• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
স্থানীয় নির্বাচনে যেতে চায় বিএনপির তৃণমূল 
২০২১ সালের পর মার্চের পর থেকেই নির্বাচন পুরোপুরি এড়িয়ে চলছে বিএনপি। নির্বাচন এলেই সরব, তবু গত দুই বছরে একটিও নির্বাচনে অংশ নিতে দেখা যায়নি দলটিকে। উলটো দলের যে নেতাই এ সময়ে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নাম লিখিয়েছে, হাইকমান্ড থেকে তার উপরই নেমে এসেছে বহিষ্কারাদেশের খড়গ; যার সর্বশেষ নজির সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে ঘনিয়ে এসেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। তৃণমূলে সক্রিয়তা জানান দিতে এ নির্বাচন অন্য যে কোন দলের চেয়ে বিএনপির জন্য আলাদা গুরুত্ব বহন করছে এই মূহুর্তে- এমনই মত দলটির একাংশের। নির্বাচন ঘিরে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন দলটির তৃণমূলের অনেক নেতা, যদিও এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি বিএনপি হাইকমান্ড থেকে।  দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এখন ৪৮৫টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। গত ১৬ জানুয়ারি ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে এসব নির্বাচন হবে। রোজার আগেই প্রথম ধাপের নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচন। একই দিন কয়েকটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে তফসিল ঘোষণা করা হবে।  তাছাড়া আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার এবার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না রাখার নীতিগত সিদ্ধান্তও হয়েছে। এ ব্যাপারটাই বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের আরও বেশি প্রলুব্ধ করছে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য। তাদের বড় একটি অংশ মনে করছে, দলীয় প্রতীক না থাকায় ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার জোরে স্থানীয় সরকারে জনপ্রতিনিধি হওয়ার ভালো সুযোগ আছে তাদের সামনে। একইসঙ্গে তাদের মত, পরপর দুইটি জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর এমনিতেই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম দলটি। দুই বছর ধরে ভোটের মাঠে উপস্থিতি নেই তাদের। এবারও যদি নির্বাচনের ট্রেন না ধরার সিদ্ধান্তে অটল থাকে বিএনপি হাইকমান্ড, তবে একেবারে বিলীন হতে হবে দলটিকে।  এমনও গুঞ্জন আছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নিলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অনেকেই অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দেবে, অনেকে পেশাজীবী হয়ে যাবে, নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে রাজনীতিতে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে যেসব নেতা, তাদের দাবি,  বিএনপির মূল শক্তি তৃণমূল। আর এখন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ধরে রাখতে হলে স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিকল্প নেই তাদের জন্য। সরকারবিরোধী আন্দোলন যদি বেগবান করা না যায়, বিশেষ করে বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের ভূমিকা যদি আন্দোলনের পক্ষে না থাকে, সেক্ষেত্রে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ধরে রাখতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত। এ অংশের নেতারা মনে করেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিভক্তি বিএনপির প্রার্থীর জন্য সহায়ক হবে। সরকার-বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হলে অন্তত দুইশ' উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করার মতো সক্ষমতা এখনো রয়েছে বিএনপির।  তারা বলছেন, এ ইস্যুতে বিএনপির হাইকমান্ডের নমনীয় থাকা উচিত। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না, তাই যাদের সক্ষমতা আছে তারা নির্বাচন করলে প্রকাশ্য না হলেও অভ্যন্তরীণভাবে দল থেকে উৎসাহ দেওয়া উচিত। স্থানীয় নির্বাচনে যেহেতু সরকার পরিবর্তন হয় না, তাই আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত। নির্বাচনে গেলে আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে আসার সুযোগ পাবেন, যা চলমান আন্দোলনকে আরও গতিশীল করবে। এদিকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিপক্ষেও মত আছে বিএনপির নেতাদের একাংশের মধ্যে। তাদের দাবি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর একই কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিলে তাতে বিএনপির নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সেটি সরকারের প্রতি সমর্থন জানানোও হবে।  বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকার এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আগে অনেককেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের কাছে দল কী জবাব দেবে? তাছাড়া উপজেলা নির্বাচনে যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হয় তা বহন করার সামর্থ্য এ মুহূর্তে বিএনপি নেতাকর্মীদের নেই। অনর্থক নেতাকর্মীদের হয়রানির শিকার করতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন নির্বাচনের বিপক্ষ অংশ। এমনকি বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও প্রকট হবে বলেও মোট এ পক্ষের।  দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা থাকলেও সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। ওই ফোরামের বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন কখনোই শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও সুষ্ঠু হবে না। সুতরাং তার অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না, সে সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া আছে। বিএনপি এখনো সে সিদ্ধান্তে অটল। উপজেলা পরিষদের ভোটে দলীয় প্রতীক নৌকা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সে ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হলে বিএনপি কী করবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচনই তো সুষ্ঠু হয় না। সেখানে দলীয় প্রতীক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪১

