• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
আরাকান আর্মির দখলে বিজিপির ক্যাম্প, কমেছে গোলাগুলি
মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-কে পরাস্ত করে তাদের ক্যাম্প আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে বলে জানা গেছে। এরপর থেকে সেখানে গোলাগুলি কিছুটা কমেছে। ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে যারা গোলাগুলির ভয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই আবার ঘরে ফিরেছেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, তুমব্রু সীমান্তের ওপারে পাহাড়ের টিলায় টিলায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি বিওপি রয়েছে। সেখানে অস্ত্রসহ অনেকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সীমান্তের বাসিন্দারা যাদের আরাকান আর্মি বলছেন। তাদের ভাষ্য, আরাকান আর্মি মিয়ানমার সীমান্তে বিজিপির কাছ থেকে তাদের ক্যাম্পের দখল পুরোপুরি নিয়ে গেছে। এ কারণে গোলাগুলির মাত্রা কমেছে। এখন হয়তো জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নতুন কোনো কৌশল নিতে পারে। তবে বর্তমানে মিয়ানমারের সীমান্তরেখা দেশটির সরকারি বাহিনীর হাতে নেই। তুমব্রুর বাইশফাঁড়ি গ্রামের আবদুল মালেক বলেন, আমার স্ত্রী-সন্তানকে এতোদিন সীমান্ত থেকে দূরে আত্মীয়র বাড়িতে রেখেছিলাম। মঙ্গলবার রাত থেকে গুলির শব্দ কম হচ্ছে। তাই তাদের আবার বাড়িতে নিয়ে এসেছি। তিনি বলেন, গোলাগুলি কমে যাওয়া এবং সীমানার ওপারে ক্যাম্পে যারা ঘোরাঘুরি করছে তা দেখে মনে হচ্ছে, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে পরাস্ত করে তাদের ক্যাম্প আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে। একই এলাকার কৃষক শামসুল আলম বলেন, নাসাকা বাহিনী আর আরাকান আর্মির পোশাক আলাদা। কয়েক দিন ধরে সীমান্তের ওপারে বিজিপি ক্যাম্পে আরাকান আর্মির পোশাকে অনেককে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। নাসাকার কারও দেখা নেই। তুমব্রুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার দিল মোহাম্মদ বলেন, আমার ওয়ার্ডে চার হাজারের মতো লোক। নারী-শিশুরা অন্যত্র চলে গেছে। গোলাগুলি বন্ধ হতে শুরু করলে কেউ কেউ ঘরে ফিরছেন। ওপারে সীমান্তরেখার নিয়ন্ত্রণ আসলে এখন কাদের হাতে– এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, আমাদের কাছে কিছু তথ্য এসেছে। তার ভিত্তিতে কিছু বলতে চাই না। তুমব্রু বিওপি থেকে আমি যেটা দেখে এলাম, সেখানে রাইট বিজিপি পোস্ট রয়েছে। কিছু লোকজন চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। তবে তারা মিয়ানমার আর্মি, বিজিপি নাকি বিদ্রোহী বোঝা যাচ্ছে না। তবে তারা যেই হোক না কেন, আমাদের সীমানার ভেতরে যেন কোনো আক্রমণ না আসে– সেটা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এদিকে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং সীমান্ত হয়ে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে আরও ৬৪ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। পরে তাদের নিরস্ত্রকরণ করে বিজিবি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে বিজিপিসহ বিভিন্ন সংস্থার ৩২৮ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তবে তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি বলেন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ হচ্ছে। যারা এখানে এসেছে, তাদের নিতে প্রস্তুত মিয়ানমার। এদিকে সীমান্তে অস্থিরতার কারণে আগামী শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন অভিমুখে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫১

মোশাররফ করিমের দখলে কলকাতার মেট্রোরেল
মোশাররফ করিমের নাটক কিংবা সিনেমা মানেই হিট। সেটা দেশে হোক আর বিদেশে। ইতোমধ্যেই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নাম লিখিয়েছেন ওপার বাংলায়। শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার ভারতীয় সিনেমা ‘হুব্বা’। এদিকে শুধু টালিউডের রুপালি পর্দা নয়, দখল করেছেন কলকাতার মেট্রোরেলও।  বলা যায়, বর্তমানে মোশাররফ করিমের দখলেই রয়েছে কলকাতার মেট্রোরেল। অভিনেতার ‘হুব্বা’ সিনেমার পোস্টারে যেন ছেয়ে গেছে মেট্রোরেল। সেখানে প্রধান চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন মোশাররফ করিম। আর সেই দৃশ্য এই দৃশ্য চোখ এড়াইনি নেটিজেনদের। আগামী ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় মুক্তি পেতে পাচ্ছে মোশাররফ করিম অভিনীত ভারতীয় থ্রিলার সিনেমা ‘হুব্বা’। পাশাপাশি একইসঙ্গে বাংলাদেশেও মুক্তি পাবে সিনেমাটি। তবে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও যে মোশাররফ করিম ব্যাপক জনপ্রিয় সেটা খুব ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে।  বর্তমানে ‘হুব্বা’ মুক্তির আগেই ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার চলছে সিনেমাটি নিয়ে। দেশজুড়েই ছেয়ে গেছে সিনেমার পোস্টার। এদিকে কলকাতায় মেট্রোরেলের ছেয়ে যাওয়া পোস্টারের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়।  জানা গেছে, নব্বই দশকের শেষদিকে অপরাধ জগতে অত্যন্ত ক্ষমতাধর ছিল গ্যাংস্টার হুব্বা। মূলত ভারতের সেই কুখ্যাত গ্যাং স্টার হুব্বা শ্যামলের জীবনের ওপরেই  নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। হুগলির দাউদ ইব্রাহিম নামেও পরিচিত ছিলেন হুব্বা। খুন, মারামারি, মাদক চোরাচালানসহ নানা অপরাধে তার দাপট ছিল।     ভারতের বৈচিত্র্যে ভরা সেই ‘হুব্বা’র চরিত্রেই অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। এছাড়া সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন পৌলমী বসু, শ্রাবণী দাস, সৌমিক হালদার প্রমুখ।  প্রসঙ্গত, খুন, অপহরণ সব ধরনের অপকর্মের সঙ্গেই জড়িত ছিলেন হুব্বা। তার নামে চোরাচালানের ৩০টি মামলাও ছিল। আর এসব অপকর্মের জন্য ৭০টি ফোন ব্যবহার করতেন হুব্বা। তিনবার পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও জামিনে মুক্তি পেয়ে যায় এই গ্যাংস্টার। তবে ২০১১ সালে নিখোঁজ হওয়ার কিছুদিন পরে বৈদ্যবাটির খালে গলিত মরদেহ পাওয়া যায় হুব্বা শ্যামলের।   
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়