• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সীমা লঙ্ঘনের দায়ে শাস্তির মুখে ৩৩ ব্যাংক ও ৬ প্রতিষ্ঠান
তারল্য সংকটের ধকল সামলাতে নিজেদের মধ্যে কল মানিতে (ওভারনাইট) ধারদেনা করছে তফসিলি ব্যাংক ও অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই)। আর এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ ব্যাংকই মানছে না বেঁধে দেওয়া ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ হারের সীমা। এই সীমা লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত সুদে ৫ হাজার ৮১১ কোটি টাকা লেনদেন করেছে ৩৩টি ব্যাংক এবং ৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।  বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, কল মানিতে সুদের হারের সর্বোচ্চ সীমা লঙ্ঘনের দায়ে এই ৩৯ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ব্যাপারে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে জরিমানার মুখে পড়তে হবে প্রতিষ্ঠানগুলো। এমনকি বাতিল হতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য সুবিধাও। তবে শাস্তি নির্ধারণের আগে যথাযথভাবে তদন্ত করা হবে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, যাদের বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনের দায় প্রমাণিত হবে, তারাই আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৩টি ব্যাংক বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ৯ টাকা ৫০ পয়সা সুদের সীমা লঙ্ঘন করে ৩ হাজার ১০৫ কোটি ধার করেছে এবং একই সময়ে ২ হাজার ৬১০ কোটি টাকা ধার দিয়েছে অন্য ব্যাংককে। একইভাবে ৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ সুদের সীমা ভেঙে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ হারে ৯৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ধার করেছে। এ ধরনের লেনদেনকে ব্যাংকিং নীতিমালার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি ব্যাংকের মধ্যে জনতা ব্যাংক ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে কল মার্কেটে ৪৮১ কোটি টাকা ধার করেছে অন্য ব্যাংক থেকে। একই রেটে ৯৫ কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ সুদে  ধার দিয়েছে ৪৫৯ কোটি টাকা। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ সুদে ৩০৪ কোটি টাকা, ব্যাংক অব শিলং ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ১১৬ কোটি টাকা এবং ব্যাংক আল ফালাহ ১৭৬ কোটি টাকা ধার দিয়েছে।  বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ৩০০ কোটি টাকা ধার দিয়েছে সিটি ব্যাংক। এছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ সুদে ২০৯ কোটি এবং সিটিজেন ব্যাংক ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ১৮ কোটি টাকা অন্য ব্যাংকে ধার দিয়েছে। ইউসিবি ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ধার করেছে ২৯৭ কোটি টাকা এবং একই সময়ে ব্যাংকটি ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ সুদে অন্য ব্যাংকে ধার দিয়েছে ২৮০ কোটি টাকা।  নির্ধারিত সুদের চেয়ে বেশিতে ঋণ নেওয়া ব্যাংকগুলোর তালিকায় নাম আছে ইস্টার্ন ব্যাংক, এসবিএসি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, সীমান্ত ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর।  এছাড়া অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আইডিএলসি, ডিবিএইচ, পিএফআইএন, বে লিসিং, বিডি ফাইন্যান্স ও আইসিবি নিয়ম লঙ্ঘন করে কল মার্কেটে লেনদেন করেছে।   প্রসঙ্গত, কল মানি হচ্ছে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকের টাকা ধার নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। যেসব ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য থাকে, তারাই মূলত ধার দিয়ে এর বিনিময়ে সুদ নেয়। সুদের হার নির্ভর করে কত দিনের জন্য টাকা ধার নেওয়া হচ্ছে, তার ওপর। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকিতে এ কল মানি দেওয়া হয়।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৮

চুয়াডাঙ্গায় দম্পতিকে খুনের দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একই মামলায় একজনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামিদের উপস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক (২৬), একই গ্রামের পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন (২৭) ও মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৫)। দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন একই উপজেলার আসাননগর গ্রামেরতাহাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেন (২৫)। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আলমডাঙ্গা শহরের পুরাতন বাজার এলাকার নজির মিয়া (৭০) ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে (৬০) শ্বাসরোধ করে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত দম্পতির মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন শিলা। চাঞ্চল্যকর ওই মামলার তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে একই বছর ২৮ সেপ্টেম্বর চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরামুল হক। সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ ওই রায় দেন বিচারক।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪১

