• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে সর্বোচ্চ রেকর্ড
আন্তর্জাতিক বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। প্রথমবারের মতো এক আউন্স স্বর্ণের দাম দুই হাজার দুইশ নয় ডলার। বিশ্ববাজারে সর্বকালের সর্বোচ্চ দরে যা নতুন রেকর্ড। বিশ্ববাসী স্বর্ণের এত দাম আগে কখনো দেখিনি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আরও অর্থনৈতিক তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ, এর ওপরই নির্ভর করে সুদের হার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এর আগে ইউএস ট্রেজারি বন্ড ইল্ড নিম্নগামী হয়েছে। ফলে বুলিয়ন বাজার আরও চাঙা হয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান টেস্টিলাইভের বৈশ্বিক সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান ইলিয়া স্পিভাক বলেন, সুদের হার কমানোর আভাস দিয়েছেন ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। তবে বিশ্বব্যাপী এখনও ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ রয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বিদ্যমান। তাতে স্বর্ণ সমর্থন পাচ্ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির মূল্য বাড়তি রয়েছে।    গত সপ্তাহে ফেড সংকেত দেয়, ২০২৪ সালে তিনবার সুদের হার কমাতে পারে তারা। এরপর থেকেই প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার চাপে পড়েছে। একই সঙ্গে স্বর্ণের বিশ্ববাজারে ঔজ্জ্বলতা বেড়েছে।     বিশ্বাবাজারের পাশাপাশি বাংলাদেশের বাজারেও রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ। যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে। ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের  দাম ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের  দাম ২ হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের  দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের  দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। দেশের বাজারে স্বর্ণের  এত দাম আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে এই দামেই স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য স্বর্ণের গয়না কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গয়না বিক্রি করা হয়। একই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গয়না কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে এক লাখ ২৩ হাজার ২৭৭ টাকা।
৩ ঘণ্টা আগে

রাজধানীর যেসব স্থানে কৃষকের দামে মিলবে তরমুজ
রাজধানীর পাঁচ জায়গায় তরমুজ বিক্রি করবে বাংলাদেশ অ্যাগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা)। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) থেকে ২৭ রমজান পর্যন্ত ‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’ এই স্লোগান নিয়ে তরমুজ বিক্রি করবে সংগঠনটি। বুধবার (২৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাফা। এতে বলা হয়, বাফার ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজারে তরমুজ বিক্রি করা হবে। পরবর্তীতে এই ৫টি স্থানের পরিসর আরও বাড়ানো হবে। বাফা জানায়, এসব স্থানে কৃষকের দামে ৫ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসেবে বিক্রি করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কৃষক দাম পাচ্ছে না, আবার ভোক্তা বেশি দামে কিনে খাচ্ছেন’- এ রকম খবর এখন গণমাধ্যমে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। বিগত কয়েক দিন ধরেও আমরা গণমাধ্যমে দেখছি যে, বেগুন, লাউ, মুলাসহ বিভিন্ন শাকসবজি কৃষক ও উৎপাদক পর্যায়ে খুবই কম দামে বিক্রি হচ্ছে; বিপরীতে ঢাকায় ভোক্তা পর্যায়ে দাম অনেক বেশি।  এমন পরিস্থিতিতে, মধ্য স্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস, কৃষক যেন তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পান এবং ভোক্তারাও যাতে সুলভ মূল্যে পণ্য কিনতে পারেন—এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা) কৃষকের ক্ষেতের তরমুজ সরাসরি ভোক্তার হাতে তুলে দেওয়ার এই উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী ২৭ রমজান পর্যন্ত  উদ্যোগটি চলবে। পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:২২

