• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ইফতারের আগে যে দোয়া পড়লে মিলবে ক্ষমা
ইবাদতের সবচেয়ে বড় মৌসুম হলো রমজান। এ মাসে প্রতিটি আমলের প্রতিদান যেমন হাজার গুণ বেড়ে যায়, তেমনি একজন মুমিনের জন্য সব পাপ থেকে বেঁচে নিজেকে একজন মুত্তাকি হিসাবে গড়ে তোলারও সুবর্ণ সুযোগ হয়। সারা বছর আমাদের থেকে যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়, সেগুলোকে আল্লাহতায়ালার কাছ থেকে ক্ষমা করিয়ে নেওয়ার মোক্ষম একটা সুযোগ হলো রমজান। দোয়াও একটি স্বতন্ত্র ইবাদত।  দোয়া ইবাদতের মূল। দোয়া ছাড়া ইবাদত অসস্পূর্ণ থাকে। যেকোনো সময় যেকোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল (সা.) আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। يَا وَاسِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْ لِيْ উচ্চারণ: ইয়া ওয়াছেয়াল মাগফেরাতি ইগফির্‌লি।   অর্থ: হে মহান ক্ষমাকারী! আমাকে ক্ষমা করুন। ইফতারের সময় এ দোয়া পড়বে- اَللّٰهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلٰى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফত্বারত্‌ অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যেই রোজা রেখেছি এবং আপনার রিজিক দ্বারাই ইফতার করছি। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি ৬৩৪০) হাদিসে এসেছে, হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি) রসুল সা. বলেছেন, যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে (তিরমিজি ৩৩৮২)।
২৩ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৯

মাগফিরাতের দিনগুলোতে যে দোয়া বেশি বেশি করবেন
গুনাহ মাফ ও তাকওয়া অর্জনের মাস রমজান। এ মাসের প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ রমজানের রহমতের দশক অতিক্রম করে মাগফেরাতের দশকের প্রথম রোজা পালিত হচ্ছে। মাগফেরাতের এ দশকে প্রতিটি মুমিনের আশা আল্লাহ পাক যেন তাকে ক্ষমা করে দেন।  এ মাসে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তিন ভাগে তিন ধরনের গণিমত সংগ্রহের সুযোগ দিয়েছেন মুসলমানদের। হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এ বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। রাসুল (স.) ইরশাদ করেন, রমজান এমন এক মাস, যার শুরুতে রহমত, মাঝে মাগফিরাত এবং শেষে রয়েছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি। (ইবনে খুজাইমা: ১৮৮৭) এ হাদিসের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (স.) উম্মতকে এই বার্তা দিয়েছেন যে, রমজান পুরোটাই রহমত। এমন নয় যে, প্রথম দশকে গুনাহ ক্ষমা করা হবে না কিংবা দ্বিতীয় দশকে রহমত থাকবে না। বরং গুনাহ ক্ষমা করাও আল্লাহর একটি রহমত এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করানোও আল্লাহর রহমত। অর্থাৎ পুরো রমজানটাই আল্লাহর রহমত। অতএব হাদিসের বার্তাটি হলো- মহান আল্লাহর সেই রহমতে সিক্ত হয়ে তোমাকে সব পাপ ক্ষমা করিয়ে নিতে হবে। তারপর চূড়ান্ত মুক্তি ও নাজাতের জন্য রমজানের শেষ পর্যন্ত সিয়াম সাধনা করে যেতে হবে। আজ রমজানের দ্বিতীয় দশকের প্রথম দিন। মাগফেরাতের দশকে আল্লাহর কাছে প্রত্যেক মুমিনের বেশি বেশি তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। কারণ তওবা সফলতার চাবিকাঠি। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই তওবা করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সুরা : আন-নুর, আয়াত : ৩১) অন্য আয়াতে ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা করো আল্লাহর কাছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল: ২০) মাগফেরাতের দশকে বেশি বেশি মাগফেরাতের দোয়া করা উচিত হবে। যদিও অন্য যেকোনো দোয়া করতেও নিষেধ নেই। বরং যেকোনো দোয়া যত বেশি করা যায় ততই ভালো। পবিত্র রমজানের দ্বিতীয় দশকে আমরা কোরআনে বর্ণিত কিছু দোয়া বেশি বেশি পাঠ করতে পারি। একটি দোয়া হলো- ১. رَبِّ إِنِّىْ ظَلَمْتُ نَفْسِىْ فَاغْفِرْ لِىْ উচ্চারণ : ‘রব্বি ইন্নী যলামতু নাফসী ফাগফিরলী।’ অর্থ : ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নফসের প্রতি জুলুম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। (সূরা আল কাসাস: ১৬) অথবা এই দোয়াটি করা যায়— أَنْتَ وَلِيُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الْغَافِرِينَ উচ্চারণ : ‘আনতা ওয়ালিয়্যুনা- ফাগফিরলানা- ওয়ারহামনা- ওয়া আনতা খাইরুল গা-ফিরীন।’ অর্থ : ‘আপনি আমাদের অভিভাবক। সুতরাং আমাদের ক্ষমা করে দিন এবং আপনি উত্তম ক্ষমাশীল।’ (সুরা আল আ‘রাফ: ১৫৫) এ সংক্রান্ত আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দোয়া রয়েছে পবিত্র কোরআনে। ওগুলো পড়তে পারেন। যেমন- رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ উচ্চারণ : ‘রব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর র-হিমীন।’ অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আপনি ক্ষমা করুন, দয়া করুন এবং আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ (সুরা আল মুমিনুন: ১১৮) আরেকটি দোয়া হলো- رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ উচ্চারণ : ‘রব্বানা- আতমিম লানা- নূরানা- ওয়াগফিরলানা- ইন্নাকা ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর।’ অর্থ : ‘হে আমাদের রব, আমাদের জন্য আমাদের আলো পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয় আপনি সর্ববিষয়ে সর্বক্ষমতাবান।’ (সুরা আত-তাহরিম: ০৮) অথবা এই দোয়াটিও পড়তে পারেন- سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ উচ্চারণ : ‘সামি‘না- ওয়া আত্বা‘না- গুফরা-নাকা রব্বানা- ওয়া ইলাইকাল মাসীর।’ অর্থ : ‘আমরা শুনলাম এবং মানলাম। হে আমাদের রব! আমরা আপনারই (নিকট) ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল। (সুরা বাকারা: ২৮৫) এ ছাড়াও আরেকটি দোয়ার খুব গুরুত্ব রয়েছে পুরো রমজান মাসজুড়ে। বিশেষ করে শেষ দশকে লাইলাতুল কদর তালাশের ক্ষেত্রে। যদিও রমজানের যেকোনো সময় দোয়াটি করা যায়। দোয়াটি হলো- اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নি।’ অর্থ : ‘হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল এবং ক্ষমা পছন্দ করেন, তাই আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সূত্র: ইবনে মাজাহ: ৩৮৫০; আহমদ: ২৫৩৮৪) প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই দশকে বেশি বেশি তওবা করা এবং নিজের গুনাহ মাফ করিয়ে নেওয়া। কারণ, আল্লাহ তায়ালা এই মাসে গুনাহ মাফের ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
২২ মার্চ ২০২৪, ১১:২১

দোয়া চেয়ে আইপিএল মাতাতে গেলেন মোস্তাফিজ
আইপিএলের ১৭তম আসরের পর্দা উঠতে যাচ্ছে আগামী ২২ মার্চ। টুর্নামেন্টটিতে এক মাত্র বাংলাদেশি হিসেবে খেলবেন টাইগার পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। আইপিএল খেলতে দেশ ছেড়েছেন তিনি। এবার চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মাঠ মাতাবেন কাটার মাস্টার। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) চেন্নাই শিবিরে যোগ দিতে সকালে ঢাকা ছেড়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে ভারতের পথে রওনা দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোস্তাফিজ। ভারত যাত্রার একটি ছবি দিয়ে মোস্তাফিজ লিখেছেন, রোমাঞ্চিত এবং নতুন অ্যাসাইনমেন্টের জন্য মুখিয়ে আছি। ২০২৪ আইপিএলে খেলতে চেন্নাইয়ে যাচ্ছি। আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন সেরাটা দিতে পারি। এর আগে লঙ্কানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছেড়েছিলেন মোস্তাফিজ। এ সময় মনে হচ্ছিলো আইপিএলে থেকে ছিটকে যেতে পারেন ফিজ। তবে চোট গুরুতর না হওয়ায় পরদিনই আইপিএল খেলতে দেশ ছাড়লেন তিনি। আইপিএলে ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দিয়ে অভিষেক হয় মোস্তাফিজের। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস ঘুরে টাইগার পেসার এবার চেন্নাই সুপার কিংসে। মোস্তাফিজের ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি টাকা। সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মে না থাকায় তাকে এবার আইপিএলের কোনো দল কিনবে কি না, সেই সংশয় দেখা দিয়েছিল। তবে চেন্নাই ঠিকই কাটার মাস্টারকে লুফে নিয়েছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৭

