• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৩৮ টাকায় নেমেছে পেঁয়াজের দর 
ভারত ও কৃষকের মাঠ থেকে একযোগে পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করায় হু হু করে কমছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহখানেক আগের পাইকারি দরে এখন খুচরা বাজারেই মিলছে পণ্যটি। সবশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পাইকারি বাজারে বর্তমানে ৩৮ টাকায় নেমে এসেছে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম। হঠাৎ সরবরাহ বেড়ে যাওয়াতেই প্রতিদিন পেঁয়াজের দাম কমছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর পেঁয়াজের অন্যতম বড় দুই বাজার শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজে ভরপুর হয়ে উঠেছে আড়তগুলো। থরে থরে সাজানো বস্তা। কিন্তু সে তুলনায় বাজারে ক্রেতা একদমই কম। পাইকারি বাজারে বর্তমানে ৩৮ থেকে ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। সপ্তাহখানেক আগেও ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এখন এই দামে ভোক্তা সাধারণের কাছেই বিক্রি করতে হচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের।     এদিকে ভারত থেকে আমদানি করা এক হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রামের ১৮০টি স্পটে আজ মঙ্গলবার থেকে বিক্রি শুরু করেছে সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা টিসিবি। ভোক্তা পর্যায়ে ৪০ টাকা কেজিতে এসব ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি ডিলাররা। এর আগে, গত রোববার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের চালানটি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা স্টেশনে এসে পৌঁছায়। পরদিন সোমবার সকাল ৬টার দিকে চালানটি পৌঁছায় সিরাজগঞ্জে। সেখান থেকে ট্রাকে করে ওই পেঁয়াজ ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে ডিলারদের মাধ্যমে। ভারত থেকে আমদানি করা এই এক হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ঢাকার ১০৩টি, চট্টগ্রামের ৫৫টি আর গাজীপুরের ২২টি স্পটে বিক্রি করবে টিসিবি। ভারত সরকারের প্রতিশ্রুত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির প্রথম চালান এটি। বাকি ৪৮ হাজার ৩৫০ টন পেঁয়াজ রোজার ঈদের পর ধাপে ধাপে দেশে আসবে বলে জানানো হয়েছে টিসিবির পক্ষ থেকে।  
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪

নাটোরে অবিশ্বাস্য দরে বিক্রি হচ্ছে সবজি
ঢাকার বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। রমজান শুরুর আগেই ঢাকায় সবজির দাম বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। রমজান শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বহু গুণ। যেখানে ঢাকায় নিত্যপণ্য কিনতে দিশাহারা ক্রেতা-ভোক্তা। সেখানে অবিশ্বাস্য দরে সবজি বিক্রি হচ্ছে নাটোরে। কয়েক দিন আগেও নাটোরে সবজির বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৫ টাকা কেজি দরে, মুলা ২ থেকে ৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি, করলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, লালশাক এক টাকা আটি, ধনেপাতা ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি, ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। এ দিকে নাটোরে কম দামে সবজি কিনতে পেরে সন্তুষ্ট ক্রেতারা। কিন্তু সবজির বাজারে এমন ধস নামায় দিশেহারা কৃষক। মৌসুমের শুরুতে উৎপাদিত সবজির ভালো দাম পেয়েছিলেন কৃষকরা। আশা ছিল ভরা রমজানে আরও বেশি দামে বিক্রি করবেন। উল্টো রমজানের সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই সবজির দাম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সবজি বিক্রি করে পরিবহন খরচই উঠছে না তাদের। সবজির দাম কমে যাওয়ায় নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে নাটোরের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দামের কারণে আমরা তো সবজি খাওয়া প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। এখন বাজারে যা দাম, এমনটা হলে আমাদের সবজির ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পারব।  