• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কুড়িয়ে পাওয়া আইফোন ফিরিয়ে দিলেন দিনমজুর
পাবনায় রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া দামি আইফোন প্রকৃত মালিককে ফেরত দিয়েছেন দিনমজুর রিয়াজ সরদার (৫৫)। তার এমন সততা প্রশংসিত হয়েছে এলাকায়। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার বাঘইল ভাঙচুর মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, শিক্ষার্থী নাফিস ইলতিমাস অহিন (২২) সকালে মোটরসাইকেলে ঈশ্বরদী স্টেডিয়াম সড়ক দিয়ে রুপপুর যাওয়ার সময় প্যান্টের পকেট থেকে শখের আইফোন-১১ পড়ে যায়। অহিন পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ফোনটি না পেয়ে তার হারিয়ে যাওয়া ফোন নম্বরে কল দেন। অন্যদিকে দিনমজুর রিয়াজ সরদার নামে ব্যক্তি জানান ফোনটি রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছেন। রিয়াজ সরদার জানান, তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে যাওয়ার সময় উমিরপুর মতি সড়কের কাছে রাস্তার পাশে মোবাইলটি পড়ে থাকতে দেখে তা তুলে নেন। প্রকৃত মালিকের সন্ধান পেলে ফেরত দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন এবং বিকেলে তা ফেরত দেন। প্রকৃত মালিকের কাছে মোবাইল ফোনটি ফেরত দিতে পেরে তিনি খুশি।  মোবাইল ফোনটির মালিক নাফিস ইলতিমাস অহিন বলেন, খুব শখের ফোনটি হারিয়ে যাওয়ায় মনটা খুব খারাপ হয়েছিল। ওই ব্যক্তি ফোনটি আমাকে ফেরত দিয়েছে। এমন সৎ মানুষ আছে বলেই পৃথিবীটা আজও এত সুন্দর।   
০৩ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৪

কুমিল্লায় দিনমজুর হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, অপরজনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৫) হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছাম্মদ ফরিদা ইয়াসমিন এই রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌশলী (এপিপি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শান্তিনগর (নদরী পূর্ব পাড়) মো. লিটন (২৬) এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার খোলপাশা গ্রামের আব্দুস সোবহান তুফান (৫০)।  রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. লিটন পলাতক থাকলেও কাঠগড়ায় অপর আসামি আবদুস সোবহান তুফান উপস্থিত ছিলেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, পরিকল্পিতভাবে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই বাদীর ভগ্নিপতি দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৫৫) কোদাল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১ আগস্ট নিহতের শ্যালক চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আগানগন্ডা গ্রামের মো. ফুল মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই সুলতান উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৩ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ৩ মার্চ চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ৯ জনের সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন। 
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫২

দিনমজুর হত্যায় এক ভাইয়ের ফাঁসি, ৪ ভাইয়ের সাজা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পুলিশকে আসামি দেখিয়ে দেওয়ায় দিনমজুর রহিজ মিয়া হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছেন আদালত।  মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আয়েশা আক্তার সুমি এ আদেশ দেন।  এর মধ্যে উপজেলার নিমবাড়ির জমসিদ মিয়ার ছেলে জজ মিয়াকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এ ছাড়া জমসিদ মিয়ার আরও ৪ ছেলে ইয়াছিন মিয়া, খোকন মিয়া, পারভেজ মিয়া, মনির মিয়া এবং স্থানীয় আওয়াল মিয়া ও তার ছেলেকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশের পাশাপাশি ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। এ ছাড়াও জমসিদ মিয়াসহ ৯জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। রায় প্রদানকালে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জজ মিয়া পলাতক ছিলেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম।  আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামের জমসিদ মিয়ার ছেলে মনিরের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকায় পুলিশ তাকে খুঁজছিল। পুলিশের কাছে মুনিরের তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ছিল রহিজ মিয়ার বিরুদ্ধে। এরই জেরে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সকালে বাজার থেকে চাচা নাবাক সর্দার ও বড় ভাই ফায়েজ মিয়াসহ বাড়িতে ফেরার পথে তাদের ওপর জমসিদ মিয়ার পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে হামলা করে। এই ঘটনায় তিনজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রহিজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এই ঘটনায় রহিজ মিয়ার স্ত্রী নার্গিস বেগম বাদি হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় একই বছরের ২৬ অক্টোবর পুলিশ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সকল যুক্তি তর্ক ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামি জজ মিয়াকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া মামলার প্রধান আসামি জমসিদ মিয়ার ছেলে খোকন মিয়াকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি জমসিদ মিয়ার ৪ ছেলে ইয়াছিন মিয়া, খোকন মিয়া, পারভেজ মিয়া, মনির মিয়া এবং স্থানীয় আওয়াল মিয়া, তার ছেলে আশরাফুলকে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। মামলার প্রধান আসামি জমসিদ মিয়াসহ ৯ জন আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত। 
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়