খলিলের পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি সম্ভব নয় : ভোক্তার ডিজি
খলিলের পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। রোববার (২৪ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে ব্যক্তিপর্যায়ে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি। ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, গরুর মাংস বিক্রেতা খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বল এতদিন লোকসান দিয়ে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাংসের দামও বেড়ে গেছে। তাদের পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে তারা কী করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, গত বছরের শেষদিকে খলিলের উদ্যোগে দেশের বাজারে কমতে শুরু করে গরুর মাংসের দাম। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশন এক মাসের জন্য ৬৫০ টাকা দাম বেঁধে দেয়ার পর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে মাংসের দাম। ভোক্তার ডিজি বলেন, রমজানের পর খলিল-নয়নদের দোকানে উপচেপড়া ভিড় ছিল। মাংস কিনতে ঢাকার বাইরে থেকে মানুষ এসেছে তাদের দোকানে। সেখানে পুলিশ পর্যন্ত মোতায়েন করা হয়েছিল। এর আগে খলিলকে মৃত্যুর হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছিল। রাজশাহীতে কম দামে মাংস বিক্রি করায় একজনকে খুন করা হয়েছিল। এদিকে সংবাদ সম্মেলনে খলিল জানান, আমি এখন থেকে সকাল ৭টায় দোকান খুলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাংস বিক্রি করবো। আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন ২০টা করে গরু বিক্রি করা হবে। আগে প্রতিদিন ৪০টি বিক্রি করলেও, এখন আর সেটি সম্ভব নয়। এই সময়ে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হবে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৩

ব্যাংকগুলোকে বেশি দামে ডলার কিনতে হবে!
রিজার্ভ বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে বেশি দামে ডলার কিনতে  উৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত, আইএমএফ’র ঋণ প্যাকেজের অন্যতম শর্ত হিসেবে ডলারের সরবরাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আইএমএফের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশের নিট রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৯ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার। ১৪ মার্চ শেষে আইএমএফের বিপিএম৬ পদ্ধতিতে দেশের গ্রস রিজার্ভ রয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বিপিএম৬ অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভের চেয়ে নিট রিজার্ভ আরও ৪ বিলিয়ন ডলার কম হবে। এদিকে, বর্তমানে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো রেমিট্যান্সের রেট ডলারপ্রতি ১১২ থেকে ১১২ দশমিক ৫০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। কাতার, মালেয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই দামে ডলার পাওয়া যাচ্ছে। যদিও  গত ১৮ মার্চ কয়েকটি ব্যাংক বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো থেকে রেমিট্যান্সের ডলার কিনেছে ১১৪ থেকে ১১৪.৫০ টাকায়। অন্যদিকে, গত কয়েক মাস ধরে রেমিট্যান্সের রেট ১০৯ দশমিক ৫০ টাকায় স্থির রয়েছে। আমদানি পেমেন্টে ডলারের দাম স্থির রয়েছে ১১০ টাকায়। যদিও খুব কম ব্যাংকই এই নির্ধারিত রেটে বেচাবিক্রি করছে। বাজারের প্রকৃত দাম এর চেয়েও ৬ থেকে ৮ টাকা বেশি। রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি রেটে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে। ব্যাংকগুলো বেশি দাম দিয়ে বেশি ডলার আনলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের থেকে কিনতে পারবে। এটি নিট রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়া সোয়াপ পদ্ধতিতে ডলার নিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ বাড়বে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৩

স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
দাম কমানোর দুই দি‌ন না যেতেই আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে বেড়েছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯১৬ টাকা। ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাজুস এক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দিয়েছে বাজুস। এতে বলা হয়েছে, নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা শুক্রবার (২২ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে। স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।   এর আগে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের ভরিপ্রতি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬ হাজার ১৪২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯০ হাজার ৯৭৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দাম ৭৫ হাজার ৮১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে এ নিয়ে মোট ৫ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। গত বছর ২৯ বার করা হয়েছিল।
২২ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৯

