• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
স্ত্রীসহ সাবেক এমপির পিএসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল (৪৬) ও তার স্ত্রী মোরশেদা মরিয়মের (৪৪) বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ আয়ের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনার সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক খাইরুল হক বাদী হয়ে এ মামলা দুটি করেন। মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর এবং এক কোটি ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৭৬ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য দাখিল করেন। তবে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে তার নামে ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর এবং এক কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে দুই লাখ ৪৯ হাজার ১৮৩ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৯৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছেন যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অন্যদিকে একই তারিখে দাখিলকৃত তার স্ত্রী মোরশেদা মরিয়মের সম্পদ বিবরণীতে ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৪৫ টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ৮৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬২৪ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তবে অনুসন্ধানকালে তার নামে ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৪৫ টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৮১৪ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এতে তিনি ১২ লাখ ৯৭ হাজার ১৯০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মোরশেদা মরিয়ম এক কোটি ৩৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রেখেছেন। অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাকে বরাবরই একটি মহল বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। দুদকের এ মামলা তারই অংশ। আমি আইনগতভাবেই এটার মোকাবেলা করবো। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনার সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক খাইরুল হক বলেন, তারা উভয়ই জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করা হয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৮

স্ত্রীসহ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের সাথে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা মূল্যের অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ থাকায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে।  এছাড়া ৩৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের সাথে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদ অসঙ্গতিপূর্ণ থাকায় চেয়ারম্যানের স্ত্রী মোছা. জোমেলা খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে।  বুধবার (২০ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ সহকারি পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।  মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হলে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে পাবনা কার্যালয় তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করে। গত বছরের ১২ মে তিনি তার সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মিলে সর্বমোট ২ কোটি ৫৫ লাখ ৯২ হাজার ৪৮৪ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪৩ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ সাইফুল ইসলাম দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৮৫৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।  এছাড়াও  তার নামে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ১৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৪৩ টাকা। কিন্তু উল্লেখিত সম্পদের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মোট ১ কোটি ৬০ লাখ ২২ হাজার ৬৭৯ টাকা। অর্থাৎ সাইফুল ইসলাম জ্ঞাত আয়ের সাথে ৪ কোটি ৩৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৪ টাকা মূল্যের অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন।  একইভাবে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মোছা জোমেলা খাতুনের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ১ কোটি ৫ লাখ ২৬ হাজার ২১৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৫৭ হাজার ১৮ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া তার নামে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তার মোট অর্জিত সম্পদের মূল্য ১ কোটি ৩৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এসব সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মাত্র ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩০ টাকা। অর্থাৎ জোমেলা খাতুন ১ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ৯১৪ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন।  পাবনা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক খায়রুল হক মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার দুটির তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে গাড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনও লিখিত কোনো চিঠি পাইনি। ফলে বিষয়টি আমার জানা নেই। আগামীকাল অফিস টাইমে দুদক অফিসে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এবিষয়ে বিস্তারিত জানাবো। 
২০ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৪

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়াতে আবেদন দুদকের
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। পিকে হালদারের ১৩ সহযোগী হলেন-লিলাবতী হালদার, অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এর আগে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপরাধে ১০ বছর ও অর্থ পাচারের অপরাধে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে পি কে হালদারকে। এছাড়া এ মামলার বাকি ১৩ আসামিকে আদালত সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ৪ অক্টোবর একই আদালত রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন। এ মামলার প্রধান আসামি পি কে হালদার। একই মামলা আরও ১৩ জন আসামি রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার ও প্রায় ৪২৬ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন-পি কে হালদারের আইনজীবী সুকুমার মৃধা, মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা, সহযোগী অবন্তিকা বড়াল ও চাচাতো ভাই শঙ্খ বেপারী, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার এবং ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার এবং সহযোগী পূর্ণিমা রানী হালদার, অমিতাভ অধিকারী, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, উত্তম কুমার মিস্ত্রি এবং স্বপন কুমার মিস্ত্রি। আর অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের অশোকনগরে পি কে হালদার গ্রেফতার হন। সুকুমার, অনিন্দিতা, অবন্তিকা ও শঙ্খ আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং কারা হেফাজতে আছেন। সুকুমার, শঙ্খ ও অনিন্দিতা এর আগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পি কে হালদারসহ ১০ জন পলাতক। আদালত এ মামলায় অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১০৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পিকে হালদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। অভিযোগপত্রে পি কে হালদারসহ ১০ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে এবং তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার চলে। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর একই মামলায় পি কে হালদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২৮

