• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পহেলা বৈশাখে ঘরেই তৈরি করুন উৎসবের আমেজ
আসছে পহেলা বৈশাখ। বাংলা বছরের নতুন দিনটি বরণ করে নেওয়ার জন্য বাঙালির ঘরে ঘরে থাকে বৈশাখী আয়োজন। এবার ঈদুল ফিতরের দুইদিন পরেই পহেলা বৈশাখ। যার কারণে অনেকেই এবার পরিবারের সঙ্গে অনেক বছর পর বৈশাখ উদযাবন করার সুযোগ পাবে। দুইটা উৎসব কাছাকাছি হওয়াতে আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশিই বলা যায়। পরিবারের সঙ্গে যেহেতু এবারের বৈশাখ তাই এবারের উৎসবের আনন্দে ঘরেই তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে বৈশাখী আমেজ। ঘরেই পয়লা বৈশাখের আমেজ তৈরি করবেন যেভাবে: ভোজন আয়োজন- বৈশাখ মানেই পান্তা-ইলিশ। তবে ইলিশ খিচুড়িও বৈশাখের ভোজন আয়োজনে যোগ করতে পারে ভিন্ন মাত্রা। তবে পান্তা ভাত হলো বাঙালির জনপ্রিয় খাবার। বাংলাদেশে প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে পান্তা উৎসবের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার সংস্কৃতি চালু ও পরিব্যাপ্ত হয়েছে। এ ছাড়া চলমান গরমের মোকাবিলা করতে বা শরীরকে চাঙা রাখতে পান্তা ভাতের জুড়ি মেলা ভার। তাই জেনে নিন পান্তা ভাতের রকমারি রেসিপি। ১. টক ঝাল পান্তা ভাত উপকরণ: বাসি ভাত- ১ বাটি, আলু- ১টা, ছোট পেঁয়াজ- ১টা, কাঁচামরিচ ২টা, লবণ- ১ চামচ, সরিষার তেল- ৬ চামচ, গন্ধরাজ লেবু- ১ টুকরো, তেঁতুল-আধা চা চামচ। প্রণালী: প্রথমে আলু খোসা ছাড়িয়ে সরু সরু করে কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। এরপরে একটা ননস্টিক প্যানে ৪ চামচ সরিষার তেল দিয়ে গরম করে আলুর টুকরোগুলো দিয়ে ভেজে তুলে নিন। এরপর পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ কুচি কুচি করে কেটে রাখুন। এবারে বাসি ভাতটা একটা বাটিতে নিয়ে পানি মিশিয়ে একটু পানি রেখে বাকি পানিটা ফেলে দিন। এবারে পানি ভেজানো ভাতের মধ্যে বাকি ২ চামচ সরিষার তেল, কাঁচামরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি, লবণ ও গন্ধরাজ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবারে আলু ভাজার থেকে কিছুটা রেখে দিয়ে সবটা ভাতের সাথে মিশিয়ে নিন। এবারে ভাতের ওপরে বাকি আলু ভাজাগুলো ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। ২. ডাল পোড়ার ভর্তা দিয়ে পান্তা উপকরণ: মুসুর ডাল- ১/২ কাপ, পেঁয়াজ- ১টি বড়, শুকনো মরিচ- ২টি, কাঁচামরিচ- ২টি, লবণ- স্বাদমতো, হলুদ- ১/২ চা চামচ, সরিষার তেল- ৩ টেবিল চামচ। প্রণালী: মশুর ডাল ভালো করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। কড়াই গরম করে এক চামচ তেল দিন। পানি ঝরিয়ে মশুর ডাল দিয়ে নাড়াচাড়া করুন যতক্ষণ না ডালের রং বদলে ফ্যাকাসে হয়ে যায়। এতে দেড় কাপ পানি আর হলুদ দিন। আধা সেদ্ধ হলে ভালো করে কাঁটা দিয়ে ঘেঁটে দেবেন। সম্পূর্ণ সেদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মাঝারি আঁচে রান্না করুন। দরকারে আরও গরম পানি দিতে পারেন। এবার অন্য কড়ায় শুকনো মরিচ পেয়াঁজ হালকা করে ভেজে নিন। ডাল মাখার মতো শুকনো হলে পেয়াঁজ, শুকনো মরিচ, কাঁচা মরিচ, লবণ দিয়ে ভালো করে মেখে পান্তা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। এক্ষেত্রে বাসি ভাতে পানি ঢেলে অন্তত ১২ ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। ৩. চিংড়ি মাছ-মলা দিয়ে পান্তা ভাত উপকরণ: মাঝারি মাপের নদীর বা পুকুরের চিংড়ি মাছ- ২৫০ গ্রাম (ভাল করে পা, খোসা, পিঠের নোংরা ফেলে ধুয়ে নিন), পেঁয়াজ- ১টি বড়, কাঁচামরিচ- ৩টি, লবণ- স্বাদমতো, হলুদ- ১/২ চা চামচ, সরিষার তেল- ২ টেবিল চামচ। প্রণালী: মাছে লবণ হলুদ মাখিয়ে রাখুন অন্তত ১৫ মিনিট। এই ফাঁকে পেয়াঁজ আর মরিচ কুচিয়ে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে মাছ দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ভাজুন পানি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত। তুলে একটু ঠান্ডা করুন। এবার এতে পেঁয়াজ আর কাঁচামরিচ সামান্য লবণ দিয়ে ভালো করে মাখুন। মাছ যাতে একেবারে মিশে যায়। এবার ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখা বাসিভাত বের করে তার সঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করুন। যেমন