• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তুরস্কে নাইট ক্লাবে আগুন, ২৯ জনের মৃত্যু
তুরস্কের একটি নাইট ক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন। এই অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন মানুষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিনের বেলা এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে ওই সময় নাইট ক্লাবটি খোলা ছিল না। সেখান সংস্কার কাজ চলছিল। ইস্তাম্বুলের গায়রেত্তেপেতে অবস্থিত নাইট ক্লাবটি একটি ১৬ তলা আবাসিক ভবনের বেজমেন্টে ছিল। ইস্তাম্বুলের গভর্নর দাভুত গুল জানিয়েছেন, দুপুরের পর ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনটিতে নির্মাণ কাজ চলছিল। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন নাইট ক্লাবটির ম্যানেজার এবং সংস্কার ব্যবস্থাপক। ইস্তাম্বুলের নবনির্বাচিত মেয়র একরেম ইমামোগ্লু এক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক জানিয়ে বলেছেন, যারা পরিবার-পরিজনকে হারিয়েছেন তাদের ওপর আল্লাহ দয়া করুক। যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আমি। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে ইস্তাম্বুল ফায়ার বিভাগের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দমকলকর্মীরা একাধিক ফায়ার ইঞ্জিন নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। এ ছাড়া ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ভবনটির পাশে দাঁড়িয়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স। ওই সময় অন্তত একজন ব্যক্তিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে নিয়ে আসতে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে এই অগ্নিকাণ্ডে ১৫ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। পরবর্তীতে জানানো হয় ভয়াবহ এ অগ্নি দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কিনা এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। সূত্র: স্কাই নিউজ
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৯

তুরস্কে খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মারামারি, ফিফার কড়া হুঁশিয়ারি
ফুটবল মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে ঘটে থাকা নানা ধরনের ঘটনার সাক্ষী হয় দর্শকরা। এবার তুরস্কের সুপার লিগের ম্যাচ শেষে মাঠে ঢুকে খেলোয়াড়দের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়েছে সমর্থকরা। এই ঘটনা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।  গত রোববার (১৬ মার্চ) ত্রাবজোন্সপোর বিপক্ষে ফেনেরবাচের ৩-২ গোলে জয়ের পর ঘটে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজানোর পরপরই মাঠ ঢুকে পড়েন স্বাগতিক ত্রাবজোন্সপোরের সমর্থকরা।  তারা সফরকারী দলের খেলোয়াড়দের ওপর আক্রমণ শুরু করে। আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা আক্রমণ করেন ফেনেরবাচের খেলোয়াড়রাও। এতে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় মারামারি।  ঘটনার সময় তোলা বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, একদল সমর্থক মাঠে ঢুকে জয়ের উচ্ছ্বাস করতে থাকা ফেনেরবাচের খেলোয়াড়দের দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ খেলোয়াড়দের মারতে উদ্যত হন। ফেনেরবাচের খেলোয়াড়েরাও কয়েকজন সমর্থকের দিকে তেড়ে যান। এক ভিডিওতে দেখা যায়, ফেনেরবাচের বেলজিয়ান ফুটবলার মিচি বাতসুয়াই এক সমর্থককে লাথি মারছেন। একই সময় দলটির নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় ব্রাইট ওসাই–স্যামুয়েল ঘুষি মেরেছেন ত্রাবজনস্পোরের এক সমর্থককে। ত্রাবজনস্পোরের সমর্থকেরাও থেমে থাকেননি। এক সমর্থক কর্নার ফ্লাগ হাতে নিয়ে ফেনেরবাচের এক খেলোয়াড়কে শাসাতে থাকেন। একজন তো ফেনেরবাচের গোলকিপার দমিনিক লিভাকোভিচের মুখে ঘুষি বসিয়ে দেন। এমন ঘটনার পর তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া ঘটনা তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন। তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশন এ ঘটনাকে ‘মেনে নেওয়ার মতো নয়’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে তুরস্কের ফুটবলে চলতি মৌসুমে এমন ঘটনা প্রথম নয়। গত ডিসেম্বরে আঙ্কারাগুকু ও রিজেস্পোর ম্যাচে রেফারি উমুত মেলেরকে মাঠে আক্রমণের পর এক সপ্তাহ লিগ স্থগিত ছিল। অন্যদিকে এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো বলেন, ত্রাবজোন্সপোর ও ফেনেরবাচের মধ্যকার ম্যাচের যে সহিংসতা দেখা গেছে তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। মাঠে বা মাঠের বাইরে, আমাদের খেলায় বা সমাজে এর কোনো স্থান নেই।  তিনি বলেন, যে খেলা সারা বিশ্বের অনেক মানুষের জন্য আনন্দ বয়ে আনে, সেটা খেলার জন্য সব খেলোয়াড়কে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে হবে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২২:২৮

তুরস্কে অভিবাসী নৌকা ডুবি, ৭ শিশুসহ নিহত ২২
তুরস্কের এজিয়ান সাগরের গোকসিয়াদা দ্বীপের কাছে একটি নৌকা ডুবে ৭ শিশুসহ ২২ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, তুরস্কের কোস্টগার্ড ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে ৭ জন শিশু রয়েছে। নিহতরা কোন দেশের নাগরিক তা জানানো হয়নি।  কর্তৃপক্ষ বলছে, দুর্ঘটনা রাতেই সংঘটিত হয়েছে। গোকসিয়াদার কাছে কাবাটেপেতে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষমাণ। উদ্ধার অভিযান চলছে। উদ্ধার কাজে একটি প্লেন, দুটি হেলিকপ্টার, একটি ড্রোন, ১৮টি নৌকা ও ৫০২ জন উদ্ধারকর্মী অংশ নিয়েছেন।  গভর্নর ইলহামি আকতাস বলেন, তুর্কি কোস্টগার্ড কানাতালে প্রদেশের ইসেবাত শহরের উপকূল থেকে দুজনকে উদ্ধার করেছে। তারা নিজ থেকেই উপকূলে আসতে পেরেছেন।  তুরস্কের কোস্টগার্ড জানায়, সপ্তাহের শুরু থেকে তারা অবৈধভাবে গ্রীসে যাওয়ার পথে শতাধিক মানুষকে বাধা দিয়েছে। এর মধ্যে শিশুরাও ছিল।  গ্রীস অবৈধ অভিবাসী বোঝাই নৌকা ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তুরস্ক। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোয়ান এথেন্সে ভ্রমণ করেন। এ সময় গ্রীসের সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে দুই দেশ সমস্যা নিরসনে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।  সূত্র : আল জাজিরা 
১৬ মার্চ ২০২৪, ১০:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়