• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি
টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতদিন পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন ছুটি চলছিল। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, এরই মধ্যে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলুর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এরমধ্যে স্কুল-কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছেন অভিভাবকরা। প্রসঙ্গত, এ বছর শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রমজানের শুরুতে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অন্যদিকে, রমজানের প্রথম ১০ দিন ক্লাস চালু ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একইভাবে সব কলেজ ও মাদরাসায়ও ছুটি কমিয়ে রমজানের শুরুর দিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়। ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৩

নিজেকে যে কারও চেয়ে বেশি ইসরায়েলপন্থী দাবি ট্রাম্পের
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার ইহুদি ভোটব্যাংকের দিকে নজর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সেই লক্ষ্যে নিজেকে এবার অতীতের যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের তুলনায় বেশি ইসরায়েলপন্থী বলে দাবি করলেন তিনি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।  চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, বাইডেন শতভাগ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে।    রিয়েল আমেরিকাস ভয়েস নেটওয়ার্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যে ইহুদি ব্যক্তি বাইডেনকে ভোট দেয় সে ইসরায়েলকে ভালোবাসে না এবং খোলাখুলিভাবে তার সঙ্গে কথা বলা উচিত। ইহুদিদের বুঝতে হবে যে তারা বাইডেন বা ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিতে পারেন না; কারণ ডেমোক্রেটরা শতভাগ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে।  সত্যিই, এটা অবিশ্বাস্য যে ঐতিহাসিকভাবে ইহুদিরা ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেয়। এরপরই ট্রাম্প দাবি করেন, এখন পর্যন্ত অন্য যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ে তিনি অনেক বেশি ইসরায়েলপন্থী ছিলেন। এ সময় ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি প্রত্যাহার ও জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এসব কেউ চায়নি; কিন্তু আমি না চাইতেই করে দিয়েছি।’ ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেওয়া ইহুদিদের খারাপ একটি অভ্যাস উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বুঝি না, কোনো ইহুদি কীভাবে ডেমোক্র্যাটদেরকে ভোট দেয়।’
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৬

ব্যাংক কর্মকর্তা অপহরণ : যত টাকা মুক্তিপণ দাবি 
বান্দরবানে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাকে মুক্তি দিতে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) অপহৃত সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনের পরিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  নেজাম উদ্দিনের পরিবারের এক সদস্য বলেন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নেজাম উদ্দিনের সঙ্গে তার স্ত্রী মাইছূরা ইসফাতের ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। অপহরণকারীরা তার মুক্তির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। পরে পরিবার বিষয়টি সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে নেজামকে উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। পরিবার ও ব্যাংকের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। প্রশাসনও আশ্বস্ত করেছে যে, নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধারে তাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।  সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম (বান্দরবান) মো. ওসমান গণি গণমাধ্যমকে বলেন, নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধারে সব ধরনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসন খুবই তৎপর। তবে মুক্তিপণ ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।  উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫২

রাতে নিরাপদ থাকার দাবি রিকশাচালকদের (ভিডিও)