স্বাদ, তেমন গরম থেকেও রেহাই পাবেন। ভর্তার নানা আয়োজন- ১. ডাল ভর্তা: ১ কাপ ডাল, ৫-৬টি কাঁচামরিচ, ৩-৪ কোঁয়া রসুন দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এবার পরিমাণ মতো সরিষার তেল ও লবণ দিয়ে মেখে নিন ৷ ২. কচু ভর্তা: মোটা কচুর সবুজ অংশ কেটে লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। কড়াইতে ২ টেবিল-চামচ সরিষার তেল গরম করে সিদ্ধ কচু দিয়ে, আধা চা-চামচ কালজিরার ফোঁড়ন, ১ টেবিল-চামচ রসুন কুচি ১ টেবিল-চামচ পেঁয়াজ কুচি ৪-৫টি কাঁচা-মরিচ ফালির সঙ্গে সামান্য লবণ দিয়ে হলুদ, মরিচ, ধনে ও জিরা গুঁড়া ছিটিয়ে নেড়েচেড়ে ভর্তা করে নিন। ৩. মরিচ ভর্তা: ৮-১০টি শুকনা মরিচ ভেজে নিন। ২টি পেঁয়াজ কুচি করে নিন। ১ টেবিল-চামচ সরিষার তেল দিয়ে, স্বাদমতো লবণসহ একসাথে মেখে নিন। শরবত- পোড়া আমের শরবত: কাঁচা আম ৪টি, পরিমাণমতো চিনি, বিট লবণ, কাঁচা মরিচ, বরফ কুচি, পুদিনা পাতা ও পানি। আমগুলো প্রথমে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এবার খোসাসহ মাঝারি আঁচে পুড়িয়ে নিন। চুলা থেকে তুলে ঠান্ডা হলে আমের খোসা ছাড়িয়ে নিন। হাতে চটকে আমের ভেতরের নরম ক্লাথ বের করুন। আমের সঙ্গে সব উপকরণ দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। তৈরি আপনার পোড়া আমের শরবত। পছন্দমতো স্বচ্ছ গ্লাসে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।   কাঁচা আমের জুস: ২টি আম ফালি করে ২ গ্লাস পানি দিয়ে জ্বাল করে নিন। ধনেপাতা ও পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল-চামচ করে, ১টি কাঁচামরিচ কুচি, স্বাদমতো লবণ, চিনি আর অল্প বিট লবণ মিশিয়ে আরও ২ গ্লাস পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে জ্বাল করা আমসহ ব্লেন্ড করে নিন ৷ এবারে একটি প্লেটে গরম ভাতের সাথে সব রকমের ভর্তা ও মাছ দিয়ে পরিবেশন করুন। সাথে পরিবেশন করুন এক গ্লাস কাঁচা আমের জুস। এ ছাড়াও খাবার টেবিলে গ্রামবাংলার ছোঁয়া আনতে মণ্ডা-মিঠাই, কদমা, বাতাসা মুরলি, নিমকি দিয়ে সার্ভিং ট্রে সাজিয়ে নেওয়া যেতে পারে। যদি স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা চিন্তা করেন কিংবা পরিবারের বয়স্ক কেউ থাকলে দই, চিড়া, খই, মুড়ি আর ফল দিয়েই করতে পারেন ভোজের আয়োজন। আর হাতে সময় থাকলে পিঠাপুলি আর মোয়া আয়োজনে রাখতে পারেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২১

ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক নিতে (আমদানি) ব্রাজিলকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (এপ্রিল ৮) সকালে গণভবনে সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান। পরে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরাকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশ সীমিত আকারে তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে। ব্রাজিল যদি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক আমদানি করে, সেটা তাদের জন্য আরও সাশ্রয়ী হবে। দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্কে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য বিশেষ করে পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য আমদানি করতে ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। আসন্ন জি টুয়েন্টি সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি দেশটির প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ব্রাজিল সফরে সম্মত হন। ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্রাজিল তার আর্থ-সমাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায়। সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম সংবলিত ব্রাজিলের একটি জার্সি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ব্রাজিলের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ব্রাজিল উভয় দেশই ক্ষুধা-দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ইস্যুতে একই পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বৈঠকে প্যালেস্টাইন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যে নৃশংসতা চালাচ্ছে সেটা গণহত্যা। সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৫

