• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আসছে ঈদ, নদীতে মাছ না থাকায় হতাশ জেলেরা 
ইলিশের ভরা মৌসুমেও হাসি নেই বরগুনার পাথরঘাটার জেলেদের মুখে। একদিকে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলীয় নদী বিষখালী-বলেশ্বর নদীতে নেই ইলিশ। আরেক দিকে ডাঙায় এনজিওর ঋণের চাপ। এ নিয়ে ঈদের আনন্দ সবার হৃদয়ে কড়া নাড়লেও জেলেদের রাজ্যের বিষাদ। নদ-নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় ঋণের জালে বন্দি হয়ে আছে ঈদের আনন্দ। শিশুদের গায়ে নতুন জামা উঠবে কিনা তা নিয়েই দুশ্চিন্তা। এ দিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ব্যয় বেড়েছে জেলেদের। এ কারণে ঋণের জালে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন তারা। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলায় মোট জেলে রয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার। এর মধ্যে সরকারি নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ১৬ হাজার ৮২০ জন। মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে প্রতি মাসে প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলের মধ্যে ১৬ হাজার ২২৮ জনের পরিবারকে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।  এ বিষয়ে কথা হয় জেলে মনির, ইলিয়াস, বেল্লাল হোসেন, ছরোয়ারের সঙ্গে। তারা বলেন, এক দিকে আবরোধ অন্যদিকে সাগরে নিম্নচাপ। এ দুয়ে মিলে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। অবরোধে মাছ ধরতে পারি না আবার নিম্নচাপের মধ্যে সাগরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ শিকারে গিয়েও খালি হাতে ফিরে আসতে হয়। এর মধ্যে কিভাবে আমরা ছেলে মেয়েদের নিয়ে ঈদ করবো ভেবে পাচ্ছি না। আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে ইলিশ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি মাছ ধরা ছাড়া অন্য কোনো কাজ জানি না। তাই অন্য কাজ করতে চাইলে কেউ কাজ দিচ্ছে না। অশিক্ষিত হওয়ায় পেশার পরিবর্তন করতে পারছি না। আমাদের জালেতো ইলিশ ছাড়া অন্য কোনো প্রকার মাছ ধরা পরে না। আমরা এখন দাদনের জন্য ট্রলার মালিকের কাছে গেলেও তারাও তাড়িয়ে দেন। এ বছরের ঈদ জেলেদের জন্য নয়।  বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, জৈষ্ঠ্যের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় ইলিশের মৌসুম। কিন্তু এ বছর সেই শুরু থেকেই সাগর থেকে জেলেরা ইলিশ শূন্য হাতে ফিরে আসছেন। এবার ঈদকে সামনে রেখে ১০ থেকে ১২ দিন আগেই সাগরে পাঠানো হয়েছে ট্রলার। ইতোমধ্যে যে ট্রলার এসেছে তার মধ্যে দু-একটি ট্রলারে কিছু মাছ পেলেও অধিকাংশ ট্রলার বাজার সদয়ের খরচই উঠাতে পারবে না।  এ প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপুর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, জেলেদের জন্য কোনো চাল বরাদ্দ নেই। ঈদ উপলক্ষে কিন্তু তাদের জেলে কার্ড থেকে ঈদের আগে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩০

আচরণে মুসলমানের ছাপ থাকায় অঞ্জুকে অনেকে এড়িয়ে চলত : চিরঞ্জিত
বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষ।  ‘বেদের মেয়ে জোসনা’  সিনেমা দিয়ে কোটি ভক্তের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। এরপর দুই বাংলা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হঠাৎ সবকিছু ছেড়ে অন্তরালে চলে অঞ্জু। পর্দায় কেন তাকে আর নিয়মিত দেখা যায়নি, সম্প্রতি সে বিষয়েই মুখ খুলেছেন ওপার বাংলা জনপ্রিয় অভিনেতা চিরঞ্জিত। জানিয়েছেন, অঞ্জু ঘোষের আচার–আচরণে বাংলাদেশি মুসলমানের ছাপ থাকায় টলিউডে অনেকেই তার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না!  