থাকার জায়গা নেই। ভাড়া বেশি হওয়ায় মেসে থাকাও কষ্টসাধ্য। তাই কেউ রিকশার ওপর, কেউ আবার নিজের রিকশাটি আগলে ধরে পাশে শুয়ে ঘুমাচ্ছেন। সারাদিনের কঠোর পরিশ্রম শেষে ক্লান্ত দেহটি যখন নরম বিছানার খোঁজ করেন, তখন রিকশাচালকদের একমাত্র ভরসা নিজের রিকশাটি। এভাবেই রাত কাটছে রাজধানীতে শত শত রিকশাচালকের। ফলে তারা প্রায়ই ভুগছেন নানা শারীরিক জটিলতায়। তাই রাতে থাকার জন্য একটি নিরাপদ আবাস তৈরি করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রিকশাচালকরা। প্রতিদিন গভীর রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা, মিন্টো রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় এমন শতশত রিকশাচালকের দেখা মেলে। ঢাকায় কোনো বাসস্থান না থাকায় ২৪ ঘণ্টাই তাদের থাকতে হয় রিকশার কাছেই। সেগুনবাগিচার একজন রিকশাচালক জানান, প্রায় সারাদিনই রিকশার ওপর থাকি। রাতে ও দুপুরে রিকশার ওপরই ঘুমায়। দিনে ঝড়-বৃষ্টি হলে কোনো দোকানে আশ্রয় নিই, আর রাতে ঝড়-বৃষ্টি হলে রিকশাতে পর্দা দিয়ে ঘুমায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকার এক রিকশাচালক জানান, গত ১৫ বছর ধরে এভাবে রিকশার ওপরই ঘুমাচ্ছেন। প্রথমে একটি বাসাভাড়া নিয়ে ছিলাম, ভাড়া দেওয়ার পর আর পরিবারের জন্য বেশি টাকা পাঠাতে পারতাম না। এ জন্য সেটি ছেড়ে দিয়েছি। রিকশাচালকরা জানান, বাসাভাড়া বেশি হওয়ায় উপায় না পেয়ে এমন কষ্টের পথ বেছে নিতে হয়েছে তাদের। দিনরাত এমন কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জিত অর্থ দিয়েই হাসি ফোটে তাদের পরিবারের মুখে। তাইতো সকল কষ্ট ভুলে গিয়ে এভাবে এক যুগেরও বেশি সময় পার করে দিয়েছেন, তোহবার হোসেন ও আব্দুল বারেকসহ অনেকে। রাতে থাকার জন্য একটি নিরাপদ আবাস তৈরির দাবি জানিয়েছেন রিকশাচালকরা। 
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২১

কারাগারে বুশরাকে বিষ দেওয়া হয়েছে, দাবি ইমরান খানের
কারাগারে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির শরীরে বিষপ্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) আদিয়ালা কারাগারে বসা আদালতে শুনানির সময় ইমরান খান নিজেই এই অভিযোগ করেন। বিচারকের উদ্দেশে পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা বলেন, সাব-জেলে বুশরা বিবির শরীরে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে। তার ত্বক ও জিহ্বায় বিষপ্রয়োগের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। আমি জানি, এর পেছনে কার হাত রয়েছে। এসময় ইমরান খান আদালতের কাছে তার কারাবন্দী স্ত্রীকে বিষপ্রয়োগের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানান। একইসঙ্গে বুশরার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ চান। আদালত পিটিআই নেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো নির্দেশ জারি করেননি। তবে তার স্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য লিখিত আবেদন জমা দিতে বলেছেন। এর আগে, আদালতে হাজিরা দেওয়ার ফাঁকে সাংবাদিকদের কাছে একই অভিযোগ করেছিলেন বুশরা বিবি। তিনি বলেছিলেন, শবে মেরাজের সময় কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া খাবার ও পানি খুবই তেতো ছিল। তখন তার খাবারে ‘তিন ফোঁটা টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো হয়েছিল। বর্তমানে ইমরান খান রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী রয়েছেন। অন্যদিকে বুশরা বিবি এখন রাজধানী ইসলামাবাদে ইমরান খানের বানি গালার বাড়িতে বন্দী রয়েছেন। ওই বাড়িকেই সাব–জেল ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের প্রশাসন।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৪

প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার দ্রুত তদন্ত দাবি
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি  আদিবাসী শিশু প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ১১৭ জন নাগরিক। এ ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং কয়েকটি গণমাধ্যমের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। সেইসাথে সরকারের কাছে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার নিরপেক্ষ, দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন  করার দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো ১১৭ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতিতে বলা হয়- বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আমরা জানতে পারি, গত ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখ ঢাকার মোহম্মদপুরে ইংরেজি দৈনিক ‘দ্যা ডেইলি স্টার’-এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ১৩ বছর বয়সী শিশু (সাত বছরে স্কুল ছাড়ার বিবেচনায়) প্রীতি উরাং কর্মরত ছিল। অভিযোগ রয়েছে আশফাকুল হকের স্ত্রী তানিয়া হক প্রায়ই তার বাসায় কর্মরত গৃহকর্মীদের মারধর করতেন। সর্বশেষ প্রীতিকে আট তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রীতির বাবা অভিযোগ করেছেন, ওই গৃহে কাজ করার সময় সৈয়দ আশফাকুল হকের পরিবার প্রীতিকে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে দিত না। শিশুটি পড়ে যাবার আগে প্রাায় ১৩ মিনিট ঝুলে ছিল এবং বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু আশফাকুল হকের বাসা থেকে কেউ তাকে সাহায্য করেনি। আশ-পাশের মানুষজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে চাইলেও ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। শিশুটি পড়ে যাওয়ার পরে ওই বাড়ির কেয়ারকেটার তাকে হাসপাতালে ফেলে চলে আসে। পরে সে মারা যায়। লক্ষ্যণীয় হলো, প্রীতির প্রাক-স্কুলের নথি এবং ওই ফ্ল্যাটের ওই সময়ের সিসি টিভি ফুটেজ দুটোই গায়েব হয়ে গেছে। এটাও লক্ষ্যণীয়, এজাহারে প্রীতির বয়স ১৩ বছরের বদলে ১৫ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে একে অবহেলাজনিত মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সৈয়দ আশফাকুল হকের ওই ফ্ল্যাট থেকে ২০২৩ তারিখের ৬ আগস্ট ৭ বছরের আরো একজন গৃহকর্মী পড়ে গিয়েছিল বা লাফ দিয়েছিল। সে বেঁচে আছে। তার মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ আছে, তার জননাঙ্গের গভীর থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত ৩-৩-৩ সেন্টিমিটার দীর্ঘ-চওড়া-গভীর ক্ষত রয়েছে। তার জননাঙ্গে অপারেশন করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পড়ে যাবার আগেই সে দু’পায়ের মাঝে আঘাত পেয়েছিল। সেকারণে সে মরে যেতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে ওই শিশুটির পরিবারের সঙ্গে ২ লাখ টাকায় বিষয়টির আপসরফা হয়েছে। যদিও টাকা মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে চলে গেছে।  প্রীতির মৃত্যুর ১০ দিন পর ডেইলি স্টারের সম্পাদক এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘প্রীতির ঘটনায় তারা দুঃখ প্রকাশ করছে এবং ডেইলি স্টার সবসময় শিশু অধিকার সমুন্নত রাখার নীতিতে অটল আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি।’ তার এ বক্তব্য বিস্ময়কর ও দুর্ভাগ্যজনক। ডেইলি ষ্টারের উচিত ছিল ঘটনার পর পরই তাকে সুরক্ষা দেয়ার স্থলে অব্যাহতি দেয়া, তাহলে সম্পাদকের বক্তব্য কিছুটা হলেও অর্থবহ হতো।  এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের উদাসীনতা এবং তদন্ত প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অবহেলায় আমরা তীব্র ক্ষোভ এবং নিন্দা জানাচ্ছি। প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ডের নামান্তর বলে আমরা মনে করি।  কোন প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হলে আমরা তা মেনে নেব না। দেশের সকল সংবাদমাধ্যমের সম্মানিত সম্পাদকদের কাছে, এই মহান পেশার নিরপেক্ষতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবার ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখার আহবান জানাচ্ছি। আমরা বলিষ্ঠ কণ্ঠে এ ঘটনার নিরপেক্ষ স্বাধীন ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। সেই সঙ্গে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের কাছে নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরছি- ক) প্রীতি উরাংসহ পূর্বের সকল ঘটনার পুনঃতদন্ত করে দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। খ) প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বিবেচনা না করে এ মামলা অবিলম্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।  গ) প্রীতির পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। সেইসাথে তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ঘ) মৃতবৎ অবস্থায় যে শিশুটি বেঁচে আছে তার যথোপযুক্ত চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।  ঙ) শিশুটির শরীরের বিশেষ ক্ষতটি পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করতে হবে। চ) সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ৩ জন শিশু গৃহসহকারী ছিল। তারা ৭, ৮ এবং ১১ বছর বয়সে কাজে যোগ দেয়। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ব্যক্তি শিশু। শ্রম আইনের ৩৪ ধারা অনুয়ায়ী, কোন শিশুকে কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না। সৈয়দ আশফাকুল হক কিংবা তার পরিবারের কোন সদস্য শিশু যৌন নিপীড়ক কিনা সে বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা। ছ) যে দারোয়ানরা প্রীতিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে দেয়নি, তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জ) ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতন করার অভিযোগে তাকে অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।  বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন- ১. সুলতানা কামাল, মানবাধিকার কর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা  ২. খুশী কবির, সমন্বয়কারী, নিজেরা করি ৩. ড. হামিদা হোসাইন, মানবাধিকার কর্মী ৪. ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, নির্বাহী পরিচালক, রিব ও প্রাক্তন অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫. আনু মুহাম্মদ, প্রাক্তন অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬. ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি ৭. রাণী য়েন্ য়েন, চাকমা রানী, রাঙামাটি ৮. অ্যাড. জেড আই খান পান্না, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৯. অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ  ১০. ফারহা তানজীম তিতিল, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১১. প্রিসিলা রাজ, লেখক-গবেষক ১২. সামিনা লুৎফা নিত্রা, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৩. বীনা ডি’ কস্টা, অধ্যাপক, অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১৪. অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস,  গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫. সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ১৬. কাজল দেবনাথ, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ  ১৭. শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (এএলআরডি) ১৮. পল্লব চাকমা, নির্বাহী পরিচালক, কাপেং ফাউন্ডেশন ১৯. পারভেজ হাসেম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২০. গীতি আরা নাসরিন, অধ্যাপক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২১. অ্যাড. তবারক হোসেইন, সহ-সভাপতি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২২. অ্যাড. মিনহাজুল হক চৌধুরী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২৩. রেহনুমা আহমেদ, লেখক। ২৪. শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী। ২৫. মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২৬. ফিরোজ আহমেদ, রাজনীতিবিদ  ২৭. অমল আকাশ, শিল্পী ও সংগঠক ২৮. মনিন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ২৯. সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক, আইন বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩০. মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, নৃৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৩১. সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৩২. সাঈদিয়া গুলরুখ, সাংবাদিক ৩৩.  ড. সীমা জামান, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩৪. জাকির হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, নাগরিক উদ্যোগ ৩৫. জোবাইদা নাসরীন কণা, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  ৩৬. নুর খান, মানবাধিকারকর্মী ৩৭. অ্যাড. সাইদুর রহমান, প্রধান নির্বাহী, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন ৩৮. ব্যারিস্টার আশরাফ আলী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৩৯. ব্যারিস্টার শুভ্র চক্রবর্তী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৪০. ব্যারিস্টার শাহাদাত আলম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  ৪১.  স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৪২.  নাসরিন খন্দকার, নৃবিজ্ঞানী এবং পোস্টডক্টরাল গবেষক, ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক, আয়ারল্যন্ড ৪৩.  ড. সাদাফ নূর, ল্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড ৪৪.  ড. রোহিনী কামাল, শিক্ষক ও গবেষক ৪৫. দীপায়ন খীসা, কেন্দ্রীয় সদস্য, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ৪৬. হানা শামস আহমেদ, আদিবাসী অধিকার কর্মী ও ডেইলি স্টারের প্রাক্তন সাংবাদিক ৪৭.   রোজীনা বেগম, এম এ শিক্ষার্থী, মাহিডন বিশ্ববিদ্যালয়,ব্যাংকক, থাইল্যান্ড  ৪৮.  মাইদুল ইসলাম, ডক্টরাল গবেষক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৯.   দিপ্তী দত্ত, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫০.  জান্নাতুল মাওয়া, আলোকচিত্রী।  ৫১.  সায়েমা খাতুন, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী, উইসকনসিন, যুক্তরাষ্ট্র।  ৫২.  আতিকা রোমা, সমাজকর্মী।  ৫৩.  রুহী নাজ, আইনজীবী ও অধিকার কর্মী ৫৪.  বর্ণালী সাহা, কথাসাহিত্যিক ৫৫.  মঞ্জিলা ঝুমা, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৫৬.  সাধনা মহল, গবেষক ও অধিকার কর্মী  ৫৭.   সোহেল রহমান, বাংলাদেশি-পর্তুগীজ চলচ্চিত্রকার ৫৮.  