আটা-ময়দা-সুজি দিয়ে তৈরি হতো অ্যান্টিবায়োটিক
দেশে যেসব ওষুধ কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে, অথবা যে কোম্পানি দেশে নেই, সেসব কোম্পানির ওষুধ একটি অসাধু চক্র নকল করে বাজারজাত করে আসছে। নকল মোড়কে এসব ওষুধ বাজারে ছাড়া হতো। মোড়কের ভেতরে থাকত আটা–ময়দা ও সুজি দিয়ে তৈরি ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট। ভয়ংকর এ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৩১ মার্চ) মতিঝিল ও বরিশাল কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগ।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— শহীদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, শাহীন, হৃদয় ও হুমায়ুন। তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ পিস নকল অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। সোমবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, চক্রটি ঢাকার সাভার ও কুমিল্লায় কারখানা তৈরি করে এ ট্যাবলেট তৈরি করত। পরে সেগুলো নিয়ে বরিশালে গুদামজাত করত। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় কুরিয়ারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হতো। চক্রটি গত ৮-১০ বছর ধরে এ প্রতারণা করে আসছিলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয়কর্মীর চাকরির পাশাপাশি এ প্রতারণা করছে। যেসব ওষুধের ভালো বাজার ছিল, কিন্তু কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর পাওয়া যায় না, সেসব ওষুধ তারা টার্গেট করত। নকল মোড়কে আসল ওষুধ বলে বিক্রি করত। এ ছাড়া যেসব ওষুধ কোম্পানি বাংলাদেশে নেই, বাজারে নেই, সেগুলোই তারা তৈরি করে বাজারজাত করত। হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার শহীদুল দীর্ঘদিন ধরে বরিশালের নথুল্লাবাদ এলাকায় নকল বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক মজুত করে শাহীনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে আসছিলেন। হুমায়ুন অপসোনিন কোম্পানির বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ফার্মেসিতে নকল অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় করতেন। এ ছাড়া সিরাজুল ও হৃদয় নকল ওষুধ বিক্রয়ের যাবতীয় কাজ করতেন। কারখানায় নকল ওষুধ তৈরি করে সেগুলো কুমিল্লার আবু বক্কর বিভিন্ন কুরিয়ারের মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ করতেন। এভাবেই চক্রটি নকল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করত। এর আগেও এ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। জামিনে বের হয়ে তারা আবার একই কাজ শুরু করেন। ডিবিপ্রধান বলেন, চক্রটি বাজারে থাকা ও বাজার থেকে বিলুপ্ত এমন ওষুধের মধ্যে রিলামক্স-৫০০ ট্যাবলেট, মক্সিকফ-২৫০, সিপ্রোটিম-৫০০ এমজি, এমোক্সস্লিন, জিম্যাক্স, মোনাস-১০ নকল করে বাজারে ছাড়ত। তারা কাফকা ফার্মাসিউটিক্যালস, ডক্টর টিমস ফার্মাসিউটিক্যালস, জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালস, কুমুদিনী ফার্মাসিউটিক্যালস, ইউনিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ নকল করত। চক্রটি ১০ বছর ধরে ভেজাল ওষুধ তৈরি করে আসছে। তাদের নামে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা রয়েছে। এ পর্যন্ত ৮০টি ইউনানি ওষুধ কোম্পানির ভেজাল ওষুধ তৈরির বিষয়ে তথ্য তারা ওষুধ প্রশাসনকে দিয়েছেন। চক্রটির অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৬

জাল টাকা তৈরি চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৩
ঈদুল ফিতর টার্গেট করে জাল টাকা তৈরি করা একটি চক্রের মূলহোতাসহ আরিফ ব্যাপারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভোরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, শরীয়তপুরের নড়িয়ার চরমোহনপুর এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে জাল টাকা প্রস্তুতকারী চক্রের মূলহোতা আরিফ ব্যাপারীসহ তিনজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ বিপুল পরিমাণ জাল নোট জব্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন লে. কর্নেল আরিফ।