পেঁয়াজের দামে সুখবর
বাংলাদেশে পাঠাতে ভারতের কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে দেশটির সরকার। এ খবরে দেশের বাজারে পণ্যটির দরে বড় পতন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর কাওরান বাজার, নর্দ্দা, নতুনবাজার, মগবাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহেও যে পেঁয়াজের কেজি ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। সেই পেঁয়াজ এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। কাওরান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যটি আসছে। সে জন্য মসলাজাতীয় পণ্যটির দাম কমেছে। কয়েক টাকা লাভেই আমরা পণ্যটি বিক্রি করছি। গত সপ্তাহে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। এখন তা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছি। ভারত থেকে পণ্য আসছে এমন খবরে দাম কমেছে কিনা?- এ প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা এ সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। তবে এমন খবর শুনেছেন।  পেঁয়াজ কিনতে আসা আরাফাত আহম্মেদ বলেন, গত সপ্তাহে ৯০টাকা কেজি দরে কিনেছি। আজ ৫৫ টাকা কেজিতে কিনলাম। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা হাতে করে পণ্যের দাম বাড়ান। এটিই তার প্রমাণ।  সোমবার (১৮ মার্চ) জানা গেছে, ঢাকাকে দেওয়ার জন্য ভারতের কৃষকদের থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন। প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম পড়বে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। এই সংবাদেই ব্যবসায়ীরা গোদাম খালি করছেন।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪২

বেঁধে দেওয়া দামে অসন্তোষ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার নির্ধারিত দরে গরুর মাংস বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মাংস বিক্রেতারা।  সোমবার থেকে শহরের মাংস বিক্রেতারা বিক্রি বন্ধ রেখে সরকার নির্ধারিত দামের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানান। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বেশ কয়েকটি বাজারে মাংস বিক্রির দোকান বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। দাম পুনঃবিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখার কথা জানালেও কেউ তা বিক্রি করতে চাইলে তাতে বাধা দেওয়া হবে না বলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।  সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শহরের প্রধান বাজার আনন্দবাজার, ফারুকি বাজার, মেড্ডা বাজার, মৌড়াইলের বউবাজার, কাউতলী বাজারসহ জেলা শহরের অন্তত ৩ শতাধিক দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে।  ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার সকালে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাংসের দোকানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। অথচ খামার বা ব্যাপারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ ক্রয় করতে হচ্ছে ৭২০ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মাংস ব্যবসায়ী বিক্রয় করে ৭৫০ টাকা দরে। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, আজ মঙ্গলবার তাদের দাবির বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরা হবে। এদিকে বাজারে ক্রেতারা এসে মাংস কিনতে না পেরে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। অন্য শহরের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা যদি সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করে লাভ করতে পারেন তাহলে এখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারবেন না কেন।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:১২

বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করায় ৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
রাজধানীতে বাড়তি দামে পণ্য বিক্রিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১৮ মার্চ) বনানীর কাঁচাবাজারে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুদুল হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভাই ভাই মুরগির দোকানে ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বাড়তি দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগে চারটি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার নির্ধারিত নতুন মূল্যের তালিকা তাদের জানা নেই। তবে বনানী কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক আলি আহমেদ বলেন, সরকার যেহেতু দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, তাই এখন ওই দামেই আমাদের বিক্রি করতে হবে। ডিএনসিসির বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম বলেন, রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রত্যেকটি বাজারে মনিটরিং করা হবে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৫

