• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অপহরণের একদিন পর পল্লী চিকিৎসকসহ দুইজন উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফের শিলখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে একদিন পর পল্লী চিকিৎসকসহ দুজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।  সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি। তিনি বলেন, পাহাড়ে পুলিশের অভিযানের মুখে পল্লী চিকিৎসকসহ দুজনকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়ক দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ ওই দুজনকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা। অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন (৫২) উখিয়ার থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। অপরজনের নাম-পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই সাংবাদিক কমরুদ্দিন মুকুল জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অটোরিকশাচালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে ফোনে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকেন অপহরণকারীরা।   প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা। বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৫

অগ্নিকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন লাফ দিয়ে বেঁচে ফেরা দুইজন
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আগুনে দগ্ধ হয়ে বেশ কয়েকজন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে দুইজন অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনটিতে যা ঘটছিল তার বর্ণনা দিয়েছেন। শুক্রবার (১ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে গণমাধ্যমে ঘটনার বর্ণনা দেন আগুন থেকে বেঁচে ফেরা কামরুল হাসান ও জুবায়ের। তারা দুজনেই ভবনটির দুটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। তারা জানান, আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো ভবন ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। ধোঁয়ায় লোকজনের শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। বাঁচার জন্য লোকজন এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করতে থাকেন। অনেকে গ্লাস ভেঙে গ্রিল ধরে নামেন। আবার অনেকে প্রাণ বাঁচাতে ভবন থেকে লাফ দেন। আগুন লাগা ভবনটির নিচতলায় অবস্থিত ‘মেজবানি খানা’ রেস্টুরেন্টের কর্মী কামরুল হাসান। আগুন থেকে প্রাণ বাঁচাতে রেস্টুরেন্টের কিচেনে ফাঁকা জায়গা দিয়ে নিচে লাফ দেন তিনি। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসা নিচ্ছেন। কামরুল হাসান বলেন, প্রথমে একটা শব্দ পেয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে গেটের সামনে আগুন দেখতে পাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো বিল্ডিংয়ে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। আমরা গেট দিয়ে বের হতে না পেরে ওপরের দিকে উঠতে থাকি, কিন্তু সিঁড়িতে ৫ তলা পর্যন্ত গিয়ে আটকে যাই। সেখানে অনেক লোক অবস্থান করছিল। প্রচুর লোকের কারণে আমরা আর উপরে উঠতে পারিনি। ওই ফ্লোরে একটা রেস্টুরেন্ট ছিল। আমরা কিছু মানুষ তখন সেখানে আশ্রয় নিই। কিন্তু ধোঁয়ায় লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছিল, নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় যায় অবস্থা। যে যার মতো এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। এসময় রেস্টুরেন্টের কিচেনে একটু ফাঁকা দেখতে পেয়ে, সেটি দিয়ে আমি নিচে লাফ দেই। তারপর আর আমার কোনো হুঁশ ছিল না। তিনি বলেন, আমি ওখানে ১ বছর ধরে কাজ করি। লিফট আর সিঁড়ি ছাড়া ভবনটি থেকে নামার জন্য জরুরি কোনো ব্যবস্থা ছিল না।  অন্যদিকে ভবনটির তিনতলায় অবস্থিত খানাস রেস্টুরেন্টের কর্মী জুবায়ের অগ্নিকাণ্ডের সময় ছাদ থেকে লাফ দিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। তবে আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। জুবায়ের বলেন, ঘটনার সময় আমি খাবার তৈরির কাজ করছিলাম। পরে আমাদের ক্যাশিয়ার এসে বলেন নিচে আগুন লাগছে। সবাই উপরে আসেন। আমি বের হয়ে নিচে নামতে গেলে দেখি সবাই উপরে উঠে আসছে। আর নিচ থেকে সিঁড়ি দিয়ে কালো ধোঁয়া উপরে উঠছে। পরে দৌড়ে ছাদে যাই।  সেখানে অনেকের দেখাদেখি আমিও ছাদ থেকে লাফ দেই। তারপর আর কিছু মনে নাই। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। কাচঘেরা বদ্ধ ভবনে বাতাস আসা-যাওয়ার মতো কোনো অবস্থা ছিল না। ফলে ধোঁয়ায় পুরো ভবন অন্ধকার হয়ে যায়। আর ভবনটির রেস্টুরেন্টগুলোতে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার নিচে থাকে বলে জানান তিনি।
০১ মার্চ ২০২৪, ২২:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়