যাদের জমি রক্ষা করেছি তারাও পাশে দাঁড়ায়নি : তৈমুর
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি যখন প্রচারণায় যাই তখন প্রকাশ্যে বলেছে, টাকা দেন ভোট দেবো। মানুষের মধ্যে টাকা দিয়ে ভোট বিক্রির প্রবনতা শুরু হয়ে গেছে। আমি যাদের জমি রক্ষা করেছি তারাও আমার পাশে দাঁড়ায়নি। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নিজ বাড়িতে নির্বাচন পরবর্তী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এবার নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে  নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন এই প্রার্থী। তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, যে পরিমাণ ভোটার উপস্থিতি দেখানো হয়েছে, এত ভোটার আমি ভোটকেন্দ্রে দেখিনি। মানুষ বলাবলি করছে সিল আগের রাতেই মারা হয়েছে। একটা গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্ন থেকেই গেলো। তিনি বলেন, আমাদের প্রজন্ম-রাজনীতি দূষিত হয়ে গেছে। আমাদের প্রজন্ম বা পরবর্তীতে প্রজন্মের দ্বারা সম্ভব হবে না সুষ্ঠু রাজনীতির মধ্যে চলে আসা। যদি আমরা নিজেরা সংশোধন না হই। তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রশাসন ক্ষমতার বাইরে যেতে চায় না। এজন্য ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের থিওরি দিয়েছিলেন। আমি মনে করি, এই নির্বাচন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। কেমন নির্বাচনে হয়েছে, সেটা দেশবাসী দেখেছে।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৬

বিরোধী দল তো দূরে থাক সংসদেই যেতে পারল না তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল হতে যাচ্ছেন বলে একাধিকবার হাকডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) নেতারা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সংসদের প্রধান বিরোধী দল হওয়া তো দূরে থাক দুটি দলের একজন প্রার্থীও কোনো আসনে বিজয়ী হননি। দল দুটির সব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে পারে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সারাদেশে ২৯৯টি আসনে একযোগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। এরপর গণনা শুরু হয়। আরও পড়ুন : বিদেশি পর্যবেক্ষকদের চোখে ছানি পড়েছে : হিরো আলম   ভোটের চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২২৫টি আসনে, জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১টি এবং ৬১টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া একটি আসনের (ময়মনসিং-৩) ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রার্থী দিয়েছিল ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃণমূল বিএনপি। তবে ভোটের মাঠে দলটির ১৩৫ প্রার্থীর কেউই জয়ের দেখা পাননি। প্রতিটি আসনে তাদের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। দলটির বেশ কয়েকজন প্রার্থী ১০০ ভোটেরও কম পেয়েছেন। এমনকি দলটির চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন। আরও পড়ুন : হার নিয়ে মুখ খুললেন ইনু   গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রয়াত মন্ত্রী নাজমুল হুদা প্রতিষ্ঠিত তৃণমূল বিএনপির প্রথম সম্মেলনে দলটির চেয়ারম্যান হন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী। এবারের নির্বাচনে সিলেট-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বেসরকারিভাবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। আর সোনালী আঁশ প্রতীকে মাত্র ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন শমসের মুবিন। এ ছাড়া তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শুরু থেকে নিজেকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে দাবি করলেও বর্তমানে জামানত হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন তিনি। আসনটিতে টানা চতুর্থবারের মতো জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। আর বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমুর পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট। অথচ নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে তৈমুর আলম খন্দকার একাধিকবার বলেন, তৃণমূল বিএনপি এবার সংসদের প্রধান বিরোধী দল হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ৫৩ আসনে প্রার্থী দিলেও কোনোটিতেই জিততে পারেনি। দলটির প্রায় সব প্রার্থী জামানত হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। এমনকি দলটির শীর্ষ নেতারাও ধরাশায়ী হয়েছেন। অথচ এই দলটির নেতারাও সংসদের প্রধান বিরোধী দল হওয়ার আশার কথা শুনিয়েছিলেন। আরও পড়ুন : বড় ভাইকে হারিয়ে বিজয়ী ছোট বোন   এবারের নির্বাচনে বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মো. আবু জাফর ফরিদপুর-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে নৌকার প্রার্থী আবদুর রহমানের সঙ্গে পেরে ওঠেননি তিনি। তিনি ভোট প্রাপ্তির হিসাবে তৃতীয় হয়েছেন।  এ ছাড়া বিএনএমের মহাসচিব মো. শাহ্‌জাহান চাঁদপুর-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আসনটিতে মাত্র ১ হাজার ৭৪ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন তিনি। অথচ গত ২ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশানে দলের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনএমের মহাসচিব মো. শাহ্‌জাহান বলেছিলেন, ‘প্রথমবারের মতো বিরোধী দলে যাব।’
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২২

নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে সরে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিএনপির আবু হানিফ হৃদয়
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচন বর্জন করেছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান কে এম আবু হানিফ হৃদয়।  শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।  সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার শুরু থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম বাবু এমপি তার চরিত্রহরণ, গালিগালাজসহ ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে প্রচারণা থেকে দূরে সরে থাকতে বলেছেন। এ নিয়ে কমিশনে অভিযোগ করেও কোনো সহযোগিতা পাননি তিনি।  কে এম আবু হানিফ আরও বলেন, সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন প্রতিটি গ্রামে কাউকে এজেন্ট না থাকার জন্য ভয়ভীতি-আতঙ্ক সৃষ্টি করে সিল মারার পরিকল্পনা করছে। তাদের এই কৌশলগত ভয় ছড়ানোর কারণে কেউ এজেন্ট হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিতে রাজি নন। এ কারণে সোনালী আঁশ প্রতীকের এ প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসন থেকে নির্বাচন বর্জন করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন। তবে তিনি ঢাকা-৫ আসনে নির্বাচনে প্রার্থী রয়েছেন।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০৭

ক্ষমা চেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী
দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মেজর (অব.) আ ন ম মোস্তফা বনি। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে যশোর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। লিখিত বক্তব্যে মোস্তফা বনি বলেন, তৃণমূল বিএনপি একটি অত্যন্ত কৃশকায়, তলাবিহীন ঝুড়ির মতো দল। একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হয়ে এমন একটি দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অত্যন্ত বেমানান ও অমর্যাদাকর। এই দল আমার জন্য মানানসই নয় এবং সংসদ সদস্য পদে প্রার্থিতা করার জন্য উপযুক্ত প্লাটফর্ম নয়। তিনি আরও বলেন, দেশের বিরাজমান প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নেওয়াটা কতটুকু সমীচীন হবে, একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে সে বিষয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান। দেরিতে হলেও বিষয়টি উপলব্ধি করার জন্য মহান আল্লাহর কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তাই দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলাম এবং যশোর-৫ এর সংসদ সদস্য পদে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ালাম।  উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।  তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তির সময় ছিল ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দের সময় ছিল ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে ৫ জানুয়ারি সকালে। ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫০

মাটি কামড়ে হলেও নির্বাচনী মাঠে থাকব : তৈমূর
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, সরকারি দল কর্তৃক নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে আমরা মাটি কামড়ে হলেও নির্বাচনী মাঠে থাকব। বিশ্ববাসীর কাছে সরকারের আচরণ তুলে ধরব। বুধবার (৩ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নিজবাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, দেশব্যাপী সরকারি দলের প্রার্থীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরছে। আমরা বারবার অভিযোগ করেছি অস্ত্র উদ্ধারের জন্য। কিন্তু সেই অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। মঙ্গলবার এখানে বিদেশি পিস্তলসহ নৌকার এক সমর্থক আটক হয়েছে। যদি সরকার তার দলীয় লোক থেকে অস্ত্র উদ্ধারে ব্যর্থ হয় তাহলে সাধারণ মানুষের ভয় কাটবে না। পাশাপাশি যারা হুমকি-ধমকি দেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তাদের কর্মসূচি সাংবিধানিকভাবে হলে হুমকি দেওয়া উচিত না। দেশে তো আইনকানুন আছে। যারা অতিউৎসাহী হয়ে এ ধরনের কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তৈমুর আলম খন্দকার। আসনটির নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, গাজী সাহেব অস্ত্র নিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তার প্রতিটি মিছিলে অস্ত্রধারীরা থাকে। কেন্দ্রেও এই অস্ত্রধারীরা থাকবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করতে চাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। 
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়