রমজানের যে সময়ে বিশেষভাবে দোয়া কবুল হয়
ক্ষমার মহান বার্তা নিয়ে সমহিমায় হাজির হয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। দেশের আকাশে দেখা মিলেছে মুমিনের হৃদয়ে প্রহর গোনা রমজানের একফালি চাঁদ। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়। নিঃসন্দেহে বছরের শ্রেষ্ঠ মাস হচ্ছে মাহে রমজান। এ মাসটিতে আল্লাহ তার বান্দার আমল এবং দোয়ার মাধ্যমে তার ১১ মাসের সব ভুল-ত্রুটি তথা অপরাধ ক্ষমা করে দেন। রমজানে দোয়া কবুলের বিশেষ কিছু সময় থাকলেও সারা মাসজুড়েই চলে ক্ষমা এবং অনুগ্রহ দানের এক মহোৎসব। পুরো রমজান দোয়া ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে কাটানো উচিত। আসন্ন মাহে রমজানকে যথাযথভাবে দোয়া, ইস্তিগফার, কুরআন তেলাওয়াত এবং অন্যান্য নেক আমলের মাধ্যমে অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। রমজান মাসে রয়েছে দোয়া কবুলের কয়েকটি বিশেষ সময়, সে সময়গুলোতে দোয়া করলে আল্লাহ বান্দান দোয়া ফেরত দেন না। এর মধ্যে অন্যতম সময় হলো রাতের শেষ প্রহর। প্রিয় নবীকে (সা.) জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল— কোন সময়ের দোয়া আল্লাহ বেশি কবুল করেন? উত্তরে রাসূল (সা.) বলেন, রাতের দুই তৃতীয়াংশের পর যে দোয়া করা হয়। অর্থাৎ রমজানের সেহেরির সময়ের দোয়া বেশি কবুল করেন। সুরা আল আহযানের ২১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।’ অন্যদিকে, সহিহ হাদিস এর মাধ্যমে আমরা রাসুলের জীবনের আদর্শ সম্পর্কে জানতে পারি। নগদ ইসলামিক অ্যাপে ‘ইসলামিক জীবন’ ফিচারে আসুন পড়ি সহিহ হাদিস এবং আমল করি রাসুলের দেখানো পথে। অন্য এক হাদিসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, আমাদের পালনকর্তা মহান আল্লাহ প্রতি রাতের তৃতীয় প্রহরে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন, কে আছো, আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেবো। কে আছো, আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করবো। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো। এভাবে তিনি ফজরের ওয়াক্ত স্পষ্ট হওয়া পর্যন্ত আহ্বান করতে থাকেন। (বুখারি, মুসলিম) রমজানের শেষ রাতগুলো আরও বেশি মর্যাদাপূর্ণ। এ সময়ের দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না। সুতরাং আমাদের উচিত দোয়া কবুলের এই মোক্ষম দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে অতিবাহিত করা। দ্বিতীয়ত দোয়া কবুলের বিশেষ সময়ের মধ্যে আরেকটি সময় হলো সারা দিন রোজা রেখে ইফতারি সামনে নিয়ে ইফতারির আগমুহূর্তে রোজাদার ব্যক্তি যে দোয়া করেন। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ ফেরত দেন না। ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া, ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর দোয়া এবং জালিমের বিপক্ষে মাজলুমের দোয়া। (মুসনাদে আহমদ) এজন্য আমাদের উচিত ইফতারের আগমুহূর্তে সকল কাজ থেকে ফারেগ হয়ে গোনাহ মাফ এবং আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের জন্য কায়মনোবাক্যে দোয়ায় মশগুল হওয়া। অনেক সময় দেখা যায়, ইফতারির আগমুহূর্তে হৈ-হুল্লোড়, কথা-বার্তা বলতে বলতে আজান হয়ে যায়। অথচ আমরা চাইলে এসময়ে আমাদের যাপিত জীবনের গুনাহগুলো ক্ষমা করিয়ে নিতে পারি। আমাদের উচিত বাহুল্য কথা ত্যাগ করে দোয়ার মধ্যে এ মূল্যবান সময় পার করা। তৃতীয় রমজানে দোয়া কবুলের আরেকটি বিশেষ সময় হলো ফজরের পর। হযরত আবু উমামা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসুলকে (সা.) কোন