• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘স্লিপ ডিভোর্স’ দাম্পত্য জীবনে কার্যকর কি না, জানালেন মনোবিদরা
বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া এবং নিশ্বাস নেওয়ার মত ঘুম আমাদের জীবনে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তবে নানা কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এই ব্যাঘাত যেন না ঘটে সেজন্য অনেক দম্পতি বিয়ের পর আলাদা ঘুমান। এটাই ‘স্লিপ ডিভোর্স’। কিন্তু কেন জরুরি এই ঘুম-বিচ্ছেদ, এর ফলে কী কোনো উপকার আছে কি না জেনে নেওয়া যাক।   ঘুমের ‘মান’ বাড়ায়: জাপানিদের দেখা যায় ছোট ছোট বিছানায় ঘুমায়। বলা চলে একা ঘুমানো তাদের ঐতিহ্য। ঐতিহাসিক আর সাংস্কৃতিকভাবেই জাপানিরা সাধারণত একা ঘুমান। কোনো কিছুর জন্যই তারা ঘুমের মান বিসর্জন দিতে প্রস্তুত নন। কেননা সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম খুবই জরুরি। কাস্টমাইজড স্পেস: একেকজনের ঘুমের অভ্যাস একেক রকম। কেউ আলো জ্বালিয়ে ঘুমান, কেউ আলো মোটেই সহ্য করতে পারে না। কেউ এসি ছেড়ে ঠান্ডায় কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমায়, কারও কারও আবার এসি ‘সহ্য’ হয় না। কারও কারও ঘুম খুবই পাতলা। ফলে নিজের মতো করে ঘুমের একটা পরিবেশ তৈরি করেন। সন্তানের জন্য: শিশুর জন্য অন্তত দুই বছর পর্যন্ত মায়ের কাছে ঘুমানো খুবই জরুরি। বুকের দুধ খাওয়ার পাশাপাশি মায়ের কোল, মায়ের পাশে ঘুমানো, মায়ের ‘ওম’-এ থাকা খুবই জরুরি। নানা কারণে বারবার বাবু ঘুম থেকে উঠে যাওয়ায় জীবনসঙ্গীর ঘুমের অসুবিধার কারণেও অনেক সময় স্লিপ ডিভোর্স হয়। জীবনসঙ্গী আলাদা ঘুমান। তবে নতুন মায়ের এমন সংকটের সময় শিশুর বাবার উচিত দায়িত্ব যতটা সম্ভব ভাগাভাগি করে নেওয়া। ন্যাপি, কাঁথা বদলে দেয়া। কোলে নিয়ে ঘুরে ঘুরে ঘুম পাড়ানো। তবে একেবারেই যদি তিনি কোনো সাহায্য না করতে পারেন, তাহলে আলাদা ঘুমানোই সমীচীন। সার্বিক সুস্থতা, স্বস্তি : অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমানোর ফলে তাদের ঘুম ভালো হওয়া, নিজেদের স্বাস্থ্য ভালো থাকা, সারা দিন এনার্জি নিয়ে পার করা থেকে শুরু করে নিজেদের সম্পর্কে ভারসাম্য রাখাও সহজ হয়। তবে দাম্পত্ব জীবন সুখী করতে হলে জীবনসঙ্গীকে নিয়ে একসঙ্গে আরামে ঘুমানো সবচেয়ে ভালো। সম্পর্কের গভীরতার জন্য শারীরিকভাবে কাছাকাছি থাকার কোনো বিকল্প নেই। ঘুমবিশেষজ্ঞ ও মনোবিদ ডা. ওয়েন্ডি ট্রক্সেল একই বিষয়ে সিএনএনের একটা প্রতিবেদনে বলেন, ‘জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ঘুমানো দুজনকেই সম্পর্কে গভীর নিরাপত্তার অনুভূতি দেয়। এ ছাড়া ঘুমের আগে আলিঙ্গন করা, যৌন সম্পর্ক বা হালকা গল্প করা, চুমু খাওয়া-এসবের ফলে হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ হয়। আর তা অনেকক্ষণ পর্যন্ত শরীরে থাকে। ফলে ঘুমের মানও ভালো হয়।’ এই মনোবিদ আরও জানিয়েছেন, আলাদা ঘুমানোর ফলে সম্পর্কে ছন্দপতন ঘটে। ভুল-বোঝাবুঝির আশঙ্কা তৈরি হয় বেশি। এমনকি একে অপরকে অকারণে সন্দেহ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় সহজেই। তাই কী কারণে আলাদা ঘুমানোর প্রয়োজন, সেটা আগে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন এই চিকিৎসক। আলাদা ঘুমানোটা এরপরের ধাপের বিকল্প।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:০০

দাম্পত্য কলহ বাড়াচ্ছে ‘প্রেমের বিয়ে’ 
প্রেম করে বিয়ে করলে দাম্পত্য কলহের আশঙ্কা বেশি থাকে। অনেক ক্ষেত্রে তা বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়, এমনটিই মন্তব্য করেছেন ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এ কারণে হিন্দু বিবাহ আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন ভারতের আদালত। রোববার (৩ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ সংবাদ জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, গতকাল শনিবার এক যুবকের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করার