বীথি সপ্তর্ষি, সাংবাদিক ও লেখক ৫৯.  তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক ৬০.  মীর মুশফিক মাহমুদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও মানবাধিকার কর্মী। ৬১.  মোহাম্মদ রোমেল, ফিল্মমেকার এবং সংগঠক ৬২. মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬৩.  মোস্তফা হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়  ৬৪.  সাদিয়া রহমান সাথী, শিশুদের জননী  ৬৫. মোশরেকা অদিতি হক, সহযোগী অধ্যাপক নৃবিজ্ঞান বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৬৬. জায়েদ সিদ্দিকী, স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও উন্নয়নকর্মী। ৬৭.  শরৎ চৌধুরী, লেখক, শিক্ষক নৃবিজ্ঞানী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়  ৬৮. রুশাদ ফরিদী, অর্থনৈতিক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (অর্থনৈতিক বিভাগ বলে কিছু আছে কি?) ৬৯. শর্মি হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ৭০. সানজিদা ইসলাম, সমন্বয়ক, মায়ের ডাক ৭১. আফরিন লায়লা শাপলা, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, স্টাম্পফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ৭২. মাহবুব মোর্শেদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ৭৩. রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী ৭৪.  লায়লা পারভীন, সভাপতি, নারী অধিকার জোট, নোয়াখালী।  ৭৫. নাসরিন সিরাজ, নৃবিজ্ঞানী, ফিল্ম নির্মাতা।  ৭৬. আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।  ৭৭.  মাহফুজা হক নীলা,  সংস্কৃতি ও মানবাধিকার কর্মী ৭৮.  ৠতু সাত্তার, শিল্পী ৭৯.  সালমা আবেদীন পৃথি, আলোকচিত্রী ৮০.  মুনেম ওয়াসিফ, শিল্পী ৮১.  খন্দকার তানভীর মুরাদ, আলোকচিত্রী ৮২.  তানজিম ওযাহাব, কিউরেটার, শিক্ষক, পাঠশালা ৮৩. মাসউদ ইমরান মান্নু, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৮৪.  ওমর তারেক চৌধুরী, লেখক, অনুবাদক ৮৫.  তন্বী নওশীন, পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট, বার্লিন ৮৬.  সতেজ চাকমা উপ-সম্পাদক, আইপি নিউজ ৮৭.   অলিক মৃ, সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ৮৮.  ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, সংগীত শিল্পী ৮৯.  সাঈদা গুলরুখ, সাংবাদিক ৯০.  ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৯১.  অ্যান্টনি রেমা, সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরাম ৯২.  কৃষ্ণপদ মুন্ডা, নির্বাহী পরিচালক, সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস্), শ্যামনগর, সাতক্ষীরা ৯৩. ফাল্গুনী ত্রিপুরা, সমন্বয়ক, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক ৯৪. জন জেত্রা, সভাপতি, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) ৯৫. শ্যাম সাগর মানকিন, গানের দল মাদলের গায়ক ৯৬. চ্যংয়ুং ম্রো, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র পরিষদ ৯৭.  অনন্যা দ্রং, খু.সাল প্রান্তিক নারী সংগঠন ৯৮. ফ্লোরা বাবলী তালাং, সাধারণ সম্পাদক, কুবরাজ ৯৯. বিচিত্রা তির্কী, সভাপতি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ১০০. বাসন্তী মুরমু, সভাপতি, আদিবাসী নারী পরিষদ ১০১. হরেন্দ্রনাথ সিং, সভাপতি, আদিবাসী যুব পরিষদ ১০২. অনিল গজাড়, সভাপতি, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ ১০৩. ধনঞ্জয় চাকমা, দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটি ১০৪. রেং ইয়ং ম্রো, সহ সভাপতি, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ১০৫. নিপণ ত্রিপুরা, সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ১০৬. ডা. মুশতাক হোসেন, আহ্বায়ক, জনউদ্যোগ, জাতীয় কমিটি ১০৭. তারিক হোসেন, সদস্য সচিব, জনউদ্যোগ, জাতীয় কমিটি ১০৮. বীথি ঘোষ, সাংস্কৃতিক কর্মী, সমগীত ১০৯. শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা, সভাপতি, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ১১০. জনি মানখিন, শিক্ষক ১১১. মিলন চিসিম, নারী উদ্যোক্তা ১১২. মিঠুন রাকসাম, কবি ১১৩. পরাগ রিছিল, গবেষক ১১৪. মোশরেফা মিশু, সাধারণ সম্পাদক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও সভাপতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম ১১৫. শহীদুল ইসলাম সবুজ, রাজনৈতিক সংগঠক, সাধারণ সম্পাদক, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম ১১৬. ড. বুলবুল আশরাফ, সহযোগী অধ্যাপক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ১১৭. এহসান মাহমুদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৮

বন কর্মকর্তা হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি নাগরিক সমাজের
