• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দীর্ঘ ছুটি শেষে সুপ্রিম কোর্ট খুলল আজ
সাপ্তাহিক ছুটি, সরকার ঘোষিত ছুটি, ঈদুল ফিতর এবং আদালতের অবকাশ শেষে সুপ্রিম কোর্ট খুলেছে আজ। ৩০ দিনের ছুটি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারকাজ শুরু হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টা থেকে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে বিচারকাজ শুরু হয়ে। আজ সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অর্ধশতাধিক (দ্বৈত ও একক) বেঞ্চে একযোগে বিচারকাজ শুরু হয়। দীর্ঘদিনের ছুটি শেষে সর্বোচ্চ আদালত খোলায় আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে আদালত প্রাঙ্গণ। সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি গত ২২ মার্চ থেকে শুরু হয়। এর সঙ্গে যোগ হয় পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি। কোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে এসময়ে মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়াদি নিষ্পত্তির জন্য সুনির্দিষ্ট এখতিয়ার দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে বিভিন্ন বিচারিক বেঞ্চ গঠন করা হয়। এসব বেঞ্চে মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়াদির শুনানি হয়। অবকাশকালীন ছুটির সময় সপ্তাহে তিন দিন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে বিচার কাজ পরিচালিত হয়েছে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৫

যাত্রাবাড়ীতে দীর্ঘ যানজট, চরম ভোগান্তি
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র একদিন বাকি। বড় ছুটিকে উপলক্ষ্য করে রাজধানী ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। সবার চোখে-মুখে আপনজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আনন্দ। কিন্তু প্রতিবছরই এই আনন্দের আড়ালে মিশে থাকে ঘরে ফেরার পথে চরম ভোগান্তির গল্প। সেই চিত্র আবার ফিরেছে রাজধানীর বুকে। যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে ঘরমুখো মানুষদেরকে। পথে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।   ঢাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ ও বহির্মুখ যাত্রাবাড়ী। পাঁচদিক থেকে পাঁচটি সড়ক মিলেছে এই এক মোড়ে। ঢাকা থেকে নরসিংদী হয়ে সিলেট বিভাগে, নারায়ণগঞ্জ হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগে এবং পদ্মাসেতু হয়ে দক্ষিণবঙ্গে যেতে হলে ব্যবহার করতে হয় এ মোড়। অর্থাৎ রাজধানীর জীবননির্ভর দেশের বড় একটা অংশের যাতায়াত করতে হয় এ অংশ দিয়ে। ফলে চাপও বেশি। রমজানের শেষ পর্যায়ে এসে এ চাপ বেড়েছে আরও কয়েক গুণ। যে কয়টি সড়ক যাত্রাবাড়ীর এ মোড়টিতে মিলেছে, তার সবগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। গতকাল বিকেল থেকে যানজট শুরু হলেও মূলত মঙ্গলবার সকালে এসে প্রকট আকার ধারণ করেছে তা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, যানবাহনের দীর্ঘ সারি চলে গেছে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, কাজলা থেকে শনির আখড়া, রায়েরবাগ ছাড়িয়ে মাতুয়াইল মেডিকেল পর্যন্ত। অন্যদিকে বাসাবো, কমলাপুর থেকে যানজট শুরু হয়ে যাত্রাবাড়ী মোড় পর্যন্ত ঠেকেছে। আবার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত সড়কেও আছে যানজট। যাত্রাবাড়ী থেকে এপারে ঢাকার মধ্যে যানজট থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গাড়ি প্রবেশেও ব্যাঘাত ঘটছে। এজন্য মহাসড়কের ওই অংশেও যানজট সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে শনির আখড়া বা রায়েরবাগ এলাকা থেকে গুলিস্তানে চলাচল করা লোকাল গাড়ির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। পথে পথে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। এ ছাড়া গুলিস্তানসহ রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য শত শত মানুষকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মানুষের এ দুর্ভোগের সুযোগে ভাড়া কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। ২০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। শনির আখড়ার দনিয়া কলেজের সামনে সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেশ কয়েকজন লোক। গুলিস্তান যাবেন তারা। জাকির হোসেন নামে তাদের মধ্য থেকে একজন বলেন, এত যানজট, অথচ গুলিস্তানের গাড়ি পচ্ছি না। দু-একটা গাড়ি আসছে তা-ও সিটিং। ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে। কথা হয় গুলিস্তান-রায়েরবাগ রুটে চলাচলকারী শ্রাবণ পরিবহনের একজন কর্মীর সঙ্গে। তিনি জানান, ঈদের কারণে লোকাল গাড়িগুলো দূরের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে গেছে, তাই গাড়ি কম। এদিকে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে ঢাকা ছাড়তে পোস্তগোলা সড়কেও দেখা গেছে ভোগান্তির চিত্র। সড়কের জট ছড়িয়ে পড়েছে ফ্লাইওভারেও। পোস্তগোলা সড়কে যেতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরে দেখা গেছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বুধবার বা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। 
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৪

সাভারে দীর্ঘ যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
সাভারের বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়ক ও ইপিজেড-আশুলিয়া-আব্দুল্লাপুর সড়কে এ যানজটের চিত্র দেখা গেছে। তবে হাইওয়ে পুলিশের দাবি, কোথাও কোথাও গাড়ির ধীরগতি রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ যানজট নেই। সরেজমিনে দেখা গেছে, সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর থেকে বলিয়ারপুর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার, জাহাঙ্গীরনগর থেকে নবীনগর পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার, নবীনগর থেকে নয়ারহাট ২ কিলোমিটার ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর থেকে চন্দ্রা প্রায় ১০ কিলোমিটার এবং ইপিজেড-আশুলিয়া-আব্দুল্লাপুর সড়কে বাইপাইল থেকে নবীনগর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার ও বাইপাইল থেকে জামগড়া ২ কিলোমিটার সড়কে যানজট দেখা দিয়েছে। সুমন মল্লিক নামের এক যাত্রী বলেন, আমি চন্দ্রায় যাওয়ার জন্য সাভারের হেমায়েতপুর থেকে বাসে উঠেছি। কিন্তু দুই ঘণ্টায় জিরানী এসেছি। এখনও জ্যামে বসে আছি। সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী জানান, সড়কে বাস ও যাত্রীর সংখ্যা বাড়ায় ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে দীর্ঘ যানজট নেই। আমরা যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪১

বাজারের শুভ উদ্যোগগুলো আরও দীর্ঘ হোক
এবার রোজার আগে খিলগাঁও খলিলের মাংসের কথা খুব শোনা গেলো। টেলিভিশনে লাইভ হলো। লোকজন লাইন দিয়ে মাংস কিনলো। এর পর তার দেখা দেখি আরও অনেককে একই রকম উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে। তারা কেউ কেউ খলিলের চেয়েও কম দামে মাংস বিক্রি করেছেন। দিন দিনে আরও উদ্যোগ আসছে। কিন্তু ঢাকায় খলিলের মত প্রচার এখনও কেউ পাননি। প্রথম উদ্যোগ বলে কথা।  আসলে কেউ কোন উদ্যোগের শুরুতে থাকলে তিনি সব সময় কিছু সুবিধা এমনি এমনি পাবেনই। অন্যরাও স্বেচ্ছায় সেই সুবিধা দেবেন। মোদ্দাকথা প্রথম উদ্যাক্তকে সবাই সম্মান করেন। কারণ আর কিছু নয়, তার সঙ্গগুণেই অনেকেই একটি ভাল উদ্যোগে যুক্ত হন। আসলে দোষও যেমন এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে মধ্যে সংক্রমিত হয় গুণও তেমনি।  কিন্তু আজকের বাংলাদেশে আমাদের চোখে মানুষের গুণ খুব একটা প্রচার হয় না। