• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আগামী ৭২ ঘণ্টা যেমন থাকবে আবহাওয়া
দেশের অধিকাংশ জেলায় বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় আজ (সোমবার) সারাদিন রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। মঙ্গলবারও বিরাজমান তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।  বিরাজমান তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বুধবারেও অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে, এ সময়ে রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৭

পহেলা বৈশাখে যেমন থাকবে আবহাওয়া
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাঙামাটিতে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে শুক্রবার (১২ এপ্রিল)। এরই মধ্যে ৬ বিভাগে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সংস্থাটি জানায়, ঢাকাসহ দেশের ৬টি বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে এবং পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া অফিস জানায়, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ দেশের অন্যত্র বিস্তার লাভ করতে পারে এবং আজ (১৩ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস মধ্যে থাকলে তা মৃদু তাপপ্রবাহ। মাঝারি তাপপ্রবাহ ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। তীব্র তাপপ্রবাহ ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যের তাপমাত্রা  এবং ৪২ ডিগ্রি বা এর বেশি হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের উত্তর পূর্বাংশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৮

পহেলা বৈশাখে রাজধানীর যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে
বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনব্যাপী রাজধানীতে নানান অনুষ্ঠানের কারণে বেশকিছু সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষে রমনা বটমূল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) এ উপলক্ষে রমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সর্বসাধারণ ও যান চলাচলে সুনির্দিষ্ট ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক রমনা বিভাগ। বৈশাখের দিন ভোর পাঁচটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ নির্দেশনা মানতে হবে। যেসব এলাকায় রাস্তা বন্ধ ও রোড ডাইভারশন থাকবে বাংলামোটর ক্রসিং, মিন্টো রোড ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, কদম ফোয়ারা ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ক্রসিং, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ভাস্কর্য ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং ও কাঁটাবন ক্রসিং। যানবাহন চলাচলের বিকল্প রাস্তা ১. মিরপুর-ফার্মগেট থেকে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন বাংলামোটর-মগবাজার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। ২. বঙ্গবাজার-হাইকোর্ট থেকে মৎস্য ভবন অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন কদম ফোয়ারা-ইউবিএল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। ৩. জিরো পয়েন্ট-কদম ফোয়ারা থেকে মৎস্য ভবন অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন ইউবিএল-নাইটিংগেল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। ৪. শান্তিনগর-রাজমনি থেকে গুলিস্তান ও সদরঘাট অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন নাইটিংগেল-ইউবিএল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। নগরবাসীকে উল্লিখিত সময়ে উপর্যুক্ত এলাকা/রোডগুলোহ পরিহার করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৫

ঈদের দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া
দেশের আকাশে বুধবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। কয়েক দিনে তাপপ্রবাহের পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়বৃষ্টির ফলে জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে। ঈদের দিনের আবহাওয়া কেমন থাকবে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, ভ্যাপসা গরমের কারণে ঈদের দিনে অস্বস্তি বাড়তে পারে। তিনি জানান, ঈদের দিনে রাজধানীসহ দেশের কোথাও বৃষ্টি কিংবা কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ঢাকাসহ সারাদেশের আকাশ কিছুটা মেঘলা ও গুমোট আবহাওয়া থাকবে।    তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ এবং সংযুক্ত এলাকায় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকবে। ফলে মেঘলা আকাশ ও গুমোট আবহাওয়ার কারণে গরমে অস্বস্তি অনুভূত হবে। কয়েকদিন এমন অবস্থা থাকার পর চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।   এদিকে বুধবার (১০ এপ্রিল) আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানানো হয়, আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া সাত জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।    
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৪

আগামী ২৪ ঘণ্টা যেমন থাকবে আবহাওয়া
আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া সাত জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জাননো হয়।  এতে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি এবং পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৮

বুধবার যে এলাকায় বন্ধ থাকবে ব্যাংক
‌‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় বুধবার (১৭ এপ্রিল) সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই ওইদিন উপজেলার সব ব্যাংকের শাখা বন্ধ থাকবে। সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অব-সাইট সুপারভিশন বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।  ইতোমধ্যে মুজিবনগরের সব তফসিলি ব্যাংকে তা পাঠানো হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, মুজিবনগর উপজেলায় ব্যাংকের সব শাখা, উপশাখা ১৭ এপ্রিল (বুধবার) বন্ধ থাকবে। সরকারি ছুটি ঘোষিত হওয়ায় মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  তবে দেশের অন্যান্য জেলা-উপজেলায় ব্যাংকের সব শাখা যথারীতি চালু থাকবে বলেও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৭