সরকারের বেধে দেওয়া দামে মিলছে না কোনো পণ্য
রমজান এলেই যেন দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন ব্যবসায়ীরা। এবারও ব্যতিক্রম ঘটছে না তার। রমজানের বেশ আগ থেকে মজুতদার ও অসাধু ব্যবসায়ীদের দমনে সরকার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে এলেও রমজানে বাজার পরিস্থিতি তথৈবচ। রোজার প্রথম সপ্তাহেই ভোক্তা সাধারণের পকেটে পড়েছে টান। সরবরাহ কম, ভ্যাট বেশি, ডলার সংকট- বিভিন্ন অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়িয়েই চলেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। শেষ পর্যন্ত গতকাল শুক্রবার গরুর মাংস, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেধে দেয় সরকার। এরপরও শনিবার (১৬ মার্চ) বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতোই বাজার চড়া। সরকারের বেধে দেওয়া দামে মিলছে কিছুই।  বাজারের এমন অব্যবস্থাপনায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ ক্রেতা সাধারণ। তাদের অভিযোগ, শুধু দাম নির্ধারণ করে দিয়েই দায় সারছে সরকার। সিন্ডিকেটের লাগাম টানতে সরকার যে কঠোর হুঁশিয়ারির কথা বলে আসছে তার প্রয়োগ নেই বাজারে। নিয়মিত তদারকি ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের অভাবে বাজারের নিয়ন্ত্রণ এখনও লাগামহীন সিন্ডিকেটের হাতেই।   শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজার, শ্যামবাজার, রায়সাহেব ও নয়াবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা মেলে অব্যবস্থাপনার এই চিত্রের।  বাজারে এখনও গরুর মাংস ৭৮০ টাকা, মুরগির মাংস ৩৫০ টাকা, মসুর ডাল ১৩৫ টাকা, মুগডাল ১৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া সবজি ও মাছসহ সবকিছুই আগের মতো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে।   কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্ধারিত দাম না মানার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের অজুহাত, অতিরিক্ত গাড়িভাড়া ও ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে দাম কমানো সম্ভব নয় তাদের পক্ষে।   রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি আলু মানভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করলা ১০০, পটল ১০০, ঝিঙা ৮০, টমেটো ৬০-৭০ টাকা, শিম ৪০-৬০, শসা ৬০ টাকা, ক্ষিরা ৫০ টাকা, মরিচ ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ধনে পাতা ৮০-১০০ টাকা, পেঁয়াজ কলি ৪০ টাকা, আদা ২০০ টাকা ও রসুন ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৬০ টাকায়।   মাংসের বাজারেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাংস। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৫০টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে।   মাছের বাজারেও একই অবস্থা। প্রতি কেজি রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০ টাকা, পাঙাস মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা,  পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, টেংরা মাছ ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পুঁটি মাছ ৫০০ টাকা, মেনি মাছ ৬০০ টাকা, বেলে মাছ ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, চিতল মাছ ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে শনিবার। এ ছাড়া প্রকারভেদে প্রতি কেজি মুগডাল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, মুসুর ডাল ১১০ থেকে ১৩৫ টাকা, মটরডাল ১৬০ টাকা, খেসারি ডাল ১৪০ টাকা এবং ছোলা ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল, প্রতি কেজি চিনি টাকা। চড়ামূল্যে বিক্রি হচ্ছে ডিমও। প্রতি ডজন মুরগির ডিম ১৩৫-১৮০ টাকা ও হাঁসের ডিম ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে বাজারভেদে।  সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন সে ব্যাপারে জানেন কি না, এই প্রশ্নের জবাবে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকার দাম বেধে দিলেও আগের দামেই পণ্য কিনতে হচ্ছে তাদের। তার সঙ্গে আছে শ্রমিক খরচ, গাড়িভাড়া, খাবার খরচ। সব মিলিয়ে বেশি দামেই পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।  কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, আড়তদার যে দাম রাখে তার ওপর নির্ভর করে তারা বিক্রি করেন। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ভালো কথা। কিন্তু তারাও যেন সঠিক দামে পণ্য কিনতে পারেন সেদিকে সরকারের খেয়াল রাখা দরকার।  এদিকে শনিবার কারওয়ান বাজারে সদাই কিনতে আসা মফিজুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, শুধু দাম নির্ধারণ করে দিলেই তো ব্যবসায়ীরা মানছে না। বেধে দেওয়া দামে যেন তারা পণ্য বিক্রি করেন, সেজন্য কঠোর নজরদারি দরকার। সিন্ডিকেট নিয়ে শুধু হুঁশিয়ারিই শুনি। কিন্তু আজ পর্যন্ত সিন্ডিকেট করে কারা, তাই জানতে পারলাম না।   লাগামহীন সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরবরাহ ও চাহিদা বাজারে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে। মুক্তবাজারের সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি না হলে নির্ধারণ করে দিয়ে মূল্য কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়। সবচেয়ে বড় কথা ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি হচ্ছে। সেটা বন্ধে সরকারকে আগে নজর দিতে হবে৷ প্রসঙ্গত, শুক্রবার সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিমের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪ (ঝ) ধারার ক্ষমতাবলে কতিপয় নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।  প্রজ্ঞাপনে গরুর মাংস, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেধে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।   এদিকে রমজানের বাজারে বাড়তি মুনাফা কামিয়ে নিতে চালবাজিতে মেতে উঠেছে চালকল মালিকরাও। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে হুট করে গরিবের সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি ১০০-২০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। যার প্রভাব গিয়ে পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারেও। পেটে এক মুঠো ভাত জুটাতে গিয়ে চোখে সরষে ফুল দেখছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অটোরাইস মিল মালিক সমিতি সূত্র বলছে, ধান থেকে চাল তৈরিতে ব্যাঘাত হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে একটু। এ ছাড়া সরকার চাল কিনে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করছে ও সহায়তা কর্মসূচির আওতায় সাধারণ মানুষকে দিচ্ছে। এ কারণে দাম তুলনামূলক বাড়ছে। মিল মালিক সমিতির এই খোঁড়া যুক্তির ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না খোদ পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের চাল ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, রোজার মাসকে টার্গেট করে যৌক্তিক কোনও কারণ ছাড়াই মিল পর্যায়ে সব ধরনের চালের দাম বাড়ানো হয়েছে।  রাজধানীর কাওরান বাজারের আল্লাহ দান রাইস এজেন্সির মালিক ও পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে মিল পর্যায় থেকে চাল সরবরাহ করা হচ্ছে না। যে পরিমাণ চাল অর্ডার করা হচ্ছে, দিচ্ছে তার কম। এক ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে মিল মালিকরা। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চালের দাম কেন বেড়েছে, তা তদারকি করে বের করা হবে। মিল থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে তদারকি করা হবে। অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ০১:১৯