সম্প্রতি কলকাতার গণমাধ্যমে  প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, আমি যখন অঞ্জুর সঙ্গে কাজ করেছি তখনো ওর ভীষণ ডিমান্ড ছিল। কিন্তু এখানে অনেকেই মনে করতেন, তিনি ঠিক আর চার–পাঁচটা হিন্দুর মতো নন। তার কথাবার্তা, হাঁটাচলা সবখানেই বাংলাদেশি মুসলমানের ছাপ ছিল। সেই জন্যই তিনি একজন বড় মাপের অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই তার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না। কুণ্ঠা বোধ করতেন। ক্যারিয়ারে একাধিক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দেওয়ার পরেও আড়ালে চলে যান অভিনেত্রী। কেন তিনি সিনেমা থেকে সরলেন? চিরঞ্জিতকে এই প্রশ্ন করা হলে অভিমান নিয়ে অভিনেতার পাল্টা প্রশ্ন, তিনি সরে আসায় কি খুব কিছু আসে যায় দুই বাংলার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির? ভারতীয় ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনেমা থেকে দূরে সরে যাওয়ার পেছনে চাপা অভিমান নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অঞ্জু ঘোষ বলেছিলেন, জাতি–জাতি করে একটা হিড়িক উঠেছিল–ও হিন্দু, ও মুসলমান! আমি এর মধ্যে পড়তে চাইনি। ক্যারিয়ারে ৩৫০ ছবিতে অভিনয় করেছি। তার মধ্যে ২০০টি ছবি ছিল বাংলাদেশের। হিন্দুর বাড়ির মেয়ে হয়েও সেই ২০০টা ছবিতেই কালেমা পড়ে অভিনয় করেছি। সেজেছি মুসলমানের বেটি। কিন্তু বাংলাদেশ আমাকে বলল, হিন্দুর বেটি। অন্যদিকে এখানে যখন এলাম আমার গোটা প্রেজেন্টেশন দেখে ভারত বলল, আমি মুসলমানের বেটি। ফলে হলো কী, আমি ওপারে সংখ্যালঘু, এপারেও সংখ্যালঘুই থেকে গেলাম।  প্রসঙ্গত,  ১৯৮৭ সালে প্রধান নারী চরিত্রে সর্বাধিক ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেন অঞ্জু ঘোষ। মন্দার বাজারে যেগুলো ছিল ব্যবসা সফল। ১৯৮৯ সালে ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে জুটি বেঁধে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হিট সিনেমা ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ উপহার দেন তিনি। ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ছবিতে কাজ করার আগে ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’ ছবিতে অভিনয় করেন অঞ্জু ঘোষ। সেই ছবিটি ছিল বাংলাদেশে তৎকালীন সবচেয়ে সফল ছবি।  ১৯৯৬ সালে হঠাৎই বাংলাদেশ ছেড়ে কলকাতায় চলে যান অঞ্জু ঘোষ। কাজ করতে শুরু করেন সেখানকার সিনেমায়। কিন্তু কেন তিনি বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন, সে উত্তর আজও মেলেনি। দীর্ঘ ২২ বছর পর সবশেষ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে এফডিসিতে এসেছিলেন অঞ্জু ঘোষ। কিছুদিন থাকার পর কলকাতায় ফিরে যান।  ২০১৯ সালের জুনে বিজেপিতে যোগ দেন অঞ্জু ঘোষ। তখন তার নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পরে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অঞ্জু ঘোষ জন্মসূত্রে ভারতীয়।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৫

‘আফিফ ওয়ানডে দলে না থাকায় আমি কিছুটা বিস্মিত’
সবশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে ভালো খেলেও পরের দুই ম্যাচে সুযোগ পাননি আফিফ হোসেন। বিপিএলেও রান করেছেন তিনি। তবুও শ্রীলঙ্কা সিরিজে জায়গা হয়নি এই স্পিন অলরাউন্ডার। আফিফের বাদ পড়া নিয়ে অবাক হয়েছেন বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে বাদ পড়ায় আফিফের ব্যস্ততা এখন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রস্তুতিতে। এবারও আবাহনী লিমিটেডের হয়ে ঢাকা লিগ খেলবেন। যে দলে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খালেদ মাহমুদ। টি-টোয়েন্টি নিয়ে আফিফের সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি। কিন্তু কোনোভাবেই ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়ার মতো না বলে দাবি খালেদ মাহমুদের।  সুজন বলেন, আফিফের কোচ হিসেবে একটা কথা বলতে পারি, যেহেতু আবাহনীতে ওকে অনেকদিন ধরে দেখছি, আমি কিছুটা বিস্মিত যে, ও ওয়ানডে দলে নেই। সবশেষ ওয়ানডেতেও ওর  রান ছিল ৩৮। তারপর ও কেন দলে নেই। আফিফকে নিয়ে আবাহনীরে কোচ বলেন, সে কঠোর পরিশ্রম করে, নিবেদিত একজন ক্রিকেটার। লড়াই করতে জানে, খুবই ভালো ফিল্ডার। কিছুটা বিস্ময়কর, তবে যাকে নিয়েছে (তার জায়গায়), সেখানে অবশ্যই নির্বাচকরা চিন্তা করেই নিয়েছে। আমার কিছু বলার নেই। গত বছরের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়ে খেলেছিলেন ২৮ বলে ৩৮ রানের ইনিংস। পরের দুই ম্যাচে তার সুযোগ হয়নি। এবার দল থেকেই বাদ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের আগে বিপিএলে তার পারফরম্যান্স তেমন উজ্জ্বল না হলেও আহামরি খারাপ নয়। খুলনা টাইগার্সের হয়ে ১২ ম্যাচে ১২০.