২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৪

পোশাক শিল্প নিয়ে ভুল তথ্য যাচ্ছে বিদেশে 
ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনকারী পোশাকশ্রমিক যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, তাদের মুক্তি এবং হয়রানি বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ)। তবে তাদের আহ্বান ভুল তথ্যের উপর নির্ভর বলে মনে করেন পোশাকখাত সংশ্লিষ্টরা। কারণ, সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে কোনও আটকের ঘটনা চলমান নেই এবং গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় অভিযুক্ত শ্রমিক নেতা বাবুল আক্তার জামিনে মুক্ত।  এএএফএ’র চিঠিতে সংগঠনটির সভাপতি স্টিফেন লামার বলেছেন, ‘আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের পক্ষ থেকে আমি আবারও ২০২৩ সালে ন্যূনতম মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ ঘিরে হাজার হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে চলমান আটক ও আটকের হুমকি বন্ধের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিক্ষোভের সময় সহিংসতায় প্রাণহানি ও শ্রমিক আহত হওয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি।’ চিঠিতে স্টিফেন ল্যামার লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের তৃতীয় বৃহৎ সরবরাহকারী বাংলাদেশ। তা ছাড়া বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জুতা ও ভ্রমণে ব্যবহৃত পণ্য সরবরাহও দ্রুত বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিরাট গুরুত্ব রয়েছে।’ তিনি বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করছেন। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সুবিধাজনক সম্পর্ক উভয়ের জন্য সমৃদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এসেছে।’ এএএফএর চিঠিতে বলা হয়, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে শ্রমিকদের বিষয়ে তাদের আবারও আহ্বান জানাতে হচ্ছে। ন্যূনতম মজুরি নিয়ে বিক্ষোভের সময় গ্রেপ্তার সব ব্যক্তিকে মুক্তি প্রদান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনা সব ফৌজদারি অভিযোগ প্রত্যাহার এবং আরও হাজার হাজার কর্মীকে গ্রেপ্তারের হুমকি বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া গত বছর গ্রেপ্তার হওয়া জুয়েল মিয়ার মতো যেসব শ্রমিক সংগঠকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহারের জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় এএএফএ।  দেশের রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে প্রতি পাঁচ বছর পরপর নতুন মজুরিকাঠামো ঘোষিত হয়। গত বছর ন্যুনতম মজুরি পুনরায় নির্ধারণের সময়কালে হঠাৎ করেই শ্রমিক অসন্তোষ শুরু হয় গাজিপুর-আশুলিয়া এলাকায়। মজুরি নির্ধারণের পর থেমে যায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন। আন্দোলনের সময় গাড়ি পোড়ানো হয়, অনেক কারখানা ভাংচুর করা হয়। আগের মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়িয়ে নতুন মজুরি নির্ধারণ করে সরকার। আন্দোলনে কারখানা ভাংচুর করা হলেও আন্দোলনকারী শ্রমিকদের পূর্ণ বেতন দিয়ে আবারো কাজে ফিরিয়ে নেয় কারখানা মালিকরা। আন্দোলন চলাকালে কিছু শ্রমিক নেতার ইন্ধনে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কারখানাসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায়। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শ্রমিক নেতা বাবুল আক্তার ছিল, তার বিরুদ্ধে আন্দোলনচলাকালীন সময়ে গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ আছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন।  চিঠিতে ন্যুনতম মজুরির দাবিতে আন্দোলন করার কারনে শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে – এমন তথ্য ভুল। মুলত আন্দোলনের নামে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। শ্রমিক সংগঠনের কিছু নেতৃবৃন্দ ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।  