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই বিস্ফোরণের সময়। কিন্তু এবার রোজার আগে কেন জানি মানুষের ভাল কিছু উদ্যোগ সামনে আসছে। যেমন দেখা গেলো চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ মুদি ব্যবসায়ী শাহ আলম মাত্র ১টাকা লাভে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন। দাম কমের কারণে শাহ আলমের দোকানে বেড়েছে বেচাকেনাও। অনেক দূর থেকে ক্রেতা আসছেন তাঁর দোকানে। শাহ আলমের উদ্যোগের ঢেউ এসে লেগেছে, ঢাকার ধামরাইয়ে। সেখানেও আছেন আরেক শাহ আলম। তার সঙ্গে রুবলে আহমেদ নামে আরও একজন আছেন। তারা দুই বন্ধু প্রতি পণ্যে ২টাকা লাভ করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা মূলত ইফতারে ব্যবহৃত হয় এমন পণ্য বিক্রি করছেন। সেখানেও প্রচুর ক্রেতার ভিড়। ক্রেতারাই সাংবাদিকদের বলছেন, দুই বন্ধুর দোকানে মানুষ সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনেন। আর ওই দুই বন্ধু জানান, তাদের বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। বিক্রি বাড়লেই ভাল ব্যবসা হয় এর জন্যে ক্রেতা ঠকাতে হয় না। দেশের বহু এলাকা থেকে এরকম নানা শুভ উদ্যোগের খবর আসছে ইদানিং। ঢাকা ও আশে পাশের এলাকায় কয়েকটি শিল্প গ্রুপ মিলে রেটে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির সরকারি উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। যে কারণে এবার রোজার আগে বাজারের দাম নিয়ে যতটা উদ্বেগ দেখা গিয়েছিল ততটা ছাপ পড়েনি জনজীবনে। সব শ্রেণির মানুষ কষ্ট করে হলেও রোজার খাবার যোগাড় করতে পারছেন।    আমি বলছি না বাজারে পুরোপুরি স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু একথা বলা যেতে পারে যে, আজ অল্প বিস্তর বিকল্প এসেছে একেবারে কম আয়ের মানুষের সামনে। কিন্তু মধ্যবিত্ত এখনও নানা কারণে সেই সুবিধার সামনে যেতে পারেনি। কিন্তু তারও যাওয়া দরকার। মধ্যবিত্তের সমস্যাতো আরও ভয়াবহ। একেবারে কম আয়ের মানুষ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে পরিচিত মানুষের কাছে ঋণ চাইতে পারে। কিন্তু মধ্যবিত্ত সব সময় সেটাও পারে না। তাই তার জন্যেও আজকের এই বিশ্ব অর্থনৈতিক সঙ্কটে সুলভ বাজার দরকার। এত কথা বললাম, এত উদাহরণ দিলাম কারণ একটাই। দেশের বেশিরভাগ মানুষের জন্যে সুলভ বাজার দরকার। কিন্তু প্রচলিত যে বাজার পদ্ধতি, সেটা সবার নাগালের মধ্যে আসছে না। তাই একটি ধর্মীয় অনুভূতি সামনে রেখে, কখনও ব্যক্তিগত, আবার কখনও সরকারি উদ্যোগ নিতে হয়েছে। কর্পোরেট উদ্যোগ নিতে হয়েছে। কিন্তু এটা তো কোন স্থায়ী সমাধান নয়। রোজা চলে গেলেই সব বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু মানুষের ক্ষুধা তো রয়েই যাবে। সব শ্রেণির মানুষ এই সুবিধা চাইবে। তাই আমার প্রস্তাব, বাজারের এই মানুষ বান্ধব উদ্যোগগুলোকে সমন্বিত করা হোক। উদ্যাক্তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে বর্তমান শুভ উদ্যোগগুলোকে স্থায়ীরূপ দেয়া হোক।   একটু ভেবে দেখলেই দেখা যাবে, আজ যেসব উদ্যোগে মানুষের কাছে একটু কমদামে যারা পণ্য দিচ্ছেন, তিনি বা তারা সারা বছরই এভাবে পণ্য দিতে পারেন। তাহলে একসময় এই বিশেষ উদ্যোগের কাছে সব ক্রেতা আসতে থাকবেন। তখন বেশি দামের পণ্য নিয়ে কতদিন বসে থাকবেন বেশি দামের ব্যবসায়ী?   অনেকের কাছে বিষয়টি উচ্চ মূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের শিশু সুলভ সমাধান মনে হতে পারে। কিন্তু আরেকবার ভেবে দেখুন, এটাইতো হওয়ার কথা ছিল। একজন ব্যবসায়ী নির্ধারিত দামে পণ্য কিনবেন এবং সহনীয় লাভে সেই পণ্য বিক্রি করবেন। এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমাদের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী সেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মানেন না বলেই আমাদের সমাজে এক অর্থনৈতিক অসাম্য। বলা বাহুল্য এই অসাম্যই সামাজিক যত অশান্তির কারণ। খানিকটা আবেগাপ্লুত হয়ে, আমি এই রোজার বাজারের কিছু শুভ উদ্যোগ স্থায়ী করার কথা বললাম বটে। কিন্তু একটু পেছন ফিরলে দেখা যাবে, কাজটি মোটেও সহজ নয়। এই তো রোজার ক’দিন আগেই কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করা নিয়ে বিরোধের জেরে রাজশাহীর বাঘায় মামুন হোসেন নামে এক মাংস ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়। মামুনের পরিবার থেকে গণমাধ্যমে জানানো হয়েছিল, হত্যাকারীরা মামুনের প্রতিযোগী মাংস ব্যবসায়ী।  