• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বরগুনা প্রেস ক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে
বরগুনা প্রেস ক্লাব দখলের অপচেষ্টা ও হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার আদালতে দায়েরকৃত মামলায় ৭ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে আদালতে এ আদেশ দেন তিনি। আদালত সূত্রে জানা যায়, বরগুনা প্রেস ক্লাবের অধিকাংশ সদস্য বার্ষিক শিক্ষা সফরে ভারতে অবস্থানরত অবস্থায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক ইউপি সদস্য মাসুদ তালুকদার ও কথিত সাংবাদিক মুশফিক আরিফের নেতৃত্বে বরগুনা প্রেস ক্লাবে হামলা চালিয়ে দখলের চেষ্টা চালায় একটি স্বার্থান্বেষী মহল। এ ঘটনায় আহত হন বরগুনা প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার সোহেল হাফিজ, যমুনা টেলিভিশনের রিপোর্টার ফেরদৌস খান ইমন এবং সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম মিরাজসহ ৭ জন সংবাদকর্মী। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে অভিযুক্ত করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে বরগুনা প্রেস ক্লাব। আজ ধার্য তারিখে আদালতে আসামিরা হাজির হলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ জামিন নামঞ্জুর করে বরগুনা জেলা শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়কের মৃত নজরুল শরীফের ছেলে মুশফিকুল ইসলাম (মুশফিক আরিফ), পাথরঘাটা উপজেলার বাঁশতলা নাসনা পাড়া গ্রামের হামিদ মোল্লার ছেলে এম হারুন অর রশিদ রিংকু, বরগুনা সদরের খাজুরতলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেন হাওলাদারের ছেলে সগীর হোসেন, বরগুনা সদরের পাজরাভাঙ্গা গ্রামের পিন্চু শরীফের ছেলে শাজনুস শরীফ, বরগুনা পৌরসভার আব্দুল কাদের সড়কের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে আল-আমিন, পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ রূপদোনের গ্রামের মৃত ইব্রাহিম খলিলের ছেলে জাফরুল হাসান রুহান (রুদ্র রুহান) ও বরগুনা পৌরসভার থানা পাড়ার মোশাররফ খানের ছেলে রাকিবুল হাসান রাজন খানকে কারাগারে পাঠানোর  নির্দেশ দিয়েছেন।        বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদের ও আসামি পক্ষে এ কে এম অ্যাডভোকেট এ কে এম শফিকুল ইসলাম নেছার। বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার বলেন, বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনার ১৩ দিন পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রেসক্লাবের দায়েরকৃত মামলার ১ নম্বর আসামি কথিত সাংবাদিক মাসুদ তালুকদার। এই স্বাভাবিক মৃত্যুকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে হত্যা মামলা দায়ের করে স্বার্থন্বেষী ওই মহলটি। এ ছাড়াও বরগুনা প্রেসক্লাবের প্যাড ও লোগো ব্যবহার করে আসামিরাসহ বাইরের কিছু তথাকথিত সাংবাদিকদের নিয়ে বরগুনা প্রেসক্লাবের নামে একটি ভুয়া কমিটির ঘোষণা করে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ২১:০৪

জাবিতে হলের তালা ভেঙে কক্ষ দখলের চেষ্টা, শিক্ষার্থীকে মারধর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হলের একটি কক্ষের তালা ভেঙে দখলের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হলের অষ্টম তলার ৮০৮ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই কক্ষের বাসিন্দারা হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- ৪৭ ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী অনুরাগ দাস, ৪৯ ব্যাচের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের মোস্তাকিম রহমান রাফি এবং ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির আরমানুল আলম। তারা সবাই হল ছাত্রলীগের কর্মী এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী বলে পরিচিত। প্রত্যক্ষদর্শী-সূত্রে ও অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অনুরাগ দাসের নেতৃত্বে রাফি ও আরমানসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন মিলে ৮০৮ নং কক্ষের দরজা ও তালা ভেঙে হামলা করে কক্ষ দখলের চেষ্টা করে। সেসময় ওই কক্ষের বৈধ শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দিতে গেলে দুইজন গুরুতর আহত হয়।  এ সময় অভিযুক্ত রাফি উচ্চস্বরে চেচিয়ে জানায় হল প্রাধ্যক্ষের নির্দেশে সে তালা ভাঙতে এসেছে। তালা ভাঙার সময় তাদের হাতে রড দেখতে পায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। ওই কক্ষের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তানজিম আহমেদ বলেন, রাফি সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন নিয়ে আমাদের রুমে তালা ভাঙতে আসে। তারপর তাদের সাথে কথা বলার পর রাফি বলে বিষয়টা দেখছি। তারপর রাতের দিকে আবার তালা ভাঙতে আসে। এ সময় সে চায়ের কাপ ছুড়ে মারায় আমার পা কেটে যায়।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অনুরাগ দাস বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছিলাম ওই রুমে কেউ থাকে না। তাই তালা ভেঙে ভিতরে যাই। রুমে কেউ থাকে না এটি মিস ইনফরমেশন ছিল। তালা ভাঙার বিষয়টা আমার ভুল হয়েছে। আমি অপরাধ স্বীকার করছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিবে তা মাথা পেতে নিবো।’ কক্ষ বণ্টন ও ফাঁকার খোঁজ রাখার দায়িত্ব প্রাধ্যক্ষের, আপনি কেন তা করতে গিয়েছেন জানতে চাইলে অনুরাগ বলেন, ‘চারতলা ও পাঁচতলা তো ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি পোর্শন ঘোষণা করা হয়েছে। এই ব্লকে যারা এলোটেড তারা অনেকেই নন-পলিটিকাল। আবার নন-এলোটেড অনেকেই পলিটিক্যালি এখানে এসেছে, সিট নিয়েছে। এই একটা ঝামেলা হয়েছে। প্রশাসন শুরু থেকে চার ও পাঁচতলা ফাঁকা করে নাই। এলোট দিয়ে ফেলেছে। এখন নন-পলিটিকাল যাদের আর্জেন্সি আছে ও ব্লকে থাকতে চায় না তাদের থাকার জন্য ওই কক্ষটিতে ব্যবস্থা করতে গিয়ে তালা ভেঙেছি।’ অপর দুই অভিযুক্ত রাফি ও আরমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর কবীর বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর পরই রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে রাতেই এই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছি। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৯