আগামী ২৪ ঘণ্টা যেমন থাকবে আবহাওয়া
ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি বিভাগে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এই সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। আর রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ ছাড়া কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি এবং পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়। পাশাপাশি পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এই সময়ে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪১

আগামী ৭২ ঘণ্টা যেমন থাকবে আবহাওয়া
দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টির পাশাপাশি তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। একইসময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, পাবনা এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ; বরিশাল, পটুয়াখালী ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্ঠাংশ, রংপুর ও ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি অব্যাহত থাকতে পারে। রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। এ ছাড়া সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২১

সংবাদপত্র বন্ধ থাকবে ৯-১৪ এপ্রিল 
আসন্ন ঈদুল ফিতরে সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৬ দিনের ছুটি পেলেন। আগামী ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি ঘোষণা করেছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি। শনিবার (৬ এপ্রিল) নোয়াবের বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।  প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রতিবছর ২৯ রমজান থেকে ঈদে তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন সংবাদকর্মীরা। রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছুটি হওয়ার কথা। কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় সরকার নির্ধারিত ছুটির ফাঁদে পড়ল সংবাদমাধ্যম। আর ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নোয়াব।  এবারই প্রথম টানা ছয় দিনের ছুটি পাওয়া সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, সংবাদপত্রে এক সময় কোনো ছুটি ছিল না। ঈদের দিনও পত্রিকা প্রকাশ হতো। স্বাধীনতার পর সত্তরের দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের উদ্যাগে সংবাদপত্রে ছুটির প্রচলন শুরু হয়। তবে রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় গণমাধ্যমে এখনও ছুটি অনেক কম।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৭

ঈদের সময়সহ চলতি মাসে যেমন থাকবে আবহাওয়া
এপ্রিলে হালকা বৃষ্টি হলেও মাসজুড়েই গরমের দাপট থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে। এ জন্য এসব এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। আর ঈদের সময় তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামীকাল রোববার দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে হালকা বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রা কমবে না। আর ঈদের সময় তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আরও কিছুদিন স্থায়ী হবে। এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানের আবহাওয়া অবস্থা আরও এক সপ্তাহ বিরাজ করবে। এপ্রিলজুড়েই সারাদেশে তাপপ্রবাহ থাকবে। তিনি বলেন, এপ্রিলে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হবে। ভৌগোলিক অবস্থা আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তন। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিসংখ্যানও বছরের পর বছর বেরিয়ে আসছে। ২০২৩ সাল এখন পর্যন্ত রেকর্ডে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ছিল। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বিদ্যমান তাপপ্রবাহের কারণে বাতাসে এখন জলীয়বাষ্পের আধিক্য থাকবে। এতে করে মানুষের শরীরে অস্বস্তিবোধ বৃদ্ধি হতে পারে। এপ্রিল উষ্ণতম মাস, এ সময় তাপমাত্রা এমনিতেও বেশি থাকে। কিন্তু এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া দরকার। যখন ঝড় হয়, তখন ভারী বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আর বাড়ে না। কিন্তু ৮-৯ এপ্রিলের আগে ভারী বৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, অনেকদিন ধরে তাপপ্রবাহ হলে কোনো কোনো এলাকার বায়ুর চাপ কমে যায়। বায়ুর চাপ কমলে সাগর থেকে আসা জলীয়বাষ্প বাতাসের কোথাও জড়ো হতে শুরু করে এবং তখন সেখানে বজ্রমেঘ তৈরি হয়। পরবর্তী সময়ে সেই মেঘ বৃষ্টিপাত ঘটায়। বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই সাধারণত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোর ক্ষেত্রে ২০১৪, ২০১৬, ২০১৯, ২০২২ ও ২০২৩ সাল ছিল উত্তপ্ত বছর। কিন্তু এগুলোর মাঝে ২০২৩ সালের কথা আলাদাভাবে উল্লেখযোগ্য। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, গত বছর চরম তাপপ্রবাহ ছিল। গত বছরের এপ্রিলে সারাদেশে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়জুড়ে তাপপ্রবাহ ছিল। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে একটানা ২০ থেকে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের ওই অঞ্চলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অবস্থান। কিন্তু এসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব জায়গায় বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে। ড. কালাম মল্লিক বলেন, গত বছর ভারতের ওইসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেহেতু সেগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়। এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী এ বছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে। বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি। এদিকে শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। গত বছর রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৭ এপ্রিল, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়