আজকে বাজারের অব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলতে গেলেই অবধারিতভাবে সিন্ডিকেট প্রসঙ্গ চলে আসে। সংসদের মত যায়গায় দাঁড়িয়ে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পর্যন্ত এই সিন্ডিকেটের জোরের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে দেখা গেছে। সুতারাং কোন শুভ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠা করারও চ্যালেঞ্জ আছে। কিন্তু এই রোজায় সেই চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে কিছু উদ্যাক্তার কিছু সফল উদ্যোগ নিশ্চয়ই আমাদের সাহসী করে। বাজার অর্থনীতির এই চরম দুঃসময়ে এর চেয়ে ভাল আশার বাণী আর কী হতে পারে?  লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৮

দীর্ঘ হচ্ছে আগুনে মৃত্যুর মিছিল, অবহেলায় অপরাধীরা অধরা
নিমতলি, চুড়িহাট্টার পর আরও একবার এই শহর সাক্ষী হলো সন্তানহারা বাবা মায়ের আর্তনাদ আর অজস্র মানুষের কান্নার। একটির ক্ষত শুকানোর আগেই আরেকটি অগ্নিদুর্ঘটনা, আগুনে প্রাণহানি যেন প্রায় নিয়মিত ঘটনা। আগুনে মৃত্যুর মিছিল যেন থামছে না, বরং দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। দেশে গড়ে দিনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ৭৭টি ঘটে। আর এসব ঘটনায় নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে মামলাও হয়। তবে তা থেকে যায় অবহেলায়। বিচারের মুখ দেখেনা কোন ঘটনা, ফলে পার পেয়ে যায় অপরাধীরা। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে লাগা রাজধানীর বেইলি রোডের আগুন কেবল ৪৬টি প্রাণই কেড়ে নেয়নি। অসংখ্য মানুষকে করেছে স্বজনহারা। ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় দুই ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে গেছে বাণিজ্যিক ভবনটি। ভয়াবহ এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা।    তবে বেইলি রোডের আগুনে এই মৃত্যুর মিছিল নতুন কিছু নয়। গত এক যুগে ঢাকায় অসংখ্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২০১০ সালের ৩ জুন রাজধানীর পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের গুদামে বিস্ফোরণ থেকে আগুনের ঘটনায় নারী এবং শিশুসহ নিহত হয় ১২৪ জন। ২০১২ সালে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডে ১১৭ জন, ২০১৬ সালে টঙ্গীতে ট্যাম্পাকো ফয়েলস প্যাকেজিং কারখানায় ৩১ জন, ২০১৯ সালে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ৭১ জন, বনানীর এফআর টাওয়ারে ২৬ জন। এসব ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলাগুলোর তদন্ত শেষ হলেও সাক্ষী না আসায় এখনো বিচার শেষ হয়নি। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১৭ জন নিহত হন। আরও দুই শতাধিক শ্রমিক আহত ও দগ্ধ হন। পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তাজরীন ফ্যাশনের এমডি দেলোয়ারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। দুিই বছর পর ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ । মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে। মামলার ১০৪ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ১১ জন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘মামলাটিতে সাক্ষীই আসে না। ১০৪ চারজন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ১১ জন আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন।’ শনিবার (২ মার্চ) রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ৫ বছর পূর্ণ হল। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সেখানকার ওয়াহেদ ম্যানশন থেকে আশপাশে আগুন ছড়িয়ে ৭১ জনের প্রাণহানি ঘটে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৬৭ জন। ঘটনার পরদিন মো. আসিফ নামের এক ব্যক্তি থানায় মামলা করেন। মামলায় ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিকের দুই ছেলেসহ ৮ জনের বিচার শুরু হয়েছে। তবে বিচার শুরুর এক বছরেও শেষ হয়নি মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ। মামলার বাদী বলছেন, বিচার নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। কোনো ক্ষতিপূরণও পাননি। অপরদিকে, ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিকের দুই ছেলে সোহেল ও হাসানের আইনজীবীর দাবি, সবকিছু হারিয়ে ঘটনার ভিকটিম হয়েছেন তারা। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৭ নিহত হন। এরপর এ ভবন নির্মাণে নানান অনিয়মের বিষয় বেরিয়ে আসতে থাকে। কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়েরে ওই ভবনের জমির মূল মালিক ছিলেন প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক। অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। সে কারণে সংক্ষেপে ভবনের নাম হয় এফআর টাওয়ার। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দেন। এরপর মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। চলতি বছর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অধিকতর তদন্ত শেষে আটজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির অভিযোগে ভবন মালিক ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিচার চলছে। ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ কামাল হোসেনের আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে। এ বিষয়ে আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলাগুলোর মধ্যে এখনো কোনো মামলার রায় হয়নি। এসব মামলায় সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন না। রাষ্ট্রপক্ষের উচিত সাক্ষীদের আদালতে হাজির করে মামলাগুলো দ্রুত শেষ করা।’ ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলাগুলো সাক্ষীর পর্যায়ে রয়েছে। মামলায় কিছু সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেন, আবার কিছু সাক্ষী আসেন না। সাক্ষী না আসায় মামলাগুলো শেষ করা যাচ্ছে না। সাক্ষীদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন পাঠানোর পরও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এসব মামলায় যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অসাবধানতা বা অবহেলার কারণে বার বার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাফিলতির কারণে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আবাসিক এলাকার একটি ভবনে অর্ধেক রেস্টুরেন্ট আর অর্ধেক অ্যাপার্টমেন্ট করা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। একটা ভবনে হয় পুরোপুরি কমার্শিয়াল হবে, না হয় পুরোপুরি অ্যাপার্টমেন্ট হবে। ভবনের মালিকরা লাভবান হওয়ার জন্য এমন করছেন। এটা কোনোভাবে কাম্য নয়। প্ল্যান দেওয়ার সময় রাজউকের এসব চিন্তা করা উচিত। যারা এসব ঘটনায় দায়ী তাদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
০৩ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৪

ছুটির দিনেও বাবুবাজার ব্রিজে যানবাহনের দীর্ঘ সারি   
রাজধানীর পোস্তগোলা ব্রিজে (বুড়িগঙ্গা-১) চলছে সংস্কার কাজ। গতকাল থেকে এ রুটে বন্ধ আছে ভারী যান চলাচল। যার প্রভাব পড়েছে বিকল্প রুটে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ছুটির দিনেও যানবাহনের অত্যধিক চাপ লক্ষ্য করা গেছে বাবুবাজার ব্রিজে (বুড়িগঙ্গা-২)। সকাল থেকেই সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। ব্রিজ পার হতেই লেগে যাচ্ছে  ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।  সরেজমিন বাবুবাজার ব্রিজ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাস, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন যানের দীর্ঘ সারি ব্রিজের ওপর। অতিষ্ঠ হয়ে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই ব্রিজ পার হচ্ছেন অনেকেই।  যাত্রীরা জানান, একটি ব্রিজ বন্ধ থাকায় সকাল থেকেই বাবুবাজার ব্রিজে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না যাত্রীরা।  