সময় দ্রুত দোয়া কবুল হয় মর্মে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর দেন, রাতের শেষ প্রহর এবং ফজরের পর। (সুনানে তিরমিযি: ৩৪৯৮ ) রমজানে অধিকাংশ মানুষ এই সময়টা ঘুমিয়ে থাকে, কিন্তু এ সময় দোয়া কবুল করানো, ক্ষমা ও আল্লাহর অনুগ্রহ লুফে নেওয়ার এক সুবর্ণ সুযোগ। এছাড়াও দোয়া কবুলের জন্য অন্যতম সময় লাইলাতুল ক্বদর। শুধু রমজান নয়, বরং সারা বছরের মধ্যে অন্যতম ফজিলতপূর্ণ রাত হলো লাইলাতুল ক্বদর। এ রাত দোয়া কবুলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ রাতে মাগরিব থেকে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত অসংখ্য মানুষকে ক্ষমার ঘোষণা দেওয়া হয়। অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:২২

জিম্মি জাহাজ থেকে নাবিক / ‘আমাদের জন্য দোয়া করিস, বেঁচে ফিরলে দেখা হবে’
  ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে পরিবারকে বার্তা পাঠিয়েছেন এক নাবিক। পরিবারের কাছে পাঠানো মেসেঞ্জারের ওই বার্তায় তিনি লিখেন, ‘আমাদের জন্য দোয়া করিস। সোমালিয়ার জলদস্যুরা আক্রমণ করেছে। আমাদের এক জায়গায় বন্দি করে রেখেছে। যদি কোনো দিন বেঁচে আসি দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ।’ জলদুস্যদের আক্রমণের শিকার এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক ও ক্রুকে জাহাজের মধ্যে একটি রুমে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এম ভি আবদুল্লাহ’ মঙ্গলবার (মার্চ ১২) দুপুর ১টার দিকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজটি আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়ে কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জাহাজটি ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজের ২৩ জন নাবিক নিরাপদে আছেন জানালেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। ‘এম ভি আবদুল্লাহ’ নামের এ জাহাজটি আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি ১৯০ মিটার লম্বা এই জাহাজটি গত বছর কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হয়। এরপর সাধারণ পণ্য পরিবহন করে আসছিল জাহাজটি। দেশে এখন নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জাহাজের সংখ্যা ৫২। এগুলোর মধ্যে ২৩টি কেএসআরএম গ্রুপের। এক দশকে সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে জাহাজ পরিচালনা ব্যবসায় নেতৃত্ব দিচ্ছে এ গ্রুপটি। এর আগে, ২০১১ সালের মার্চে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় বাংলাদেশি ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রী। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের।
১৩ মার্চ ২০২৪, ০৯:০১

ইফতারে দোয়া না পড়লে কি রোজা শুদ্ধ হবে?
রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে আগমন করেছে রমজান। মাসটি সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস। রমজানে রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। রোজার অনেক ফজিলত রয়েছে। রোজাদারকে আল্লাহ নিজ হাতে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম। রোজা শুধু আমার জন্য, আমিই এর প্রতিদান দেব। (মুসলিম: ২৭৬০)। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, হে মুমিন সকল। তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপরও ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। (সূরা বাকারা-১৮৩) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, (অন্য বর্ণনায়) ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় তারাবির নামাজ পড়ে, তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (বুখারি শরিফ: হাদিস নং ১৯০১) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যখন সে ইফতার করে এবং অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৫২) রমজানে ইফতার গ্রহণের মাধ্যমে রোজাদার রোজা ভেঙে থাকেন। ইফতারের পূর্বে ও পরে কিছু দোয়া পড়তে