• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সেনবাগে সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগে এলাকাবাসী 
সড়কের কোনো কোনো অংশ ভেঙে পড়ছে পুকুরে, কোথাও গাছের শিকড় গজিয়ে উঠছে সড়কের মাঝে, কোথাও আবার উড়ছে বালু আর ধুলো।  ২০ বছর আগে উপজেলা এলজিডি অফিস থেকে কয়েকজন লোক এসে রাস্তা মেপে গেছে । এরই মধ্যে অনেক নতুন সড়ক হলেও পুরাতন সড়কটির বেহাল দশা।  এটি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর উত্তরপাড়া-হাজীরহাট সড়কের চিত্র। একই চিত্র দৌলতপুর-নাজিরনগর ও ছিলোনিয়-মানিকপুর সড়কের। দীর্ঘ ২ দশকে সংস্কারের কোনো কাজ না হওয়ায় এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কগুলো চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের অসংখ্য স্থানে গর্তের কারণে বর্ষকালে একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। দূর থেকে মনে হয় সড়কটি পুকুর কিংবা ডোবা। একটু বৃষ্টি হলে সড়কের বিভিন্ন স্থানে জমে যায় কাদাপানি, ফলে চলাচল করতে মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। গাড়িতে চলাচলে প্রতিনিয়ত গর্তে পড়ে গাড়ি উল্টে আহত হচ্ছেন যাত্রীরা। এ সড়ক দিয়ে বর্তমানে রিকশাভ্যানও যাত্রী ও মালামাল যেতে চায় না দুর্ঘটনার ভয়ে। গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয় যাত্রীদের। যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সড়কগুলো দিয়ে যাতায়াতকারীরা। বেহাল দশার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।  অটোচালক আবদুর রহিম বলেন, আমরা গরিব মানুষ গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বেশির ভাগই সড়কের কারণে গাড়ি ঘন ঘন নষ্ট হয়ে মোরামতেই খরচ করতে হয়। স্কুলছাত্র কমারুল হাসান নাহিদ জানান, সড়কে গাড়ি যাওয়ার পর আর হাঁটা যায় না ধুলোবালুর কারণে। মনে হয় গ্রামে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে।   স্থানীয় বাসিন্দা ও ঢাকার ব্যবসায়ী লায়ন মো. জসিম উদ্দিন জানান, আমাদের যাতায়াতের একমাত্র পথটি এ সড়ক। এর করুণ দশা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেক বার যোগাযোগ করেছি কিন্তু কোনো ফল আসেনি। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে এলাকার মানুষের সীমাহীন দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।  এ ব্যাপারে স্থানীয় অর্জুনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রিপন জানান, তিনি বিষয়টি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন করেছেন। এর আগে কয়েক বার এলজিইডি অফিস থেকে লোকজন এসে মেপে নিলেও কোনো কাজ হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শাহিনুর আলম জানান, সড়কগুলোর অবস্থা খুব খারাপ। সংস্কারের জন্য আমাদের যে বরাদ্দ আসে সেগুলো উপজেলার এলজিইডির সড়কগুলোকে দিয়ে শেষ হয়ে যায়। ইউনিয়নের সড়কগুলো করার আর সুযোগ থাকে না।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৫

চট্টগ্রামে বন্ধ গ্যাস সরবরাহ, চরম দুর্ভোগে নগরবাসী
চট্টগ্রামে আজ সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে গ্যাস সরবরাহ। আগে থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রচার না করেই গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষ এ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। আকস্মিক এ গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় চট্টগ্রামে পুরোপুরি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) মহাব্যবস্থাপক আমিনুর রহমান।  তিনি বলেন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়। আমদানি করা এলএনজি রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহের জন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনাল আছে। এর মধ্যে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটি গত ১ নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। এটি গতকাল বৃহস্পতিবার চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চালু করা যায়নি। এ ছাড়া পেছনের গতি বা ব্যাক প্রেসার না থাকার কারণে সামিট এলএনজি টার্মিনালটিও গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না। এ কারণে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আজ সারা দিন গ্যাস না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, সামিটের টার্মিনালটি খালি করা হচ্ছিল। এটিও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যাওয়ার কথা আছে। সব মিলিয়ে কখন পরিস্থিতি ভালো হবে বলা যাচ্ছে না। তবে পেট্রোবাংলা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনালের কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম এলাকায় সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় শীতের কারণে গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করছে। দ্রুত মেরামতের লক্ষ্যে কাজ চলছে। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা এবং কম্পানিগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। দেশীয় গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।  গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা। এদিকে গ্যাস না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেক গ্রাহককে। বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা সালমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিন মাস ধরে গ্যাসের তীব্র সংকটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই। সরেজমিনে দেখা যায়, গ্যাস বন্ধ থাকায় অনেকেই রেস্তোরাঁয় খাবারের জন্য লাইন দিয়েছেন। কিন্তু বহু রেস্তোরাঁয় রান্নাও হয়নি। অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক চুলা ও লাকড়ি জ্বালিয়ে রান্নার কাজ সারতে হচ্ছে গ্রাহকদের। হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নগরের ফিলিং স্টেশনগুলোতেও গ্যাস মিলছে না। এ কারণে সড়কে কমে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচল। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এ নিয়ে ভোগান্তি ছিল তুলনামূলক কম। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে কেজিডিসিএলের গ্রাহক সংযোগ ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে গৃহস্থালি সংযোগ ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি, বাকিগুলো শিল্প-বাণিজ্যসহ অন্য খাতে। এসব খাতে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে পাওয়া যায় ২৮০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ১ নভেম্বর থেকে কমবেশি ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কম পাওয়া যাচ্ছিল। এ কারণে সব ধরনের গ্রাহকই বিপাকে পড়েছেন।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়