• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রামেশ্বপুর গ্রামের ছরআলী মাঝি বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশুরা হলেন বিবি ফাতেমা বেগম (৭) ও তার ছোট ভাই আবিদ হোসেন (৪)। তারা একই গ্রামের ছরআলী মাঝি বাড়ির আব্দুল হাইয়ের সন্তান।   এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন টিটু।   স্থানীয়রা জানান, দুই ভাই-বোন সকাল ৮টার দিকে ঘরের পাশে পুকুরে দাঁত ব্রাশ করতে যায়। এ সময় হাত-মুখ ধোয়ার সময় একজন পুকুরে পড়ে গেলে অন্যজন তাকে উদ্ধার করতে পানিতে নামে। পরে দুজনই পানিতে ডুবে যায়। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, হাত-মুখ ধোয়ার সময় পানিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরে তাদের মরদেহ পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:১১

টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে কি রোজা ভেঙে যায়?
সকালে টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা আমাদের সবারই অভ্যাস। পবিত্র রমজানের সকালেও অনেকেই টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করেন। কারও কারও মনে সন্দেহও জেগে ওঠে, টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভেঙে যায় না তো? আমাদের সমাজে প্রচলিত কিছু কুসংস্কারের কারণে রোজাদাররা বিভিন্ন বিষয় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। এতে করে তিনি নিজে যেমন কষ্টে থাকেন, সেইসাথে তার চারপাশের মানুষকেও বিড়ম্বনায় ফেলেন। তারমধ্যে একটি হচ্ছে দাঁত ব্রাশ করা। অনেক ফকিহ বলেছেন, টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভাঙে না। কারণ, টুথপেস্ট তো আমরা খাই না। তবে ব্রাশ করার সময় সতর্ক থাকতে হবে যে পেস্ট পেটে চলে না যায়। কোনো কোনো ফকিহ আবার বলেন, টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করলে রোজা মকরুহ হয়ে যায়। ভেঙে যাওয়ার কথা কেউ বলেননি। কারও মনে সন্দেহ হলে সাহরি খেয়ে ভালো করে পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে নেওয়া যায়। ইফতারের পরও চাইলে পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা যায়। দিনের বেলা তারা পেস্টের বদলে মিসওয়াকও ব্যবহার করতে পারেন। রমজান মাসে অনেকেই রোজা রেখে দাঁত ব্রাশ করেন না, মিসওয়াকও করেন না। এটা মোটেই ঠিক নয়। সারা দিন প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে মিসওয়াক ব্যবহার করা যায়। রাসুল (সা.) মিসওয়াক ব্যবহার করতেন। তাই মিসওয়াক করা সুন্নত। হাদিসে আছে, মিসওয়াক করে নামাজ পড়লে তা উত্তম। সুনানে আবু দাউদে যায়েদ বিন খালেদ আলজুহানী (রা.) বরাতে এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি—আমার উম্মতের জন্য কষ্টের আশঙ্কা না হলে তাদের ওপর মিসওয়াককে প্রতি নামাজের জন্য ফরজ করে দিতাম।’ রোজা রেখে কুলি করা, নাকে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা, পরিচ্ছন্ন হওয়ার জন্য গোসল করা, মিসওয়াক করা—এসবে সমস্যা নেই।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১০:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়