• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কালিয়াকৈর প্রেস ক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল
গাজীপুরের কালিয়াকৈর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে উপজেলার মাকিষবাতান এলাকায় প্রেস ক্লাবের হলরুমে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হাসান মেহেদীর সঞ্চালনায় এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি আইয়ুব রানা। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ।  এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন কালিয়াকৈর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজত বিশ্বাস, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম নাসিম, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক লীগ, কালিয়াকৈর উপজেলার শাখার সভাপতি কিরণ মাহমুদ ওয়াসি ও খালেকের প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সভাপতি সরকার আব্দুল আলিম প্রমুখ।  এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা বিপ্লব পাল, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার, উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম সহ থানা পুলিশ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৯

মহান আল্লাহ যাদের দোয়া ফিরিয়ে দেন না
পবিত্র মাহে রমজানে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়। এই মাস কল্যাণময় মাস। দোয়া প্রত্যেকটি মুমিনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম এটি। যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহ তা’য়লার কাছে দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য চায়, তিনি (আল্লাহ) তাদের ওপর খুশি হন। রাসুল (সা.) বলেছেন, দোয়া ছাড়া অন্য কিছুই ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না এবং নেক আমল ছাড়া অন্য কিছু বয়স বাড়াতে পারে না। (তিরমিজি, ২১৩৯, তারগীব, ১৬৩৯) রমজান মাসে মুমিনকে যেসব বিষয়ের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে তম্মধ্যে অন্যতম একটি হলও দোয়া কবুল। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ন্যায়পরায়ণ বার্ডস, রোজা পালনকারী যতক্ষণ না সে ইফতার করে এবং মজলুম।’ (তিরমিজি, হাদিস, ৩৫৯৮) পবিত্র রমজান মাসে প্রতিটি মুমিন বেশি বেশি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারে। বিশেষ করে ইফতারের সময় অধিক পরিমাণে দোয়া করলে নিশ্চয়ই দয়াময় আল্লাহ তা’য়লা কোন বান্দাকে খালি হাতে ফেরাবেন না।  দোয়া প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেন, রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে আমাদের সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, আমাকে কে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব; আমাকে কে কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করব; আমার কাছে কে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৪৫)
২৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৪

তারাবিহ নামাজের নিয়ত, দোয়া ও মোনাজাত
তারাবিহ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো- বিশ্রাম, স্বস্তি, প্রশান্তি ইত্যাদি। তারাবিহর প্রতি ৪ রাকাত নামাজ পড়ার পর একটু বিশ্রাম গ্রহণ করা হয় বা বিরতি নেওয়া হয়। রমজান মাসে এশার নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত পড়ে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করাকে তারাবিহ বলা হয়। তারাবিহ পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমাদান মাসে তারাবিহর নামাজ পড়বে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (সহীহ আল-বুখারি, হাদিস: ১৯০১, সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৭৫৯,) রাসুল (সা.) বলেছেন, রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরজ আদায় করল সে যেন অন্য মাসের ৭০টি ফরজ আদায় করল। (শুআবুল ঈমান : ৩/৩০৫-৩০৬) তারাবিহ নামাজের নিয়ত   উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতে রাসুলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতি শারিফাতি, আল্লাহু আকবার। অর্থ : আমি কেবলামুখি হয়ে দু’রাকাত তারাবিহর সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করছি; আল্লাহু আকবার। নিয়ত বাংলায়ও পড়া যাবে। অনেক আলেম  বলেছেন, নিয়ত না করলেও নামাজের সওয়াবের কোনো তারতম্য হয় না। তারাবিহ নামাজের দোয়া প্রতি চার রাকাত নামাজের পর বিশ্রাম নেওয়া হয়। এ সময় একটি দোয়া প্রায় সব মসজিদের মুসল্লিরা পড়ে থাকেন। তা হলো- উচ্চারণ : ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’ তবে মনে রাখতে হবে, এই দোয়া না পড়লে নামাজ হবে না, এমন ধারণা করা যাবে না। অনেক আলেমের মতে, তারাবিহ নামাজে চার রাকাত পর পর বিশ্রামের সময়টিতে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়া, তওবা,-ইসতেগফারগুলো পড়াই উত্তম। তারাবিহ নামাজের মোনাজাত তারাবিহর নামাজ শেষে দেশের মসজিদগুলোতে একটি দোয়া পড়ে মোনাজাত করার প্রচলন রয়েছে। তা হলো- উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’ উল্লেখ্য, তারাবিহর নামাজ ২ রাকাআত করে পড়তে হয়। ২ রাকাত করে ৪ রাকাআত শেষ হওয়ার পর দোয়া পাঠ করতে হয়। এভাবে রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন ২০ রাকাআত করে তারাবিহ আদায় করতে হয়।
১১ মার্চ ২০২৪, ১২:২৫