‘স্বাস্থ্যের কালো বিড়াল’ আবজাল দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুদকের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম আদালতে এই অভিযোগপত্র দায়ের করেন। ২০১২ সালে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানার ভেতরে আটক হয় তখনকার রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়ি। ওই ঘটনার পর রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। তিনি ‘রেলের কালো বিড়াল’ খুঁজে বের করতে চেয়েছিলেন। এরপর ২০১৯ সালে ‘স্বাস্থ্যের কালো বিড়াল’ ধরা পড়ে। এই বিড়াল একজন কেরানি, নাম আবজাল। চাকরিকালে সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি অর্থ লুটেছেন, হয়েছেন টাকার কুমির। নিজের অস্বাভাবিক কাজের জবাবদিহি থেকে রক্ষা পেতে অর্ধাঙ্গিনী রুবিনার নামে অর্থের সম্পদ রেখেছেন। তার স্ত্রীর নামে থাকা সম্পদ আবজালের সম্পদকেও ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৯ সালের জুন মাসে স্বাস্থ্যখাতের আলোচিত এই কেরানি দম্পতি আবজাল-রুবিনার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সেই মামলার প্রায় চার বছর পর এবার তাদের সম্পদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা ১১৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ দম্পতি ৮৯ কোট ৮৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯০৮ টাকার সম্পদ দেশে গোপন করেছে। এ ছাড়া দেশে বিভিন্ন ব্যাংকের ৬৩ হিসাবে লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ৩২৫ কোটি ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামিরা মালয়েশিয়ার ৫টি ব্যাংক হিসেবে ২২ লাখ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ার ২২টি ব্যাংক ও ৩ প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ১৮ অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডায় ২ ব্যাংকে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেছেন। পাশাপাশি কানাডা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৮ লাখ ৪৪ হাজার ডলার পাচার করেছেন। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আবজাল মালয়েশিয়ায় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬৭০ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৭ অজি ডলার এবং কানাডায় কানাডিয়ান ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫৫ ডলার পাচার করেন। আর তার স্ত্রী রুবিনা মালয়েশিয়ায় ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫২০ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ায় ৬১ লাখ ৪৯ হাজার ৭১৮ অজি ডলার এবং কানাডায় ৪ লাখ ৬১ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেন। দেশে আবজালের ৬ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকে তার অবৈধ লেনদেন ১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। রুবিনার দেশে ১০৬ কোটি টাকার সম্পদ এবং ব্যাংকে অবৈধ লেনদেন ৩০৭ কোটি পাওয়া গেছে। তাদের ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লেনদেন তদন্ত করে এইসব তথ্য পাওয়া যায়। আবজাল-রুবিনা দম্পতির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ দুটি মামলা করেন সংস্থাটির উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৭

গাজীপুরে কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাস্টমসের উপকমিশনার বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক। সোমবার (৪ মার্চ) দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক বায়েজিদুর রহমান খান বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। বিল্লাল হোসেন বর্তমানে রংপুর কাস্টমস হাউজে ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মহাখালী ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটে কর্মরত। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের সম্পদের তথ্য চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে সম্পদ বিবরণী জারি করা হয়। পরে তিনি ২০২০ সালে ২৭ ডিসেম্বর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে উপকমিশনার বিল্লাল হোসেনের নামে ৫১ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পান। আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অপরাধে বিল্লাল হোসেনের নামে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌসের নামে ৫৫ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ এক কোটি ১৩ লাখ এক হাজার ৮৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। ওই সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের নামেও আরেকটি মামলা করা হয়।
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪০

সিরাজগঞ্জে স্ত্রীসহ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে এক ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (৩ মার্চ) দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রায়হান বকসী মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত সেলিম রেজা (৪৫) চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা। তিনি জেলার বেলকুচি উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের চর জোকনালা গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মাছুমপুর মহল্লার বাসিন্দা। সোমবার (৪ মার্চ) সকালে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্রে ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে সেলিম রেজার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সেলিম রেজা তার সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ৫৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৪ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপন করেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া তিনি ৪৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৫০ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অপরদিকে তার স্ত্রী আফরোজা বেগম (৪২) তার সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ৩৫ লাখ ১১ হাজার ৫৫৫ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপন ও ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৫৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। এ পরিস্থিতিতে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রায়হান বকসী বাদী হয়ে ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও তার স্ত্রী আফরোজা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী ফেরদৌস রায়হান বকসী বলেন, সেলিম রেজা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, আমার যা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে, তা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ আছে। এগুলো দুদক অফিসে জমা দিয়েছিলাম। তবে আমার ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কিনা তা জানা নেই।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৫

খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা 
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে বাগেরহাটের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মনিরুল ইসলাম  ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মামলা দুটি দায়ের করেন খুলনা মহানগর দুদকের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান শুভ্র।  মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাগেরহাট সদরের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শেখ মনিরুল ইসলাম অবৈধভাবে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার  এবং তার স্ত্রী শারমিন আক্তার ৪৪ লাখ ১১ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। সেইসঙ্গে ওই খাদ্য কর্মকর্তা নিজের অবৈধ আয় তার স্ত্রীর নামে দেখিয়ে অপরাধ করেছেন।  প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে এই দম্পতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।  বৃহস্পতিবার দায়েরকৃত দুই মামলার একটির এজাহার সূত্রে জানা যায়,  খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মনিরুল ইসলামের দাখিলকৃত সম্পদের বিবরণী যাচাই করতে গিয়ে অনুসন্ধানে মোট ৫০ লাখ ৮৩ হাজার ৭০৯ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক। যার মধ্যে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৭ টাকার সম্পদের হিসাব পান অনুসন্ধানকারীরা। অবৈধভাবে এ পরিমাণ সম্পদের মালিকানা অর্জন ও ভোগদখলে রেখে এই খাদ্য কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা মতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার বিবরণীতে। এছাড়া একইদিন আরেকটি মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মনিরুল ইসলামের স্ত্রী শারমিন আক্তারকে। মামলার বিবরণী অনুযায়ী,  স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে শারমিন আক্তারের মোট এক কোটি ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ১০৭ টাকা সমপরিমাণ সম্পদের অস্তিত্ব পায় দুদক। ব্র্যাক ব্যাংকের  ঋণ, দোকান ও বরফকল ভাড়ার জামানত বাবদ ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩ টাকা দেনা আছে তার। এক কোটি দুই লাখ দুই হাজার ১৪ টাকার নীট সম্পদের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৬৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫১৪ টাকা। ওই সময়ে তার ব্যয় ছিল ৮ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩২ টাকা। এই ব্যয় বাদে তার নীট সঞ্চয় ৫ লাখ ৭৯ হাজার ১৮২ টাকা। অর্থাৎ, শারমিন আক্তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৪ লাখ ১১ হাজার ৮৩২ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এছাড়া শেখ মনিরুল ইসলাম দায়িত্বশীল সরকারি পদে কর্মরত থেকে নিজের অবৈধ উপার্জন নিজ স্ত্রীর নামে দেখিয়ে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।      
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২০

নওগাঁয় দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় ‘রুখব দুর্নীতি গড়ব দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ’-এ প্রতিপাদ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদকের) গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুর্নীতি দমন কমিশন এই গণশুনানির আয়োজন করে। নওগাঁ জেলা সদরে অবস্থিত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঘুস, দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার নাগরিকদের অভিযোগ সরাসরি শোনা এবং প্রয়োজনীয় তদন্তসাপেক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষে এই গণশুনানির আয়োজন করা হয়।  নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় আয়োজিত গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক।  এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (তদন্ত) মো. আকতার হোসেন, দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক কামরুল আহসান, নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নওগাঁর সভাপতি ডাক্তার মো. হাবিবুর রহমান। গণশুনানিতে জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দপ্তর প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মোট ১৫টি সরকারি অফিস ও ১টি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে আনীত ৩৯টি অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫২

হাতিবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুড়িগ্রামের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদের নেতৃত্বে একটি দল এই অভিযানে অংশ নেন। অভিযান শেষে কুড়িগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়েছি। এনফোর্সমেন্ট অভিযানে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সব নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। নথিপত্র পর্যালোচনা করে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। কমিশন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ করবে এবং ব্যবস্থা নেবে।  
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৬

শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাত মামলা  / ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট জমা
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান  ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে দুদকের পক্ষ থেকে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। এর আগে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে চার্জশিটটি অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদক সূত্রে জানা যায়, চার্জশিটে একজন আসামি বেড়েছে। গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।   এ ছাড়া অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।   মামলার এজাহারে বলা হয়, রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে অ্যাডভোকেট ফি হিসাবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র এক কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্টরা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়