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের অতিসত্বর আইনের আওয়ায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। রোববার (৩১ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর পাঠিয়েছে সংগঠনটির নেতারা। চিঠিতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উল্লেখ করেন, দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামানের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের আওতাভুক্ত রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় বনের জমি রক্ষা করতে গিয়ে ভূমি দস্যুদের নির্মমতার শিকার হন সাজাদুজ্জামান। উখিয়া রেঞ্জের হরিণমারা অংশ থেকে পাহাড় কেটে বালু সরবরাহ করার সময় একটি মিনি ট্রাক (ডাম্পার) তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এ ঘটনায় আহত হন আরও এক বন কর্মকর্তা। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এর আগে ২০২০ সালের ৭ আগস্ট মহেশখালীতে মো. ইউসুফ উদ্দীন নামে আরও এক বন রেঞ্জ কর্মকর্তা পাহাড় ও বনখেকোর হাতে অপহত্যার শিকার হয়েছিলেন। সে ঘটনারও সঠিক ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়নি। পাহাড় ও বন খেকোদের দমন করতে না পারার ব্যর্থতা এসব অপরাধীকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। এর ধারাবাহিকতায়ই সাজাদুজ্জামানকেও অপহত্যার শিকার হতে হলো। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের নেতারা। একইসঙ্গে প্রয়াত মো. ইউসুফ ও সাজাদুজ্জামানের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহত বন কর্মকর্তার চিকিৎসা দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা। চিঠিতে বনভূমি রক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানানোসহ এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ জানিয়েছেন নেতারা। প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে সই করেছেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল, নিজেরা করি এর সমন্বয়কারী খুশী কবির, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞানবিভাগ ও ডিন, বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪০

বাস ভাড়া কমানোর দাবি
দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমানোর হিস্যা অনুযায়ী বাস ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। রোববার (৩১ মার্চ) সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, জ্বালানি তেলের দাম ইতোমধ্যে দুই দফা কমানো হয়েছে। অথচ বাস ও পণ্যবাহী পরিবহনের ভাড়া কমানোর কোনো উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। এর আগেও জ্বালানি তেলের মূল্য ৩ টাকা কমানোর পরে বাসের ভাড়া ৩ পয়সা হারে কমিয়ে বাস ভাড়ার তালিকা পুনঃনির্ধারণ করা হলেও যাত্রীসাধারণ এই ৩ পয়সা কমানোর সুফল পাইনি। তখন থেকে সরকার পরিবহন মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে এহেন ছোট ছোট অংকের হারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো হচ্ছে কি না তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর হিস্যা অনুযায়ী বাস, লঞ্চ ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া কমানোর দাবি জানান তিনি। এদিকে, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানোর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে বাস ভাড়া নির্ধারণে বৈঠকে বসবে সরকারি কমিটি। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৭

বুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি প্রসঙ্গে যা জানালেন উপাচার্য
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর সঙ্গে আমরাও সহমত, তবে এগুলো পূরণে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‌‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। কিন্তু সকাল ৯টা, দুপুর ২টা—এভাবে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। দাবি পূরণ করার জন্য যা যা করার, করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন এলে আমরা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’  তিনি বলেন, ‘নিয়মের বাইরে আমি কিছু করতে পারব না। নিয়মবহির্ভূতভাবে একজনকে বহিষ্কার করলে সেটা আদালতে টিকবে না। নিয়মের মধ্যে সবকিছু করার জন্য সময়ের প্রয়োজন। যেহেতু রোজার মাস, সময় একটু বেশি দেওয়া উচিত ছিল।’ এর আগে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রবেশ এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর প্রতিবাদসহ পাঁচ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। সকাল ৭টায় তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।  