যৌন নিপীড়নের দায়ে জবির দুই শিক্ষকের শাস্তি
যৌন নিপীড়নের দায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক সাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিষ্কার ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা না করায় একই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের দেওয়া রিপোর্টে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দায়ের করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এখানে উপাচার্য হয়ে আসার পর আরেকটি তদন্ত বোর্ড গঠন করে দিয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই সেই রিপোর্ট আমরা হাতে পাবো।  তিনি আরও বলেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সাময়িক বহিষ্কার আদেশ নিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সে বিষয়েও সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে। এর আগে শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার পর সোমবার (১৮ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তোলেন ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। এর মধ্যে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন একই বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের ওপর। আর তাকে বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ তোলেন বিভাগটির চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের ওপর।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৫

পাকিস্তানে সাংবাদিক অপহরণের দায়ে দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
ডেইলি জাংয়ের সাংবাদিক মোহাম্মদ নাদিমকে অপহরণ ও হয়রানির অভিযোগে পাকিস্তানের সিন্ধু কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্টের (সিটিডি) দুই কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদেরকে এ বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিটিডি পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) আসিফ এজাজ শেখ জানান, রেসকোর্সের কাছে একটি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট পয়েন্ট থেকে ওই সাংবাদিক ও আরেক ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়ে সিটিডি সিভিল লাইনস থানায় নিয়ে আসে তারা। সিটিডির সিনিয়র পুলিশ সুপার ইমরান শওকত প্রাথমিক তদন্ত করেছেন। যার ভিত্তিতে সিটিডি সদস্য জয়নুল আবিদিন এবং কালাই খান নামে দুই কর্মীকে তদন্ত সাপেক্ষে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ডিআইজি এজাজ শেখ বলেন, ১১ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিটিডির গোয়েন্দা শাখার দুই পুলিশ কনস্টেবল নাদিম ও মুহাম্মদ রিয়াজকে সন্দেহভাজন হিসেবে সিটিডি কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সিটিডি সদস্য জয়নুলের দাবি ২৯ জানুয়ারি অফিসে যাওয়ার সময় একটি বাস থেকে তার মোবাইল ফোনটি চুরি হয়েছিল। কনস্টেবল জয়নুল সেদিনই ফ্রেরে পুলিশকে চুরির বিষয়টি জানিয়েছিলেন। ১১ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টায় একই বাসে ভ্রমণের সময় তিনি ‘দুই সন্দেহভাজনকে’ দেখতে পান, যারা সম্ভবত তার মোবাইল ফোন চুরি করেছিলো।  সিটিডি কমপ্লেক্সে পুলিশ অফিসারকে জানানো হয়েছিল যে, বিষয়টি সন্ত্রাস দমনের সাথে সম্পর্কিত নয় এবং সন্দেহভাজনদের ফ্রেরে থানায় নিয়ে যাওয়া উচিত কারণ বিষয়টি মূলত সেখানে রিপোর্ট করা হয়েছিল। শেখ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় নাদিম ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, তিনি অপরাধী নন এবং তিনি দৈনিক জাং সংবাদপত্রের জন্য কাজ করেন। নাদিমকে তার প্রেস ক্রেডেনশিয়াল যাচাইয়ের পরে সিটিডি গার্ড রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।  অন্য সন্দেহভাজনকে ফ্রেরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সন্ধ্যা ৭ টায় ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ করার পরে তাকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ডিআইজি শেখ বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনার সত্যতা যাচাই করেছেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৩

শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শাবিপ্রবিতে হল থেকে বহিষ্কার ৮ শিক্ষার্থী
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ২০২১-২২ সেশনের ব্যাচের নামকরণ নিয়ে কোন্দল এবং ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় জড়িত আট শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃতরা শাবি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সাময়িক বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকা অবস্থায় তারা আবাসিক হলে প্রবেশ করতে পারবে না। বহিষ্কৃতরা হলেন- সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সাদমান হাফিজ ও রিফাত চৌধুরী রিয়াজ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের মোবাশ্বির বাঙালি, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মহসিন নাইম ও ইংরেজি বিভাগের তৈমুর সালেহীন তাউস, সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের হৃদয় মিয়া, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শান্ত তারা আদনান ও পরিসংখ্যান বিভাগের তানভীর আহমেদ। জানা যায়, ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ব্যাচের নামকরণ নিয়ে মেসেঞ্জার গ্রুপে এক শিক্ষার্থীর মন্তব্যের জের ধরে শাহপরাণ হলের সামনে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। পরে সমাধানের উদ্দেশ্যে ওই হলের গেস্ট রুমে ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপের কর্মীরা বসে। বিষয়টি সমাধান না হয়ে আবারও তর্কাতর্কিতে রূপ নেয় এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি মামুন শাহের অনুসারীরা বঙ্গবন্ধু হলে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগ নেতা সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান, সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক সজীবুর রহমান, সাবেক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়াসহ অন্যান্য গ্রুপের কর্মীরা তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং হলের প্রভোস্ট বডির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বহিষ্কার ও ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, হল প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাদের হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়াও অন্যান্যরা জড়িত কিনা চূড়ান্ত তদন্ত করার জন্য আরও একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক আজিজুল বাতেন। আশাকরি, তিনি খুব দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪২

সিএনজি চালককে জবাই করে হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় সিএনজি চালক নাজমুল হাসানকে (১৪) হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া (২৬) ও মৃত আলম মিয়ার ছেলে মো. শিহাব মিয়া (২০) এবং একই উপজেলার নয় কামতা গ্রামের মৃত আমীর হোসেনের ছেলে মো. সোহেল মিয়া (২৮)। এ ছাড়াও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন একই উপজেলার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আবুল বাশার (৩৮)। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর বিকেলে ভিকটিম মো. নাজমুল হাসান সিএনজি চালানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে না আসায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবার। পরে পুলিশ বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার মধ্যমতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. আবদুর রব (৪৮) বাদী হয়ে মো. সুমন মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি সুমন মিয়া ও আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তার দুজন আদালতে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। রায় ঘোষণাকালে আসামি মো. সুমন মিয়া, মো. সোহেল মিয়া ও আবুল বাশার আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি মো. শিহাব মিয়া পলাতক ছিলেন। এ দিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা আশা করছি মহামান্য হাইকোর্ট এ রায় বহাল রেখে দ্রুত দণ্ড কার্যকর করবেন। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৭

টাঙ্গাইলে নকলের দায়ে ৮ দাখিল পরীক্ষার্থী বহিষ্কার
পরীক্ষা কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বন করায় টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ৮ দাখিল পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা চলাকালে গোপীনপুর ফাজিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কিশোর কুমার দাসের নজরে আসে বিষয়টি।  এরপরে তিনি ওই ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের আদেশ দেন। বহিষ্কৃত ওই শিক্ষার্থী উপজেলার শহর গোপীনপুর ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।  সহকারী কমিশনার (ভূমি) কিশোর কুমার দাস মুঠোফোনে জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বন করার সময় সন্দেহ হলে শিক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করে নকল পাওয়ার অপরাধে তাদের বহিষ্কার করা হয়।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান বলেন, পরীক্ষা চলার সময় পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী দায়িত্ব অবহেলা করলে আর তার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে বাকি পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫১