রোজার শুরুতে লেবু-শসার দামে আগুন, ক্ষুব্ধ ক্রেতা
রমজানে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয় শসা ও লেবু। চাহিদা বিবেচনায় বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা রোজাকে ঘিরে অস্থির করে তুলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। রোজা শুরুর একদিন আগে থেকে ইফতারের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান লেবুর বাজারে চড়া মূল্য বিরাজ করছে। দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে লেবু। শুধু লেবু নয় শসার বাজারেও আগুন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ)  রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শসা প্রথম রমজানেই বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। মাঝারি মানের শসা গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও সেটিও দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। আর নিম্ন-মানের শসা গত সপ্তাহে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। গতকাল যে লেবু ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে মঙ্গলবার তার এক হালির দাম ৮০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস লেবু ২০ টাকা। আকারে ছোট লেবুর পিস কেনা যাচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়। এ ছাড়া ইফতার তৈরিতে প্রয়োজনীয় ধনে পাতা, কলা, পেঁয়াজ, মরিচ সবকিছুই রোজার প্রথম দিনে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষকে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে, তেমনি ইফতারের আয়োজনেও হিমশিম অবস্থা। ইফতার তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচা বাজারের দাম জানতে চাইলে দোকানি জানালেন সোমবারের তুলনায় বেড়েছে দাম। অজুহাত, সরবরাহ কম। কিন্তু চাহিদা বেশি। সে কারণে দামও বেড়েছে। এদিকে বাজারের এমন হুলুস্থুল পরিস্থিতিতে কেনাকাটা অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন ক্রেতারা। বেশ কয়েকজন ক্রেতা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তারা তুলনার চেয়ে কম কিনছেন। বাজারের এই পরিস্থিতিতে একজন ক্রেতা বলেন, গতকাল যে বেগুন ৬০ টাকায় বিক্রি হইছে আজ সেসব ১২০ টাকার নিচে বিক্রি করছেন না বিক্রেতারা।  এক জন ক্রেতা বলেন, সবকিছুই দামি! কি কিনবো আর কি কিনবো না সেই অঙ্ক মেলে না। সবসময় চেষ্টা করছি এক কেজি প্রয়োজন থাকলেও আধা কেজি দিয়ে চালাতে। তাও পারছি কই? রাতারাতি সব বদলে যায় আমাদের দেশে। বদলায় না শুধু ক্রেতাদের অসহায় অবস্থা।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়