রমজানের আগে রাসুলুল্লাহ (সা.) যে দোয়া বেশি বেশি পড়তেন
পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তার জানান দেয় রজব ও শাবান মাস। এ কারণেই রমজানের পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব ও শাবান জুড়ে ইবাদত ও রোজা রেখে প্রস্তুতি নিতেন। আর বেশি বেশি একটি দোয়া পড়তেন। আরবি চান্দ্রবর্ষের সপ্তম মাস হলো রজব। ‘রজব’ অর্থ ‘সম্ভ্রান্ত’, ‘প্রাচুর্যময়’, ‘মহান’। হারাম তথা সম্মানিত ও যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ মাসগুলোর অন্যতম হলো রজব। চারটি মাসকে হারাম মাস হিসেবে ধরা হয়। এগুলো হলো জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা আসমান-জমিন সৃষ্টি করার দিন থেকেই বছর হয় বারো মাসে। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত; তিনটি একাধারে জিলকদ, জিলহজ ও মহররম এবং চতুর্থটি হলো ‘রজব মুদার’, যা জুমাদাল উখরা ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী।’ (মুসলিম)। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, ‘যখন রজব মাস আসত, তা আমরা নবীজি (সা.)–এর আমলের আধিক্য দেখে বুঝতে পারতাম।’ কোনো কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায়, নবীজি (সা.) রজব মাসে ১০টি রোজা রাখতেন, শাবান মাসে ২০টি রোজা রাখতেন; রমজান মাসে ৩০টি রোজা রাখতেন। (দারিমি)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রজব হলো আল্লাহর মাস, শাবান হলো আমার (নবীজির) মাস; রমজান হলো আমার উম্মতের মাস।’ (তিরমিজি)। ‘যে ব্যক্তি রজব মাসে (ইবাদত দ্বারা) খেত চাষ দিলো না এবং শাবান মাসে (ইবাদতের মাধ্যমে) খেত আগাছামুক্ত করল না; সে রমজান মাসে (ইবাদতের) ফসল তুলতে পারবে না।’ (বায়হাকি)। রজব মাসের বিশেষ আমল হলো বেশি বেশি নফল রোজা রাখা। বিশেষত প্রতি সোমবার, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং মাসের ১, ১০; ১৩, ১৪, ১৫; ২০, ২৯, ৩০ তারিখ রোজা রাখা। অধিক হারে নফল নামাজ পড়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব ও শাবান মাসব্যাপী এ দোয়া বেশি পরিমাণে পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা বারাকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান’। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি রজব ও শাবান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত (হায়াত দিন) পৌঁছে দিন।’ (বুখারি ও মুসলিম)। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রজব ও শাবান মাস জুড়ে এ দোয়াটি বেশি বেশি করে পড়ার এবং আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ লাভের তাওফিক দান করুন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৪

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া
আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত ‘লাইলাতুম মিন নিসফা শাবান’। এটি ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘শবে বরাত’ নামে বেশি পরিচিত। মুসলমানরা রাতটিকে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মনে করে ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন। শবে বরাতে নামাজের নিয়ম শবে বরাতে নফল নামাজ পড়া উত্তম। তবে এই রাতে নফল নামাজ পড়ার আলাদা কোনো নিয়ম বা নিয়ত নেই। অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয়, এ দিন রাতেও যেভাবে স্বাভাবিক নিয়ম নফল নামাজ পড়তে হবে। আলাদা করে কোনো নিয়ত করতে হবে না।  কেউ এ রাতে নফল নামাজ পড়ার আলাদা কোনো নিয়ম বা নিয়ত সাব্যস্ত করলে তা বিদয়াত বলে গণ্য হবে। কারণ, শবে বরাতে নামাজ পড়ার কোনো নিয়ম বর্ণনা করেননি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।  আর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াাসল্লাম বর্ণনা করেননি, সাহাবিরা পালন করেননি- এমন কোনো বিষয়ে ইবাদত বা নির্দিষ্ট করে আমল তৈরি করলে বিদয়াতের অন্তর্ভুক্ত। বিদয়াত আবিষ্কারকদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আল্লাহর রাসূল। বর্ণিত হয়েছে,  ‘নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব। আর সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াাসল্লামের আদর্শ। সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হলো, (দীনের মধ্যে) নব-উদ্ভাবিত বিষয়। (দীনের মধ্যে) নব-উদ্ভাবিত সবকিছুই বিদআত। প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা, আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।’ (মুসলিম, হাদিস, ১৫৩৫; নাসায়ি, হাদিস, ১৫৬০) শবে বরাতের নামাজের দোয়া শবে বরাতে একজন মুসলিম যেসব ইবাদত করবেন তার পুরোটাই নফল। এ রাতে কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, নামাজ সব নফল। কোনোটাই ফরজ, ওয়াজিব বা অন্ততপক্ষে সুন্নতে মুয়াক্কাদাও না।  এজন্য কেউ এ রাতে নফল নামাজ পড়লে তা অন্যান্য যেকোনো সময়ের নফল নামাজের মতো পড়বে, নফল নামাজে সানা, সূরা ফাতিহা, সূরা মিলানো, বৈঠক, তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা, সব স্বাভাবিক নিয়মে পালন করতে হবে।  নামাজ শেষে চাইলে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে পারেন। তবে এ রাতের নফল নামাজের জন্য নির্দিষ্ট করে আলাদা কোনো দোয়া নেই। তাই শবে বরাতে কারো জন্য নির্দিষ্ট কোনো দোয়া করা উচিত হবে। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে কোরআন-হাদিসের ওপর সঠিকভাবে আমল করার এবং বিদয়াত থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। (আমিন)। তবে হাদিসে এসেছে- ‘হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, পাঁচটি রাত এমন আছে, যে রাতে বান্দার কোনো দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না। আর তা হলো- ১. জুমআর রাতের দোয়া ২. রজব মাসের প্রথম রাতের দোয়া ৩. নিসফা শাবান তথা অর্ধ শাবানের রাতের দোয়া ৪. ঈদুল ফিতর তথা রোজার ঈদের রাতের দোয়া ৫. ঈদুল আজহা তথা কুরবানির ঈদের রাতের দোয়া।’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক) তাই আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করতে নিচের দোয়াটি বেশি বেশি পড়তে পারেন- উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি, ওয়া ওয়াসসি’লি ফি দারি, ওয়া বারিক লি রিজকি। (নাসাঈ) অর্থ: হে আল্লাহ! আমার গোনাহ মাফ করে দাও। আমার জন্য আমার বাসস্থান প্রশস্ত করে দাও। এবং আমার রিজিকে বরকত দিয়ে দাও। মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সব সময় বেশি বেশি ইবাদত করার তৌফিক দান করুন। আমিন!  
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫১