এর আগেও কয়েকজন শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১৪ সালে জুন মাসে জুন মাসে ভালুকায় পাইওনিয়ার গার্মেন্টসের কয়েক মাইল দূরে শ্রমিকদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘাত হয়। এ ঘটনায় গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ কোনোভাবে জড়িত ছিলো না। তারপরও বিজিএমইএ, শ্রম মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাউকে অবহিত না করে এ ঘটনা প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনে চিঠি দেয় কিছু শ্রমিক নেতা। শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, বিদেশ থেকে ফান্ডিং এনে সংগঠন চালানোর জন্য কিছু শ্রমিক নেতা মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে। একই অভিযোগ ছিল বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধেও।  সেই প্রসঙ্গে একজন শ্রমিক নেতা জানান, শ্রমিক সংগঠন চলবে নিজেদের টাকায়, তা না হয়ে যদি তা বিদেশি অর্থপুষ্ট হয় তাহলে এমনই ঘটবে। কারণ বিদেশিরা তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্যই টাকা দেয়। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা মালিক ও সরকার পক্ষ থেকে অনেক আগেই বলা হয়েছে।   পোশাক শিল্প নিয়ে অনেকদিন ধরেই চলছে ষড়যন্ত্র। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেশের পোশাক শিল্প নিয়ে বিভিন্ন সময়ে চালান হয়েছে নানা অপপ্রচার। এমনকি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৈরি পোশাকখাতে মার্কিন স্যাংশন নিয়ে অপপ্রচার চালান হয়েছে।  এই চিঠির আগে তৈরি পোশাক খাত নিয়ে চিঠি দিয়েছিল মার্কিন ৮ কংগ্রেসম্যান। পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে বেতন-ভাতা সমন্বয় করার পরও সংশোধিত বিষয়টি নিয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ করেছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা। তারা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য চিঠি দেয় আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যারকে (এএএফএ)। তবে কংগ্রেসম্যানদের চিঠির আগেই বিজিএমইএ  তাদেরকে চিঠি দিয়ে বেতন সমন্বয়ের তথ্য জানান।  শ্রমিকদের যাপিত জীবন নিয়ে সম্প্রতি ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে একটি বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে ফ্রিল্যান্সার লেখক তাসলিমা দাবি করেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে নারী পোশাক শ্রমিকরা সন্তান ও নিজের জীবন বাঁচাতে যৌনকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে শ্রমিক সংগঠনগুলো। দেশের কয়েকটি পত্রিকা সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও বিভ্রান্তিকর বিবেচনায় পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়।  গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনের পর বিক্ষোভ করে প্রতিবাদ জানায় শ্রমিক সংগঠনগুলো। সেসময় সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা নাহিদুল হাসান নয়ন বলেন, ‘কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের দেশের পোশাক খাত এবং নারী শ্রমিকদের নামে গুজব ছড়িয়ে বিশ্বের দরবারে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’-এর সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যে শ্রমিকদের শ্রমের ঘামে ঘোরে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা, যে নারী শ্রমিকদের বলা হয় গোল্ডেন গার্ল সেই নারী শ্রমিকদের হেয় প্রতিপন্ন করে যৌনকর্মী হিসেবে আখ্যায়িত করে নারী-নীতি, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা ও আইএলও কনভেনশন-১৯০ লংঘন করেছে।’   গণমাধ্যমে এমন প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেএমইএ। সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান জানান, এরকম একটা সংবাদ আমাদের জন্য সত্যিই বিব্রতকর। এটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বাস্তবতা বিবর্জিত ও মনগড়া ।  তিনি বলেন, ‘এই নিউজের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। এ ধরণের নিউজ করে এই সেক্টরে যেসব মেয়েরা কাজ করছে তাদেরকে আসলে নিচু করা হয়েছে, অপমান করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের নারীদের অসমান করা হয়েছে।’  