চাকা না চলায় পণ্য হাতে নিয়ে ব্রিজ পার হতে দেখা গেছে অনেক ব্যবসায়ীকে। ব্যবসায়ীরা জানান, রাজধানীর কারওয়ানবাজার ও শ্যামবাজার থেকে পণ্য কিনে কেরানীগঞ্জের বাজারগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিদিন সকালেই।  তবে আজ জ্যামের কারণে সবজি-মুরগি হাতে করে নিয়েই ব্রিজ পার হতে হচ্ছে তাদেরকে। বাবুবাজার ব্রিজ এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আলমগীর জানান, পোস্তগোলা ব্রিজের সংস্কার কাজের প্রভাব পড়েছে বাবুবাজার ব্রিজে। ব্রিজ থেকে নামার পর রাস্তা মোটামোটি স্বাভাবিক রয়েছে।  তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা। ঢাকা জেলার ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর মাফুজার রহমান বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগ যেন নির্বিঘ্নে কাজ সম্পন্ন করতে পারে, সেজন্য বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর পোস্তগোলা সেতুর দুই পাশে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংস্কার কাজ চলার ১৬ দিনের মধ্যে ৫ দিন, অর্থাৎ ২৪, ২৬ ফেব্রুয়ারি এবং ১, ৪ ও ৮ মার্চ সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।  
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৫

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল হাতে দীর্ঘ লাইন
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফুল হাতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছেন সবাই। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টা ৫৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের গেট থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদি পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন সাধারণ মানুষ। পলাশী মোড় থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখী জগন্নাথ হলের গেটের সামনের রাস্তায় পুরো রাস্তাজুড়ে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। শ্রদ্ধা জানাতে আসা প্রত্যেককে তল্লাশি করা হচ্ছে। পরে শহীদ মিনার এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রবেশের ক্ষেত্রে পলাশী মোড় দিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে। অন্য রাস্তা দিয়ে বের হতে হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি মোড়ে মোড়ে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যেতে সবাইকে নিয়ম মেনেই প্রবেশ করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫১

বাফুফের সঙ্গে পাপনের দীর্ঘ তিন ঘণ্টার বৈঠক 
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করা পরিকল্পনা ছিল বাফুফের। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তবে নতুন কোনো ভেন্যুতে আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে পরিচালকরা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নতুন মন্ত্রীর নাজমুল হাসানের সঙ্গে বৈঠক করেন বাফুফের কর্মকর্তারা। প্রায় ৩ ঘন্টার বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তিনি বলেন, নতুন মন্ত্রী আমাদের ক্রীড়াঙ্গনেরই লোক। আমাদের সঙ্গে সুন্দর আলোচনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম দ্রুত পাওয়া, জেলা পর্যায়ে স্টেডিয়ামসহ আমাদের কার্যক্রম সব কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সাবিনাদের সাফ আয়োজন আর সম্ভব নয়। তাই বিকল্প ভাবনা নিয়ে সালাম মুর্শেদী বলেন, আমরা অন্য স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা করব। আমরা এই টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হতে চাই।  বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম না পাওয়ায় বাফুফেকে এখন বসুন্ধরা কিংস অথবা আর্মি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার পরিকল্পনা করবে।   