র‌্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মো. সিরাজুল ইসলাম নামে এক র‌্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর জায়গা অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের পৌর এলাকার দাতিয়ারা গ্রামের বিলকিছ বেগম নামে ওই ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার চাচাতো ভাই মো. শিমুল।  লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌর এলাকার দাতিয়ারা মৌজায় বি.এস ১৯ দাগে ১০ শতক জায়গার মধ্যে ৫ শতকে বিলকিছ বেগম ক্রয়সূত্রে স্বত্ববান ও ভোগদখলকারী এবং বাকি ৫ শতকে সিরাজুল ইসলামের অবস্থান। তবে সিরাজুল ইসলাম র‌্যাব-৯ জোনে কর্মরত থাকায় সেই প্রভাব খাটিয়ে বিলকিছ বেগমের জায়গা অবৈধভাবে দখলের পায়তারা করে আসছে। সম্প্রতি বিলকিছ বেগম তার জায়গায় একাধিকবার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে সিরাজুল ইসলাম বাধা দেয় এবং পরে তা ভেঙ্গে ফেলে। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। এমন কি তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি প্রদান করে। এছাড়াও সিরাজুল ক্ষমতাবলে জায়গা জবর দখল ও প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগে আনা হয়। এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত তারা নিজেরাই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৮

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সরকারী নাল ভূমি ও কবরস্থানের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লিখিত অভিযোগ করেন এলাকার লোকজন।  অভিযোগে বলা হয়, আজাদ হাজারী আঙ্গুর ও তার সহযোগীরা ঘাটুরা মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের বিএস ২০৪৪ দাগের ৬ শতক নাল ভূমি ও ২০৬০ দাগের ২ শতক কবরস্থানের জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করে বাণিজ্যিক ভাবে ভোগ দখল করছেন।  তবে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। জায়গা ঠিকই আছে। সরকারের জায়গা থাকলে সরকার উদ্ধার করুক।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, জায়গাটি পরিমাপ করে দেখার জন্যে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৬

কালিয়াকৈরে সরকারি বাজার দখলের অভিযোগে মানববন্ধন
গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সফিপুর সরকারি বাজার দখলের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সফিপুর বাজার এলাকায় ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৫০ বছর আগে সফিপুর বাজারটি গড়ে ওঠে। ওই বাজারে প্রায় ৫ হাজার দোকান রয়েছে। বাজারে পৌর সভা ও রাজস্ব খাত থেকে প্রতি বছর বাজার উন্নয়নের কাজ হয়ে থাকে। এবার প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পৌরসভার তত্ববধানে ও বাজার সমিতির সহযোগিতায় সংস্কার কাজ চলছে।  ওই বাজারের জমি পাবে দাবী করে অনিল চন্দ্র বর্মন, রবিউল ইসলাম রুবেল ও সেলিম হোসেন বাজারে দখলের পায়তারা ও হুমকি দিয়ে আসছে। তারা মেয়র ও পৌর কাউন্সিলর বাজার কমিটির নেতাদের হয়রানি করছে বলে জানানো হয়। ওই বাজারটি পেরিফেরির ভিতর গেজেটভুক্ত ৫০ বছর যাবত ইজারা দিয়ে রাজস্ব পাচ্ছে। মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে বাজার রক্ষা, মেয়র ও পৌর কাউন্সিলর বাজার কমিটির নেতাদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়। ওই তথাকথিত দাবিদারদের নানা অপপ্রচার ও হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।  এ সময় সফিপুর বাজার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান জয়, সহ-সভাপতি হারিজ উজ্জামান হারিজ, সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ফিরোজ হোসেন, ব্যবসায়ী মতিউর রহমান, নজরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।  
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩১