মোস্তাফিজের জন্য দোয়া চাইলেন মুশফিক
অনুশীলনের সময় মাথায় আঘাত পাওয়া পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের জন্য দোয়া চেয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দলীয় অনুশীলন ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। অনুশীলনের সময় ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ম্যাথু ফোর্ডের স্ট্রেইট ড্রাইভে মাথায় বল লাগে দ্য ফিজের। মূলত বল করে ফেরার পথেই এই ঘটনা ঘটে। বলের আঘাতে ফিজের মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যায় দলের মেডিকেল বিভাগ। এ ঘটনায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফিজিও এস এম জাহিদুল ইসলাম সজলের বরাত দিয়ে কুমিল্লা জানায়, আঘাতের পর তাৎক্ষণিকভাবে রক্ত পড়া থামাতে মোস্তাফিজের মাথায় ব্যান্ডেজ করা হয়। পরে দ্রুত ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে করা হয় সিটি স্ক্যান। এরপর ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য মোস্তাফিজকে রাখা হয়েছে। সিটি স্ক্যানের পর ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ফিজিও জাহিদুল ইসলাম সজলের মন্তব্য, শুধু বাইরের অংশে মোস্তাফিজের মাথার চোট। অভ্যন্তরীণ কোনো চোট নেই। এদিকে এক ফেসবুক বার্তায় ফিজের জন্য দোয়া চেয়েছেন জাতীয় দলের তারকা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ফরচুন বরিশালের এই ক্রিকেটারের ভাষ্য, সবার কাছে অনুরোধ করছি মোস্তাফিজের জন্য দোয়া করুন। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে সহায়তা করেন এবং আমাদের মোস্তাফিজকে দ্রুত সারিয়ে তোলেন। অন্যদিকে চলতি বিপিএলে ৯ ম্যাচে ৭ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে কুমিল্লা। পয়েন্ট তালিকায় সেরা দুইয়ে থাকার লড়াইয়ে এখনও দলটির হাতে তিন ম্যাচ বাকি রয়েছে। মাথায় আঘাত পাওয়ায় গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচগুলো টাইগারদের অটোচয়েজ এই পেসার খেলবেন কি না, তা নিয়েও নানান প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরীর জবাব, খেলতে না পারার কিছু নেই। তবে বিষয়টা যেহেতু মাথার চোট… এমনিতে সাধারণত সেলাই থাকলে তো আমরা ৪ থেকে ৫ দিন (খেলতে) নিষেধ করি। সেটা এখন মূল বিষয় নয়। এখন মাথার চোটটা পার হলে সেটা দেখা যাবে। কনকাশনের ব্যাপারটা আগে ক্লিয়ার হোক, তারপর দেখব। আপাতত স্ক্যানটা ভালো, এটাই বড় কথা। তিনি যোগ করেন, মোস্তাফিজের সিটি স্ক্যান রিপোর্ট ভালো। কোনো ইন্টারনাল ইনজুরি নেই। এক্সটারনাল ইনজুরি আছে। সেলাই লেগেছে পাঁচটার মতো। কিন্তু যেহেতু মাথার চোট, সে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকবে। চলতি বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে খেলেছেন মোস্তাফিজ। এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত তার শিকার ১১ উইকেট। ৩২ রান খরচায় ৩ উইকেট চলতি বিপিএলে মোস্তাফিজের সেরা বোলিং।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়