সময় এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিচারপতি দোনাদি রমেশের ডিভিশন বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেছেন। এ সময় তারা হিন্দু বিবাহ আইন সংশোধন করার জন্য সরকারকে অনুরোধও করেন। শুনানির সময় এই বেঞ্চ আরও বলেন, ১৯৫৫ সালে হিন্দু বিবাহ আইন প্রণয়ন করার সময় ভারতীয় সমাজের বৈবাহিক অবস্থা যেমন ছিল, এখন তা নেই। সেই আবেগ, অনুভূতি ও শ্রদ্ধাবোধের পরিবর্তন হয়েছে। এখন প্রেমের বিয়ে অনেক সহজ হয়েছে, আগে যা ছিল না। সমাজ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি মুক্ত ও স্বাধীন হয়েছে। সুতরাং সময়ের সঙ্গে আইন সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। তবে প্রেমের বিয়ের কারণে ভারতীয় সমাজে দাম্পত্য কলহ আগের তুলনায় বেড়েছে বলেও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিচারপতি দোনাদি রমেশের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিদের এই বেঞ্চ বলেন, প্রেমের মাধ্যমে যেসব বিয়ে হচ্ছে, সেসব বৈবাহিক সম্পর্ক একটা পর্যায়ে গিয়ে শিথিল হয়ে পড়ছে, নানা ধরনের বিবাদ তৈরি হচ্ছে এবং শেষে তারা আলাদা থাকতে শুরু করছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, বিয়ের এই বদলকে প্রভাবিত করেছে শিক্ষা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, জাতপাতের বাঁধ ভাঙা, আধুনিকতা এবং পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ। সমাজ এখন আরও বেশি উদার, স্বাধীন হয়ে উঠেছে। যে কারণে বিয়েতে আর আগের মতো আবেগের প্রয়োজন হয় না। এ ধরনের কিছু বিষয় বর্তমানে দাম্পত্য জীবনকে প্রভাবিত করছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনে বদল আনা প্রয়োজন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:০১

যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
দাম্পত্য ভাঙনে প্রধানভাবে দায়ী পরকীয়া। এটির কারণে সারাদেশে ২৩ শতাংশ তালাক ও দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন হয়, যা ঢাকায় ২৮ শতাংশের বেশি। পরকীয়া প্রায় মহামারি রূপ নেওয়ায় দ্বিগুণ হয়েছে তালাকের ঘটনা। দেশে সবচেয়ে বেশি দাম্পত্যে ভাঙন হচ্ছে ধনীদের মধ্যে। দেশে বহুগামিতার মতো ঘটনাও বেড়েছে। সম্প্রীতি এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২২ (এসভিআরএস) এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে।  স্যাম্পল ভাইটাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম (এসভিআরএস) বিবিএসের মৌলিক জরিপগুলোর অন্যতম। এতে জনমিতির ১৩৮টি সূচকের তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। এ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ২৭ সূচক এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ১৭টি সূচকের তথ্য-উপাত্ত যুক্ত করা হয়েছে। সারাদেশের ২ হাজার ১২টি নমুনা এলাকার প্রায় ১৩ লাখ মানুষের কাছ থেকে জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরিপে উঠে আসা এসব তথ্যকে উদ্বেগজনক মনে করে বিবিএস।  বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় সরকারি নীতিনির্ধারক, গবেষক, উন্নয়ন সহযোগীসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। কী কারণে দাম্পত্য বিচ্ছেদের ঘটনা বেড়েছে, তারও জবাব বোঝার চেষ্টা করেছে বিবিএস। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে সাধারণ বিয়ের হার পাওয়া গেছে ২৫ এর কিছু বেশি। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রতি এক হাজার মানুষের মধ্যে ওই বছর যত জনের বিয়ে হয়েছে, সেটা সাধারণ বিয়ের হার। এই হার ২০২১ সালে ছিল ১৮.