সরকারি অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত জমি দখলের অভিযোগ
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার টেংরাখোলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত জমিতে বাজারের স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি অবকাঠামো নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা টাঙানো থাকলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, মুকসুদপুরের দক্ষিণ চণ্ডীবরদী গ্রামের মৃত গিয়াসউদ্দিন সরদারের ছেলে এস এম পলাশ মাহমুদের দাবিকৃত জমিতে টেংরাখোলা বাজারে ওয়েট মার্কেটের জন্য আধাপাকা ভবন নির্মাণ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।  এস এম পলাশ মাহমুদ অভিযোগ করেন, তার জমিতে অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করতে অনুরোধ করার পরও কেউ তার কথা শোনেনি। বরং জমির দখল ছেড়ে দিতে নানা রকম হুমকিও দিচ্ছে প্রভাবশালীরা। পলাশ জানান, হাটবাজার বসানোর অভিপ্রায়ে ১৯৬৩ সালে আমার দাদা মৃত আজহার সরদারের কাছ থেকে বর্তমান টেংরাখোলা বাজার সংশ্লিষ্ট ৭০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। কিন্তু কোন টাকা পরিশোধ করেনি। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার জমিটি অবমুক্ত করে দেয়। এরপর থেকেই আমরা এই জমিতে দোকানপাট তুলে ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রশাসনের যোগসাজশে জমি থেকে দোকানপাট উচ্ছেদ করতে আসলে আমি আইনি সহায়তা নিই। তিনি বলেন, জমির মালিকানা নিশ্চিত করতে ২০০৫ সালে সরকারকে বিবাদী করে মামলা করি আমরা। ২০০৯ সালে সেই মামলার রায় আমাদের পক্ষে দেন যুগ্ম-জেলা জজ আদালত। তারই প্রেক্ষিতে বাবা হয়ে ওয়ারিশ সূত্রে ১৮.৫৬ শতাংশ জমি আমার মালিকানায়। কিন্তু গেলো বছরের ২৩ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আমার দোকানঘর ভেঙে ফেলে বাজারের অবকাঠামো নির্মাণের হুমকি দেন পৌর মেয়র। এর প্রেক্ষিতে আমি আবার আদালতের শরণাপন্ন হই। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে অন্যদের নালিশি ভূমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ আমার বর্তমান দখল বজায় রেখে স্থিতি অবস্থা জারি করেন সিনিয়র সহকারী জজ আদালত। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন টানানো থাকলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পকে ওয়েট মার্কেট নির্মাণের অনুমতি দেন পৌর মেয়র ও ইউএনও। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আমার জমি প্রভাবশালীদের অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মুকসুদপুর পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম শিমুল বাজার নির্মাণের সঙ্গে সব ধরনের দায়বদ্ধতা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওয়েট বাজার নির্মাণের প্রজেক্ট প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের, এখানে পৌরসভার কোনো হাত বা নিয়ন্ত্রণ নেই। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) অমিত কুমারের পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমাম রাজি টুলু এ জমি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এটি সরকারি খাস জমি। আমি আইন-আদালত ভালো বুঝি না তাই অবকাঠামো নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমাম রাজি টুলুও এটাকে সরকারি খাস জমি বলে দাবি করে বলেন, খাস জমি রক্ষা করার দায়িত্ব প্রশাসনের। তাই আমি একে রক্ষা করার চেষ্টা করছি। কিন্তু পরক্ষণেই জমিটি ব্যক্তিগত নামে রেজিস্ট্রেশন হবার কথা স্বীকার করে ইউনএও বলেন, ভুল করে সরকারের জমি ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয়েছে। এটা ফিরে পেতে আমরা মামলা করেছি। আশা করি রায় পক্ষে পাব। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কেন এই জমিতে কাজ শুরু হলো? -এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান ইউএনও ইমাম রাজি টুলু।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৮

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী শহর দখলের দাবি আরাকান আর্মির
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের দাবি করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যের পালেতওয়া শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। খবর রয়টার্সের। আরাকান আর্মির মুখপাত্র রোববার রাতে জানিয়েছেন, তারা কালাদান নদীর তীরে অবস্থিত বন্দর শহর পালেতওয়া জয় করেছে। শহরটি প্রতিবেশী দেশগুলোর (বাংলাদেশ ও ভারত) সঙ্গে বাণিজ্যের চাবিকাঠি।  আরও পড়ুন : ‘নির্বাচন শেষ হলেও দেশবিরোধীদের চক্রান্ত শেষ হয়নি’   তিনি বলেন, সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। খাইন থু খা আরও জানান, তারা শিগগিরই ওই এলাকার প্রশাসনিক ও আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেবে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি মিয়ানমারের জান্তা সরকার। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সুচির কাছ থেকে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু এর আগেই যোদ্ধারা রাখাইনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছিল।  দুই বছর আগে আরাকান আর্মি রাজ্যের ৬০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছিল। 
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়