• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
নামাজের জন্য ডাকতে গিয়ে মা দেখেন মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ 
চলমান এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে খারাপ হওয়ায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে স্বর্ণা আক্তার (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভূঞাপুর পৌর এলাকার বেতুয়া পলিশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পরীক্ষার্থী একই এলাকার সোনা মিয়ার মেয়ে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্বর্ণা এ বছর টেপিবাড়ি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। গত বৃহস্পতিবার তার বাংলা পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিয়ে আসার পর থেকে সবার কাছে সে বলেছে তার পরীক্ষা ভালো হয়নি। তাই সে পাস করতে পারবে না। এ নিয়ে দুদিন ধরে চিন্তিত ছিল। পরে শনিবার রাতে নিজ শয়নকক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। ভোরে তার মা ফজরের নামাজের জন্য ডাকতে গেলে স্বর্ণাকে গলায় ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে ভূঞাপুর থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আহসান উল্লাহ জানান, ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৪

ফোন না ধরায় বাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখেন ঘরে ঝুলছে স্ত্রী
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ আল কাউসার স্কুলের শিক্ষক সোহেলের স্ত্রী জাহান ইভার (১৮) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মকিমাবাদ গাজী বাড়ির খোরশেদ মিয়ার বিল্ডিংয়ে এ ঘটনা ঘটে। স্বজনরা জানায়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পারিবারিক ভাবে হাজিগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়ন কাজিরগাঁও পাটওয়ারী বাড়ির খোকন পাটওয়ারী মেয়ে ইশরাত জাহান ইভার সঙ্গে মতলব উত্তর উপজেলার বলাইকান্দি প্রধানিয়া বাড়ির চুন্নু প্রধানের ছেলে সোহেলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে চাকরির সুবাদে আল কাউসার স্কুলের শিক্ষক সোহেল হাজীগঞ্জ মকিমাবাদ গাজী বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ঘটনার দিন দুপুরে ঘরের জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন গৃহবধূ ইশরাত জাহান ইভা। আত্মহত্যার বিষয়ে স্বামী সোহেল জানান, এই ঘটনার সময় তিনি স্কুলে ছিলেন। তিনি তার স্ত্রীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করার পরেও রিসিভ না করায় বাড়িতে ছুটে আসেন। তখন ঘরে প্রবেশ করে দেখেন  স্ত্রী ঘরের জানালার সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু কেন আত্মহত্যা করেছেন, তার জানা নেই। তাদের সঙ্গে কোনো পারিবারিক দ্বন্দ্ব নেই। হাজীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মিন্টু দত্ত জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যেই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর মূল রহস্য উদঘাটন করা যাবে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়