একজন রিকশাচালক খুশি হয়ে বলেন, সারা দিনে যা উপার্জন করি, তা চাল-ডাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় সবজির দাম কম হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি। এ বিষয়ে রাজশাহীর বাগমারা থেকে নাটোর স্টেশন বাজারে আসা এক কৃষক হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের উৎপাদিত শাকসবজি আমরা নাটোর স্টেশন বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে সবজির দাম কমে গেছে তাতে আমাদের পরিবহন খরচ নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে। সরকার একটা ব্যবস্থা না নিলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব। সবজির দাম নিয়ে বাগমারা থেকে আসা অপর এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, তেল সার কীটনাশক বীজের আকাশ ছোয়া দামের কারণে সবজি উৎপাদনে খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি হয়েছে। এমতাবস্থায় বাজার পরিস্থিতি এমন থাকলে পথে বসতে হবে কৃষকদের। শুধু কৃষকরাই ধাক্কা খায়নি। সেই সঙ্গে খুচরা বিক্রেতারাও ধাক্কা খেয়েছে অনেক বড়। এ প্রসঙ্গে নাটোর স্টেশন বাজারের একজন খুচরা বিক্রেতা জানান, আগে এক কেজি পণ্য বিক্রি করলে ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভ হতো। সেখানে সবজির প্রতি কেজি যদি দুই থেকে পাঁচ টাকা হয় তাহলে লাভ কীভাবে হবে। এমন অবস্থায় ক্রেতারাও যাতে সহনীয় দামে পণ্য কিনতে পারেন এবং কৃষক ও খুচরা বিক্রেতারাও স্বাভাবিক দাম রেখে তাদের পণ্য কেনাবেচা করতে পারেন এমনটাই প্রত্যাশা নাটোরবাসীর। জানতে চাইলে নাটোরের ভারপ্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জুয়েল সরকার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারব হঠাৎ কেন বাজারের এই অবস্থা হলো।’
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৭

নেপাল থেকে কমে বিদ্যুৎ চায় বাংলাদেশ, চলছে দর কষাকষি
নেপালের সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে দর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশের। কিন্তু বাংলাদেশের প্রস্তাবিত দর অনেক কম বলে তাতে সায় দিতে এখন পর্যন্ত সম্মত হয়নি দেশটি। ফলে, দর কষাকষি চলছে দুদেশের।  নেপালের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণন সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (এনইএ) কর্মকর্তারা সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেপালের জাতীয় দৈনিক দ্য কাঠমন্ডু পোস্টকে।  এনইএ’র এক কর্মকর্তা কাঠমন্ডু পোস্টকে বলেন, ‘আমরা যে দাম চেয়েছি, তা আমরা যৌক্তিক মনে করেই চেয়েছি। বাংলাদেশ যে দাম প্রস্তাব করেছে, এখনও আমরা তাতে সায় দিইনি। বাংলাদেশ কর্মকর্তারা বলেছে, এ ব্যাপারে তাদের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে আমাদের।’ প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি এবং ভারতের তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণন সংস্থা এনটিপিসি ও এনভিভিএন এর সঙ্গে ৫ বছর মেয়াদী চুক্তি করে বাংলাদেশের সরকার। সেই চুক্তির শর্ত অনুসারে, ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাবে নেপাল। ভারত-নেপাল সীমান্তের ধালকেবার-মুজাফফরপুর থেকে লাইন বা তারের মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে এ বিদ্যুৎ। চুক্তিতে প্রতি ইউনিটের দাম ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৩০ নেপালি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ দশমিক ৬৮ টাকা। আগামী জুন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হওয়ার কথা। এর মধ্যেই বাংলাদেশ সরকার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫ নেপালি রুপি ধার্য করার প্রস্তাব করেছে বলে জানিয়েছেন এনইএ’র একজন কর্মকর্তা। এতেই খানিকটা বেঁকে বসেছে নেপালের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এনইএ’র একজন কর্মকর্তা বলছেন, ‘চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বিদ্যুৎ পাঠানো সংক্রান্ত সার্ভিস চার্জ, হুইল চার্জ আমাদের বহন করতে হবে না। এনভিভিএন এই খরচ বহন করবে। বিদ্যুতের দাম যদি ইউনিট প্রতি ৯ দশমিক ৩০ নেপালি রুপি ধরা হয়, তাহলে সেখান থেকে নেপাল পাবে ৫ দশমিক ২৫ রুপি। বাকিটা পাবে ভারতীয় সংস্থা। কিন্তু, বাংলাদেশ যে দাম প্রস্তাব করেছে, তা কার্যকর হলে আমাদের ভাগে প্রায় কিছুই থাকে না।’ এনইএ’র নির্বাহী পরিচালক কুল মান ঘিসিংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গত সপ্তাহে ঢাকা এসেছিল। সে সময় বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বিদ্যুতের দাম নিয়ে দর কষাকষি হয় বলে জানা গেছে। তবে, এ বিষয়ে চুড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ নিয়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই চুড়ান্ত মত জানাবেন তারা। এনইএ’র নির্বাহী পরিচালক প্রদীপ কুমার ঠিকে অবশ্য ত্রিদেশীয় বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে এখনও আশাবাদী। কাঠমন্ডু পোস্টকে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ক্রয় করার জন্য প্রস্তুত, আর আমরা বিক্রির জন্য প্রস্তুত। আমাদের সর্বশেষ বৈঠক ইতিবাচক ছিল এবং আমরা আশাবাদী যে পরবর্তী বৈঠকে আমরা এ ব্যাপারে মীমাংসায় পৌঁছাতে পারব।’
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়