এর আগে বাফুফে গত অর্থ বছরে সরকারের কাছে ৫০০ কোটি টাকা চেয়েছিল। অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাফুফের সেই প্রকল্প বাতিল করেছিল সাময়িক সময়ের জন্য। পুনরায় এই প্রকল্প আজ উথাপন হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, আমরা আগের প্রকল্প সরাসরি দেইনি তবে সেই প্রকল্পের অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এর আগে বাফুফেকে ২০ কোটি টাকা সীড মানি দিয়েছিল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সেই অর্থ বাফুফে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহার করেনি এমন অভিযোগ রয়েছে। বাফুফে এই সভায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে সরকারি অর্থ চেয়েছে। সেই অর্থ পেলে সঠিকভাবে পালন হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করব।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৬

বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের নারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেই হিসেবে শেখ হাসিনা বিশ্বের প্রথম নারী সরকারপ্রধান যিনি ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে চলেছেন। গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফলে ২২২টি আসনে জয় পায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর স্বতন্ত্র ৬২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি ও অন্যান্য দল ৩টি আসনে বিজয়ী হয়। বুধবার (১০ জানুয়ারি) দ্বাদশ সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ নবনির্বাচিত ২৯৮ জন সংসদ সদস্য। এরপর নির্বাচনে বিজয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সেই হিসেবে আগামী ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এর আগে, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০১ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ক্ষমতায় আসতে পারেননি। তবে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসেন তিনি। এরপর থেকে টানা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনী বিজয়ী হয়ে গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এবার ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা ২০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকছেন শেখ হাসিনা। এর ফলে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি টানা ক্ষমতায় থাকা নারী জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মের্কেলের রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া বিশ্বের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে চলেছেন শেখ হাসিনা। এর আগে, বিশ্বে নারী সরকারপ্রধান হিসেবে সবচেয়ে বেশি টানা ক্ষমতায় ছিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেল। তিনি ২০০৫ সালে প্রথম জার্মানির চ্যান্সেলর হন। এরপর ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ১৬ বছর ১২০ দিন ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। এ ছাড়া আইসল্যান্ডের নারী প্রেসিডেন্ট ভিনডিস ফিনবোগেডোটরি ১৯৮০ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। ডোমেনিকার প্রধানমন্ত্রী ইগোয়িনা চার্লস হেড অব গভর্নর ছিলেন ১৪ বছর। তিনি ১৯৮০- ১৯৯৫ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। আর আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মেরি ম্যাকলিন ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুই দফায় (১৯৯১-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৬) ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। অন্যদিকে ৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ১০০ নারীর তালিকায়ও নিজেকে জায়গা করে নিয়েছেন। বিশ্বের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফোর্বসের ২০২৩ সালের ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ৪৬তম অবস্থানে রয়েছেন তিনি। তালিকায় ছয়টি শ্রেণির মধ্যে রাজনীতি ও নীতি শ্রেণিতে বিশ্বের ১৮ জন ক্ষমতাধর নারীর মধ্যে শেখ হাসিনার অবস্থান নবম। এ ছাড়া লন্ডন থেকে প্রকাশিত দ্য ইকনোমিস্ট পত্রিকা গত বছরের ২৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এশিয়ার ‘আয়রন লেডি’ হিসেবে আখ্যা দেয়। বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকাটি সেসময় লিখেছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দশক ধরে ১৭ কোটি মানুষের দেশে দারিদ্র্য বিমোচনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার নেতৃত্বাধীন বেশিরভাগ সময় ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৮