কারাগারে বসেই এবার ঘুষের দায়ে অভিযুক্ত ইমরান
কারাগারে বন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে এবার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তোলা হয়েছে দেশটির এক আদালতে। একই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন তার স্ত্রী বুশরা বিবিও।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত দৈনিক ডনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইমরানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। গত বছরের আগস্ট থেকেই কারাগারে বন্দি আছেন পাকিস্তানের ৭১ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তার সবই অস্বীকার করেছেন তিনি। ঘুষ গ্রহণের নতুন অভিযোগটি করা হয়েছে আল-কাদির ট্রাস্ট নিয়ে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি মিলে গঠন করেছিলেন এ ট্রাস্টটি। প্রসিকিউটরদের দাবি, ট্রাস্টের নামে ইসলামাবাদের অদূরে ৬০ একরের একটি দামী জমি হাতিয়ে নিয়েছেন ইমরান ও তার স্ত্রী। এ ছাড়া অভিযোগ করা হয়েছে, পাকিস্তানের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজ হোসেনের কাছ থেকেও একটি জমি ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন ইমরান। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান। এরপরই তার বিরুদ্ধে দায়ের হতে থাকে একের পর এক মামলা। এর মধ্যেই গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পরিষদের নির্বাচন। ওই নির্বাচনের আগেও কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয় ইমরান খানকে। যার মধ্যে তিনটি মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। একইসঙ্গে আদালতের রায়ে নিষিদ্ধ হন অভ্যন্তরীণ রাজনীতি থেকেও। নির্বাচনের আগে আগে কেড়ে নেওয়া হয় পিটিআইয়ের দলীয় প্রতীক। এত বাধা সত্ত্বেও নির্বাচনে  সর্বোচ্চ আসন লাভ করেন ইমরানের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পিটিআই দাবি করেছে, কারাবন্দী থাকা অবস্থায় ইমরানকে আরও মামলায় অভিযুক্ত করার অর্থ হলো— শাসকরা তাকে আরও বেশি সময় কারাগারের ভেতর আটকে রাখতে চায়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৪

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন
বান্দরবানের লামায় মেয়েকে ধর্ষণ করার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড আনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বান্দরবানের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা এ আদেশ দেন। জানা যায়, চোবাহান জোমাদার (৩৯) নামের ওই ব্যক্তি নিজের কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।  যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চোবাহান জোমাদার উপজেলার রুপসীপাড়া ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড নুর আলী পাড়া এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সালাউদ্দিন কাদের প্রিন্স। তিনি জানান, নিজের মেয়ে ধর্ষণ করার দায়ে চোবাহান জোমাদারকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে হালিমা বেগমের সঙ্গে চোবাহানের বিয়ে হয়। তাদের ঘর আলোকিত করে একটি কন্যা শিশু জন্ম নেয়। দাম্পত্য জীবনে সম্পর্কের অবনতি হলে ২০১০ সালে ডিভোর্স হয় তাদের। সে থেকে শিশুটি মেয়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে থাকতেন। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ২০১৮ সালে নিজের কিশোরী কন্যাকে বাবা চোবাহান জোমাদার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। ওই বছরের ১৯ মে রাত সাড়ে ৭টার দিকে মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে চোবাহান জোমাদার। সেই থেকে ওই বছরের ৩ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় পালাক্রমে ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি।  পরে মামার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মাকে জানালে ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কিশোরীর মামা মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। দীর্ঘ সময়ে ধরে সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩২

ঋণের দায়ে বিদেশফেরত যুবকের আত্মহত্যা
বগুড়ার আদমদীঘিতে বিদেশফেরত ঋণগ্রস্ত এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মহসীন আলী শেখ (২৫) নামে ওই যুবক বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহসীনের মৃত্যু হয়। মহসীন উপজেলার শাঁওইল মধ্যপাড়ার মুকুল হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস আগে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বিদেশ যান মহসীন আলী শেখ। ভালো কাজ না পাওয়ায় দেশে ফিরে আসেন। অর্থ উপার্জন না করেই দেশে ফেরায় তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ কারণে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় তিনি নানা দুশ্চিন্তায় আত্মহত্যার জন্য পরিবারের সকলের অগোচরে বিষাক্ত গ্যাস খেয়ে ছটফট করতে শুরু করেন। পরে বাড়ির লোকজন তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী। তিনি জানান, মৃতের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়