• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ, দেবর আটক
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মেহেরুন্নেছা (২১) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের দেবর মো. সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হাটহাজারী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়াডে আলীপুর এলাকার হাজী কবির আহম্মদের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।  নিহত মেহেরুন্নেছা ওই গ্রামের বশির আহাম্মদের পুত্র প্রবাসী ওয়াহিদুল আলম মঞ্জুর স্ত্রী এবং উপজেলার চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লাল মিয়া মিস্ত্রীর বাড়ির আবদুল কাদেরের মেয়ে।  পুলিশ সূত্র ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিয়ের পর ছুটি শেষে মঞ্জু দেড় মাস পূর্বে বিদেশে কর্মস্থলে ফিরে যায়। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। মঙ্গলবার রাতে প্রতিদিনের মত খাবার শেষ করে নিজের রুমে ঘুমাতে যায় ওই গৃহবধূ। বুধবার সকালে পরিবারের সবাই ঘুম থেকে উঠে যে যার কাজে চলে যায়।  এদিকে বেলা ১০টা পেরিয়ে গেলেও গৃহবধূ মেহেরুন্নেচ্ছা তার শয়ন কক্ষের রুম না খোলায় পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকি করে। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে পায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থা তার দেহ ঝুলছে।  খবর পেয়ে মডেল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।  হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক আলি আকবর গণমাধ্যমকে বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেবরকে আটক করা হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:১১

ভাবির ব্যক্তিগত ভিডিও সংগ্রহ করে প্রতারণা, দেবর গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর কবিরহাটে এক গৃহবধূকে ব্ল্যাকমেইল করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগে দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় ভিডিওসহ একটি মোবাইল জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার মোশারফ হোসেন টিটু (২২) কবিরহাট থানার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের লাতু সওদাগর বাড়ির মৃত মিয়াধনের ছেলে। সে পেশায় একজন মোবাইল মেকানিক। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, গতকাল বিকেলের দিকে জেলা শহর মাইজদী সুপার মার্কেটের ফুড ফিয়েস্তা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।    পুলিশ জানায়, একজন গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে মোশারফকে গ্রেপ্তার করা হয়। গৃহবধূর স্বামী ওমান প্রবাসী। তার প্রতিবেশী মোশারফ হোসেন টিটু একজন মোবাইল মেকানিক এবং সম্পর্কে ভুক্তভোগী নারীর দেবর হয়। অনুমান দেড় বছর পূর্বে গৃহবধূর মোবাইল ফোনে সমস্যা দেখা দিলে তার মোবাইল ফোনটি ঠিক করে দেয়ার জন্য মোশারফ নেন। কিছুদিনের মধ্যেই ফোনটি ঠিক করে দেন মোশারফ।  খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গৃহবধুর স্বামী প্রবাসী হওয়ায় তিনি তার স্বামীর অনুরোধে নিজে একটি ব্যক্তিগত ভিডিও তৈরি করে তার স্বামীকে পাঠান এবং পরবর্তীতে ভিডিওটি ডিলিট করে দেন। কিন্তু ভিডিওটি মোবাইলের রিসাইকেল বিনে গিয়ে জমা হয়, সেটা গৃহবধুর জানা ছিল না। টিটু মোবাইল ঠিক করার সময় ভাবির মোবাইল সেটের রিসাইকেল বিন চেক করে ভিডিওটা পেয়ে তার মোবাইলে নিয়ে যায়। গত ৮ জানুয়ারি রাতে টিটু ভাবির মোবাইলে কল দিয়ে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করার ভয় দেখিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভুক্তভোগী এত টাকা দিতে পারবেনা বললে সে তাকে তারে সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়।  জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত যুবক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর ভুক্তভোগী গৃহবধূ তার স্বামীর পরামর্শে পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায়  সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়