তবে বিক্ষোভ শেষ করার আগে শিক্ষার্থীরা রোববারও টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করার ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও গত বুধবার মধ্যরাতের পর বহিরাগত কিছু নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান। বুধবার মধ্যরাতের পর ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগতদের’ প্রবেশ ও রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন। যিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এ ঘটনায় শুক্রবার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল ছিল বুয়েট ক্যাম্পাস। এদিন পাঁচ দফা দাবিতে দুপুর আড়াইটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টানা বিক্ষোভ করেন তারা। তারা দাবি আদায়ে শনিবার ও রোববারের পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন। এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা স্থগিত করিনি। শিক্ষার্থীরা বর্জন করেছেন। তারা পরীক্ষা স্থগিতের আবেদনও করেননি। তারা আবেদন করলে আমরা বিবেচনা করতাম। তারা এখানে ভুল করেছেন। পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু তারা পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী ঘণ্টা বাজবে, ছাত্ররা আসুক না আসুক—এমন ঘটনা বুয়েটে আগেও ঘটেছে। পরে তারা পরীক্ষার জন্য আবেদন করলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল বিবেচনা করতে পারে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের প্রবেশের বিষয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব যে, কেন তিনি ঢুকতে দিলেন। তার তো ঢুকতে দেওয়া উচিত হয়নি। গভীর রাতে কেউ (ক্যাম্পাসে) ঢুকলে এটা অবশ্যই অমানবিক বা অনিয়মতান্ত্রিক। কে ঢুকেছে, তাকে তো আগে চিহ্নিত করতে হবে। চিহ্নিত না করে তো শাস্তি দেওয়া যাবে না। তার জন্য সময় প্রয়োজন। যদি কোনো নিরাপত্তারক্ষী বহিরাগত ব্যক্তিদের ঢুকতে দিয়ে থাকেন, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব’  
৩০ মার্চ ২০২৪, ২২:৫০

৬ দফা দাবি না মানলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা বুয়েট শিক্ষার্থীদের
মধ্যরাতে একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘটনার জেরে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।  শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে থেকেই শিক্ষার্থীদের স্লোগানে উত্তাল বুয়েট ক্যাম্পাস।   শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো- ১. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চ মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ২১তম ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও হলের সিট বাতিল করতে হবে। ২. ইমতিয়াজের সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিলেন তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল ও টার্ম বহিষ্কার করতে হবে। ৩. রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বহিরাগত যারা ক্যাম্পাসে ঢুকেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তারা কেন ও কীভাবে প্রবেশের অনুমতি পেলেন- এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট জবাবদিহি দিতে হবে বুয়েট প্রশাসনকে। ৪. ১ ও ২ নম্বর দাবি শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) পদত্যাগ চান। ৫. ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এর প্রতিবাদ হিসেবে আগামীতাল শনিবার ও পরদিন রোববার টার্ম ফাইনালসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করা হবে। ৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েটের নীতিমালা অনুযায়ী এখানে সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ। এমন একটি ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে ঘটে যাওয়া এত বড় একটি রাজনৈতিক সমাগম এবং বহিরাগতদের আগমন বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার প্রতি অপমানজনক। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তর এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়ার দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। ঘটনার দেড় দিন পার হলেও ছাত্রলকল্যাণ পরিদপ্তর থেকে ঘটনার কোনো সদুত্তর ও জবাবদিহিতা শিক্ষার্থীদের কাছে আসনি। জড়িতদের বহিষ্কারসহ ছয় দফা দাবিতে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণাও দেন শিক্ষার্থীরা। ৩০ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বুয়েটের সব প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষার্থীরা।
২৯ মার্চ ২০২৪, ২২:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়