• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন আছে বলেই নির্বাচনে শক্তিধর রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রও সফল হয়নি’
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শ এদেশের সব মানুষের অন্তরে আছে বলেই বিগত নির্বাচনে শক্তিধর রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রও সফল হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।  শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতির বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাঙালি অস্তিত্বের উৎস বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। উপাচার্য বলেন, যে দলের জন্ম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু, যে দলের অস্তিত্বের মধ্যে আছে বঙ্গবন্ধু, যে দলের উৎস হলো বাঙালি জাতীয়তাবাদ আর অসাম্প্রদায়িকতা, সেই দলকে কখনও ধ্বংস করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার এমনকি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক অনুসারীদের হত্যা করলেও যে আদর্শ মানুষের অন্তরে আছে, সে আদর্শকে কখনই হত্যা করা যায় না। সেটির প্রমাণ হলো আজকে বারবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, অর্থনৈতিক দর্শন, সামাজিক দর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি সেটি বাস্তবায়ন হতে চলেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন টিকে আছে বলেই এখনও বাংলাদেশ টিকে আছে। এমনকি এ কারণে দেশে এখনও আওয়ামী লীগ টিকে আছে এবং অসাম্প্রদায়িকতা টিকে আছে। এরপর শিক্ষানীতির প্রসঙ্গ টেনে ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের শিক্ষানীতি করার জন্য ড. কুদরত-ই-খুদাকে প্রধান করে কমিশন করেন বঙ্গবন্ধু। ড. কুদরত-ই-খুদা সেদিন যে শিক্ষানীতি দিয়েছিলেন যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন এবং সেই শিক্ষানীতি যদি প্রয়োগ হতো তাহলে বাংলাদেশ আজকে যে অবস্থানে আছে তার বহু আগেই সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক যে স্থিতিশীলতা সেটি বাংলাদেশ অর্জন করতো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি এখন পর্যন্ত বেঁচে থাকতেন, তাহলে শিক্ষাক্ষেত্রেও সিঙ্গাপুরের যে অগ্রগতি, সেটি বহু আগেই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র অর্জন করতো। কিন্তু ঘাতকরা সেটি হতে দেয়নি। ঘাতকরা চেয়েছে বাংলাদেশ হবে পাকিস্তানের মতো অনেকটা মৃত অকার্যকর রাষ্ট্রের মতো। সেই রাষ্ট্রের যে ধ্যান ধারণা ছিল সেই ধ্যান ধারণার মতো বাংলাদেশ চলবে। সেজন্যই ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহকর্মীদের হত্যা করে এবং আওয়ামী লীগ নামক রাজনৈতিক দলকে হত্যা করার পাঁয়তারা করে। সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া, বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) হাফিজুর রহমানসহ প্রমুখ।   
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:১২

অভিনেত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, চটেছেন অভিনেতার স্ত্রী
কন্নড় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা দর্শন থুগুদীপা। বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে একাধিকবার বিতর্কের মুখে পড়েছেন তিনি। এবার অভিযোগ উঠেছে, আরেক অভিনেত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন দর্শন। আর এ খবর জানার পর চটেছেন দর্শনের স্ত্রী বিজয়লক্ষ্মী। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) কন্নড় সিনেমার অভিনেত্রী পবিত্র গৌড়া তার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। বেশ কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, পবিত্র গৌড়ার সঙ্গে নানা জায়গা ফ্রেমবন্দি হয়েছেন দর্শন। তাদের একটি বিয়ের ছবিও রয়েছে। এ ভিডিওর ক্যাপশনে পবিত্র গৌড়া লিখেছেন, এক দশক কেটে গেছে, আজীবন কাটাতে চাই। আমাদের সম্পর্কের ১০ বছর কেটে গেলো। ধন্যবাদ।’ তবে দর্শন-পবিত্র বিয়ে করেছেন কিনা তা নিশ্চিত করেননি। মূলত, পবিত্র গৌড়ার এ ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই তৈরি হয়েছে জটিলতা। দর্শনার স্ত্রী বিজয়লক্ষ্মীরও এটি দৃষ্টি এড়ায়নি। এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘কারো স্বামীর ছবি পোস্ট করার আগে এই নারীর সজাগ হওয়া উচিত। এই পোস্টে তার চরিত্র ও নৈতিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এই পুরুষটি বিবাহিত জেনেও সে তার কাছে থাকতে ও প্রয়োজন মেটাতে পছন্দ করে। এই ছবি পরিষ্কার বলে দিয়েছে খুশি গৌড়া পবিত্র গৌড়া ও সঞ্জয় সিংয়ের কন্যা।’ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে বিজয়লক্ষ্মী লিখেন, আমি সাধারণত, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কণ্ঠ উঁচু করতে পছন্দ করি না। আমার মনে হয়, পরিবারের স্বার্থে এখন তা করার সময় এসেছে। যারা সমাজে ভিন্ন ইমেজ তৈরি করতে চাইছে, তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনি পদক্ষেপ নেব। ব্যক্তিগত জীবনে ভালোবেসে বিজয়লক্ষ্মীকে বিয়ে করেন দর্শন। ২০০৩ সালে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন তারা। এ দম্পতির একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গোপন বিয়ে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা চললেও এখনো মুখে কুলুপ এঁটেছেন দর্শন। ১৯৯৭ সালে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে দর্শন থুগুদীপার। ২০০১ সালে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপর অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো— ‘ম্যাজেস্টিক’, ‘কারিয়া’, ‘গাজা’, ‘সারথি’ প্রভৃতি।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়