হয়। ইফতারের কিছুক্ষণ পূর্বে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তে হয়। يَا وَا سِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْلِىْ উচ্চারণ : ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতি, ইগফিরলী। অর্থ : হে মহান ক্ষমা দানকারী! আমাকে ক্ষমা করুন। ইফতার করার জন্যও রয়েছে দোয়া। যার মাধ্যমে নেকি লাভ করা যায়। দোয়াটি হলো- اللهم لك صمت و على رزقك افطرتاللهم لك صمت و على رزقك افطرت উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া তাওয়াক্কালতু আ'লা রিজক্বিকা ওয়া আফতারতু বি রাহমাতিকা ইয়া আর হামার রা-হিমীন। অর্থ- হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক দ্বারা ইফতার করছি। ইফতারের বাংলা দোয়া- হে আল্লাহ তায়ালা আমি আপনার নির্দেশিত মাহে রমজানের ফরজ রোজা শেষে আপনারই নির্দেশিত আইন মেনেই রোজার পরিসমাপ্তি করছি ও রহমতের আশা নিয়ে ইফতার আরম্ভ করছি। তারপর ‘বিসমিল্লাহি ওয়ালা বারাকাতিল্লাহ’ বলে ইফতার করা। ইফতারে এই দোয়াও পড়া যায়। তা হলো- اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ উচ্চারণে : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়ালা রিজকিকা আফতারতু অর্থ : হে আল্লাহ। আপনার জন্য আমি রোজা রেখেছি, আপনার রিজিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ, সাওম অধ্যায়)   ইফতার করার সময় বা ইফতার করার পরে আরেকটি দোয়ার কথা হাদিসে এসেছে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইফতার করাকালীন এই দোয়াটি করতেন। ইফতার করাকালীন বা পরবর্তী দোয়া ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ উচ্চারণে : জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ। অর্থ : (ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সওয়াবও স্থির হলো ‘ (আবু দাউদ, মিশকাত)। ইফতারের পূর্বে এবং পরে দোয়া পড়া সুন্নত। তবে কেউ দোয়া না পড়লেও রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। রোজা শুদ্ধ হয়ে যাবে।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৪:০১

রাসুল (সা.) প্রথম দশ রোজায় যে দোয়া পড়তেন 
ক্ষমার মহান বার্তা নিয়ে সমহিমায় হাজির হয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। দেশের আকাশে দেখা মিলেছে মুমিনের হৃদয়ে প্রহর গোনা রমজানের একফালি চাঁদ। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়। রোজা পালনসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে অনুসরণ করাই সব মুসলিমের কর্তব্য। রাসুল (সা.) প্রথম ১০ রমজানে দশটি দোয়া পড়তেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসে এই দোয়াগুলো পড়তেন। ‘আলবালাদুল আমিন’ ও ‘মিসবাহুল কাফআামি’ নামক গ্রন্থে এই দোয়াগুলো রয়েছে। প্রথম রোজার দোয়া الیوم الاوّل : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ صِیامی فیهِ صِیامَ الصّائِمینَ، وَقِیامی فیهِ قیامَ الْقائِمینَ، وَنَبِّهْنی فیهِ عَنْ نَوْمَةِ الْغافِلینَ، وَهَبْ لى جُرْمی فیهِ یا اِلـهَ الْعالَمینَ، وَاعْفُ عَنّی یا عافِیاً عَنْ الْمجْرِمینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; আমার আজকের রোজাকে প্রকৃত রোজাদারদের রোজা হিসেবে গ্রহণ কর। আমার নামাজকে কবুল কর প্রকৃত নামাজীদের নামাজ হিসেবে। আমাকে জাগিয়ে তোলো গাফিলতির ঘুম থেকে। হে জগত সমূহের প্রতিপালক; এদিনে আমার সব গুনাহ মাফ করে দাও। ক্ষমা করে দাও আমার যাবতীয় অপরাধ। হে অপরাধীদের অপরাধ ক্ষমাকারী। দ্বিতীয় রোজার দোয়া الیوم الثّانی : اَللّـهُمَّ قَرِّبْنی فیهِ اِلى مَرْضاتِکَ، وَجَنِّبْنی فیهِ مِنْ سَخَطِکَ وَنَقِماتِکَ، وَوَفِّقْنی فیهِ لِقِرآءَةِ ایـاتِکَ بِرَحْمَتِکَ یا اَرْحَمَ الرّاحِمینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; তোমার রহমতের উসিলায় আজ আমাকে তোমার সন্তুষ্টির কাছাকাছি নিয়ে যাও। দূরে সরিয়ে দাও তোমার ক্রোধ আর গজব থেকে । আমাকে তৌফিক দাও তোমার পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করার । হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াময়। তৃতীয় রোজার দোয়া الیوم الثّالث : اَللّـهُمَّ ارْزُقْنی فیهِ الذِّهْنَ وَالتَّنْبیهَ، وَباعِدْنی فیهِ مِنَ السَّفاهَةِ وَالَّتمْویهِ، وَاجْعَلْ لى نَصیباً مِنْ کُلِّ خَیْر تُنْزِلُ فیهِ، بِجُودِکَ یا اَجْوَدَ الاْجْوَدینَ. অর্থ: হে আল্লাহ; আজকের দিনে আমাকে সচেতনতা ও বিচক্ষণতা দান কর। আমাকে দূরে রাখ অজ্ঞতা, নির্বুদ্ধিতা ও ভ্রান্ত কাজ-কর্ম থেকে। এ দিনে যত ধরণের কল্যাণ দান করবে তার প্রত্যেকটি থেকে তোমার দয়ার উসিলায় আমাকে উপকৃত কর। হে দানশীলদের মধ্যে সর্বোত্তম দানশীল। চতুর্থ রোজার দোয়া الیوم الرّابع : اَللّـهُمَّ قَوِّنی فیهِ عَلى اِقامَةِ اَمْرِکَ، وَاَذِقْنی فیهِ حَلاوَةَ ذِکْرِکَ، وَاَوْزِعْنی فیهِ لاِداءِ شُکْرِکَ بِکَرَمِکَ، وَاحْفَظْنی فیهِ بِحِفْظِکَ وَسَتْرِکَ، یا اَبْصَرَ النّاظِرینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; এ দিনে আমাকে তোমার নির্দেশ পালনের শক্তি দাও। তোমার জিকিরের মাধুর্য আমাকে আস্বাদন করাও। তোমার অপার করুণার মাধ্যমে আমাকে তোমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য প্রস্তুত কর । হে দৃষ্টিমানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দৃষ্টিমান। আমাকে এ দিনে তোমারই আশ্রয় ও হেফাজতে রক্ষা কর। পঞ্চম রোজার দোয়া الیوم الخامس : اَللّـهُمَّ اجْعَلْنی فیهِ مِنْ الْمُسْتَغْفِرینَ، وَاجْعَلْنی فیهِ مِنْ عِبادِکَ الصّالِحینَ اْلقانِتینَ، وَاجْعَلنی فیهِ مِنْ اَوْلِیائِکَ الْمُقَرَّبینَ، بِرَأْفَتِکَ یا اَرْحَمَ الرّاحِمینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; এই দিনে আমাকে ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর। আমাকে শামিল কর তোমার সৎ ও অনুগত বান্দাদের কাতারে । হে আল্লাহ ! মেহেরবানী করে আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কর। হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াবান । ষষ্ঠ রোজার দোয়া الیوم السّادس : اَللّـهُمَّ لا تَخْذُلْنی فیهِ لِتَعَرُّضِ مَعْصِیَتِکَ، وَلاتَضْرِبْنی بِسِیاطِ نَقِمَتِکَ، وَزَحْزِحْنی فیهِ مِنْ مُوجِباتِ سَخَطِکَ، بِمَنِّکَ وَاَیادیکَ یا مُنْتَهى رَغْبَةِ الرّاغِبینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; তোমার নির্দেশ অমান্য করার কারণে এ দিনে আমায় লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করোনা। তোমার ক্রোধের চাবুক দিয়ে আমাকে শাস্তি দিও না। সৃষ্টির প্রতি তোমার অসীম অনুগ্রহ আর নিয়ামতের শপথ করে বলছি তোমার ক্রোধ সৃষ্টিকারী কাজ থেকে আমাকে দূরে রাখো। হে আবেদনকারীদের আবেদন কবুলের চূড়ান্ত উৎস। সপ্তম রোজার দোয়া الیوم السّابع : اَللّـهُمَّ اَعِنّی فِیهِ عَلى صِیامِهِ وَقِیامِهِ، وَجَنِّبْنی فیهِ مِنْ هَفَواتِهِ وَآثامِهِ، وَارْزُقْنی فیهِ ذِکْرَکَ بِدَوامِهِ، بِتَوْفیقِکَ یا هادِیَ الْمُضِلّینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; এ দিনে আমাকে রোজা পালন ও নামাজ কায়েমে সাহায্য কর। আমাকে অন্যায় কাজ ও সব গুনাহ থেকে রক্ষা করো। তোমার তৌফিক ও শক্তিতে সবসময় আমাকে তোমার স্মরণে থাকার সুযোগ দাও। হে পথ হারাদের পথ প্রদর্শনকারী। অষ্টম রোজার দোয়া الیوم الثّامن : اَللّـهُمَّ ارْزُقْنی فیهِ رَحْمَةَ الاَْیْتامِ، وَاِطْعامَ اَلطَّعامِ، وَاِفْشاءَ السَّلامِ، وَصُحْبَةَ الْکِرامِ، بِطَولِکَ یا مَلْجَاَ الاْمِلینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; তোমার উদারতার উসিলায় এ দিনে আমাকে এতিমদের প্রতি দয়া করার, ক্ষুধার্তদের খাদ্য দান করার, শান্তি প্রতিষ্ঠা করার ও সৎ ব্যক্তিদের সাহায্য লাভ করার তৌফিক দাও। হে আকাঙ্খাকারীদের আশ্রয়স্থল। নবম রোজার দোয়া الیوم التّاسع : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ لی فیهِ نَصیباً مِنْ رَحْمَتِکَ الْواسِعَةِ، وَاهْدِنی فیهِ لِبَراهینِکَ السّاطِعَةِ، وَخُذْ بِناصِیَتی اِلى مَرْضاتِکَ الْجامِعَةِ، بِمَحَبَّتِکَ یا اَمَلَ الْمُشْتاقینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; এদিনে আমাকে তোমার রহমতের অধিকারী কর। আমাকে পরিচালিত কর তোমার উজ্জ্বল প্রমাণের দিকে। হে আগ্রহীদের লক্ষ্যস্থল। তোমার ভালোবাসা ও মহব্বতের উসিলায় আমাকে তোমার পূর্ণাঙ্গ সন্তুষ্টির দিকে নিয়ে যাও। দশম রোজার দোয়া الیوم العاشر : اَللّـهُمَّ اجْعَلْنی فیهِ مِنَ الْمُتَوَکِّلینَ عَلَیْکَ، وَاجْعَلْنی فیهِ مِنَ الْفائِزینَ لَدَیْکَ، وَاجْعَلْنی فیهِ مِنَ الْمُقَرَّبینَ اِلَیْکَ، بِاِحْسانِکَ یا غایَةَ الطّالِبینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; তোমার প্রতি যারা ভরসা করেছে আমাকে সেই ভরসাকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর। তোমার অনুগ্রহের মাধ্যমে আমাকে শামিল করো সফলকামদের মধ্যে এবং আমাকে তোমার নৈকট্য লাভকারী বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে নাও হে অনুসন্ধানকারীদের শেষ গন্তব্য।
১২ মার্চ ২০২৪, ০৫:০২

যে দোয়া পাঠকারীকে আল্লাহ সন্তুষ্ট করবেন
ইসলামের পরিভাষায়, দোয়া শব্দটির আক্ষরিক অর্থ আহ্বান, ডাকা, চাওয়া বা আবদার করা; যা ইসলামে একটি বিশুদ্ধ মিনতি প্রক্রিয়া। এই শব্দটি এসেছে একটি আরবি শব্দ থেকে যার বাংলায় অনুবাদ ডাক বা তলব করা, মুসলমানরা একে ইসলামি আইন হিসেবে এবং সওয়াব বিবেচনা করে পালন করে থাকে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দোয়া ইবাদতের সারাংশ।’ আর আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র কোরআন মাজিদে বলেছেন, ‘তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে তারা শিগগিরই জাহান্নামে দাখিল হবে, এবং লাঞ্ছিত হবে (সুরা আল-মুমিন, আয়াত ৬০)।’ আর এমন একটি দোয়া আছে, যা সকালে ও সন্ধ্যায় ৩ বার পাঠকারীকে আল্লাহ সন্তুষ্ট করবেন।  দোয়াটি : র দ্বী-তু বিল্লাহি রব্বান অবিল ইসলামি দ্বীনান ও বি মুহাম্মাদীন নাবিয়্যা ও রসু-লা। অর্থ: আমি সন্তুষ্ট আল্লাহ তায়ালার প্রতি রব হিসেবে, ইসলামের প্রতি দীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নবী ও রাসুল হিসেবে।   রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা এ দু’আটি পাঠ করবে আল্লাহ তা’আলা তাকে অবশ্যই সন্তুষ্ট করবেন।
১০ মার্চ ২০২৪, ১০:১৬

ঘুম থেকে উঠেই যে দোয়া পড়তেন রাসুল (সা.) 
ইসলামি জীবন ব্যবস্থার মূলভিত্তিই কোরআন এবং সুন্নাহ। কোরআন মানুষের জন্য পথ নির্দেশক। আর তার ব্যাখ্যা হচ্ছে বিশ্বনবীর সুন্নাহ। রাসুল  (সা.) এর দিকনির্দেশনাই মুক্তির একমাত্র পথ।  বিশ্বনবীর দেখানো পথ অনুসরণ করে আমল করলে সহজ হয় মহান আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য অর্জন। কোন সময়ে কি দোয়া পড়তে হবে, নিজে আমল করে তা শিখিয়ে গেছেন রাসুল (সা.), যার উল্লেখ আছে হাদিসে। সকালবেলা পড়ারও দোয়া শিখিয়েছেন তিনি।  হযতর আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, তোমরা ভোরে উপনীত হয়ে (ঘুম থেকে উঠে) এই দোয়া পড়বে। দোয়াটি হলো- আল্লাহুম্মা বিকা আসবাহনা ওয়া বিকা আমসাইনা ওয়া বিকা নাহইয়া ওয়া বিকা নামুতু। অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার আদেশেই আমরা প্রভাতে উপনীত হই এবং তোমার আদেশেই আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হই, তোমার আদেশেই আমরা জীবন ধারণ করি এবং তোমার আদেশেই আমরা মৃত্যুবরণ করি। (ইবনে মাজাহ: ৩৮৬৮) এছাড়া, বুখারি শরীফে বর্ণিত আরেকটি দোয়া আছে, যা রাসুল পাক (সা.) ঘুম থেকে উঠেই পড়তেন।  দোয়াটি হলো- আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর। অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের মৃত করার পর পুনরায় জীবিত করেছেন। আর তার দিকেই সবার পুনরুত্থান। (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪) সকাল থেকে সন্ধ্যা মহান আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামত ভোগ করে মানুষ। এসব নিয়ামতের যথাযথ কৃতজ্ঞতা আদায় সবার কর্তব্য। একটি হাদিসে রাসুল (সা.) নিম্নের দোয়াটি পাঠের মাধ্যমে নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করতে বলেছেন।  