• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তুচ্ছ ঘটনায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত শতাধিক 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।  বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পরে বিজয়নগর থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশের একাধিক টিম তিন ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাত্ক্ষণিক আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ সময় দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ৪ জন পুলিশ আহত হয়। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলো পাইকপাড়া গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৬০), মৃত হাসান আলীর ছেলে খুরশেদ আলম ওরপে আলফু ( ৬২), হাজীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে মো. আব্দুল বাছির (৫৫), মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. আনাস মিয়া (৩৮), খাটিংগা গ্রামের মোঃ আব্দুল হেমিকের ছেলে আব্দুর নুর (৫৫)।  পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। কয়েক মাস যাবত জমি বিক্রি ও দলিল করাকে কেন্দ্র করে এই বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। তার মধ্যে বুধবার দুপুরে দুই শিশুর মধ্যে ঝগড়া লাগার জেরে উভয় পক্ষ দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ে। বিজয়নগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হাসান জামিল জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৩

তুচ্ছ ঘটনায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন
ফেনীর সোনাগাজীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক বন্ধুর ছুরিকাঘাতে আরেক বন্ধু নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মো. আবির হোসেন ওরফে ছোটন (২৩)। রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারের সময় উপজেলার মতিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। আবির উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া এলাকার কালা মিয়া ছেলে। অভিযুক্ত আরিফুর রহমান একই এলাকার মো. বাবুল মিয়ার ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, সোনাগাজী-ফেনী সড়কের মতিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরিফের বড় ভাই মো. নিলয়ের একটি চায়ের দোকান রয়েছে। রোববার বিকেলে আবির ও আরিফ দুই বন্ধু একসঙ্গে ওই দোকানে ইফতার করতে যান। পরে আরিফ ইফতারি প্রস্তুত করার সময় আবিরের সঙ্গে আগের একটি ঘটনা নিয়ে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আরিফ ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আবিরের পেটে ও বুকে দুটি আঘাত করেন। এতে সঙ্গে সঙ্গে আবির মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর আরিফ দোকান থেকে বের হয়ে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন আবিরকে ফেনীর ২৫০ শয্যা  বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদীপ রায় বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন, আবির ও আরিফ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। দুজন একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আরিফ পলাতক। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও আরিফকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। বর্তমানে মরদেহ ফেনীর ২৫০ শয্যা  বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর সোমবার মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দিলে তা মামলা হিসেবে নেওয়া হবে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৩

তুচ্ছ ঘটনায় সৈয়দপুরে ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ, চরম ভোগান্তি
নিজেরা অপরাধ করে উল্টো ট্রাফিক পুলিশের ওপর দোষ চাপিয়ে জনগণকে জিম্মি বানিয়ে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছেন মোটর শ্রমিকরা। মিথ্যে অপবাদ ছড়িয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে ৩ ঘণ্টা সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দুঃসহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। পরে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়।  এমন ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে আড়াআড়িভাবে সড়কে বাস রেখে এ অবরোধ করে নীলফামারী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা। এতে সৈয়দপুর থেকে রংপুর, দিনাজপুর মহাসড়কসহ পার্বতীপুর, নীলফামারী, ডোমার, ডিমলা পথে বাস, ট্রাক, কার, মাইক্রো, মোটর সাইকেল, রিকশা, অটোসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।  জানা যায়, মেহেদী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি মিনিবাস রংপুর থেকে সৈয়দপুরে আসার পথে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে পুলিশ থামার সংকেত দেয়। কিন্তু চালক বুলবুল সেখানে গাড়ি না থামিয়ে দ্রুত এগিয়ে আসে। এতে পুলিশ গাড়িটি আটকাতে মোটর সাইকেল নিয়ে পিছু করে। তা টের পেয়ে কিছু দূর এসে গাড়ির চালক বাস থামিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে কাগজপত্র চাইলে সুপার ভাইজার ও হেলপার তা দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদেরসহ গাড়িটি থানায় নিয়ে যায় এবং ড্রাইভারকে কাগজসহ এসে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে।  অথচ চালক বুলবুল পালিয়ে সৈয়দপুরে এসে জানায় হাইওয়ে পুলিশ অকারণে তার গাড়ি আটক করেছে এবং সুপার ভাইজার ও হেলপারকে মারধর করেছে। এতে উপস্থিত সকল মোটর শ্রমিকের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা তাৎক্ষণিক বাস টার্মিনালের তিন দিকের সড়কে মিনিবাস এলোমেলো ভাবে রেখে অবরোধের সৃষ্টি করে। ফলে মুহূর্তে চারপাশে প্রায় ২ শতাধিক যান আটকে পড়ে।  এতে যাত্রীরা বাধ্য হয়ে হেটে টার্মিনাল এলাকা পার হয়। কাছের যাত্রীরা অপরপ্রান্তে এসে অটোরিকশা ও সিএনজি নিয়ে গন্তব্যে রওনা দেয়। কিন্তু দূরের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যেতে বের হওয়া প্রার্থীরা। তাছাড়া স্থানীয় লোকজনও চলাচলে সমস্যায় পড়েন। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সও আটকে পড়ে অবর্ণনীয় দুর্দশায় নিপতিত হয় রোগীসহ স্বজনরা।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২১:১৭

আখাউড়ায় তুচ্ছ ঘটনায় বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, আহত ১০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৩ নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার রাতে মোগড়া ইউনিয়নের টানোয়াপাড়া গ্রামের পারভেজ নামে যুবকের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে একই এলাকার দরুইন গ্রামের যুবক এবাদুলের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় পার্শ্ববর্তী নয়াদিল গ্রামের সাহস নামে এক যুবক টানোয়াপাড়া যুবকের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করে।  এ সময় তার সঙ্গেও হাতাহাতি হয়। বিষয়টি রাতেই স্থানীয়রা আপোষমিমাংসার সীদ্ধান্ত নিলেও শনিবার সকালে নয়াদিল গ্রামের যুবক সাহস তার লোকজন নিয়ে দরুইন গ্রামের এবাদুলের মামা হাসেন মিয়ার বাড়িতে অর্তকিত হামলা চালায়। এ সময় হামলায় আসমা (৩৫), আবুল কাশেম (৬০), রিনা বেগম (৫৮) মালেক (৫০), জসিম (৩০), কুলসুম (২৫), খোকন (৪০), তাসলিমা আক্তার (৩৫), সাহস (২০) ও তার বাবা ছোটন মিয়া (৫৫) আহত হয়। এ সময় সাহস ও তার লোকজন বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেন হাসেন মিয়া। এ বিষয়ে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হলে বিষয়টি আপোষ মিমাংসার আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু সাহস তার লোকজন নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে মারধর এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করায় বিষয়টি দুঃখজনক। আখাউড়া থানার ওসি নূরে আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এলাকার যুবকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় পরবর্তীতে বাড়িঘরে হামলা ও মারপিটে ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়