৮৬ স্ট্রাইক রেটে ২৭৮ রান করেছেন। বিপিএলের পারফরম্যান্স জাতীয় দলে আসার মতো বিবেচনাতে আনা যায়। তবে ভবিষ্যতে তাকে দলে রাখার পরামর্শ দলেন মাহমুদ, আমার মত যদি বলতে হয়, আফিফ বাংলাদেশের ম্যাচ জেতানো ক্রিকেটার। অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে বাংলাদেশকে। ওর মতো ছেলেকে যেন আমরা অবহেলা না করি। এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। কারণ এই ছেলেরাই বাংলাদেশকে জেতাবে, বিশ্বাস রাখি। তিনি আরও বলেন, এরকম একটা ইয়াং স্টার এবং এখন তো আফিফ অভিজ্ঞ। এমন নয় যে, ও বাচ্চা ছেলে বা ছোট। ভালো-খারাপ দিন আসবে। আমার মনে হয়ে, দূরে না সরিয়ে না রেখে ওকে দলের সঙ্গে রাখাই ওর জন্য ভালো, বাংলাদেশ দলের জন্যও ভালো।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪২

কর্মস্থলে না থাকায় চিকিৎসককে বরখাস্ত করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কর্মস্থলে সঠিক সময়ে উপস্থিত না হওয়ায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেন্টু পুরকায়স্থকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এমনকি আরও যারা সঠিক সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না তাদের বিষয়েও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বুধাবার (৬ মার্চ) সকালে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।  স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুধবার দু’দিনের সফরে সিলেট পৌঁছান। এদিন সকালে তিনি সিলেটের জৈন্তাপুর ও বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। দুটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন প্রসঙ্গে সামন্ত লাল সেন বলেন, বিশ্বনাথ ও জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছি। জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা খুব ভালো মনে হয়নি। ওখানে অনেক কিছু করা দরাকার। অনেক জনবলও নেই। হাসপাতালটি অনেক পুরোনো, অনেক ভবনের কাজ করা দরকার। চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিয়েও সন্তুষ্ট নই। একটি কড়া নির্দেশ দিয়ে এসেছি। একজন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে সঙ্গে সঙ্গে ‘সাময়িক বরখাস্ত’ করা হয়েছে। বিশ্বনাথ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ভালো হাসপাতাল মনে হয়েছে। এসময় তিনি উপজেলা পর্যায়ে তথা প্রান্তিক জনপদে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে বলেন, গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারলে শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে রোগীরা ভিড় করবে না। তিনি আরও বলেন, মেডিকেল কলেজগুলো শুধু সেবা নয়, শিক্ষা নেওয়ার জায়গা। এখানে গবেষণা করতে হবে। আমাদের সেই পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।  এদিন বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৪

‘অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে’
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবাইকে আরও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, অগ্নিনির্বাপণে সরকারের সব প্রস্তুতি থাকলেও সচেতনতার অভাবে হতাহত বাড়ছে। বেইলি রোডে ওই বহুতল ভবনে পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সিট ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। শেখ হাসিনা বলেন, বীমা সম্পর্কে প্রত্যক নাগরিককে সচেতন করতে হবে। বীমা থেকে কী ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে তা সবাইকে জানাতে হবে। এ সময় বীমা নিয়ে যারা বাণিজ্য করে তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, যেকোনো অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার তুলে নেন ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আলহাজ মোরশেদ আলম এমপি। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনের ভিতর থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, একটিমাত্র সিঁড়ি থাকা অগ্নিনিরাপত্তা প্রোটোকলের একটি বড় ত্রুটি। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল এবং সিঁড়ির পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। এদিকে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনা তার শোকবার্তায় নিহতদের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি বেঁচে যাওয়াদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।  