৫। জরিপ প্রতিবেদনে ২০০৬ সাল থেকে সাধারণ বিয়ের হারের গতিধারাও তুলে ধরা হয়েছে। জরিপে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ বিয়ের হার এক বছরের ব্যবধানে অনেকটা বেড়েছে। এর আগের বছরগুলোতে তা ১৭ থেকে ২১ এর মধ্যে ছিল। ২০২২ সালে সাধারণ বিয়ের হার বেড়ে যাওয়ার পেছনে করোনাকালের অর্থনৈতিক সংকট ও অনিশ্চয়তার সম্পর্ক দেখছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, ২০২০ ও ২১ সালের ধাক্কা অনেকটা কাটিয়ে ওঠার পর ২০২২ সালে বিয়ের হার বেড়েছে। গ্রামে এ হার বেশি। সাধারণ বিয়ের হারে নারী-পুরুষের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। তবে ধর্মভেদে তারতম্য দেখা যায়। মুসলমানদের মধ্যে হারটি বেশি ২৬। অন্যদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে তা ১৮ এর কিছু বেশি। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর ক্ষেত্রে সাধারণ বিয়ের হার ১৫ এর মতো। জরিপে নারী ও পুরুষেরা প্রথম বিয়ে কত বছর বয়সে করেছেন, তার একটি গড় হিসাব উঠে এসেছে। বিবিএস বলছে, পুরুষের বিয়ের গড় বয়স ছিল ২৪ বছর। নারীর ক্ষেত্রে তা ১৮ দশমিক ৪ বছর। শহরে পুরুষ ও নারীদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স একটু বেশি। গ্রামে কম। তালাক বা বিবাহবিচ্ছেদের দুই ধরনের হার বিবিএসের জরিপে পাওয়া পায়। একটি হলো স্থুল, অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার অনুপাতে বিবাহবিচ্ছেদের হার। অন্যটি সাধারণ বিবাহবিচ্ছেদের হার, যেখানে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের হিসাব করা হয়। বিবিএস বলছে, তারা বিচ্ছেদ হওয়া মানুষের নিবিড় সাক্ষাৎকার নিয়ে জরিপ করেছে। ফলে এই জরিপের মাধ্যমেই বিচ্ছেদের আসল কারণ উঠে এসেছে। বিবিএসের হিসাবে, ২০০৬ থেকে ২০২১ সাল সময়ে স্থূলবিচ্ছেদের হার শূন্য দশমিক ৬ থেকে ১ দশমিক ১ এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। ২০২২ সালে তা বেড়ে ১ দশমিক ৪ এ দাঁড়ায়। সাধারণ বিবাহবিচ্ছেদের হারটি হিসাব করা হয়েছে নারী ও পুরুষ আলাদাভাবে। দেখা যায়, ২০২১ সালে নারীদের সাধারণ বিবাহবিচ্ছেদের হার ছিল ২ এর সামান্য কম। সেটা পরের বছর বেড়ে ৩ দশমিক ৬-এ দাঁড়ায়। একইভাবে পুরুষের ক্ষেত্রে হারটি ২০২১ সালে ছিল ২-এর সামান্য বেশি। পরের বছর তা বেড়ে ৩ দশমিক ৮ এ দাঁড়ায়। বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে বড় কারণ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। জরিপে উত্তরদাতাদের প্রায় ২৩ শতাংশ এই কারণ সামনে এনেছেন। এরপর রয়েছে দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতা ২২ শতাংশ। ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে অসামর্থ্য অথবা অস্বীকৃতি, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদিও রয়েছে বিবাহবিচ্ছেদের কারণের তালিকায়। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে সবচেয়ে বেশি বিচ্ছেদ হয়েছে ঢাকা বিভাগে, কম ময়মনসিংহ বিভাগে। দাম্পত্যজীবনে অক্ষমতায় বিবাহবিচ্ছেদ বেশি বরিশালে, কম সিলেটে। ভরণপোষণ দিতে অসমর্থতার কারণে বিবাহবিচ্ছেদ বেশি রাজশাহীতে, কম চট্টগ্রামে। পারিবারিক চাপে বিবাহবিচ্ছেদ বেশি ময়মনসিংহে, কম ঢাকায়। নির্যাতনের কারণেও বিবাহবিচ্ছেদ বেশি হয়েছে ময়মনসিংহে, কম রাজশাহীতে। যৌন অক্ষমতা অথবা অনীহার কারণে রংপুরে বিবাহবিচ্ছেদ বেশি হয়েছে। বরিশালে এ ক্ষেত্রে হার শূন্য। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকায় তালাকের ঘটনা বেশি ঘটছে সিলেটে। বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসলমানদের মধ্যে তালাকের ঘটনার কারণগুলো জাতীয় হারের মতোই। কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘আলাদা’ হওয়ার কারণের দিক দিয়ে ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা যায়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে আলাদা হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ দাম্পত্যজীবন বজায় রাখতে অক্ষমতা ও শারীরিক নির্যাতন। যেমন শারীরিক নির্যাতনকে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মুসলমানদের ১০ শতাংশের কম। হিন্দুদের ক্ষেত্রে হারটি ২০ শতাংশের কাছাকাছি। সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথও মনে করেন, হিন্দু নারীদের পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার হার বেশি। এর সঙ্গে যৌতুকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। হিন্দু নারীরা যেহেতু বাবার সম্পত্তির ভাগ পান না, সেহেতু তাদের ওপর যৌতুক আনার চাপ থাকে। তিনি বলেন, আইনত হিন্দু সম্প্রদায়ে বিবাহবিচ্ছেদের সুযোগ নেই। তবু অনেকে ‘আলাদা’ হচ্ছেন। হিন্দু নারীদের মধ্যে মুখ বুঝে সবকিছু সহ্য না করার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ছে। বিবিএসের পরিসংখ্যানের বাইরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের তথ্য বলছে, বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন সাধারণত বেশি করেন নারীরা। ২০২২ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মোট বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে ৭ হাজার ৬৯৮টি। এর মধ্যে স্ত্রীরা আবেদন করেছিলেন ৫ হাজার ৩৮৩টি, যা মোট আবেদনের ৭০ শতাংশ। ঢাকা উত্তরের চিত্রও প্রায় একই। সেখানে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনের ৬৫ শতাংশ নারীর। সমাজবিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য মাহবুবা নাসরীন বলেন, অনেকেই দাম্পত্যজীবনে সুখী হন না। কিন্তু নানান পারিপার্শ্বিক কারণে সেটা মেনে নিয়ে সংসার করে যান। অবশ্য অনেকেই দাম্পত্যজীবনে সুখী হওয়াকেই প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ২০২২ সালে কেন হঠাৎ বিয়ে বাড়ার কারণ বিষয়ে তিনি বলেন, তারা গবেষণা করে দেখেছেন এর সঙ্গে করোনা মহামারির সংযোগ আছে। মহামারির সময়ে অর্থনৈতিক সংকট ও অনিশ্চয়তার কারণে বিয়ে উৎসাহিত হয়নি। ২০২২ সালে সংকটটি অনেকটা কেটে যাওয়ায় বিয়ে বেড়েছে। নানা আর্থসামাজিক কারণে বাল্যবিবাহও বেড়েছে। বিবিএসের জরিপেও সেটি পাওয়া যায়। জরিপ বলছে, ১৮ বছরের আগে বিয়ে হওয়া নারীর অনুপাত (২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী) ২০২২ সালে পাওয়া যায় প্রায় ৪১ শতাংশ, যা আগের বছর ছিল ৩২ শতাংশের আশপাশে।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৭

বছরের প্রথম দিনই দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন জনপ্রিয় গায়ক
দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন ‘ব্যাকস্ট্রিট বয়েজ’ ব্যান্ড খ্যাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এ জে ম্যাকলি। তার স্ত্রী রোচেলকে ডিভোর্স দিয়েছেন তিনি। বছরের প্রথম দিনই বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন এই গায়ক। সোমবার (১ জানুয়ারি) নিজের ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে তাদের বিচ্ছেদের খবরটি জানান ম্যাকলিন।  সেখানে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে ম্যাকলিন লিখেছেন, আপনারা সবাই জানেন, দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা থাকছি আমরা। যদিও আমরা ফের এক হওয়ার আশা করছিলাম। তবে একপর্যায়ে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্কে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।   গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চে আলাদা থাকার কথা জানিয়েছিলেন ম্যাকলি-রোচেল। ওই সময় তারা জানিয়েছিলেন, বিয়ে করা খুবই কঠিন, তবে এটি মূল্যবান।  সে সময় তারা আরও জানান, পারস্পারিকভাবে নিজেদের শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সাময়িক সময়ের জন্য আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত।  কিন্তু একসঙ্গে ফিরে আসার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। পাশাপাশি একে অপরের প্রতি ভালোবাসাও লালন করতে চান। তবে সব জল্পনা-কল্পনাকে পেরিয়ে অবশেষে বিচ্ছেদের পথেই হাঁটলেন ম্যাকলি-রোচেল। এদিকে ইউএস উইকলির প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, ২০০৯ সালে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ম্যাকলিন-রোচেল। এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মঞ্চে রোচেলকে প্রস্তাব করেছিলেন গায়ক। পরে ২০১১ সালের শেষ দিকে বিয়ে করেন তারা। সূত্র : ইয়াহো নিউজ  
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়