• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেই : আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
বাজার নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারকে কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ অভিযোগ করেন। এসময় সরকারের চেয়ে বাজার সিন্ডিকেট কীভাবে শক্তিশালী হয়, সে প্রশ্নও রাখেন তিনি।  আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলার পরও দৃশ্যমান কিছু দেখা যাচ্ছে না। সরকারের চেয়ে কীভাবে সিন্ডিকেট শক্তিশালী হয়? আমাদের দেশের বিভিন্ন সংস্থা আছে, তথ্য আছে, তাহলে কীভাবে সরকারের চেয়ে এরা বেশি শক্তিশালী হয়? এখনই সিন্ডিকেটকে শক্ত হাতে দমন করা না হলে রমজানে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সংসদে আগের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না। যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। কিন্তু দৃশ্যমান কিছু দেখছি না।  সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কথা উল্লেখ করে বিরোধী দলের এ নেতা কটাক্ষ করেন, সিন্ডিকেট এত শক্তিশালী হয়ে গেছে যে, তারা প্রতিদিন সকালে মোবাইলের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে দেয়। এরা সকালে এসএমএসের মাধ্যমে চিনির, ডিমের, মাংসের, তেলের এমনকি তাজা শাক-সবজির দাম নির্ধারণ করে দেয়। তারা এতই শক্তিশালী যে, দেশের গোয়েন্দা সংস্থা জানার পরও কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, এনবিআর থেকে ট্র্যাক্স কমানো হয়েছে। আশা ছিল জিনিসপত্রের দাম কমবে। চিনির জন্য আমাদের সরকারি সংস্থা আছে। একদিন সংস্থাটি হঠাৎ করে চিনির দাম বাড়িয়ে দিল ২৫ টাকা। পরে অবশ্য সন্ধ্যায় তা স্থগিত করে। কিন্তু এই সুবিধা নিল চিনির সিন্ডিকেট। দাম বাড়িয়ে দিল ১৬০ টাকা কেজি। অথচ পাশের দেশে চিনির দাম কম; মাত্র ৭০ টাকা। আর আমাদের দেশে ১৬০ টাকা হওয়ার কোনও কারণ নেই। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি গ্রামে যাই, রাস্তায় যাই, কোথাও দেখি না দাম কমে। এর কারণ হচ্ছে সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট নিয়ে রিপোর্ট হচ্ছে। শনাক্ত করা হয়েছে। দাম কমানো নিয়ে বা তদারকির জন্য একটি অধিদপ্তর রয়েছে। সেই অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সামনে একজন অপরজনকে পিটাচ্ছে, কেন তারা কম দামে বিক্রি করছে, তাদের মারধর করা হচ্ছে। সরকারের যারা রয়েছে, তাদের কাছে অনুরোধ, ব্যবস্থা নিন।  
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৩

অবশেষে পদ্মায় ‘রজনীগন্ধা’ দৃশ্যমান
টানা সাত দিনের মাথায় অবশেষের পদ্মায় ডুবে যাওয়া ইউটিলিটি ফেরি ‘রজনীগন্ধা’র একাংশ দৃশ্যমান হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা নাগাদ ফেরিটির একাংশ জাগিয়ে তোলে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’।  এ ছাড়া ডুবে যাওয়া ৯টি ট্রাকের মধ্যে ইতোমধ্যে সাতটি উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিইটিএ) আরিচা অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক এস এম আজগর আলী। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিইটিসি) আরিচা অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, দুর্ঘটনার দিনই উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ দিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। পরের দিন ১৮ জানুয়ারি মাওয়া থেকে আসে অপর উদ্ধারকারী হাজাজ ‘রুস্তম’। এ দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ দিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে ট্রাক উদ্ধারকাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত ফেরি থেকে ৭টি ট্রাক উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ফেরিটির একাংশ উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ জাগিয়ে তোলে। উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে নোঙর করে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সাইজের ট্রাকসহ ডুবে যায় রজনীগন্ধা। ফেরিডুবির ঘটনার দিনই কারণ অনুসন্ধান তদন্তে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। 
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়