নির্বাচনে ধরাশায়ী, দীর্ঘ সময়ের নীরবতা শেষে মুখ খুললেন মাহি
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী হলেও শেষ পর্যন্ত ৯ হাজার ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন এই নায়িকা।   এদিকে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দীর্ঘসময় কারও সঙ্গে কথা বলেননি মাহি। এমনকি চিত্রনায়িকার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত কল রিসিভ করেননি তিনি। অবশেষে দীর্ঘ সময়ের নিরবতা শেষে মুখ খুলেছেন মাহি। শুধু তাই নয়, তানোর-গোদাগাড়ীর উদ্দেশে নতুন বার্তাও দিয়েছেন এই নায়িকা। মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) নিজের ফেসবুকে লাইভে এসে ভিডিও বার্তা দেন মাহি। এসময় প্রতিপক্ষের উদ্দেশেও কিছু কথা বলেন তিনি।  মাহি বলেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। সবাই হয়তো ভাবছেন আমার প্রচণ্ড মন খারাপ। হ্যাঁ, নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় কিছুটা তো মন খারাপ। তবে অতোটা না। আর আমি প্রত্যেকটা পরিস্থিতির জন্য আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। কারণ আমি জানি, নেগেটিভ কিছু হতেই পারে।    চিত্রনায়িকা বলেন, আমি আমার ইশতিহারে যে কথাগুলো বলেছিলাম যে, ঘরোয়াভাবে নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি। এগুলো আমি বড় পরিসরে কতোটা করতে পারব সেটা জানি না। কারণ এই কর্মসংস্থানের বিষয়ে সরকারিভাবে যে উদ্যোগগুলো নেওয়া সম্ভব সেটা ব্যক্তিগতভাবে নিতে পারাটা একটু চ্যালেঞ্জিং।    তারপরেও আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা করব আমি। আমার তো ভীষণ ইচ্ছা ছিল এবং প্রতিশ্রুতিও ছিল যে, তানোর-গোদাগাড়ীর রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা নিয়ে। এখানকার রাস্তাঘাটের যে বেহাল অবস্থা। সারা দেশে যেখানে রাস্তাঘাট এতো উন্নত। বলা যায়, একদম বিদেশের মতো। সেখানে আমার তানোর-গোদাগাড়ীতে এখনও গরুর গাড়ি চালানোর মতো অবস্থায় আছে। এমনকি একটু বৃষ্টিতেই হাঁটু কাদা-পানি হয়ে যায়।    উন্নয়নমূলক কাজের কথা উল্লেখ করে মাহি বলেন, যিনি এমপি হয়েছেন, তার কাছে অনুরোধ—  তানোর-গোদাগাড়ীর রাস্তাঘাট এবং এই ভূমির পানির মটরের যে সমস্যা এই দুই বিষয়ে ফোকাস করে উন্নয়ন করার জন্য। গত ১৫ বছরে যেসকল উন্নয়নমূলক কাজগুলো আপনি করেন নাই। সেগুলো এই পাঁচ বছরে করবেন।  গত ১৫ বছরে আপনার যে জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছিল, সেটা যেন এই পাঁচ বছরে কাটিয়ে ওঠেন তিনি। তানা হলে আমি কিন্তু মাঠেই আছি। ইনশাআল্লাহ্‌, আমি পাঁচ বছর পর আপনার সঙ্গে আবারও নির্বাচনে দেখা হবে। আপনার তো জনপ্রিয়তা একদম জিরো। শুধু নৌকা প্রতীকের কারণেই জয়ী হয়েছেন আপনি। তাই আপনাদের খুশি হওয়ার এতো কারণ নেই।    প্রতিপক্ষের উদ্দেশে মাহি বলেন, আগামী পাঁচ বছরে আমার জন্য যে কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে এবং আমাকে উন্নয়নমূলক কাজ করতে সহায়তা করবে। তাদেরকে যদি আপনারা কোনো রকম বিরক্ত করেন, তাহলে আপনাদের সঙ্গে টক্কর দেয় যারা,  আমি কিন্তু তাদের মতো দুর্বল না।  আমার কর্মীদের যদি অল্প অপমানও করেন তাহলে তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে আমি নিজেই আপনাদের সঙ্গে লড়ব। প্রতিহত করব। যেই কর্মীরা এই নির্বাচনে আপনাদের বিপক্ষে গিয়ে আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের জন্য জানও দিয়ে দিতে পারি। 
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়