বাংলাদেশ ন্যাশনাল লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম আক্তার বলেন, ‘বর্তমান সরকারের শ্রমবান্ধব প্রধানমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে চলতি বছরের ৮ নভেম্বর শ্রমিকদের মাসিক ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারন করেন যা ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। মজুরি বাস্তবায়নের এই সময়েই দুটি গণমাধ্যম গার্মেন্টস শ্রমিক ও নারী শ্রমিকদের নিয়ে বানোয়াট ও অপমানজনক সংবাদ প্রকাশ করে। আমরা উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে উক্ত প্রত্যাখান করছি।’ শ্রমিকদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায় নিজেদের কোন্দলের মাধ্যমেও। শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। তিনি বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি ও পাওনা বেতন আদায় করে দিতে কাজ করতেন। এই শ্রমিক নেতা হত্যার পর দেশে বিদেশে সমালচনার ঝড় বয়ে যায়। মুলত গাজীপুরে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার অভিযোগ তদন্ত করে মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। সেখানে বলা হয়েছে,  শ্রমিকদের বেতনভাতার সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে আসামিদের হাতে নিহত হন শহিদুল। মামলার অন্যান্য আসামিরা কেউ শ্রমিক নেতা কেউ স্থানীয় বাসিন্দা।  হত্যা মামলার তদন্ত কমিটির প্রধান ও গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান আহম্মেদ জানিয়েছেন,একজনের এলাকায় আরেকজনের প্রবেশ নিয়ে শ্রমিক সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে স্থানীয় কয়েকজনের ইন্ধনেই শ্রমিক নেতা শহিদুলকে হত্যা করা হয়েছে। এরইমধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের ইশারায় অন্য আসামিরা শহিদুলের ওপর হামলা চালায়। তদন্ত ও যাচাই-বাছাই শেষে অভিযোগপত্রটি অনলাইনে আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। মামলায় যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সবাই শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।  দ্য আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিজিএমইএকে চিঠি দিয়েছিল গত বছর।  এর আগে ২০১২ সালে শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যাকাণ্ড আলোচিত হয়েছিল দেশে বিদেশে। তিনি শহিদুলের সংগঠনেরই নেতা ছিলেন। সরকার এই হত্যাকান্ডের বিচার নিশ্চিত করেছে। আমিনুল ইসলাম হত্যাকান্ডে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। 
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:০১

ইস্যু তৈরি করে ভারত বিরোধিতা করছে বিএনপি : নানক
সস্তা ইস্যু তৈরি করতে বিএনপি এখন ভারতের বিরোধিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। শনিবার (২৩ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। নানক বলেন, বিএনপি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মির্জা ফখরুল ও মঈন খানেরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যখন বেকায়দায় পড়েছেন তখনই সস্তা ইস্যু তৈরি করে ভারত বিরোধিতা করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলেছেন।  তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কিংবা খালেদা জিয়া ভারত ইস্যু ঘিরে যে ‘ভারত জুজুর রাজনীতি’ করেছিলেন, সেই রাজনীতির সুযোগ বাংলাদেশে আর নেই। ভারত বিরোধিতা হলো বিএনপির রাজনৈতিক হালে পানি পাওয়ার অপচেষ্টা মাত্র। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে খুনিদের অবাধ বিচরণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। অথচ আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।  এ সময় ছাত্রলীগের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জামায়াত-শিবির কিন্তু বসে নেই, ছাত্রলীগকে মনে রাখতে হবে ওরা নিঃশ্বেষ হয়ে যায়নি।  আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।  
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৬

‘বঙ্গবন্ধু কন্যা নারীদের অগ্রযাত্রার পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন’