দোয়াটি হলো- আল্লাহুম্মা মা আসবাহা বি মিন নিমাতিন আউ বিআহাদিন মিন খালকিকা ফামিনকা ওয়াহদাকা, লা শারিকা লাকা, ফালাকাল হামদু ওয়া লাকাশ শুকরু। অর্থ : হে আল্লাহ, আমি ও আপনার অন্য কোনও সৃষ্টি যে নিয়ামত ভোগ করছি তা একমাত্র আপনার পক্ষ থেকেই। আপনার কোনও অংশীদার নেই। সুতরাং আপনারই প্রশংসা ও আপনারই কৃতজ্ঞতা। হাদিস : আবদুল্লাহ বিন গান্নাম আল-বায়াজি থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ভোরে (ঘুম থেকে) উঠে উল্লিখিত দোয়াটি পড়বে সে যেন সকালের কৃতজ্ঞতা জানাল। যে ব্যক্তি তা বিকালে পড়বে সে যেন রাতের কৃতজ্ঞতা জানাল।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৭৩; ইবনু হিব্বান, হাদিস নং : ৮৬১)  এছাড়া ফজরের নামাজের সালাম ফেরানোর পরপর একটি দোয়া পড়তেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এ আমলটি প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদার। কেননা মুমিন মুসলমানের জন্য হালাল রিজিক, উপকারী জ্ঞান, কবুলযোগ্য আমলই জীবনে একমাত্র চাওয়া-পাওয়া। হাদিসের বর্ণনায় দোয়াটি এসেছে এভাবে- হযরত উম্মু সালামাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিদিন ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে সালাম ফিরিয়ে বলতেন-  'আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিআ ওয়া রিযকান তায়্যিবা ওয়া আমালান মুতাকাব্বালা।'  অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা করছি, উত্তম-পবিত্র রিজিক কামনা করছি এবং কবুল হওয়ার মতো কর্ম তৎপরতা কামনা করছি।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ) রাসুল (সা.) নিয়মিত ফজরের নামাজের পরপরই আল্লাহর কাছে হালাল রিজিক কামনা করতেন। এমন জ্ঞান কামনা করতেন, যাতে মানুষের উপকার হয়। আর নিজের আমলগুলো কবুল হওয়ার জন্যও দোয়া প্রার্থনা করতেন। পরিশেষে, সুন্নাতের অনুসরণে জীবন-যাপন মানুষের মুক্তির একমাত্র পথ। বিশ্বনবী (সা.) মানুষকে দেখিয়েছেন সেই সঠিক পথ। দিয়েছেন সুখ ও বরকতময় জীবন পাওয়ার পাথেয় ও দিকনির্দেশনা। তিনি নিজে আমল করেছেন এবং নিজের উম্মতদেরকে আমল করতে বলেছেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৪

শয়তান থেকে হেফাজতের দোয়া
শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন। আল্লাহ তাআলা মানুষকে শয়তান থেকে আশ্রয় চাইতে বলেছেন। যখন মানুষ কোরআন তেলাওয়াতের মতো ইবাদত করবে তখনও। শয়তানের অনিষ্টতা ও কুমন্ত্রণা থেকে নিরাপদ থাকা ছোট-খাটো কোনো বিষয় নয়। যেকোনো সময় যেকোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সা. আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন। لا الهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَهْ، لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَئ ٍ قَدِيْرٌ উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ’আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।   অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা কেবল তাঁর জন্যই। তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান। অথবা আউজুবিল্লাহ পড়বেন   اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ উচ্চারণ : আ‘ঊযুবিল্লাাহি মিনাশ শাইতাানির রজীম।   অর্থ : আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। أَعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ উচ্চারণ : ‘আউজুবিল্লাহিল আজিম ওয়া বিওয়াঝহিল কারিম ওয়া সুলত্বানিহিল কাদিমি মিনাশ শাইত্বানির রাঝিম।’ অর্থ : ‘আমি মহান আল্লাহর কাছে; তাঁর মহানুভব চেহারার কাছে; তাঁর অনাদি-অনন্ত কর্তৃত্বের কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই।’
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়