০১ মার্চ ২০২৪, ১৫:০১

নায়িকার মুখে গন্ধ থাকায় রোমান্স করতে গিয়ে বিপত্তিতে ববি
বলিউড অভিনেতা ববি দেওল। ক্যারিয়ারে ভাটা পড়ায় মাঝে চলচ্চিত্র থেকে বলতে গেলে বেশ দূরেই ছিলেন এই অভিনেতা। গেল বছর ‘অ্যানিমাল’ দিয়ে দীর্ঘদিন পর বলিউডে নিয়মিত হয়েছেন ববি। ওটিটিতেও ঝড় তুলেছেন। তার অভিনয়ের কথা এখন দর্শকের মুখে মুখে ঘুরছে। নব্বইয়ের মাঝামাঝি সময় বড়পর্দায় পা রাখেন ববি। তার ‘গুপ্ত’, ‘সোলজার’-এর মতো সিনেমা আজও দর্শকের পছন্দের তালিকায়। প্রীতি জিনতা থেকে কাজল, কাজ করেছেন সবার সঙ্গেই। কিন্তু অনেকেই জানেন না, একটি ঘনিষ্ট দৃশ্যে অভিনয়ের সময় নায়িকার মুখের দুর্গন্ধে অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন ববি। প্রায় দুই দশক আগে ফিল্মফেয়ারকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ববি। সেখানেই বলেছিলেন ওই অস্বস্তিকর মুহূর্তের কথা। কিন্তু কোন অভিনেত্রীর মুখ থেকে এমন দুর্গন্ধ এসেছিল? ববি বলেন, ১৯৯৭ সালে ‘গুপ্ত’ সিনেমার শ্যুটিং চলছে। সেদিন মনিষা কৈরালার সঙ্গে একটি রোমান্টিক দৃশ্য হওয়ার কথা। ববির সঙ্গে তার রসায়ন ভালোই, তবে বন্ধুত্ব ছিল না। একটি গানের দৃশ্যে মনিষার মুখের কাছে নিজের মুখ নিয়ে যেতে হবে ববিকে। আর তা করতে গিয়েই বিপত্তি। মনিষার মুখ থেকে গন্ধ আসছিল।  ববি বলেন, কোনো রকমে ওই দৃশ্য শুট হয়। ঈশ্বর জানেন কীভাবে করেছিলাম। ওই রকম গন্ধের চোটে আমার মধ্যে রোমান্সের নামগন্ধ ছিল না। আসলে শুটিংয়ের ঠিক আগেই কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে ছোলার চাট খেয়েছিলেন মনিষা। সেই কাঁচা পেঁয়াজের গন্ধই আসছিল মুখ থেকে। আর এ ঘটনার পর বদলা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ববি। কিন্তু সফল হননি। হাসতে হাসতে এ কথা স্বীকার করেন অভিনেতা। তিনি জানান, সিনেমায় ফাইট মাস্টার ও তার ভাই অভিনয় করেছিলেন। তাদের সঙ্গে মনিষার একটা দৃশ্য ছিল। ওই দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের আগে ববি তাদের পেঁয়াজ খেতে বলেন। মনিষার কাছে গেলে জোরে জোরে নিশ্বাস নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে তা কাজে আসেনি।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৭

ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় ফেনীতে ১৩ আইনজীবীর মামলা
ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম না থাকায় ১৩ আইনজীবী আদালতে মামলা করেছেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদকে বিবাদী করে যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতের বিচারক বেলাল উদ্দিনের আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলায় গোলাম সরওয়ার, মোহাম্মদ হানিফ মজুমদার, মিজানুর রহমান সেলিম, রায়হান উদ্দিন মামুন, এস এম আবুল মনসুর রানা, আবদুল আহাদ ভূঁইয়া, রবিউল হক ফরহাদ, আবদুল মালেক, সাইদুর রহমান রাব্বী, একরামুল হক ভূঁইয়া, সাইফুল্লাহ রাশেদ, শাহজালাল ভূঞা সবুজ ও আনোয়ারুল আজিম বাদী হিসেবে রয়েছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী পক্ষ বার কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন। বিভিন্ন সময়ে ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটিতেও দায়িত্ব পালন করেছেন। গত বছরের ১২ জুলাই সমিতির সাধারণ সভায় তাদের আগামী নির্বাচনে ভোটার না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা গঠনতন্ত্র বহির্ভূত। জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর নির্বাচনসংক্রান্ত তফসিল প্রকাশ করা হয়। ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ০৭ এর উপ-অনুচ্ছেদ (গ) এর বিধানমতে, ‘কারা ভোটার হইবেন। যে সকল বিজ্ঞ সদস্য অত্র সমিতির মাধ্যমে সনদ নবায়ন করেন, বার কাউন্সিলে যাবতীয় পাওনা অত্র সমিতির মাধ্যমে পরিশোধ করেন এবং অত্র সমিতির যাবতীয় পাওনা যথারীতি পরিশোধ করেন এবং জেলার দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত সমূহে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন তারা ভোটার হিসাবে গণ্য হইবেন।  তবে, মাদার বার ফেনী হলেও যারা অন্য বারে যোগদান না করিয়া আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন তারা ভোটার হবেন না। যে সকল সদস্য অন্য কোনো আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে বার কাউন্সিলের পাওনা পরিশোধ করেন অর্থাৎ তাদের মাদার বার অন্য সমিতিতে কিন্তু ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতি নিয়মিত পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন, তারা জেলা আইনজীবী সমিতি ফেনীর ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ভোটাধিকার বহাল রাখতে ২৭ নভেম্বর কার্যনির্বাহী কমিটির বরাবরে আবেদন করা হলে তা অগ্রাহ্য করে ২৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ২০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন ধার্য্য করা হয়। ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল বশর চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার আমরা সভা করেছি। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। এ বিষয়ে রোববার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৮

টানা ছুটি থাকায় ভোট কম পড়তে পারে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
টানা ছুটি থাকায় ভোটারের উপস্থিতি কিছুটা কম হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।  রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সিলেট মহানগরীর দুর্গাকুমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।  এ সময় ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টানা ছুটির কারণে ভোটারের উপস্থিতি কিছুটা কম হতে পারে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার বাড়বে। ভোটের পরিবেশ নিয়ে বলেন, আজ ছুটির দিন। উৎসবের দিন, ভোটের দিন। বিএনপির হরতাল ঢংঢাং। মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছে। যেভাবে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে ভোট হচ্ছে, আমরা চিন্তিত নই। এরপর ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে মোমেন বলেন, গত সিলেট সিটি নির্বাচনে ৪৬ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এটি ভালো। আর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে একবার এসেছে ৩৮ শতাংশ, আরেকবার এসেছে ৪৪ শতাংশ।  সবশেষে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে তিনি আশাবাদী বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে সবাইকে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬টি ওয়ার্ড, ৭ ইউনিয়ন ও একটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড নিয়ে গঠিত সিলেট-১ আসন। এই আসনে স্থায়ী ভোটকেন্দ্র আছে ২১৫টি।  এ আসনে এবার মোট ভোটার আছেন ছয় লাখ ৩৪ হাজার ২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার তিন লাখ ৩০ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটার তিন লাখ ৩১ হাজার ৮১ জন। এছাড়া ৭ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন এ আসনে। সিলেট-১ আসনে এবার ড. মোমেনের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে লড়ছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের প্রার্থী আব্দুল বাসিত, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী ইউসুফ আহমদ, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ফয়জুল হক এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. সোহেল আহমদ চৌধুরী।  
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়