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে। নারীর ক্ষমতায়নের মূল শক্তি তারা নিজেরাই। শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে সাপাহার উপজেলা অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।  নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রিপরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আটজন নারী রয়েছেন। বর্তমানে নয় জন নারী সচিব দায়িত্ব পালন করছেন। সংসদে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছেনও একজন নারী।  আমাদের দেশে নারীর সংখ্যা অর্ধেক নয় বরং অর্ধেকেরও বেশি। ভোটার তালিকা দেখলে সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। নারীরা তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে নারীর অগ্রযাত্রার পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু কিছু অশুভ শক্তি নারীদের পিছিয়ে দিতে চায়। অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শামিল হতে নারীদের প্রতি আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।  সাপাহারের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সাপাহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহজাহান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস সরকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আমেনা বেগম। এ সময় নিয়ামতপুর ও পোরশা উপজেলা প্রশাসন কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালির উদ্বোধন করেন। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শেষ হয়। এর আগে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সাপাহার উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত ভবন ও অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন করেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ২০:০৯

সরকারি অর্থে মডেল মসজিদ তৈরি সংবিধান পরিপন্থি : শাহরিয়ার কবির
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে সারাদেশে মডেল মসজিদ তৈরি সংবিধানের পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি হল রুমে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। শাহরিয়ার কবির বলেন, কাদের টাকা দিয়ে দেশে ৫৬০টা মডেল মসজিদ বানিয়েছে সরকার? আমাদের জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এগুলো বানানো হয়েছে। এটা সংবিধান পরিপন্থি। তিনি বলেন, সংবিধানের ৭-এর ‘ক’ ধারায় পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র কোনো বিশেষ ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা করবে না। আপনি যদি ৫৬০টা মডেল মসজিদ বানান, কেন আপনি ৫৬টা মন্দির প্যাগোডা গির্জা বানাবেন না? আর তাই যদি করতে হয় তাহলে সমস্ত অর্থ সেখানে আপনি ব্যয় করুন। তিনি আরও বলেন, আপনারা দুর্নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগকে তুলোধুনো করতে পারেন। কিন্তু আপনাদের মনে রাখতে হবে এর চেয়েও বড় বিপদ আমাদের সামনে আছে। দুর্নীতির বাইরে কোনো দেশ আছে এই উপমহাদেশে? একটি দেশের নাম বলুন। ভারত দুর্নীতির বাইরে? পাকিস্তান দুর্নীতির বাইরে? কিন্তু যেভাবে আমাদের সমাজ রাজনীতির মৌলবাদীকরণ-সাম্প্রদায়িকীকরণ হচ্ছে, এটাকে প্রতিহত করতে না পারলে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। বাংলাদেশ পাকিস্তান হয়ে যাবে। পাকিস্তান মানে পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হয়ে যাবে। আমাদের উদ্বেগটা হচ্ছে সেই জায়গায়। শাহরিয়ার কবির বলেন, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি সংবিধানের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নাগরিক আন্দোলন করছে। কিন্তু এখন আমরা যে আগামীর নাগরিক আন্দোলনের কথা বলছি, তা নির্মূল কমিটির একার দায়িত্ব নয়। এর সঙ্গে যত সমমনা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠন এবং ব্যক্তি আছেন, তাদের সবার দায়িত্ব । যেখানে বিরোধী দল অনুপস্থিত থাকে সেখানে নাগরিকদেরকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নয়, সমস্ত গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১২:০৮

স্মৃতিশক্তি বাড়াবে ছোট্ট এই ফলের তৈরি দুধ! 
দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর পানীয়। বড় থেকে ছোট সবার জন্যই এ পানীয়টি অনেক উপকারী। হাড় মজবুত থেকে স্মৃতিশক্তি, সব জায়গায় প্রাধান্য রয়েছে দুধের। শিশুদের খাবারের তালিকায় এটি না রাখলে বহু পুষ্টিগুণ বাদ থেকে যায়। তবে শুধু গরুর দুধই নয়। পুষ্টিকর হতে পারে ফলের দুধও। শুনতে অবাক লাগলেও এমন একটি ফল রয়েছে যার দুধ খেলে বহু রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখা যাবে। শুধু তাই নয় শিশুদের সঠিক পুষ্টি জোগাবে এই অসাধারণ ফলের দুধ। স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধি বাড়াতে এর কোনও তুলনাই নেই।  এই দুধ ওমেগা -৩ফ্যাটি অ্যাসিড-যুক্ত, পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন ই এবং খনিজ। ভিটামিন ই একটি অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। যার কারণে বৃদ্ধ বয়সেও ত্বক তরুণ থাকে। একই সঙ্গে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজ হাড় ও দাঁত সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এই ফল।  জেনে নিন কীভাবে এই বিশেষ দুধ তৈরি করবেন- এই দুধ যে ফল দিয়ে তৈরি হয়েছে তা হলো আখরোট। এটি একটি অত্যন্ত উপকারী ফল। এই ফল মস্তিষ্কের পুষ্টি জোগাতে অত্যন্ত সাহায্য করে। এ ছাড়াও বেশ কিছু উপকারী গুণ রয়েছে এই ফলের। আখরোটের দুধ তৈরি করতে আখরোট সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার ভিজানো আমন্ড ব্লেন্ডারে ভালো করে পিষে নিতে হবে। আমন্ড পিষে নেওয়ার পরে, প্রয়োজন মতো এতে এক থেকে দুই কাপ পানি যোগ করতে হবে। এবার এটি আবার ২ মিনিটের জন্য মিশ্রিত করতে হবে। ব্যাস তৈরি হয়ে যাবে আমন্ডের দুধ। এবার এই দুধ ভালো করে ছেঁকে নিতে হবে। 
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৭

'কর্পোরেট গ্রুপ চাইলে খাদ্যপণ্যের সংকট তৈরি করতে পারে'
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের ফুড ব্যবসাটা ৫-৬ টি কর্পোরেট গ্রুপের হাতে চলে গেছে। যারা চাইলে দেশে খাদ্যপণ্যের সংকটও তৈরি করতে পারে। তারাই এখন সব কিছু করে কারণ আইনে তো বাধা নেই। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ভোজ্যতেল ক্রয়-বিক্রয়ে অনিরাপদ ড্রাম ব্যবহার বন্ধে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁদমারী এলাকায় নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা সব কিছুতে পাকিস্তানের চেয়ে ভাল আছি কিন্তু বাংলাদেশে কর্পোরেট কালচারের কারণে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ এসএমই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে দেয়া হলে একটা সময় ভয়াবহ হয়ে উঠবে। যে কোন পণ্য অস্থির হয়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন, জনগণকে বুঝাতে হবে খোলা ড্রামের তেলে কি কি ক্ষতি আছে। কারণ ক্যামিকেলের ড্রাম গুলো ঠিক মত পরিস্কার পর্যন্ত না করেই তেল ভর্তি করে তা বাজারজাত করছে। এ সব কারা করছে যারা মেঘনা ঘাট থেকে শুরু করে শীতলক্ষ্যার পাড়ে সামরাজ্য তৈরি করেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর সোহেল রেজা চৌধুরী সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়