রা করছে। ফলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় কম লক্ষ্য করা গেছে। চাপ কম থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে ও ফেরিতে পার হয়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে আসছেন।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের তুলনায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ কিছুটা বেড়েছে। পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরি ও লঞ্চে যাত্রীদের ভিড় ছিল। যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চ থেকে দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে এসে বিভিন্ন যানবাহনে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশসহ পরিবহন মালিকদের স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের সুবিধার্থে বাস কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাস মালিকরা যাতে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এ ছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমী। ঈদ করতে নাড়ির টানে কুষ্টিয়া নিজ বাড়িতে যাচ্ছেন তিনি। ফেরিতে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আসলে কথা হয় তার সঙ্গে।  তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় এবার কোনো ভোগান্তি নেই। ভিড় থাকলেও পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে না। ঈদে চাপ একটু থাকে। পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের চাপ এবার খুবই কম। বেশির ভাগ যাত্রী পদ্মা সেতু ব্যবহার করছে। ফলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহারকারীদের এবার ভোগান্তি কম। আমি পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। দৌলতদিয়া পর্যন্ত আসতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও ফাঁকা ছিল। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি বলতে গেলে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি নেই। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে আমাদের সক্ষমতা অনেক। কিন্তু সেই তুলনায় যানবাহন ও যাত্রী নেই। ঈদের আগে দৌলতদিয়াতে যাত্রীর চাপ বাড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্ভাবনা কম। কারণ, বেশির ভাগ যানবাহন ও যাত্রী পদ্মা সেতু ব্যবহার করছে। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যাত্রীরা এবার স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করতে বাড়িতে যেতে পারছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৪

দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে মো. ফিরোজ শেখ (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল সোয়া ৭টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফিরোজ মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার আসগর আলীর ছেলে এবং পেশায় পরিবহন শ্রমিক।  দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশের ইনচার্জ এসআই মো. ফরিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমরা সোয়া ৭টার দিকে খবর পাই লঞ্চঘাটে পন্টুন থেকে এক যুবক নদীতে পড়ে গেছে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত ফায়ার স্টেশনকে খবর দেই। ফায়ার সার্ভিস মরদেহ উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করছে। আমরা মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের করেছি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সোয়া ৭টার দিকে এক যুবক লঞ্চঘাটের পন্টুনের ওপর দাঁড়ায়। একদম পন্টুনের কিনারে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ওই যুবক। হঠাৎ করেই নদীতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা গোয়ালন্দ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। সকাল ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নদী থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত ফিরোজের বাবা আজগর আলী শেখ জানান, ফিরোজ ছোটবেলা থেকে মৃগী রোগে আক্রান্ত। গোয়ালন্দ বাজারে আমার আত্মীয় বাড়িতে গত রাতে বেড়াতে গিয়েছিল। সকালে বাড়ি ফেরার সময় দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের পন্টুনে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছিল সে সময় মৃগী রোগ উঠলে নদীতে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। গোয়ালন্দ উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. সারেকুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৭

৭ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চালাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশার কারণে দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও রাজবাড়ী-পাবনা নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।  বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে পদ্মা নদীতে কুয়াশার তীব্রতা কমে গেলে এ নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। তবে ঘাটে ফেরি বেশি থাকায় কোন গাড়িকেই আর দীর্ঘ সময় ঘাটে বসে পারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ঘন কুয়াশায় ফেরির মার্কিন বাতি অস্পষ্ট হয়ে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন।  তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে পদ্মা নদীতে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। দিবাগত রাত ৩টার পর থেকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে গেলে নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। তাই নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে রাত সাড়ে ৩টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।  কুয়াশা কেটে গেলে বুধবার সকাল ১০টার দিকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।  বর্তমানে এ নৌরুটে ছোট বড় ১২টি ফেরি চলছে। 
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০৫

দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চালাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশার কারণে দীর্ঘ সাড়ে ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে পদ্মা নদীতে কুয়াশার তীব্রতা কমে গেলে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। কুয়াশা কেটে গেলে সকাল থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে এই নৌরুটে ছোট বড় ১৪টি ফেরি রয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে যানবাহনের কিছুটা লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে। আরও পড়ুন : পদ্মায় ফেরিডুবি : ভেসে যাচ্ছে ট্রাক, বাঁচাও বাঁচাও আহাজারি   এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ২টার দিকে ঘন কুয়াশায় ফেরির মার্কিন বাতি অস্পষ্ট হয়ে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে ঘাট কর্তৃপক্ষ। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুর রহিম বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে পদ্মা নদীতে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত ২টার পর থেকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে গেলে নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। তাই নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে রাত সাড়ে ২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। 
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়